ডিজিটাল মার্কেটিং কাকে বলে, কত প্রকার ও কি কি
বর্তমান সময়ে অনেকেই চাকরি পরিবর্তে ফ্রিল্যান্সার হতে চাচ্ছেন। এবং ফ্রিল্যান্সিং
সেক্টরে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা সবচেয়ে বেশি। এখন অনেকে জানে না যেডিজিটাল
মার্কেটিং কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি?
এই পোস্টটিতে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করা, ইউটিউব চ্যানেল সেটআপ করা, ইউটিউবে SEO করা, Youtube অ্যাড ক্যাম্পেইন, ইউটিউব কিভাবে মনিটাইজেশন করতে হয়, কিভাবে একটি চ্যানেল গ্রো করতে হয় বা এগিয়ে নিয়ে যেতে হয় ইত্যাদি এসব বিষয়গুলো শিখে আপনি দ্রুত ইনকাম করতে পারবেন।
৩।অ্যাড ক্যাম্পেইনঃ বর্তমানে অ্যাড স্কেল জনপ্রিয় দক্ষতা যে দক্ষতা অর্জন করার সাথে সাথে আপনি একজন ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন এবং সেই দ্রুত সাথে ইনকাম করতে পারবেন।
৪ ডাটা এন্ট্রিঃ ডাটা এন্ট্রি এমন একটি দক্ষতা যেটা একজন বেসিক কম্পিউটার জানা ব্যক্তি খুব সহজেই করতে পারে। ডাটা এন্ট্রির মধ্যে অনেকগুলো কাজ রয়েছে সে কাজগুলো শিখে অনায়াসেই একজন ব্যক্তি দ্রুত সময়ে আয় করতে পারে।
৫। এস ই ও (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন)ঃ এস ই ও এর অপর নাম হচ্ছে গুগল টপ রাঙ্কিং। এসইও শেখার আগে যে সকল সোশ্যাল মিডিয়াগুলো রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা থাকতে হবে তাহলে আপনি খুব সহজেই আপনার দক্ষতা সেল করতে পারবেন বা দক্ষতা অনুযায়ী কাজ পাবেন। এসইও শেখার মাধ্যমেও দ্রুত সবাই ইনকাম করা সম্ভব।
৬। ব্যাকলিঙ্ক অথবা লিঙ্ক বিল্ডিংঃ ব্যাক লিংক শেখার মাধ্যমেও দ্রুত সময় ইনকাম করা যায়। ব্যাকলিঙ্ক এর কাজ হলো অন্য কোন ওয়েবসাইটের লিংক দেওয়া। বর্তমান সময়ে ব্যাক লিঙ্ক ও একটি জনপ্রিয় দক্ষতা যেটি থাকলে একজন ব্যাক্তি অল্প সময়ে উপার্জন করতে পারবে।
৭। গ্রাফিক্স ডিজাইনঃ গ্রাফিক্স ডিজাইন হল বর্তমান সময়ের অন্যতম চাহিদা সম্পন্ন একটি দক্ষতা। গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে দ্রুত সময়ে ইনকাম করা সম্ভব।
৮। ওয়েব ডেভলপমেন্টঃ ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ও বর্তমান সবার অন্যতম একটি বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন দক্ষতা। যে দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে ভালো পরিমানে আয় করা সম্ভব।
৯।অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংঃঅ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এমন একটি সিস্টেম যার মাধ্যমে অন্য কারো পণ্য বা সেবা বিক্রয় করে কমিশন পাওয়া যায়।অর্থাৎ অন্য কোন কোম্পানির অন্যবার সেবা অন্য কেউ বিক্রয় করলে পণ্যের লাভের অংশ যে বিক্রি করে সে পায়।
১০। সিপিএ মার্কেটিংঃ সিপিএ মার্কেটিং এর পূর্ণ নাম হচ্ছে কস্ট পার অ্যাকশন, যার অর্থ প্রতিটা অ্যাকশন কমপ্লিট হওয়ার পরে পেমেন্ট পাওয়া যায়। সহজ কথায় ক্লায়েন্টের কোন টাস্ক বা কাজ সেটিই হচ্ছে অ্যাকশন এবং এই কাজগুলো যখন সঠিকভাবে কমপ্লিট বা পূর্ণ করা হয় তখন তাকে সিপিএ মার্কেটিং বলে।সিপিএ মার্কেটিং শিখে অনেক কম সময়ে আয় করা যায়।
ফাইভারঃ
আপ ওয়ার্কঃ
পিপল পার আওয়ারঃ
লিঙ্কড ইনঃ
ফ্লেক্স জব ডট কম (Flex jobs.com): ফ্লেক্স জব ডট কম হল একটি অনলাইন ভিত্তিক মার্কেটপ্লেস যেখানে জয়েন করে নিজের বিশেষ দক্ষতার অর্থের বিনিময়ে সেবা প্রধান করতে পারবেন ।
উপরোক্ত মার্কেটপ্লেস গুলো ছাড়াও আরো অনেক মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেমনঃ Remote Hub, Legiit, WWR( We Work Remotely), ইত্যাদি ।
ভূমিকাঃ
ডিজিটাল মার্কেটিং মূলত নির্দিষ্ট কোন পেশা নয়। ডিজিটাল মার্কেটিং এ অনেকগুলো সেক্টর বা শাখা আছে এর মধ্যে যেকোনো একটি স্কেল শিখে বা দক্ষতা শিখে আপনি আপনার ক্যারিয়ার তৈরি করতে পারবেন। কারণ আগামী সময়গুলোতে ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব অধিকারে বৃদ্ধি পাবে।
তাই আপনি যদি একজন ডিজিটাল মার্কেটিং হতে চান তাহলে অবশ্যই মার্কেটিং সম্পর্কে
স্পষ্টভাবে বিস্তর ধারণা আপনার থাকতে হবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং কাকে বলে?
ইন্টারনেটের সাহায্যে অনলাইনের মাধ্যমে কোন পণ্য বা সেবার প্রচার করার যে পদ্ধতি তাকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলে। ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে স্পষ্টভাবে ধারণা পাওয়ার জন্য প্রথমে আপনাকে মার্কেটিং সম্পর্কে জানতে হবে। সাধারণভাবে আমরা মার্কেটিং বলতে যেটা বুঝি সেটি হল কোন পণ্য বা সেবার প্রচারণা।
পূর্বে কোন কোম্পানি তার পন্য বা সেবার প্রচারণা করতো বিভিন্ন ধরনের পোস্টার
ব্যানার লিফলেট কিংবা টিভির কোন কমার্শিয়াল এড দেখানোর মাধ্যমে। তবে বর্তমানে
যেহেতু অনলাইনের বিভিন্ন প্লাটফর্মে মানুষ বেশি বা আকৃষ্ট অনলাইনে বেশি সময়
ব্যয় করে তাই বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া সাইট ব্যবহার করে যে বিজ্ঞাপন
দেখানো হয় সেটি মূলত ডিজিটাল মার্কেটিং।
সহজ ভাবে বলতে গেলে সনাতন বা পড়বে মার্কেটিং পদ্ধতি ব্যবহার না করে
অনলাইনে যখন কোন পণ্য বা সেবার মার্কেটিং বা প্রচার প্রসারণা করা হয় তাকে মূলত
ডিজিটাল মার্কেটিং বলে। উদারন হিসেবে বলা যায় যখন আমরা ফেসবুক ইউটিউব
ইনস্টাগ্রাম বা বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া
সাইটগুলোতে একটিভ থাকে বা ব্যবহার করি তখন যে অ্যাড বা বিজ্ঞাপন গুলো
দেখতে পাই এটি হলো ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ। এই বিজ্ঞাপন গুলো দেখে আমরা সেখান
থেকে পণ্য বা সেবা ক্রয় করতে পারি।
ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার ও কি কি?
যারা একজন প্রফেশনাল ডিজিটাল মার্কেটের হতে চান তাদের অনেকের মনে এ প্রশ্ন থাকে যে ডিজিটাল মার্কেটিং আসলে কত প্রকার? আসলে ডিজিটাল মার্কেটিং অনেক বিস্তৃত একটি শাখা। ডিজিটাল মার্কেটিং এর নির্দিষ্ট কোনো প্রকারভেদ নেই। তবে ডিজিটাল মার্কেটিং এ অনেকগুলো দক্ষতা বাই স্কিল রয়েছে যেগুলো ডিজিটাল মার্কেটিং এর অন্তর্ভুক্ত।আরো পড়ুনঃ ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে কোথায় কাজ পাবো?
নিম্নে জনপ্রিয় কয়েকটি দক্ষতা গুলো উল্লেখ করা হলো যেগুলো শিখে আপনি একজন
প্রফেশনাল ডিজিটাল মার্কেটার হতে পারেন।
- ফেসবুক মার্কেটিং
- , ইউটিউব মার্কেটিং
- , ইমেইল মার্কেটিং
- , ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং
- ,অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
- ডেটা সাইন্স
- ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
- গ্রাফিক্স ডিজাইন
- ডেটা এন্ট্রি স্পেশালিস্ট
- বিভিন্ন ধরনের কোডিং যেমন ( HTML, CSS, JAVASCRIPT, CSS, HTTP ) ইত্যাদি
বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা কেমন?
যেহেতু আমরা তথ্যপ্রযুক্তির যুগে বসবাস করছি সে ক্ষেত্রে বলায় যায় ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব দিন দিন প্রসারিত হবে। কারণ বর্তমানে রয়েছে সেইসব কোম্পানিগুলো ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে নিজেদের ব্যবসা বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা করছে বা সে অনুযায়ী কাজ করছে।
যেহেতু কোম্পানিগুলো এই পদ্ধতি ব্যবহার করে স্বল্প খরচে অধিক মুনাফা
অর্জন করছে তাই ভবিষ্যতে তারা তাদের কোম্পানির জন্য ডিজিটাল মার্কেটার এর একটি
পোস্ট অবশ্যই রাখবে যেখানে সকল ডিজিটাল মার্কেটাররা যারা এ ধরনের কাজে
এক্সপার্ট তারা সুযোগ পাবে সেসব কোম্পানিগুলোতে কাজ করার জন্য।
এখন কেউ যদি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে পরবর্তীতে নিজের ব্যবসা পরিচালনা করতে চাই
তাহলেও সেটি করতে পারে। তাহলে বোঝা যাচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের চাহিদা দিন
দিন বাড়ছে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা ও অসুবিধা
ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা সমূহঃ
এর মাধ্যমে কোন কোম্পানি তার পণ্য বা সেবা বিক্রয়ের জন্য মূল বা প্রধান অডিয়েন্সে টার্গেট করা হয়। অর্থাৎ কোন কোম্পানি তার পণ্য বা সেবার বিজ্ঞাপনটি তাদের ইচ্ছেমতো অডিয়েন্স বা ক্রেতা দেখাতে পারে যারা বিজ্ঞাপনটি দেখে তাদের পণ্য বা সেবা ক্রয় করতে পারে। টার্গেটেড অডিয়েন্স বলতে বোঝায় সেইসব নির্দিষ্ট ব্যক্তি যাদের কাছে তাদের বিজ্ঞাপন প্রচার করে।
উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে মনে করা যাক একটি কোম্পানি ডিজিটাল মার্কেটিং এর
মাধ্যমে যদি কেউ নতুন ব্যবসা শুরু করতে চাই অর্থাৎ একেবারেই শুরু থেকে নিজের
ব্যবসা দাঁড় করাতে চাই সে ক্ষেত্রে স্বল্প খরচে থেকে শুরু করা সম্ভব।
আরো পড়ুনঃ ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ কেমন হবে ?
উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে আগে যদি কেউ নতুন ব্যবসা শুরু করতে চাই তাহলে তাকে
প্রথমত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ঠিক করতে হয় এরপর ব্যবসা চালানোর জন্য কর্মচারীর
প্রয়োজন হয়। তবে ব্যবসাটি একটি পর্যায়ে দাঁড় করানোর জন্য সঠিকভাবে
প্রচারণার সমস্যায় পড়তে হয়। যার ফলে সনাতন পদ্ধতিতে ব্যবসা শুরু করতে গেলে
অনেক সময় লেগে যায় মুনাফা অর্জনে।
তবে কেউ যদি আধুনিক পদ্ধতিতে ব্যবসা শুরু করতে চাই সে ক্ষেত্রে এমন কোন
ঝামেলা বা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় না। খুব সহজে ডিজিটাল মাধ্যমে নতুন ব্যবসা
শুরু করা সম্ভব।
এর মাধ্যমে কোন কোম্পানি তার ব্যবসাকে খুব সহজেই বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে
পারে, যার দরুন সেই কোম্পানির সেবার সম্পর্কে সবাই সহজে জানতে পারে, আর এর ফলে
ব্যবসার প্রসার ঘটে।
এ মার্কেটিং এর মাধ্যমে স্বল্প ইনভেস্টমেন্টে অধিক মুনাফা অর্জন করা যায়।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ কেমন হবে?
এই মুহূর্তে যারা ডিজিটাল মার্কেটিং শিখছেন বা করছেন কিংবা করব বলে পরিকল্পনা গ্রহণ করছেন তাদের অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে যে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ কেমন হবে অর্থাৎ এটাকে ক্যারিয়ার হিসেবে নিলে ভবিষ্যৎটা কেমন হবে?
প্রথমত সে বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে সেটি হল ভবিষ্যতে ইন্টারনেটের ব্যবহার কেমন
হবে। যদি মনে হয় ভবিষ্যতে ইন্টারনেট ব্যবহার কমতে পারে সে ক্ষেত্রে এটা শেখা
উচিত নয়। তবে যদি এরকমটা হয় যে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ভবিষ্যতে পারবে
তাহলে নিঃসন্দেহে আপনি এটি শিখতে পারেন বা করতে পারেন।
কারণ সামনের সময় গুলোতে প্রত্যেকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আধুনিকায়ন হবে, যে
ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো ইন্টারনেটের সাহায্যে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করবে। যদি
আপনি ভবিষ্যতে ফ্রিল্যান্সার হতে চান কিংবা নিজের ব্যবসা তার করাতে চান সে
ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারেন। কারণ এর চাহিদা দিন দিন
ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন স্কিল শিখে দ্রুত ইনকাম করা সম্ভব
এই সময় যারা ডিজিটাল মার্কেটিং শিখছেন কিংবা শেখার পরিকল্পনা করছেন তাদের অনেকের মনের প্রশ্ন থাকে যে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন স্কেল বা দক্ষতা ইনকাম করা সম্ভব। এরকমই ১০ স্কিল উল্লেখ করা হলো যে স্কিল গুলো শিখে দ্রুত ইনকাম করা সম্ভব। স্কিল গুলো হলঃ
১।ফেসবুক মার্কেটিংঃ ফেসবুক মার্কেটিং হল ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি শাখা এবং
একই সাথে একটি দক্ষতা। যে দক্ষতা অর্জন করে দ্রুত সময়ের মধ্যেই ইনকাম করা
সম্ভব। এখন অনেক প্রশ্ন থাকতে পারে যে ফেসবুক মার্কেটিং কিভাবে শিখব।
ফেসবুক মার্কেটিং শেখার জন্য যে বিষয়গুলো শিখতে হবে সেটি হল প্রথমত
ফেসবুক প্রি মার্কেটিং শিখতে হবে, ফেসবুকে বিজনেস পেজ ক্রিয়েট করা শিখতে
পারেন, ফেসবুকের পোস্ট ক্রিয়েট করা শিখতে পারেন, কোন পণ্যের ডেসক্রিপশন লেখা,
ফেসবুক এড ক্যাম্পইন , এড ক্যাম্পইন জন্য ব্যানার তৈরি করা।
২।ইউটিউব মার্কেটিংঃ ইউটিউব বর্তমানে একটি জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া সাইট। যে
সাইটটি বর্তমান বিশ্বের প্রচুর মানুষ ব্যবহার করে থাকে। আর সোশ্যাল মিডিয়া
সাইট ব্যবহার করে যখন মার্কেটিং করা হয় তখন তাকে ইউটিউব মার্কেটিং বলে
।বর্তমান সময়ে ইউটিউব মার্কেটিং এর কাজ শিখে দ্রুত সময় ইনকাম করা যায়।
ইউটিউব মার্কেটিং এর যে বিষয়গুলো শিখতে হয় সেগুলো হলঃ
ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করা, ইউটিউব চ্যানেল সেটআপ করা, ইউটিউবে SEO করা, Youtube অ্যাড ক্যাম্পেইন, ইউটিউব কিভাবে মনিটাইজেশন করতে হয়, কিভাবে একটি চ্যানেল গ্রো করতে হয় বা এগিয়ে নিয়ে যেতে হয় ইত্যাদি এসব বিষয়গুলো শিখে আপনি দ্রুত ইনকাম করতে পারবেন।
আপনারে দক্ষতা গুলো ব্যবহার করে আপনার নিজের ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয়
করতে পারেন অথবা আপনার ক্লায়েন্টের কাজ করে ইনকাম করতে পারেন। এই স্কিল গুলো
অনলাইনে বিনামূল্যে শেখা যায়।
৩।অ্যাড ক্যাম্পেইনঃ বর্তমানে অ্যাড স্কেল জনপ্রিয় দক্ষতা যে দক্ষতা অর্জন করার সাথে সাথে আপনি একজন ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন এবং সেই দ্রুত সাথে ইনকাম করতে পারবেন।
অ্যাড ক্যাম্পেইন বিভিন্ন ধরনের হতে পারে যেমন ফেসবুক এড ক্যাম্পেইন, ইউটিউব এড
ক্যাম্পেইন ইন্সটাগ্রাম অ্যাড ক্যাম্পেইন বর্তমানে মার্কেট প্লেসে এই ধরনের এড
ক্যাম্পেইন এর জনপ্রিয়তা অনেক। একজন ডিজিটাল মার্কেট যদি ফেসবুক এড ক্যাম্পেইন
ভালোভাবে শিখতে পারে তাহলে অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ার এড ক্যাম্পেইন তুলনামূলক
সহজ হবে।
৪ ডাটা এন্ট্রিঃ ডাটা এন্ট্রি এমন একটি দক্ষতা যেটা একজন বেসিক কম্পিউটার জানা ব্যক্তি খুব সহজেই করতে পারে। ডাটা এন্ট্রির মধ্যে অনেকগুলো কাজ রয়েছে সে কাজগুলো শিখে অনায়াসেই একজন ব্যক্তি দ্রুত সময়ে আয় করতে পারে।
৫। এস ই ও (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন)ঃ এস ই ও এর অপর নাম হচ্ছে গুগল টপ রাঙ্কিং। এসইও শেখার আগে যে সকল সোশ্যাল মিডিয়াগুলো রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা থাকতে হবে তাহলে আপনি খুব সহজেই আপনার দক্ষতা সেল করতে পারবেন বা দক্ষতা অনুযায়ী কাজ পাবেন। এসইও শেখার মাধ্যমেও দ্রুত সবাই ইনকাম করা সম্ভব।
৬। ব্যাকলিঙ্ক অথবা লিঙ্ক বিল্ডিংঃ ব্যাক লিংক শেখার মাধ্যমেও দ্রুত সময় ইনকাম করা যায়। ব্যাকলিঙ্ক এর কাজ হলো অন্য কোন ওয়েবসাইটের লিংক দেওয়া। বর্তমান সময়ে ব্যাক লিঙ্ক ও একটি জনপ্রিয় দক্ষতা যেটি থাকলে একজন ব্যাক্তি অল্প সময়ে উপার্জন করতে পারবে।
৭। গ্রাফিক্স ডিজাইনঃ গ্রাফিক্স ডিজাইন হল বর্তমান সময়ের অন্যতম চাহিদা সম্পন্ন একটি দক্ষতা। গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে দ্রুত সময়ে ইনকাম করা সম্ভব।
৮। ওয়েব ডেভলপমেন্টঃ ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ও বর্তমান সবার অন্যতম একটি বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন দক্ষতা। যে দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে ভালো পরিমানে আয় করা সম্ভব।
৯।অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংঃঅ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এমন একটি সিস্টেম যার মাধ্যমে অন্য কারো পণ্য বা সেবা বিক্রয় করে কমিশন পাওয়া যায়।অর্থাৎ অন্য কোন কোম্পানির অন্যবার সেবা অন্য কেউ বিক্রয় করলে পণ্যের লাভের অংশ যে বিক্রি করে সে পায়।
বর্তমানে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংও জনপ্রিয় একটি মার্কেটিং সাইট । এবং
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর কাজ জানলে দ্রুততার সাথে ইনকাম করা সম্ভব।
১০। সিপিএ মার্কেটিংঃ সিপিএ মার্কেটিং এর পূর্ণ নাম হচ্ছে কস্ট পার অ্যাকশন, যার অর্থ প্রতিটা অ্যাকশন কমপ্লিট হওয়ার পরে পেমেন্ট পাওয়া যায়। সহজ কথায় ক্লায়েন্টের কোন টাস্ক বা কাজ সেটিই হচ্ছে অ্যাকশন এবং এই কাজগুলো যখন সঠিকভাবে কমপ্লিট বা পূর্ণ করা হয় তখন তাকে সিপিএ মার্কেটিং বলে।সিপিএ মার্কেটিং শিখে অনেক কম সময়ে আয় করা যায়।
উপরোক্ত উল্লেখিত দক্ষতা গুলোই হল ডিজিটাল মার্কেটিং এর দশটি বিশেষ দক্ষতা
যেগুলো অর্জনের মাধ্যমে একজন ব্যক্তি অল্প সময়ের আয় করতে পারে। এছাড়াও আরো
অনেকগুলো সেক্টর বা শাখা রয়েছে যেগুলো দ্বারা অনলাইনে আয় করা সম্ভব। এখন যারা
যে বিষয়ে আগ্রহী সে বিষয়গুলো শিখে আয় করতে পারেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে কাজ কোথায় পাবো ?
ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে বর্তমানে অনেক প্লাটফর্মে কাজ পেতে পারেন। যে প্ল্যাটফর্মে আপনি আপনার দক্ষতা অনুযায়ী কাজ পেতে পারেন। সহজভাবে বলতে গেলে আপনার নির্দিষ্ট একটি দক্ষতার উপর আপনি কাজ পাবেন।
উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যদি আপনি ফেসবুক মার্কেটিংএ দক্ষ হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি
সেই সব প্লাটফর্মে ফেসবুক মার্কেটিং এর কাজ করতে পারবেন। নিম্নে এরকমই কয়েকটি
জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম এর উল্লেখ করা হলো যেখানে আপনি আপনার স্কিল ক্লায়েন্টের
কাজ করতে পারেন।
ফাইভারঃ
বর্তমান সময়ে অন্যতম জনপ্রিয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস এর মধ্যে একটি হল ফাইবার।
এটি একটি বৈশ্বিক অনলাইন মার্কেটপ্লেস যেখানে ডিজিটাল মার্কেটিং সহ আরো
অন্যান্য যে দক্ষতা গুলো রয়েছে, যেমন ফেসবুক, মার্কেটিং ইমেইল,মার্কেটিং
ইউটিউব মার্কেটিং , ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং ,অ্যাড ক্যাম্পেই্ন, গ্রাফিক্স
ডিজাইন , ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ,অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি।
এই ধরনের বিশেষ দক্ষতা থাকলে বা এ ধরনের কাজে পারদর্শী হলে ফাইবার এর
রেজিস্ট্রেশন একাউন্ট তৈরি করে আপনার দক্ষতা অনুযায়ী সেবা প্রদান করতে পারেন।
এখানে অসংখ্য বায়ার বা ক্লাইন্ট এবং বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা
তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী ফাইবারে রেজিস্টারকৃত ফ্রিল্যান্সারদের থেকে সেবা
গ্রহণ করে থাকে্ ।
আপ ওয়ার্কঃ
আধুনিক বিশ্বে শীর্ষস্থানীয় অনলাইন মার্কেটপ্লেসের অন্যতম একটি মার্কেট
প্লেস হল অফ ওয়ার্ক। প্লেসে ডিজিটাল মার্কেটিং সহ আরো অন্যান্য যে সকল
বিষয়গুলো রয়েছে সে বিষয়ে দক্ষ বা পারদর্শী হলে এ মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট পার
রেজিস্ট্রেশন করে সহজেই কাজ পাওয়া যায়। এখানেও অসংখ্য বায়ার বা ক্লায়েন্ট
বা বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেগুলো তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী
ফ্রিল্যান্সারদের কাছ থেকে তাদের সেবা গ্রহণ করে থাকে।
ফ্রিল্যান্সার ডটকম
আধুনিক সময় ফ্রিল্যান্সার ডটকম বহুল প্রচলিত একটি অনলাইন মার্কেটপ্লেস। যেখানে
ফ্রিল্যান্সাররা বিভিন্ন বিষয়ে সেবা প্রদান করার জন্য এখানে একাউন্ট তৈরি করে
বায়ারদের বা ক্লায়েন্টদের সেবা প্রদান করে থাকে। এটি শীর্ষস্থানীয়
মার্কেটপ্লেসের মধ্যে অন্যতম একটি মার্কেটপ্লেস।
পিপল পার আওয়ারঃ
একটি জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস। ডিজিটাল মার্কেটিং সহ অন্যান্য যে সকল বিষয়ে
পারদর্শী মূলত তাদের জন্য এই মার্কেটপ্লেসটি। এখানে বায়াররা তাদের উন্মুক্ত জব
ডিস্ক্রিপশন বা কাজের বিবরণী দিয়ে রাখে , যে ফ্রিল্যান্সাররা সে কাজটি করতে
পারবে তারা জবের জন্য এপ্লাই করে। এবং বায়ার অর্থের বিনিময়ে তাদের সেই জব
প্রদান করে।
গুরুঃ
গুরু হল অন্যান্য মার্কেটপ্লেস এর মত একটি অনলাইন ভিত্তিক মার্কেটপ্লেস। যেখানে
ফ্রিল্যান্সাররা রেজিস্ট্রেশন করে তাদের দক্ষতা অনুযায়ী বায়ারদের সেবা প্রদান
করে থাকে। এখানে অসংখ্য বায়ার বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে যাদের এ ধরনের সেবা
প্রয়োজন।
লিঙ্কড ইনঃ
হচ্ছে বর্তমান সময়ের অন্যতম একটি জনপ্রিয় মার্কেট প্লেস। এখানে আপনি যে
বিষয়ে দক্ষ সেই বিষয়কে টার্গেট করে একাউন্ট করতে পারেন এবং বায়ার বা
ক্লায়েন্ট বা বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সিইও আপনার দক্ষতা অনুযায়ী আপনাকে
তাদের প্রয়োজনে কাজ দিতে পারে যেখান থেকে আপনি আয় করতে পারেন।
ইনডিড(Indeed) ঃ
ইনডিড হল একটি মার্কেটপ্লেস। যেখানে ফ্রিল্যান্সাররা তাদের দক্ষতা অনুযায়ী কাজ
পায়।
রিমোট ডট সি ও (REMOTE.CO)ঃ
রিমোট ডট সিও একটি অনলাইন মার্কেটপ্লেস যেখানে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে গিগ দিতে
হয় এবং গিগ অনুযায়ী কাজ পাওয়া যায়।
ফ্লেক্স জব ডট কম (Flex jobs.com): ফ্লেক্স জব ডট কম হল একটি অনলাইন ভিত্তিক মার্কেটপ্লেস যেখানে জয়েন করে নিজের বিশেষ দক্ষতার অর্থের বিনিময়ে সেবা প্রধান করতে পারবেন ।
উপরোক্ত মার্কেটপ্লেস গুলো ছাড়াও আরো অনেক মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেমনঃ Remote Hub, Legiit, WWR( We Work Remotely), ইত্যাদি ।
ডিজিটাল মার্কেটিং করার সময় যে সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট থাকা জরুরিঃ
মার্কেটিং করার সময় বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া সাইটের প্রয়োজন পড়ে যেগুলো ব্যবহার করে ডিজিটাল মার্কেটিং করা হয়। তাই প্রয়োজনীয় কিছু সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলো রয়েছে যেগুলোতে আপনার একাউন্ট থেকে জরুরী সেরকমই কিছু গুরুত্বপূর্ণ সোশ্যাল মিডিয়ার উল্লেখ করা হলোঃ- ফেসবুক অ্যাকাউন্ট
- ইমেইল একাউন্ট
- ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট
- লিঙ্কড ইন একাউন্ট
- পিন্টারেস্ট একাউন্ট
- রেডিট একাউন্ট
- ইউটিউব চ্যানেল ইত্যাদি।
ডিজিটাল মার্কেটিং করে মাসে কত টাকা আয় করা সম্ভব ?
ডিজিটাল মার্কেটিং করে মাসে কত টাকা আয় করা যায় এটা আসলে নির্ভর করে দক্ষতার ওপর। একজন ডিজিটাল মার্কেটার যদি চাহিদা সম্পন্ন কোনো বিষয়ে পারদর্শী হয় তাহলে অধিক পরিমান আয় করা সম্ভব।
কারন চাহিদা সম্পন্ন বিষয়ে পারদর্শী হলে ওই বিষয়ে কাজ বেশি পাওয়া যায়,
আর কাজ বেশি হলে আয় বেশি হবে। আর তাই কেও যদি বেশি আয় করতে চায় তাহলে অবশ্যই
তাকে একটি বিশেষ বিষয়ে দক্ষ হতে হবে।
লেখকের মন্তব্যঃ
সম্মানিত পাঠক, উপরোক্ত পোস্ট দিতে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। বর্তমানে যেহেতু ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রতি আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে, এরই সূত্র বর্তমান প্রজন্মে অনেকেই এটি শিখছেন। যারা এই বিষয়ে শিখছেন বা কাজ করছেন আশা করি উপরোক্ত তথ্যগুলো আপনাদের উপকারে আসবে।
উপরে বর্ণিত তথ্যগুলো ব্যবহার করে আপনি আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং
ক্যারিয়ারে কাজে লাগাতে পারেন। সেই সাথে পোস্টটি পড়ে যদিও উপকৃত হয়ে থাকেন
বা আপনার ভালো লেগে থাকে বন্ধু- বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে শেয়ার করতে
পারেন যাতে করে তারাও এ বিষয় সম্পর্কে পর্যাপ্ত ধারনা পেতে পারে।
যদি আরও এরকম গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে আগ্রহী হন সে ক্ষেত্রে আমাদের
ওয়েবসাইটটিতে নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন আশা করি অনেক কিছু জানতে পারবেন।
পরিশেষে পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আর অন্যান্য পোস্টগুলো পড়ার
অনুরোধ জানিয়ে শেষ করছি।
বিপ্লব আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রত্যেকটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url