ভূগোলের বিভিন্ন শাখাসমূহ কি কি?
পৃথিবীতে বুদ্ধিমান প্রাণি হিসাবে যাত্রা যেদিন থেকে, সেদিন থেকেই মানুষ তার পরিদ্র, পারিপার্শ্বিকতা ও পরিবেশ সম্পর্কে জানার চেষ্টা করে আসছে। ভৌগোলিক জ্ঞানের ধারণা শুরু ও সম্ভবত সেদিন থেকেই। এই ধরণের অনুমানের যথার্থতাও রয়েছে। কারণ জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা- প্রশাখা সমুহের মধ্যে ভূগোল শাস্ত্র সর্বাপেক্ষা প্রাচীন।
ভূমিকা:
সুপ্রাচীন কাল থেকে ভৌগোলিক জ্ঞানের চর্চা এবং বিকাশের ফলে নানা ভাবে ভূগোল শাস্ত্রের বিবর্তন হয়েছে। কখনো বৈচিত্র্যের বিজ্ঞান হিসাবে, ভূ-বিজ্ঞান হিসাবে, পরিবেশ বিজ্ঞান হিসাবে, সামাজিক বিজ্ঞান হিসাবে, আঞ্চলিক বিজ্ঞান হিসাবে আবার কখনো বা পারিসরিক বিজ্ঞান হিসাবে। তবে যে পরিচয় দেয়া হোক না কেন "ভূগোল" বা Geography নামটি আজও সমান জনপ্রিয় এবং ভূগোলের মূল সুর হিসাবে পৃথিবী ও মানুষের কাছে তা আজও অবিকৃত অবস্থায় রয়েছে।
ভূগোলের বিভিন্ন শাখাসমূহ কি কি?
ভূগোল পাত্রের বিষয়সমূহ জ্ঞান-বিজ্ঞানের সকল শাখার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। এ কারণে ভূগোল পাত্রকে দাদা শাখা প্রশাখার বিভক্ত করা হয়। সেহেতু ভূগোল শাস্ত্রের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হলো প্রকৃতি ও মনুষ যেহেতু ভূগোল শাস্ত্রকে প্রধানতঃ দু'টি শাখায় বিভক্ত করা হয়। যথা-(ক) প্রাকৃতিক ভূগোল (Physical Geography)
(খ) মানবিক ভূগোল (Human Geography)
প্রকৃতিতে নানা শক্তি সতত সক্রিয়। এই শক্তিগুলো হলো সূর্য থেকে আগত সৌরশক্তি, তাপশক্তি ও বিদ্যুৎশক্তি এবং পৃথিবীর নিজস্ব মাধ্যাকর্ষণ শক্তি ও চুম্বক শক্তি। এ সকল শক্তি স্বয়ংক্রীয়এবং পরস্পর পরস্পরের সাথে আন্তঃসম্পর্কযুক্ত। এ সকল শক্তিসমূহ সম্মিলিতভাবে পৃথিবীর উপরিভাগে ক্রিয়া করে নানা প্রকার ভৌগোলিক বিষয় (Geographical feature) ও প্রাকৃতিক সিস্টেম (Natural systems) নির্মাণ ও গঠন করে। প্রাকৃতিক শক্তি দ্বারা নির্মিত ভৌগোলিক সিস্টেম ও বিষয়গুলোর পঠন পাঠনকে প্রাকৃতিক ভূগোল বলে। প্রাকৃতিক শক্তি দ্বারা নির্মিত ও সম্পাদিত ভৌগোলিক বিষয় ও সিস্টেমগুলো হলো মহাদেশীয় সঞ্চালন, আগ্নেয়গিরির আগ্নেয় উদগীরণ, ভূকম্পন, পর্বত ও দ্বীপপুঞ্জের সৃষ্টি ও বণ্টন, হিমবাহ ও নদনদীর প্রবাহ, সমুদ্রস্রোত ও বায়ু প্রবাহ ইত্যাদি। প্রাকৃতিক ভূগোলের পঠন-পাঠন কেন্দ্রীভূত থাকে প্রাকৃতিক সিস্টেমের পঠন-পাঠনের উপরে যে সিস্টেমগুলো পৃথিবীর উপরিভাগে সংঘটিত হয়ে থাকে তার উপর। পৃথিবীর উৎস, পঠন ও ভূমন্ডলে প্রাকৃতিক চক্রগুলো (cycles) যেমন পানিচক্র, কার্বনচক্র, নাইট্রোজেনচক্র কিভাবে ভূ-পৃষ্ঠের উপরিভাগে ক্রিয়া করে এবং বিভিন্ন প্রকার শক্তি বিভিন্ন প্রকার ভূমিরূপ গঠন করে এ সকল বিষয়সমূহই প্রাকৃতিক ভূগোলের অংশ হিসাবে পঠিত হয়ে থাকে।
প্রাকৃতিক ভূগোলের প্রকারভেদ- বিস্তারিত পড়ুন
প্রাকৃতিক ভূগোলকে কয়েকটি অংশে বিভক্ত করা হয়। যথা-
(ক) ভূমিরূপ তত্ত্ব (Geomporphology)
(খ) জলবায়ুবিদ্যা (Climatology)
(গ) সমুদ্র বিদ্যা (Oceanography)
(ঘ) পানিবিজ্ঞান (Hydrology)
(ঙ) জৈব ভূগোল (Bio-geography)
(চ) মৃত্তিকা ভূগোল (Soil-geography) অথবা মৃত্তিকা বিজ্ঞান (Soil-Science)
(ছ) বাস্তব্য বিদ্যা (Ecology)
(২) মানবীয় ভূগোল (Human Geography)
ভূপৃষ্ঠে সর্বাপেক্ষা প্রাধান্য বিস্তারকারী শক্তি মানুষ। মানুষ মেধা ও প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে স্থল ও জলভাগে নানা প্রকার কর্মকান্ড ও ক্রিয়াকলাপ সম্পাদন করে এবং নানাবিধ স্থাপনা নির্মাণ করে। ভূপৃষ্ঠে মানব সৃষ্ট এক সফল কর্মক্রিয়া ও স্থাপনাসমূহের পঠন-পাঠনকে মানবিক ভূগোল বলে। অন্য কথায় বলা যায় যে, ভূপৃষ্ঠে অবস্থিত অবয়ন (Feature) সমূহ যেগুলো সৃষ্টির পশ্চাতে মানুষের হাতের ছোঁয়া আছে সে সকল অবয়বসমূহের পঠন-পাঠনই হলো মানবিক ভূগোল।
মানবিক ভূগোল বলতে কি বুঝায় তা সহজ করে বলতে গেলে বলা যায় যে, মানুষের কর্মকান্ডের উপরে ভূমি যে প্রভাব বিস্তার করে বা মানুষের কর্মকান্ডগুলো ভূমি দ্বারা যেভাবে প্রভাবান্বিত হয় তার পঠন পাঠনকেই মানবিক ভূগোল বলে।আধুনিক ভূগোল শাস্ত্রের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা প্রখ্যাত জার্মান ভূগোলবিদ ফ্রেডরিক র্যাটজেল (Friedrich Ratzel) মানবিক ভূগোল পঠন-পাঠনের প্রণালীবদ্ধ রোডম্যাপ প্রস্তুত করেন। প্রফেসর র্যাটজেলের সুযোগ্য ছাত্রী মার্কিন ভূগোলবিদ ইলেন চার্চিল স্যাম্পেল মানবিক ভূগোলে মানুষ ও প্রকৃতির আন্ত সম্পর্ক উদঘাটন করেন। অন্যদিকে ফরাসি পণ্ডিত পল ভিদাল ডিলা ব্লাশ (Paul Vidal de la Blache) এবং তার সুযোগ্য ছাত্র জীন ব্রুনেস (Jen Bruhnes) মানবিক ভূগোলকে ভূদৃশ্য পরিবর্তনে মানুষের সৃজনশীলতার আলোকে বিবেচনা করেন।
মানবিক ভূগোলে বিবিধ শাখায় বিভক্ত।
ভূপৃষ্ঠে সর্বাপেক্ষা প্রাধান্য বিস্তারকারী শক্তি মানুষ। মানুষ মেধা ও প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে স্থল ও জলভাগে নানা প্রকার কর্মকান্ড ও ক্রিয়াকলাপ সম্পাদন করে এবং নানাবিধ স্থাপনা নির্মাণ করে। ভূপৃষ্ঠে মানব সৃষ্ট এক সফল কর্মক্রিয়া ও স্থাপনাসমূহের পঠন-পাঠনকে মানবিক ভূগোল বলে। অন্য কথায় বলা যায় যে, ভূপৃষ্ঠে অবস্থিত অবয়ন (Feature) সমূহ যেগুলো সৃষ্টির পশ্চাতে মানুষের হাতের ছোঁয়া আছে সে সকল অবয়বসমূহের পঠন-পাঠনই হলো মানবিক ভূগোল।
মানবিক ভূগোল বলতে কি বুঝায় তা সহজ করে বলতে গেলে বলা যায় যে, মানুষের কর্মকান্ডের উপরে ভূমি যে প্রভাব বিস্তার করে বা মানুষের কর্মকান্ডগুলো ভূমি দ্বারা যেভাবে প্রভাবান্বিত হয় তার পঠন পাঠনকেই মানবিক ভূগোল বলে।আধুনিক ভূগোল শাস্ত্রের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা প্রখ্যাত জার্মান ভূগোলবিদ ফ্রেডরিক র্যাটজেল (Friedrich Ratzel) মানবিক ভূগোল পঠন-পাঠনের প্রণালীবদ্ধ রোডম্যাপ প্রস্তুত করেন। প্রফেসর র্যাটজেলের সুযোগ্য ছাত্রী মার্কিন ভূগোলবিদ ইলেন চার্চিল স্যাম্পেল মানবিক ভূগোলে মানুষ ও প্রকৃতির আন্ত সম্পর্ক উদঘাটন করেন। অন্যদিকে ফরাসি পণ্ডিত পল ভিদাল ডিলা ব্লাশ (Paul Vidal de la Blache) এবং তার সুযোগ্য ছাত্র জীন ব্রুনেস (Jen Bruhnes) মানবিক ভূগোলকে ভূদৃশ্য পরিবর্তনে মানুষের সৃজনশীলতার আলোকে বিবেচনা করেন।
মানবিক ভূগোলে বিবিধ শাখায় বিভক্ত।
মানবীয় ভূগোলের শাখাসমূহ কি কি
মানবিক ভূগোলে শাস্ত্রকে নিম্নলিখিত শাখাসমূহে বিভক্ত করা হয়। যথা-
(১) নৃতাত্ত্বিক ভূগোল (Anthropo Geography
(২) অর্থনৈতিক ভূগোল (Economic Geography)
(৩) কৃষি ভূগোল (Agricultural Geography)
(৪) সম্পদ ব্যবস্থাপনা (Resource Management
(৫) শিল্প কারখানা (Industrial Geography)(m
(৬) পরিবহণ ভূগোল (Transport Geography)
(৭) বসতি ভূগোল (Settlement Geography)
(৮) সামাজিক ভূগোল (Social Geography)
(৯) জনসংখ্যা ভূগোল (Population Geography)
(১০) সাংস্কৃতিক ভূগোল (Cultural Geography)
(১১) রাজনৈতিক ভূগোল (Political Geography)
(১২) মানচিত্রাঙ্কন ভূগোল (Cartographic Geography)
(১৩) পরিবেশগত ভূগোল (Environmental Geography)
উপরোক্ত শাখাগুলো মানবীয় ভূগোল পরিচিতি পুস্তকে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে
(৩) কৃষি ভূগোল (Agricultural Geography)
(৪) সম্পদ ব্যবস্থাপনা (Resource Management
(৫) শিল্প কারখানা (Industrial Geography)(m
(৬) পরিবহণ ভূগোল (Transport Geography)
(৭) বসতি ভূগোল (Settlement Geography)
(৮) সামাজিক ভূগোল (Social Geography)
(৯) জনসংখ্যা ভূগোল (Population Geography)
(১০) সাংস্কৃতিক ভূগোল (Cultural Geography)
(১১) রাজনৈতিক ভূগোল (Political Geography)
(১২) মানচিত্রাঙ্কন ভূগোল (Cartographic Geography)
(১৩) পরিবেশগত ভূগোল (Environmental Geography)
উপরোক্ত শাখাগুলো মানবীয় ভূগোল পরিচিতি পুস্তকে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে
ভূবিজ্ঞান হিসাবে ভূগোলের ক্ষেত্র পরিসর (The Scope of Geography as a science)
ভূবিজ্ঞান এর আক্ষরিক অর্থ হল পৃথিবী সংক্রান্ত জ্ঞান বা বিজ্ঞান। পৃথিবী সংক্রান্ত বিজ্ঞানকে ভূতাত্ত্বিক ভূগোলে তুলে ধরাই এই শাখার উদ্দেশ্য। ভূগোলের সংজ্ঞা হচ্ছে পৃথিবী সম্পর্কে আলোচনা। প্রকৃতপক্ষে এক সময় ভূবিজ্ঞান এবং ভূগোল এর মধ্যে কোন তফাৎ ছিল না, কিন্তু কালক্রমে ভূগোল প্রাকৃতিক এবং বাস্তব্য বিদ্যা বিষয়ে জড়িয়ে এর ক্ষেত্র পরিসর কলেবরে অনেক সম্প্রসারিত হয়। ভূবিজ্ঞান হিসাবে ভূগোল পৃথিবী পৃষ্ঠের প্রাকৃতিক ক্রিয়া-বিক্রিয়া এবং এর ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপের - মানচিত্রায়ন সহ বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করে থাকে।
ভূবিজ্ঞান হিসাবে ভূগোলের ক্ষেত্র পরিসর বা বিষয় বস্তুকে নিম্নে সংক্ষিপ্তরূপে দেখানো হল:
ভূবিজ্ঞান হিসাবে ভূগোলের ক্ষেত্র পরিসর বা বিষয় বস্তুকে নিম্নে সংক্ষিপ্তরূপে দেখানো হল:
- ভূগঠন, স্তরায়ন, ভূস্থাপত্য ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করে।
- বিভিন্ন রকম শিলার গঠন, জ্যামিতি বা প্রকৃতি ও মাত্রা কিরূপ হতে পারে তা আলোচনা করে।
- কখন এবং কি পরিস্থিতিতে এই ধরণের ভূগঠনের উদ্ভব হয়েছে তার সঠিক ও বিজ্ঞান ভিত্তিক বিশ্লেষণ করা।
- কি ধরণের ভৌত বা রাসায়নিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এসব ভূগঠনের সৃষ্টি হয়েছে তার আলোচনা করা।
- পৃথিবীর সৃষ্টি থেকে বর্তমান পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে জীবনের যে বিবর্তণ হয়েছে তার আলোচনা ভূবিজ্ঞান করে থাকে।
- পৃথিবীর অভ্যন্তর ভাগ, অর্থাৎ শিলামন্ডল, পৃথিবী পৃষ্ঠের বায়ুমন্ডল, জীবমন্ডল এবং বারিমন্ডল সম্পর্কে বিষদ আলোচনা ভূবিজ্ঞান হিসাবে ভূগোল করে থাকে।
- ভূগোলবিদদের কাছে মানচিত্রের এবং মানচিত্রাংকন বিদ্যার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। পৃথিবী পৃষ্ঠ পর্যালোচনার প্রক্রিয়ায়, ভূগোলবিদরা বিন্দু, রেখা বা বিষয়বস্তুর অবস্থান বিশ্লেষণের জন্য বিশেষ করে সেগুলোর লিপিবদ্ধ করণ এবং উপস্থাপনে মানচিত্রের উপর ভূবিজ্ঞানীরা নির্ভরশীল হয়ে পড়েন।
- অতএব পৃথিবী পৃষ্ঠের এবং এর অভ্যন্তর ভাগের সকল প্রাকৃতিক ক্রিয়া বিক্রিয়া, বিপর্যয় এবং সৃষ্ট বিভিন্ন ভূমিরূপ ও তার সৃষ্টি সম্পর্কে মতবাদ সহ ভূ-বিজ্ঞান হিসাবে ভূগোলের আলোচ্য বিষয়।
উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে ভূবিজ্ঞানের মৌলিক উপাদানের আলোচনার বিষয়বস্তু হচ্ছে নিম্নরূপ
বায়ুমন্ডলের ক্ষেত্রেঃ
বায়ুমন্ডলীয় রসায়ন, জলবায়ু মন্ডল, আবহাওয়া বিজ্ঞান, প্রত্নতাত্ত্বিক,জলবায়ু এবং বায়ুমন্ডলীয় গঠন ও স্তর বিন্যাস।
বায়ুমন্ডলের ক্ষেত্রেঃ
বায়ুমন্ডলীয় রসায়ন, জলবায়ু মন্ডল, আবহাওয়া বিজ্ঞান, প্রত্নতাত্ত্বিক,জলবায়ু এবং বায়ুমন্ডলীয় গঠন ও স্তর বিন্যাস।
জীবমন্ডলের ক্ষেত্রেঃ
জৈব ভূগোল, জীবাশ্ম, ভূ অনুজীব বিজ্ঞান, বাস্তব্যবিদ্যা সম্পর্কে আলোচনা।
বারিমন্ডলের ক্ষেত্রেঃ
পানি বিজ্ঞান, মিঠা পানি বিজ্ঞান, পানি ভূতত্ত্ব, সমুদ্র বিজ্ঞান, রসায়ন সমুদ্র বিজ্ঞান, সামুদ্রিক ভূতত্ত্ব বিজ্ঞান, প্রাকৃতিক সমুদ্র বিজ্ঞান।
পানি বিজ্ঞান, মিঠা পানি বিজ্ঞান, পানি ভূতত্ত্ব, সমুদ্র বিজ্ঞান, রসায়ন সমুদ্র বিজ্ঞান, সামুদ্রিক ভূতত্ত্ব বিজ্ঞান, প্রাকৃতিক সমুদ্র বিজ্ঞান।
শিলামন্ডলের ক্ষেত্রেঃ
ভূতত্ত্ব বিজ্ঞান, অর্থনৈতিক ভূতত্ত্ব, পূর্ত ভূ-তত্ত্ব, ভূ-পদার্থ বিজ্ঞান, ভূগতি বিজ্ঞান
ভূ-বিজ্ঞান হিসাবে ভূগোলের শাখাসমূহ (Bracnhes of Geography as a Science)
পৃথিবী সংক্রান্ত বিজ্ঞানকে, ভূ-বিজ্ঞান হিসাবে ভূগোলের বিভিন্ন শাখায় তুলে ধরা হয়। শাখাগুলো হচ্ছে:-(১) ঐতিহাসিক ভূবিজ্ঞান, (২) ভৌত ভূবিজ্ঞান, (৩) ভূ-রসায়ন ও খনিজ বিজ্ঞান, (৪) ভূগঠন বিজ্ঞান, (৫) পানি বিজ্ঞান, (৬) পেট্রোলিয়াম ভূবিজ্ঞান, (৭) ভূপদার্থ বিজ্ঞান, (৮) ভূকম্পন বিদ্যা, (৯) বায়ুমন্ডলীয় বিজ্ঞান, (১০) ভূতাত্ত্বিক মানচিত্রায়ন বিজ্ঞান, (১১) জীব ভূবিজ্ঞান, (১২) পৃথিবীর অভ্যন্তর তথা শিলামন্ডলীয় বিজ্ঞান, (১৩) পৃথিবী পৃষ্ঠের সমুদ্র বিজ্ঞান ।
(১) ঐতিহাসিক ভূবিজ্ঞান (Historical Earth Science)
এই শাখায় পৃথিবী সৃষ্টির ইতিহাস, জীবন সৃষ্টি ইতিহাস, ভৌত ও জীবনের বিবর্তন, ভূতাত্ত্বিক সময় মানদন্ড ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
এই শাখায় পৃথিবী সৃষ্টির ইতিহাস, জীবন সৃষ্টি ইতিহাস, ভৌত ও জীবনের বিবর্তন, ভূতাত্ত্বিক সময় মানদন্ড ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
(২) ভৌত ভূবিজ্ঞান (Physical Earth Science)
ভূ-বিজ্ঞানের এই শাখায় পাহাড়-পর্বত, বিভিন্ন প্রকারের ক্ষয় ও সঞ্চয়, নদী-নালা নিষ্কাশন, প্রাকৃতিক বিভিন্ন রকমের বৈচিত্র্যময় ভূমিরূপ বরফগলা বা বরফযুগ ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
ভূ-বিজ্ঞানের এই শাখায় পাহাড়-পর্বত, বিভিন্ন প্রকারের ক্ষয় ও সঞ্চয়, নদী-নালা নিষ্কাশন, প্রাকৃতিক বিভিন্ন রকমের বৈচিত্র্যময় ভূমিরূপ বরফগলা বা বরফযুগ ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
(৩) খনিজ বিজ্ঞান (Mineralogy)
ভূবিজ্ঞানের এই শাখায় খনিজের ভৌত ও রাসায়নিক গঠন ও বৈশিষ্ট্য, প্রকারভেদ, খনিজের উৎপত্তি, ইতিহাস এর অর্থনৈতিক গুরুত্ব আলোচনা করা হয়।
ভূবিজ্ঞানের এই শাখায় খনিজের ভৌত ও রাসায়নিক গঠন ও বৈশিষ্ট্য, প্রকারভেদ, খনিজের উৎপত্তি, ইতিহাস এর অর্থনৈতিক গুরুত্ব আলোচনা করা হয়।
(৪) ভূগঠন বিদ্যা (Structural geology)
ভূবিজ্ঞানের এই শাখায় পৃথিবী পৃষ্ঠে উন্মুক্ত শিলাসমূহ এবং ভূঅভ্যন্তরের বিভিন্ন শিলাসমূহের গঠন আলোচনা করা হয়। স্তরীভূত পাললিক শিলাসমূহের ভাঁজ, চ্যুতি, সন্ধি, পললায়নের অসামঞ্জস্য ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
ভূবিজ্ঞানের এই শাখায় পৃথিবী পৃষ্ঠে উন্মুক্ত শিলাসমূহ এবং ভূঅভ্যন্তরের বিভিন্ন শিলাসমূহের গঠন আলোচনা করা হয়। স্তরীভূত পাললিক শিলাসমূহের ভাঁজ, চ্যুতি, সন্ধি, পললায়নের অসামঞ্জস্য ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
(৫) পানি বিজ্ঞান (Hydrology)
ভূ বিজ্ঞানের এই শাখায় বিভিন্ন ধরণের পানির উৎপত্তি, প্রবাহ, পানির প্রকারভেদ বিশ্ববিন্যাস নিষ্কাশন ব্যবস্থা, নদী পদ্ধতি, নীতিমালা ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
ভূ বিজ্ঞানের এই শাখায় বিভিন্ন ধরণের পানির উৎপত্তি, প্রবাহ, পানির প্রকারভেদ বিশ্ববিন্যাস নিষ্কাশন ব্যবস্থা, নদী পদ্ধতি, নীতিমালা ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
(৬) পেট্রোলিয়াম বিজ্ঞান (Petroleum Geography)
ভূঅভ্যন্তরের বিভিন্ন স্তরে জমে থাকা হাইড্রোকার্বন বা সংশ্লিষ্ট তেল-গ্যাস ইত্যাদি খনিজ সম্পদের উৎপত্তি, ভূরসায়ন, উত্তোলন, পরিমাণ এবং অর্থনৈতিক গুরুত্ব বিষয়ে এই শাখায় আলোচনা করা হয়।
(৭) শিলামন্ডলীয় বিজ্ঞান (Lithosphere)
পৃথিবীর শিলাগঠিত কঠিন বহিরাবরণকে শিলামন্ডল বা অশ্বমন্ডল বলে। ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০০ কি.মি. গভীরতা পর্যন্ত শিলামন্ডলের ব্যাপ্তি। এই শিলামন্ডলের আগ্নেয়, রূপান্তরিত ও পাললিক শিলার গঠন, স্তরায়ন, ভূত্বকের গঠন উপাদান, আপেক্ষিক গুরুত্ব, মৃত্তিকা ইত্যাদি সম্পর্কে শিলামন্ডলীয় ভূবিজ্ঞানে আলোচনা করা হয়।
পৃথিবীর শিলাগঠিত কঠিন বহিরাবরণকে শিলামন্ডল বা অশ্বমন্ডল বলে। ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০০ কি.মি. গভীরতা পর্যন্ত শিলামন্ডলের ব্যাপ্তি। এই শিলামন্ডলের আগ্নেয়, রূপান্তরিত ও পাললিক শিলার গঠন, স্তরায়ন, ভূত্বকের গঠন উপাদান, আপেক্ষিক গুরুত্ব, মৃত্তিকা ইত্যাদি সম্পর্কে শিলামন্ডলীয় ভূবিজ্ঞানে আলোচনা করা হয়।
(৮) সমুদ্র বিজ্ঞান (Oceanography)
ভূ বিজ্ঞানের এই শাখায় সমুদ্রের গভীরতা, ব্যাপ্তি, সমুদ্র তলের ভূপ্রকৃতি, ক্ষয় সঞ্চয়, প্রাণিজ বৈশিষ্ট্য, লবণাক্ততা, সমুদ্র স্রোত ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
ভূ বিজ্ঞানের এই শাখায় সমুদ্রের গভীরতা, ব্যাপ্তি, সমুদ্র তলের ভূপ্রকৃতি, ক্ষয় সঞ্চয়, প্রাণিজ বৈশিষ্ট্য, লবণাক্ততা, সমুদ্র স্রোত ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
(৯) ভূতাত্ত্বিক মানচিত্র বিদ্যা (Geological Mapping)
হুপৃষ্ঠের এবং ভূঅভ্যন্তরের বিভিন্ন ভূতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্যের মানচিত্র প্রকাশ এবং তার ব্যবহার বিধি ভূবিজ্ঞানের এই শাখায় বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।কাকতী গায়ে
(১০) ভূকম্পন বিজ্ঞান (Sesmology)
পৃথিবীর কাঠামো উদঘাটনে বিজ্ঞানীরা ভূকম্পনিক যন্ত্রের মাধ্যমে যে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেন তাকে ভূকম্পনবিজ্ঞান বলে। ভূবিজ্ঞানের এই শাখায় ভূমিকম্পের বিভিন্ন তরঙ্গের বৈশিষ্ঠ্য, পৃথিবীর অভ্যন্তরীয় স্তর ina de legend's বিন্যাসের সঙ্গে ভূকম্পন তরঙ্গের সম্পর্ক, অভ্যন্তরীণ ভাগের স্তর বিন্যাসের সীমা নির্ধারণ, ঘনত্ব, তাপ, চাপ ও স্থিতিস্থাপকতা, মহাদেশীয় ভূত্বকের রাসায়নিক সংযুক্তি ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
হুপৃষ্ঠের এবং ভূঅভ্যন্তরের বিভিন্ন ভূতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্যের মানচিত্র প্রকাশ এবং তার ব্যবহার বিধি ভূবিজ্ঞানের এই শাখায় বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।কাকতী গায়ে
(১০) ভূকম্পন বিজ্ঞান (Sesmology)
পৃথিবীর কাঠামো উদঘাটনে বিজ্ঞানীরা ভূকম্পনিক যন্ত্রের মাধ্যমে যে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেন তাকে ভূকম্পনবিজ্ঞান বলে। ভূবিজ্ঞানের এই শাখায় ভূমিকম্পের বিভিন্ন তরঙ্গের বৈশিষ্ঠ্য, পৃথিবীর অভ্যন্তরীয় স্তর ina de legend's বিন্যাসের সঙ্গে ভূকম্পন তরঙ্গের সম্পর্ক, অভ্যন্তরীণ ভাগের স্তর বিন্যাসের সীমা নির্ধারণ, ঘনত্ব, তাপ, চাপ ও স্থিতিস্থাপকতা, মহাদেশীয় ভূত্বকের রাসায়নিক সংযুক্তি ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
(১১) বায়ুমন্ডলীয় বিজ্ঞান (Atmospheric science)
পৃথিবীকে ঘিরে রাখা গ্যাসের আবরণকে বায়ুমন্ডল বলে। ভূবিজ্ঞানের এই শাখায় বায়ুমন্ডলের গভীরতা, উপাদান এবং এদের বৈশিষ্ট্য, বায়ুমন্ডলের স্তর বিন্যাস, বায়ুমন্ডলের বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্ব ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
পৃথিবীকে ঘিরে রাখা গ্যাসের আবরণকে বায়ুমন্ডল বলে। ভূবিজ্ঞানের এই শাখায় বায়ুমন্ডলের গভীরতা, উপাদান এবং এদের বৈশিষ্ট্য, বায়ুমন্ডলের স্তর বিন্যাস, বায়ুমন্ডলের বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্ব ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
(১২) জীব বিজ্ঞান (Biology)
জীবমন্ডলের সংজ্ঞা, জীবনের উৎপত্তি ও বিকাশ, বিস্তরণ, জীব বৈচিত্র্য, উপকরণ, বাস্তুসংস্থান, ভূ-জৈব রাসায়নিক চক্র ইত্যাদি সম্পর্কে এই শাখায় আলোচনা করা হয়।
জীবমন্ডলের সংজ্ঞা, জীবনের উৎপত্তি ও বিকাশ, বিস্তরণ, জীব বৈচিত্র্য, উপকরণ, বাস্তুসংস্থান, ভূ-জৈব রাসায়নিক চক্র ইত্যাদি সম্পর্কে এই শাখায় আলোচনা করা হয়।
(১৩) ভূ পদার্থবিদ্যা (geophsies)
পৃথিবীর আকার, শক্তিগুলোর সাথে এর সম্পর্ক এবং এর চুম্বকীয় ও অভিকর্ষ ক্ষেত্রগুলো অনুসন্ধান, পৃথিবীর বিভিন্ন মন্ডলের ভূগাঠনিক প্রক্রিয়া এই শাখায় আলোচনা করা হয়।
পৃথিবীর আকার, শক্তিগুলোর সাথে এর সম্পর্ক এবং এর চুম্বকীয় ও অভিকর্ষ ক্ষেত্রগুলো অনুসন্ধান, পৃথিবীর বিভিন্ন মন্ডলের ভূগাঠনিক প্রক্রিয়া এই শাখায় আলোচনা করা হয়।
ভূগোল ও পরিবেশের সাথে পরিচিতি ক বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন
১. ভূগোল শব্দটি সর্বপ্রথম কে ব্যবহার করেন? উত্তর- ভারতীয় পন্ডিত সূর্য সিদ্ধান্ত।
২. "জিওগ্রাফী" শব্দটি সর্বপ্রথম কে ব্যবহার করেন? উত্তর- প্রাচীন গ্রীক পন্ডিত ইরাটোসথেনিস, (২৭৬ খ্রিঃ)।
৩. Geography শব্দটির উৎপত্তি কোথায়? উত্তর-গ্রীক দেশে।
৪. Geography এর ভাষাগত অর্থ কি? উত্তর-পৃথিবী সম্পর্কে লিখিত বর্ণনা।
৫. ভূগোলের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় কি? উত্তর- মানুষ ও পৃথিবী।
৬. কোন বিজ্ঞানকে প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের জননী বলে। উত্তর-ভূগোলকে।
৭. প্রকৃতির সঙ্গে বিজ্ঞানের সমন্বয় কে কি বলে। উত্তর-ভূগোল।
৮. ভূগোলকে আদি বিজ্ঞান হিসেবে কে স্বীকৃতি দেন? উত্তর-আলেকজান্ডার ভন হুমবোল্ট।
৯. ভূগোলের বিষয় বস্তু কি? উত্তর-মানুষ ও পৃথিবীর পরিবেশ।
১০. "ভূগোল মানুষের বিজ্ঞান নয়, স্থানের বিজ্ঞান" উক্তিটি কার উত্তর-ভিদাল ডি লা ব্লাশ।
১১. জার্মানীরা ভূগোল বোঝাতে উইসেনশাফট শব্দটির কোন অর্থে ব্যবহার করেছেন। উত্তর-খাঁটি বিজ্ঞান হিসেবে।
১২. প্রাকৃতিক, মানবীয় ও সমাজীয় বিজ্ঞানের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা ভূগোলকে কি বলা হয়। উত্তর-আন্তঃশাস্ত্রীয় বিজ্ঞান।
১৩. ভূ-বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে ভূগোলের সংজ্ঞা কি? আসে উত্তর-মানব জাতির আবাসস্থল হিসেবে পৃথিবী।
১৪. কোন সময় থেকে ভূগোল শব্দটি ব্যবহার হয়ে আসছে? উত্তর-প্রাচীন গ্রীক যুগ থেকে।
১৫. বিষয়/ পাঠ্য হিসেবে ভূগোল কখন বিশ্ববিদ্যালয়ে আত্মপ্রকাশ ঘঠে? উত্তর-উনবিংশ শতাব্দীতে।
১৬. বিষয় হিসেবে ভূগোলের কোন কোন শাখা রয়েছে?
উত্তর-বিজ্ঞান, ভূ-বিজ্ঞান, এবং সমাজবিজ্ঞান।
১৭. জার্মান দার্শনিক ইমানুয়েল কান্ট কত সালে ভূগোলের সংজ্ঞা দান করেন? ১৯৫৯সালে।
১৮.মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূগোলবিদ (১৯৫৯) রিচার্ড হার্টশোর্ন কোন গ্রন্থ রচনা করেন? উত্তর-পারসপেকটিভস্ অন দা নেচার অব জিওগ্রাফী।
১৯. প্রত্যক্ষবাদ মতবাদে কোন বিষয়ে ভূগোলকে মর্যাদা দিয়েছে? উত্তর-বিজ্ঞান বিষয় হিসেবে।
২০. রূপবাদ মতবাদে কোন বিষয়কে প্রধান্য দিয়েছে। উত্তর-সমাজবিজ্ঞান হিসেবে।
২১. আচারণবাদ এবং মানবতাবাদ, ভূগোলে কোন ধরণের দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করে? উত্তর-মানবীয় ভূগোলের দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করে।
২২. ভূগোলের প্রধান তিনটি বৈশিষ্ট্য কি কি?
উত্তর-১. মানুষ-প্রকৃতি সম্পর্ক, ২. আঞ্চলিক পৃথকীকরণ এবং ৩. অবস্থান।
২৩. ভূগোল কি কি বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করে।
উত্তর-প্রাকৃতিক সৃষ্ট, পরিবেশ গত এবং মানবসৃষ্ট বিষয় বস্তু নিয়ে ভূগোল আলোচনা করে।
২৪. প্রত্যক্ষবাদ এর মূল বক্তব্য কি? উত্তর-স্পষ্ট দৃষ্ট বস্তুই একমাত্র সত্য।
৪. Geography এর ভাষাগত অর্থ কি? উত্তর-পৃথিবী সম্পর্কে লিখিত বর্ণনা।
৫. ভূগোলের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় কি? উত্তর- মানুষ ও পৃথিবী।
৬. কোন বিজ্ঞানকে প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের জননী বলে। উত্তর-ভূগোলকে।
৭. প্রকৃতির সঙ্গে বিজ্ঞানের সমন্বয় কে কি বলে। উত্তর-ভূগোল।
৮. ভূগোলকে আদি বিজ্ঞান হিসেবে কে স্বীকৃতি দেন? উত্তর-আলেকজান্ডার ভন হুমবোল্ট।
৯. ভূগোলের বিষয় বস্তু কি? উত্তর-মানুষ ও পৃথিবীর পরিবেশ।
১০. "ভূগোল মানুষের বিজ্ঞান নয়, স্থানের বিজ্ঞান" উক্তিটি কার উত্তর-ভিদাল ডি লা ব্লাশ।
১১. জার্মানীরা ভূগোল বোঝাতে উইসেনশাফট শব্দটির কোন অর্থে ব্যবহার করেছেন। উত্তর-খাঁটি বিজ্ঞান হিসেবে।
১২. প্রাকৃতিক, মানবীয় ও সমাজীয় বিজ্ঞানের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা ভূগোলকে কি বলা হয়। উত্তর-আন্তঃশাস্ত্রীয় বিজ্ঞান।
১৩. ভূ-বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে ভূগোলের সংজ্ঞা কি? আসে উত্তর-মানব জাতির আবাসস্থল হিসেবে পৃথিবী।
১৪. কোন সময় থেকে ভূগোল শব্দটি ব্যবহার হয়ে আসছে? উত্তর-প্রাচীন গ্রীক যুগ থেকে।
১৫. বিষয়/ পাঠ্য হিসেবে ভূগোল কখন বিশ্ববিদ্যালয়ে আত্মপ্রকাশ ঘঠে? উত্তর-উনবিংশ শতাব্দীতে।
১৬. বিষয় হিসেবে ভূগোলের কোন কোন শাখা রয়েছে?
উত্তর-বিজ্ঞান, ভূ-বিজ্ঞান, এবং সমাজবিজ্ঞান।
১৭. জার্মান দার্শনিক ইমানুয়েল কান্ট কত সালে ভূগোলের সংজ্ঞা দান করেন? ১৯৫৯সালে।
১৮.মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূগোলবিদ (১৯৫৯) রিচার্ড হার্টশোর্ন কোন গ্রন্থ রচনা করেন? উত্তর-পারসপেকটিভস্ অন দা নেচার অব জিওগ্রাফী।
১৯. প্রত্যক্ষবাদ মতবাদে কোন বিষয়ে ভূগোলকে মর্যাদা দিয়েছে? উত্তর-বিজ্ঞান বিষয় হিসেবে।
২০. রূপবাদ মতবাদে কোন বিষয়কে প্রধান্য দিয়েছে। উত্তর-সমাজবিজ্ঞান হিসেবে।
২১. আচারণবাদ এবং মানবতাবাদ, ভূগোলে কোন ধরণের দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করে? উত্তর-মানবীয় ভূগোলের দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করে।
২২. ভূগোলের প্রধান তিনটি বৈশিষ্ট্য কি কি?
উত্তর-১. মানুষ-প্রকৃতি সম্পর্ক, ২. আঞ্চলিক পৃথকীকরণ এবং ৩. অবস্থান।
২৩. ভূগোল কি কি বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করে।
উত্তর-প্রাকৃতিক সৃষ্ট, পরিবেশ গত এবং মানবসৃষ্ট বিষয় বস্তু নিয়ে ভূগোল আলোচনা করে।
২৪. প্রত্যক্ষবাদ এর মূল বক্তব্য কি? উত্তর-স্পষ্ট দৃষ্ট বস্তুই একমাত্র সত্য।
২৫. স্থানিক বিজ্ঞান হিসেবে ভূগোলের বৈশিষ্ট্যগুলি কি? কি? উত্তর-দুরত্ব, সুগম্যতা, পিন্ডিতভবন, আয়তন এবং আপেক্ষিক অবস্থান।
২৬. প্রত্যক্ষবাদ ধারণার উপর প্রকাশিত কয়েকটি প্রকাশনার নাম লিখ। উত্তর-Abler, Adams এবং Gould এর রচিত Spatial organization (পারিসরিক সংগঠন), The geographers view of the world (ভূগোল বিদদের দৃষ্টিতে পৃথিবী।। ২৭. প্রত্যক্ষবাদ দৃষ্টিভঙ্গিতে Peter Haggett এর প্রকাশনার নাম কি?
উত্তর-Geography: A modern Synthesis, (ভূগোল আধুনিক সংশ্লেষ)।
২৮. দার্শনিক ইমানুয়েল কান্ট কোথায় কিভাবে ভূগোলকে বিজ্ঞান ভিত্তিক সংজ্ঞা দান করেন! উত্তর-কৌনিগসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রদত্ত ভাষনে বলেন “ বৈজ্ঞানিক ভূগোল হচ্ছে পৃথিবীয় সমীক্ষা, যাহা ইন্দ্রিয়ের অভিজ্ঞতা ও পরীক্ষা নিরীক্ষার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি"।
২৯. "ভূগোল হচ্ছে প্রকৃতির সাথে সম্পর্কিত বিজ্ঞান" এই উক্তি বা সংজ্ঞাটি কার? উত্তর- জার্মান পণ্ডিত আলেকজান্ডার ভন হামবোল্ট।
৩০. পৃথিবীতে মানুষের আবাসস্থল হিসেবে সমীক্ষার উপর জোর দেন কোন কোন ভূগোলবিদ? উত্তর-জার্মান পন্ডিত আলেকজান্ডার ভন হামবোল্ট এবং কার্ল রিটার।
৩১. ভূগোল পৃথিবীর তথা মানুষের পরিস্থিতি সমূহের বিজ্ঞান উক্তিটি কার? উত্তর- ড্যাডলি ষ্ট্যাম্প।
৩২. গানিতিক ভূগোলের প্রতিষ্ঠাতা কে? উত্তর-ইরাটোস থেনেস (২৭৬-১৯৪ খিঃপূর্ব)।
৩৩. গাণিতিক ভূগোলের সূচনা হয় কিভাবে?
উত্তর-পৃথিবীর সঠিক পরিধি পরিমাপের মাধ্যমে।
৩৪. কোন মতবাদর ভিত্তিতে ভূগোল সামাজিক বিজ্ঞান হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে?
উত্তর-রূপবাদ মতবাদের ভিত্তিতে।
৩৫. কত সালে এবং কোন কোন ভূগোলবিদ রূপবাদের ধারণার অবতারণা করেন। উত্তর-১৯২৫ সালে ভূগোলবিদ কার্ল ও সাওয়ার।
৩৬. রূপবাদ হচ্ছে সেই দর্শন যা মানুষ ও তার চেতনা থেকে সূচিত হয়, এর উক্তিটি কার? উত্তর-জার্মান দার্শনিক এডমুন্ড হুর্সেল।
৩৭. কোন বিষয়টিকে ভূগোল সমাজবিজ্ঞান হিসাবে মর্যাদা দিয়েছে? উত্তর-মানব গোষ্ঠীয় কে ব্যাখ্যা এবং বিশ্লেষন এর মাধ্যমে।
৩৮. সমাজবিজ্ঞান ভূগোলের মূল বিষয় বস্তু কি? উত্তর-মানুষ, পরিবেশের সাথে কিভাবে অভিযোজিত হয় এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ, সাংস্কৃতিক পরিবেশে রূপান্তরিত হওয়ার প্রক্রিয়া অনুসন্ধান করা সমাজ বিজ্ঞানীর ভূগোলের মূল বিষয়বস্তু।
৩৯. সমাজ বিজ্ঞানীয় ভূগোল হচ্ছে পৃথিবী এবং তার অধিবাসীদের সমাজীয় বর্ণনা" এটি কার উক্তি।
উত্তর-অধ্যাপক ড্যাডলি ষ্ট্যাম্প।
৪০. পৃথিবী ও মানব জাতির পারস্পারিক সম্পর্ক নির্নয় করে "সমাজ বিজ্ঞানীয় ভূগোল" কার উক্তি? উত্তর-জার্মান ভূগোলবিদ রিটার।
৪১. ভূ-বিজ্ঞান দৃষ্টিভঙ্গি বা ধারণার সূচনা কত সালে হয়। উত্তর-১৯৬০ এ দশকে।
৪২. কি কারণে ভূ-বিজ্ঞান ধারণার অবতারণা হয়?
উত্তর-'পরিবেশে কীটনাশক ঔষধ প্রয়োগ এবং ১৯৬০ সালের দিকে টোরী ক্যানিয়ন নামক তৈলবাহী জাহাজ সমুদ্রে নিমজ্জিত হওয়ার প্রেক্ষিতে যে পরিবেশ সংকটের সৃষ্টি হয় তা থেকে উত্তরনের উপায় হিসেবে ভূ-বিজ্ঞান ধারণার সূত্রপাত হয়।
৪৩. ১৯৬০ এর দশকে পরিবেশ দূষণের ফলে পরিবেশগত যে বিপ্লব বা আন্দোলনের সূত্রপাত হয় তার নাম কি?
উত্তর-Crusade
৪৪. ভূ-বিজ্ঞান ধারণার মূল বিষয়বস্তু কি?
উত্তর-মানব জাতির আবাসস্থল হিসেবে পৃথিবী এই ধীম হচ্ছে ভূ-বিজ্ঞানের ধারণা।
৪৫. প্রাকৃতিক ভূগোলের প্রক্রিয়া সমূহের উন্নত ধারণা কোনটি? উত্তর-ভূ-বিজ্ঞান ধারণা।
৪৬. ভূ-বিজ্ঞান শব্দের অর্থ কি?
উত্তর-ভূ-শব্দের অর্থ পৃথিবী এবং বিজ্ঞান শব্দের অর্থ জ্ঞান অর্থাৎ এর ব্যাপ্তি হচ্ছে পৃথিবী সংক্রান্ত জ্ঞান বা বিজ্ঞান।
৪৭. ভূ-বিজ্ঞানের আলোচনার বিষয় বস্তু কি?
উত্তর-শিলামন্ডল, বারিমন্ডল, বায়ুমন্ডল এবং জীবমন্ডল সম্পর্কের পদ্ধতিগুলোর আলোচনার বিষয়বস্তু।
৪৮. ভূ-বিজ্ঞানের সঙ্গে কোন কোন খাঁটি বিজ্ঞানের সম্পর্ক রয়েছে।
উত্তর-পদার্থ, রসায়ন, জীব বিজ্ঞান এবং গানিতিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে।
উত্তর-ভূ-শব্দের অর্থ পৃথিবী এবং বিজ্ঞান শব্দের অর্থ জ্ঞান অর্থাৎ এর ব্যাপ্তি হচ্ছে পৃথিবী সংক্রান্ত জ্ঞান বা বিজ্ঞান।
৪৭. ভূ-বিজ্ঞানের আলোচনার বিষয় বস্তু কি?
উত্তর-শিলামন্ডল, বারিমন্ডল, বায়ুমন্ডল এবং জীবমন্ডল সম্পর্কের পদ্ধতিগুলোর আলোচনার বিষয়বস্তু।
৪৮. ভূ-বিজ্ঞানের সঙ্গে কোন কোন খাঁটি বিজ্ঞানের সম্পর্ক রয়েছে।
উত্তর-পদার্থ, রসায়ন, জীব বিজ্ঞান এবং গানিতিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে।
৪৯. ভূ-বিজ্ঞানের ৫টি শাখার নাম লিখঃ
উত্তর-ভৌত ভূবিজ্ঞান, শিলা বিজ্ঞান, খনিজ বিজ্ঞান, পেট্রোলিয়াম বিজ্ঞান, ভূ-পদার্থ বিজ্ঞান।
৫০. জন্ম বা সৃষ্টি থেকে কত বছর ভূগোল একক শাখা রূপে পঠিত হত?বিজ্ঞানী
উত্তর-প্রায় দুই হাজার বছর ধরে।
৫১. গ্রীক পরবর্তী সময়ে ভূগোলের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় কি ছিল।
উত্তর-বিভিন্ন অঞ্চলের অবস্থান, বর্ণনা, ও বিবরণ এবং সমুদ্র পথের নির্দেশনা।
৫২. ভূগোলের সনাতনী ধারণার অবসান ঘটে কখন, কোথায়? উত্তর-অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগে, ইউরোপীয় ভূগোলদিগণের হাতে। রীয়াজানী হত্যা যে
৫৩. সর্বপ্রথম ভূগোল শাস্ত্র সম্পর্কে কোন কোন ভূগোলবিদ নতুন ধারণা দেন? উত্তর-জার্মান ভূগোলবিদ আলোকজান্ডার ভন হাম বোল্ট এবং কার্ল রিটার।
৫৪. ভূগোল কে বিভিন্ন শাখায় বিভক্ত করেন কোন ভূগোলবিদ?
উত্তর-আলেকজেন্ডার ভন হামবোল্ট।
উত্তর-ভৌত ভূবিজ্ঞান, শিলা বিজ্ঞান, খনিজ বিজ্ঞান, পেট্রোলিয়াম বিজ্ঞান, ভূ-পদার্থ বিজ্ঞান।
৫০. জন্ম বা সৃষ্টি থেকে কত বছর ভূগোল একক শাখা রূপে পঠিত হত?বিজ্ঞানী
উত্তর-প্রায় দুই হাজার বছর ধরে।
৫১. গ্রীক পরবর্তী সময়ে ভূগোলের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় কি ছিল।
উত্তর-বিভিন্ন অঞ্চলের অবস্থান, বর্ণনা, ও বিবরণ এবং সমুদ্র পথের নির্দেশনা।
৫২. ভূগোলের সনাতনী ধারণার অবসান ঘটে কখন, কোথায়? উত্তর-অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগে, ইউরোপীয় ভূগোলদিগণের হাতে। রীয়াজানী হত্যা যে
৫৩. সর্বপ্রথম ভূগোল শাস্ত্র সম্পর্কে কোন কোন ভূগোলবিদ নতুন ধারণা দেন? উত্তর-জার্মান ভূগোলবিদ আলোকজান্ডার ভন হাম বোল্ট এবং কার্ল রিটার।
৫৪. ভূগোল কে বিভিন্ন শাখায় বিভক্ত করেন কোন ভূগোলবিদ?
উত্তর-আলেকজেন্ডার ভন হামবোল্ট।
৫৫. আধুনিক ভূগোলে সবচেয়ে অবদান কার।
উত্তর-জার্মান ভূগোলবিদ আলেকজান্ডার ভন হামবোল্ট এবং কার্ল রিটার।
৫৬. আধুনিক ভূগোলে মূল শাখা কয়টি?
উত্তর-২টি (১) প্রাকৃতিক ভূগোল, (২) মানবীয় ভূগোল।
উত্তর-জার্মান ভূগোলবিদ আলেকজান্ডার ভন হামবোল্ট এবং কার্ল রিটার।
৫৬. আধুনিক ভূগোলে মূল শাখা কয়টি?
উত্তর-২টি (১) প্রাকৃতিক ভূগোল, (২) মানবীয় ভূগোল।
৫৭. ভূগোলকে কোন ভূগোলবিদ রীতিবদ্ধ বা বিশেষ ভূগোলে ভাগ করেন?
উত্তর-বেরনার্ড ভ্যারিনিয়াস।
৫৮. ভূগোলের সাথে স্থান ও কালের সম্পর্ক কি?
উত্তর-ভূগোলের সাথে স্থানের সম্পর্ক হচ্ছে পারিসরিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং কালের সম্পর্ক হচ্ছে স্থানিক ধরণ বা প্যাটার্নের স্বল্পকালীন এবং দীর্ঘকালীন সময় পরিবর্তনের ধারা বিশ্লেষণ।
উত্তর-বেরনার্ড ভ্যারিনিয়াস।
৫৮. ভূগোলের সাথে স্থান ও কালের সম্পর্ক কি?
উত্তর-ভূগোলের সাথে স্থানের সম্পর্ক হচ্ছে পারিসরিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং কালের সম্পর্ক হচ্ছে স্থানিক ধরণ বা প্যাটার্নের স্বল্পকালীন এবং দীর্ঘকালীন সময় পরিবর্তনের ধারা বিশ্লেষণ।
লেখকের মন্তব্য:
প্রিয় পাঠক উপরাক্ত পোস্টটিতে ভূগোলের বিভিন্ন শাখা সমূহ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সেই সাথে এর সাথে জড়িত অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে যা আপনার জ্ঞানকে সমৃদ্ধ। করবেন আশা করছি পোস্টটি থেকে নতুন কিছু জানতে ও শিখতে পেরেছেন।
যদি পোস্টটি ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার বন্ধু বান্ধবদের মাঝে শেয়ার করুন যাতে করে তারাও ভূগোল সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে পারি। আর যদি এ বিষয়ে কোন প্রশ্ন মতামত বা পরামর্শ থাকে তাহলে কমেন্ট বক্সে তা জানিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ রইল। এরকমই আরো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে। পরিশেষে পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ💚।
বিপ্লব আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রত্যেকটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url