শীতকালে শিশুকে যে ১০ খাবার খাওয়াবেন- ১০০% কার্যকারী
প্রত্যেক বছরেই শীত আসে এবং শীতের সাথে বাবা-মায়ের দুশ্চিন্তা বয়ে নিয়ে আসে। শীতকালে শিশুর যত্নে অনেক বাবা-মাই চিন্তিত থাকেন। তাই শীতে শিশুর যত্নে যে ১০ খাবার খাওয়ালে ছোট শিশুরা ভালো থাকবে ও সুস্থ থাকবে, সেই খাবারগুলো সম্পর্কে অবশ্যই জেনে রাখা উচিত। যাতে করে শীতকালে আপনার শিশুর যত্নে কোন কমতি না থাকে। নিচে বিস্তারিত........
ভূমিকাঃ
আসলে প্রত্যেকটা সিজনেই ছোট শিশুদের জন্য একটু ঝুঁকির বা ঝামেলার হয়ে যায় । ঋতু পরিবর্তনের কারণে বাচ্চাদের অনেক সিকনেস বা অসুস্থতা তৈরি হয়।তাই শিশুকে প্রত্যেকটা সে সিজনে বা ঋতুতে অত্যাধিক যত্ন করতে হবে। আর যখন শীতে শিশুদের যত্নের প্রসঙ্গ আসবে তখন অবশ্যই, অন্যান্য ঋতুর থেকে বেশি পরিমাণ সতর্ক ও সচেতন হয়ে শিশুর যত্ন নিতে হবে। কারণ শীতে ইমিউনো সিস্টেম ব্রেক ডাউন হয়, জ্বর, সর্দি, কাশি ও আরো এ ধরণের অসুখের পরিমাণ বেড়ে যায়। শীতকালে তাপমাত্রার ওঠা-নামা বা পরিবর্তনের ফলে শিশুদের শরীরে প্রভাব ফেলে যার ধরুন শিশুরা বিভিন্ন ধরনের অসুখ আক্রান্ত হয়।
এখন অনেকের মনে প্রশ্ন শীতকালে কিভাবে শিশুদের যত্ন নেব? আসলে যত্ন অনেকভাবে নেওয়া যায় যেমন, শীতকালে শিশুদের পুষ্টিকর খাবার খাওয়াতে হব, সব সময় গরম কাপড় চোপড় পরাতে হবে, রোদ উঠলে রোদে কিছুক্ষণ নিয়ে যেতে হবে। আরো অন্যান্য ভাবে যত্ন নেওয়া যায় নিম্নে বিস্তারিত........।
শীতকালে শিশুকে যে ১০ খাবার খাওয়াবেন- ১০০% কার্যকারী
- প্রথমে যে কাজটা করা উচিত যেসব বাচ্চারা খুবই ছোট অর্থাৎ শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ অথবা কোন বিকল্প ফর্মুলা দুধের উপর নির্ভরশীল। সেইসব শিশুদের পর্যাপ্ত পরিমাণে মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। এবং যেসব বাচ্চারা ফর্মুলা দুধ খাচ্ছে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যেন গরম গরম দুধ খাওয়ানো হয়। কোনভাবেই কোন অবস্থাতেই ঠান্ডা দুধ দেওয়া যাবে না।
- আর যে সব বাচ্চাদের বয়স ৬ মাস বা তার ঊর্ধ্বে সেসব শিশুদের শীতকালে যেসব টাটকা ফল-মূল পাওয়া যায় সেগুলো খাওয়াতে হবে। যেমনঃ কমলালেবু, স্ট্রবেরি, আমলকি এ ধরনের ভিটামিন সি যুক্ত ফল।কারণ এ ধরনের ফল-মুলে অনেক পুষ্টি ও ভিটামিন থাকে যা শিশুর শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
আরো পড়ুনঃ শীতকালে শিশুর যত্নের সতর্কতা
- এ সময় শীতকালীন যে শাকসবজি পাওয়া যায় সেগুলো শিশুদের খাওয়াতে হবে। যেমন লাল শাক পালং, ও সবুজ শাকসবজি গাজর, বিট, টমেটো শিশুদের ত্বকের জন্য বেশ উপকারী।
- এবং সেই সাথে সুষম খাবার খাইয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি নিশ্চিত করুন। যেমনঃ মাছ ,মাংস, ডিম, দুধ ইত্যাদি। সপ্তাহে দুই দিন সামুদ্রিক মাছ রাখার চেষ্টা করবেন ,কারণ সামুদ্রিক মাছে প্রচুর পরিমাণে অমেগা-থ্রি এবং ফ্যাটি এসিড রয়েছে।
- বিভিন্ন ধরনের সুপ যেমনঃ মুগ ডালের স্যুপ, টমেটো স্যুপ, সবজির স্যুপ এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের শীতের সবজি দিয়ে খিচুড়ি রান্না করে খাওয়াতে পারেন। তবে অবশ্যই গরম হতে হবে।
- শিশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করানো। কারণ এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শীতকালে সাধারণত পিপাসা কম লাগে আর এই কারণে পরিমাণ অনুযায়ী পানি কম খাওয়া হয়। তাই শিশুর বয়স অনুযায়ী পরিমাণ মতো পানি খাওয়াতে হবে। ডি-হাইড্রেট যাতে না হয় সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
শীতকালে শিশুকে যে খাবার গুলো খাওয়ানো একদম উচিত না।
- প্রথমে যে বিষয়টা খেয়াল রাখতে হবে কোনভাবেই শিশুকে ঠান্ডা জাতীয় খাবার খাওয়ানো যাবে না। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক শীতকালে কোন কোন খাবারগুলোকে শিশুদের খাওয়ানো উচিত নয়।
- অনেক সময় আমরা ফ্রিজে বাচ্চাদের পছন্দের খাবার সমূহ রেখে দেই সতেজ রাখার জন্য যেমন পায়েশ, আইসক্রিম, চকলেট ইত্যাদি। বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে যেন সেই জিনিসগুলো কখনোই ঠান্ডা থাকা অবস্থায় শিশুরা না খায়।
আরো পড়ুনঃ শীতকালে শিশুদের কেমন পোশাক পরানো উচিত?
- শীতের সময় অনেকেই তেল জাতীয় খাবার অর্থাৎ ভাজা-পোড়া খেতে বেশি পছন্দ করে। চেষ্টা করবেন যতটা সম্ভব এ ধরনের ভাজা-পোড়া বাতিল জাতীয় খাবার না খাওয়ানোর। কারণ এ ধরনের খাবার খেলে শিশুদের ন্যাচারাল খাবারগুলো রয়েছে যেমন শাকসবজি,ফলমুল খাওয়ার চাহিদা কমে যায়। যা শিশুদের জন্য একেবারেই কাম্য নয়।
- অতিরিক্ত সুগার জাতীয় খাবার শিশুর খাদ্য তালিকা থেকে যথাসম্ভব বাদ দিতে হবে। কারণ অতিরিক্ত সুগার বাচ্চাকে অ্যাসিটিক করে ফেলে এবং বাচ্চার খাবারের রুচি নষ্ট হয়ে যায়।
- অতিরিক্ত লবণ জাতীয় খাবার পরিত্যাগ করতে হবে। কারণ অতিরিক্ত লবণ জাতীয় খাবার বাচ্চআর ইমিউনো সিস্টেমে বাধা প্রদান করে।
- মূল কথা এটাই যে শিশুকে অবশ্যই ঠান্ডা খাবার থেকে দূরে রাখতে হবে। এবং সেই সাথে উপরোক্ত খাবার গুলো না খাওয়ানোর চেষ্টা করতে হবে। এ ধরনের কিছু বিষয় পরিত্যাগ করলে দেখবেন শীতকালে শিশু কম অসুস্থ হবে এবং আপনাকে অতিরিক্ত চিন্তিত হবে না।
শীতকালে শিশুর ত্বকের যত কিভাবে নেব?
শীতকাল শুরু হতে না হতেই বাচ্চাদের অন্যতম একটা সমস্যা শুরু হয় সেটা হল ত্বকের সমস্যা। সেই সমস্যাটি হলো শিশুর ত্বকের সমস্যা। এই সময়ে বাচ্চাদের ত্বক আগের তুলনায় শুষ্ক হয়ে যায়। এবং এই সমস্যা হওয়ার কারণে বাচ্চারা নিজেদের ত্বকের চুলকাতে থাকে। এবং এর থেকে বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন হয় যার ফলাফল স্বরূপ শিশুরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়।তাই শীতকালে শিশুর ত্বকের যত্ন কিভাবে নেওয়া যায় সে বিষয়ে নিম্নে কয়েকটি করণীয় উল্লেখ করা হলঃ
- প্রথমত শীতকালে কয়েকবার সূর্যের আলোয় বিশেষ করে গোসলের আগে শিশুকে অলিভ অয়েল দিয়ে মাসাজ বা মালিশ করতে হবে। মালিশ করার ফলে শিশুদের রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যায় যা শিশুদের জন্য উপকারী।
- শিশুকে প্রত্যেকবার পরিষ্কার করার সময় পেট্রোলিয়াম জেলি বা ভ্যাসলিন জাতীয় ক্রিম এর ব্যবহার করবেন এতে করে শিশুর ত্বক কোমল ও সদস থাকবে।
- শীতকালে শিশুদের জন্য উলের কাপড় , কম্বল ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। চেষ্টা করবেন লেপ জাতীয় গরম জিনিস ব্যবহার করার।
- শিশুদের সাবান দিয়ে অতিরিক্ত ঘষা যাবেনা। কারণ অতিরিক্ত সাবান দিয়ে ঘষলে শিশুদের গায়ে স্ক্র্যাচ বা দাগ পড়তে পারে যেখান থেকে ইনফেকশন শুরু হতে পারে।
- শীতের দিনে শিশুকে প্রত্যেকদিন গোসল করানোর সময় একদিন পরপর সাবান ব্যবহার করুন।
- শিশুকে গোসল করানোর সময় ভুলেও ডেটল বা শ্যাভলন জাতীয় জীবাণু নাশক গোসলের পানিতে দেবেন না।
- তেলের ক্ষেত্রেও অনেক সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, শিশুদের জন্য বেবি ওয়েল ছাড়া অন্যান্য তেল ব্যবহার না করার চেষ্টা করতে হবে।
- শীতকালীন শুষ্ক বাতাস ও ধুলাবালি যুক্ত বাতাস থেকে শিশুকে দূরে রাখতে হবে। তাহলে শিশুর ত্বক শুষ্ক হবে না।
- দুই বছরের নিচের শিশুদের বা নবজাতকদের ক্ষেত্রে গ্লিসারিন ব্যবহার করবেন না। দুই বছরের উর্ধ্বে যেসব শিশুদের বয়স তাদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে গেলে অবশ্যই ভালো মানের ও ভালো ব্র্যান্ডের ব্যবহার করতে হবে তবে তার সামান্য পরিমাণে।
- শিশুর মুখে মশ্চারাইজার এবং সারা শরীরে বেবি লোশন, বেবি অয়েল ব্যবহার করতে হবে।যেমন শীতে বাচ্চাদের ত্বক ময়শ্চার রাখতে অলিভ অয়েল, খাঁটি নারিকেল তেল এগুলোও দেওয়া যেতে পারে।
- রাত্রে ঘুমাতে যাবার আগে, বাচ্চাকে পরিষ্কার করে সামান্য পরিমাণে বেবি লোশনগুলো লাগিয়ে দিতে পারেন এতে করে শিশুর ত্বক কোমল থাকে।
শীতকালে শিশুদের কেমন পোশাক পরানো উচিত?
শীতকালে শিশুদের যত্নের আরেকটি দিক হলো শিশুদের জন্য পোশাক নির্বাচন। কোন ধরনের পোশাক পরালে শীতের সময় শিশু ভালো থাকবে সে বিষয়ে অনেকেই জানতে চান। এ সময়ে শিশুদের কোন কোন পোশাকগুলো বা কি ধরনের পোশাক পরানো উচিত তা নিম্নে উল্লেখ করা হলঃ- শিশুদের সরাসরি উলের পোশাক পড়াবেন না। তবে উলের কাপড় সরাসরি না পরিয়ে আগে সুতি কাপড় পরাতে হবে। এবং সুতির কাপড়ের ওপর উলের কাপড় পরাতে হবে।
- চেষ্টা করবেন কম বয়সের শিশুদের ক্ষেত্রে মায়ের তাপমাত্রার সাথে বাচ্চার তাপমাত্রা বজায় রাখার। এটাকে বলে ক্যাঙ্গারু মাদার কেয়ার। সহজভাবে বলতে গেলে মায়ের বুকের সাথে শিশুটিকে জড়িয়ে ধরে রেখে লেপ বা কম্বল জাতীয় জিনিস শরীরে দেওয়ার। এতে করে মায়ের সংস্পর্শে থেকে শিশুর শরীরের তাপমাত্রা বজায় থাকে।
- চিকিৎসকের মতে, শিশুদের শীতকালে যে পোশাক পরানো হয় সেই পোশাক যেন নরম কাপড়ের হয়। সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে। কোনোভাবেই খসখসে কাপড় পরানো যাবে না।
- ১ বছরের নিচের বা তার ঊর্ধের শিশুকে নরম কাপড়ের জুতা পরানোর অভ্যাস করুন। ২-৩ বছরের বাচ্চাদের বা তার ওপরের বাচ্চাদেরকে স্যান্ডেল পরিয়ে রাখার অভ্যাস করুন। এছাড়াও হাত এবং মাথা ঢেকে রাখুন। হাত মোজা, পায়ের মোজ্ এবং মাথার টুপি ব্যবহার করুন। এছাড়া বয়স অনুযায়ী মাফলার ব্যবহার,করাতে পারেন।
- হালকা বা তুলনামূলক কম শীতের সময় খুব বেশি গরম কাপড় পরানো উচিত নয়।
- শিশুদের রাতে ঘুমানোর আগে হালকা ফুল হাতা গেঞ্জি পরাতে পারেন।
শীতকালে শিশুর যত্নের সতর্কতা
এবার জেনে নেয়া যাক শীতকালে শিশুর যত্নের সর্তকতা সম্পর্কে। শীতকালে এমন কিছু করা যাবে না যাতে করে শিশুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তাই শীতকালে শিশুর পরিচর্যার জন্য অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। শীতকালে শিশুর যত্ন নেওয়ার সময় যেসব সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে সেগুলো হলোঃ- প্রথমত যে বিষয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেটি হল বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের বা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া শিশুকে কোন সময় অহেতুক এন্টিবায়োটিকে ঔষধ খাওয়াবেন না। বা অন্য কোন ঔষধ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওষুধের দোকান থেকে কিনে খাওয়াবেন না এতে করে হিতে বিপরীত হতে পারে অর্থাৎ শিশুর ক্ষতি হতে পারে। প্রাথমিকভাবেই শিশুর অসুস্থতায় ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
- বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া শীতকালে বাচ্চার মাথা ন্যাড়া করা থেকে বিরত থাকুন।
- শীতের শুরুতে এবং রোদ উঠলে মাঝে মাঝেই শিশুর লেপ, তোষক, কম্বল, চাদর ইত্যাদি রোদে দিতে হবে। রোদ থেকে উঠানোর পরে খুব ভালোভাবে তা জেনে নিতে হবে। এবং ধুলাবালি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এসবের ওপর কাপড় বা কাভার ব্যবহার করা উত্তম হবে।
- শিশুর নাক বা মুখের ওপর কাপড়, লেপ, কম্বল ইত্যাদি দেবেন না।
- প্রয়োজনের বেশি সোয়েটার না পরানোই ভালো তাতে করে বাচ্চা ঘেমে যেতে পারে এবং সেখান থেকে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে।
- শীত বলে পরিছন্নতায় অবহেলা না করে শিশুকে নিয়মিত গোসল করান।
- শীত মৌসুম এলে ফ্রিজের ঠান্ডা পানি পান, আইসক্রিম খাওয়া বা রাতের বেলায় ফ্যান ছেড়ে ঘুমিয়ে যাওয়া এই সকল কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।
- যেসব বাচ্চারা হামাগুড়ি দেয়, দেখবেন তারা যেন ঠান্ডা মেঝেতে হামাগুড়ি না দেয়। কার্পেট ব্যবহার না করে মাদুর বা ম্যাট ব্যবহার করা ভালো। কারণ কার্পেটের ধুলা থেকে এলার্জি হতে যকার
লেখকের মন্তব্যঃ
প্রিয় পাঠক, শীতের সময় শিশুদের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। তবে অবশ্যই যত্নটা বিশেষভাবে দিতে হবে। শীতকালে শিশুদের রক্তের কোন ত্রুটি থাকলে বা অসচেতনতার কারণে অনেক সময় শিশুরা নানান ধরনের অসুখে আক্রান্ত হতে পারে। আর সেই সূত্রে আর্টিকেলটিতে কিভাবে শীতকালে শিশুদের নিতে পারেন সেই বিষয়ে আলোকপাত করার চেষ্টা করেছি।
আশা করছি উপরোক্ত আর্টিকেলটি আপনার শিশুর যত্নে সহায়ক হিসেবে কাজ করবে। আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকলে আপনার পরিচিতজনদের মাঝে শেয়ার করতে পারেন যাতে তারাও তাদের সন্তানদের যথাযথ যত্ন নিতে পারে। এবং এরকম আরো সচেতন মুলক পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটটিতে নিয়মিত ভিজিট করুন।
আবারো পুরনো পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।💖
বিপ্লব আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রত্যেকটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url