কম্পিউটারের জনক কে

বিজ্ঞানের একটি বিস্ময়কর আবিষ্কার হল কম্পিউটার। বর্তমান পরিস্থিতি এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে প্রযুক্তি ছাড়া আমরা এক ধাপও সামনে এগোতে পারবো না। আর তাই এর প্রতিযোগিতা পূর্ণ বিশ্বে টিকে থাকতে হলে অবশ্যই আমাদের কম্পিউটার সম্পর্কিত জ্ঞান থাকতে হবে।
কম্পিউটারের জনক কে


ভূমিকা

বর্তমানে আমরা যেসব প্রযুক্তি বা টেকনিক্যাল জিনিসপত্র ব্যবহার করছি, ফোন, ইন্টারনেট, কম্পিউটার এসব আবিষ্কার বিজ্ঞানী এবং গবেষকদের অনেক বছরের পরিশ্রমের পর এসব প্রযুক্তি আবিষ্কার হয়েছে। এরকমই বিজ্ঞানের একটি উল্লেখযোগ্য আবিষ্কার হলো কম্পিউটার।

প্রাগৈতিহাসিক যুগে গণনার যন্ত্র উদ্ভাবিত বিভিন্ন প্রচেষ্টাকে কম্পিউটার ইতিহাস হিসেবে ধরা হয়। কিন্তু বর্তমানে আর কম্পিউটারকে শুধু গণনাকারী যন্ত্র বলা যায় না। বর্তমান যুগে কম্পিউটার এমন এক যন্ত্র এ পরিণত হয়ছে যা তথ্য গ্রহণ করা থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা বিশ্লেষণ ও উপস্থাপন করতে একান্তভাবে সক্ষম।

কিন্তু কখনো ভেবে দেখেছেন এই কম্পিউটার কিভাবে আবিষ্কার হলো ?

কম্পিউটারের জনক কে

কম্পিউটারের জনক হলেন বিশিষ্ট ইংরেজ বিজ্ঞানী চার্লস ব্যাবেজস।কারন তিনিই প্রথম কম্পিউটারের মূলনীতি প্রণয়ন করেন। তিনি ২৬ শে ডিসেম্বর, ১৭৯১ খ্রীষ্টাব্দে জন্ম গ্রহন করেন এবং ১৮ অক্টোবর, ১৮৭১ খ্রীষ্টাব্দে মারা যান। তিনি একাধারে ইংরেজ প্রকৌশলী, আবিষ্কারক, গণিতবিদ ও দার্শনিক ছিলেন।

আধুনিক কম্পিউটারের জনক কে

কম্পিউটারের আবিষ্কারক বিশিষ্ট ব্রিটিশ বিজ্ঞানী চার্লস ব্যাবেজ আধুনিক কম্পিউটারের মূল নীতি নির্ধারন করেন। বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তির অভাবে তৎকালীন সময়ে চার্লস ব্যাবেজের এই মূল নীতি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। তবে জন ভন নিউম্যান প্রথম আধুনিক কম্পিউটার আবিষ্কার করেন।
১৮৮৭ সালে ডাক্তার হ্যার্মান হলেরিথ আমেরিকার আদমশুমারির কাজ সম্পাদনের জন্য চালর্স ব্যাবেজে নীতি নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। পরে ১৯১১ সালে দুটি ভিন্ন কোম্পানির সহায়তায় কম্পুটিং, লিবুটিং, রেকর্ডিং কোম্পানী প্রতিষ্ঠা করে যা পরে বিখ্যাত IBM (International Business machines) এ রূপান্তরীত হয় ।

কম্পিউটার কে কত সালে আবিষ্কার করেন

হাওয়ার্ড এইকেন ১৯৪৬ সালে প্রথম কম্পিউটার আবিষ্কার করেছিলেন।

কম্পিউটার কি

বর্তমানে আমরা যেসব প্রযুক্তি বা টেকনিক্যাল জনিস্পত্র ব্যবহার করছি, লাইক ফোন, ইন্টারনেট, কম্পিউটার এসব কিন্তু একদিনে আবিষ্কার হয়নি। বিজ্ঞানী এবং গবেষকদের অনেক বছরের পরিশ্রমের পর এসব প্রযুক্তি আবিষ্কার হয়েছে। এরকমই বিজ্ঞানের একটি উল্লেখযোগ্য আবিষ্কার হলো কম্পিউটার।

কম্পিউটার শব্দটি গ্রিক কম্পিউট শব্দ থেকে এসেছে। কম্পিউটার শব্দের অর্থ গণনাকারী যন্ত্র যা সুনির্দিষ্ট নির্দেশ অনুসরণ করে গাণিতিক গণনা সংক্রান্ত কাজ খুব দ্রুত করতে পারে।
প্রাগৈতিহাসিক যুগে গণনার যন্ত্র উদ্ভাবিত বিভিন্ন প্রচেষ্টাকে কম্পিউটার ইতিহাস হিসেবে ধরা হয়।

কিন্তু বর্তমানে আর কম্পিউটারকে শুধু গণনাকারী যন্ত্র বলা যায় না। বর্তমান যুগে কম্পিউটার এমন এক যন্ত্র এ পরিণত হয়ছে যা তথ্য গ্রহণ করা থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা বিশ্লেষণ ও উপস্থাপন করতে একান্তভাবে সক্ষম।

কম্পিউটারের বৈশিষ্ট গুলো কি কি

  • কম্পিউটার নির্ভুল ফলাফল প্রদান,
  • দ্রুতগতি,
  • ডাটা সংরক্ষন,
  • স্বয়ংক্রিয় কর্মক্ষতা,
  • সহনশীলতা,
  • স্মৃতি বা মেমরী,ইত্যাদি বৈশিষ্ট বিদ্যমান।

কম্পিউটার কত প্রকার ও কি কি

আকৃতিগত দিক থেকে কম্পিউটারকে চার ভাগে ভাগ করা হয়।
  • সুপার কম্পিউটার (super computer),
  • মেইনফ্রেম কম্পিউটার (mainframe computer),
  • মিনি কম্পিউটার (mini computer),
  • মাইক্রো কম্পিউটার (micro computer)।
আবার গঠনগত দিক থেকে কম্পিউটার তিন প্রকার যেমন-
  • ডিজিটাল কম্পিউটার (digital computer),
  • অ্যানালগ কম্পিউটার (analog computer),
  • হাইব্রিড কম্পিউটার (hybrid computer)

সুপার কম্পিউটার কি

সুপার কম্পিউটার (super computer) :আকৃতিগত দিক থেকে সর্ববৃহৎ এই কম্পিউটারে তথ্য সংরক্ষণ ও তথ্য প্রক্রিয়াকরণের ক্ষমতা অত্যন্ত শক্তিশালী ও দ্রুত গতিসম্পন্ন। এই কম্পিউটার সাধারণত বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও প্রতিষ্ঠানের কাজে ব্যবহৃত হয়।

সুপার কম্পিউটারের জনক কে

সিমোর ক্রে সমগ্র বিশ্বে সুপারকম্পিউটিং-এর জনক নামে পরিচিত।

সুপার কম্পিউটারের উদাহরণঃ

যেমন-cray-1, cray x-mp, cyber-205.

মেইনফ্রেম কম্পিউটার কি

মেইনফ্রেম কম্পিউটার (mainframe computer): সুপার কম্পিউটারের চেয়ে ছোট তবুও অন্যান্য কম্পিউটারের চেয়ে বড় এ ধরণের কম্পিউটার একই সাথে অনেকগুলো গ্রহণ মুখ, নির্গমন মুখ, সরঞ্জাম ও বিভিন্ন রকম সহায়ক স্মৃতির সাথে সংযোগ রক্ষা করে কাজ করে থাকে। বড় বড় প্রতিষ্ঠানসমূহ এ ধরণের কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকে।
আরো পড়ুনঃ কম্পিউটারের প্রজন্ম কয়টি ও কি কি 

মেইনফ্রেম কম্পিউটারের উদাহারন

যেমন- univac1100/01, ibm 6120, ibm 4341, ncr n8370, data general,cs30।

মিনি কম্পিউটার কি


মিনি কম্পিউটার (mini computer) : সবচেয়ে জনপ্রিয় এই কম্পিউটারের আকৃতি ছোট ও দামে সস্তা। অফিসিয়াল কাজ, খেলাধুলা ও এন্টারটেইনমেন্ট কাজে বহু ব্যবহৃত। এ কম্পিউটারকে পিসি (personal computer) বলে।

মিনি কম্পিউটারের উদাহ্রনঃ

যেমন-ibm p.c, trs 80, apple 64.

সুপার মাইক্রো কম্পিউটার কি

সুপার মাইক্রো (super micro): সুপার মাইক্রো কম্পিউটার হচ্ছে সবচেয়ে শক্তিশালী মাইক্রো কম্পিউটার। এর অন্য নাম ওয়ার্ক ষ্টেশন। এই কম্পিউটারের ক্ষমতা যে কোন মিনি কম্পিউটারের কাছাকাছি হওয়ায় এগুলো মিনিফ্রেমের স্থান দখল করে নিচ্ছে।
আরো পড়ুনঃ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার।

ডিজিটাল কম্পিউটার কি

ডিজিটাল কম্পিউটার (digital computer) : এ ধরণের কম্পিউটার বর্ণ/অংক সংকেতের মাধ্যমে তথ্যগ্রহণ করে থাকে এবং ফলাফল প্রকাশ করে। এ কম্পিউটার নির্ভুলভাবে গাণিতিক ও যুক্তিগত কাজ করে সূক্ষ্মভাবে। 1 থেকে 0 বাইনারী সংখ্যার উপর নির্ভর করে উপাত্ত সংগ্রহ করে।

অ্যানালগ কম্পিউটার কি

অ্যানালগ কম্পিউটার (analog computer) : এ কম্পিউটারে বর্ণ ও অংক সংকেতের পরিবর্তে এনালগ বৈদ্যুতিক সংকেত ব্যবহার করে। রোদ, তাপ, উত্তাপ, চাপ জন্য সৃষ্ট বৈদ্যুতিক তরঙ্গকে অ্যানালগ কম্পিউটার ইনপুট হিসেবে গ্রহণ করে এবং ফলাফল সাধারণ প্লটার দিয়ে অংকন করে। রাসায়নিক, পেট্রোলিয়াম ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে অ্যানালগ কম্পিউটার ব্যবহার হয়।

কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশের নাম

বিভিন্ন অংশ সমন্বয়ে তৈরি হয় একটি পুর্নাঙ্গ কম্পিউটার। এসব অংশের মধ্যে রয়েছে-
  • ম্পিউটারের বিভিন্ন অংশের নাম হলোঃ
  • মাদারবোর্ড-(MotherBoard)
  • সিপিইউ (CPU)
  • পাওয়ার সাপ্লাই (Power (Power Supply)
  • রেম (RAM)
  • হার্ডডিক্স (Hard Disk)
  • গ্রাফিক্স কার্ড (Graphic Card)
  • ডিভিডি রাইটার (DVD Writter)
  • কিবোর্ড (Key Board)
  • মাউস (Mouse
আরো পড়ুনঃ আইফোন ১৫ প্রো ম্যাক্স এর দাম কত

কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশের কাজ কি

কম্পিউটারের হলো এমন একটি যন্ত্র যা সুনির্দিষ্ট নির্দেশ অনুসরণ করে গাণিতিক গণনা সংক্রান্ত কাজ খুব দ্রুত করতে পারে। এর সাথে সাথে কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশের কাজ রয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন অংশের কাজ কি-

মাদারবোর্ড-(MotherBoard)
মাদারবোর্ড (MOTHER BOARD) হলো একটি কম্পিউটারের প্রধান অংশ মাদারবোর্ডের মাধ্যমিক কম্পিউটারের অন্যান্য হার্ডওয়‍্যার গুলো একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ বা কার্য সম্পাদন করে থাকে।
মাদারবোর্ডের ক্ষমতা যত বেশি অন্যান্য যন্তনা হার্ডওয়ার তত বেশি তার থেকে সহযোগী পাই এবং খুব তাড়াতাড়ি কাজ করতে সক্ষম হয় তাই মাদারবোর্ডকে কম্পিউটারের মা বলা হয়।
আরো পড়ুনঃ বৈজ্ঞানিক গবেষণার ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার
সিপিইউ (CPU)
কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশ ও কাজ এর মধ্যে সবথেকে উল্লেখযোেগ্য হলো CPU
প্রফেসর হলো কম্পিউটারের প্রধান শক্তি এটি মাদারবোর্ডের মাঝখানে থাকে এর প্রধান কাজ হল কোন ডেটাকে প্রশেষ করে বা প্রক্রিয়াজাতন করনের মাধ্যমে কাজের উপযোগী করে তোলা।
যেমন একটি গাড়ির ইঞ্জিনের মত কাজ করে প্রসেসরের স্পিড যত বেশি হবে তত একটি কম্পিউটারের কাজ তাড়াতাড়ি সম্পন্ন করা যাবে।

পাওয়ার সাপ্লাই (Power Supply) -
পাওয়ার সাপ্লাই হলো কম্পিউটার চালানোর জন্য অধিক মাপে প্রয়োজনীয় একটি জিনিস বা হার্ডওয়্যার। এই পাওয়ার সকলের কাজ হল একটি কম্পিউটার প্রতিটি ডিভাইসকে সক্রিয় রাখার জন্য এই পাওয়ার সাপ্লাই দরকার পড়ে।
আরো পড়ুনঃ চিকিৎসা ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার
র‍্যাম (RAM)
র‍্যামের কাজ কম্পিউটার চলমান অবস্থায় প্রসেস সাহেবকে বারবার তার কাজের কথা মনে করিয়ে দেওয়া। যত বড় হবে তত কম্পিউটারের শক্তির ধারণ করে রাখার ক্ষমতা বেশি হবে।
মূলত এই কারণেই র্যাম যত বেশি তত বেশি কম্পিউটার অনেকগুলো কাজ মনে করে রাখে এবং মনে করিয়ে দেয় কিন্তু মূল কাজটা প্রসেসারি করে থাকে।

হার্ডডিক্স (Hard Disk)
কম্পিউটারের অংশ কয়টি এবং কি কি এর মধ্যে হার্ডডিক্স একটি অংশ অবশ্যই। কারণ এই হার্ডডিক্স এর মাধ্যমেই আমরা কম্পিউটারের প্রত্যেকটা জিনিস কে সঞ্চয় করে রাখতে পারে।
এবং এটি মাদারবোর্ডের মধ্যেই থাকে না এটা কম্পিউটারের ক্যাবিনেট বক্সের একটি জায়গায় থাকে তাই এটিও খুব একটি গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইস।
আরো পড়ুনঃ প্রথম প্রজন্মের কম্পিউটারের উদাহরণ
গ্রাফিক্স কার্ড (Graphic Card)
কম্পিউটারে বিভিন্ন অংশের মধ্যে আরেকটি অংশ হলো গ্রাফিক্স কার্ড। এই কার্ডের মাধ্যমে আমরা যাবতীয় ডাটার আউটপুট সুন্দরভাবে ভিউ করতে পারি।
অর্থাৎ আপনি যত ভালো মানের গ্রাফিক্স কার্ড ব্যবহার করবেন আপনার কম্পিউটারের মনিটরে তত বেশি চকচকে হয়ে আপনার সামনে শো করবে। আউটপুটগুলো যার মূলত গ্রাফিক্সের কাজ করে এবং কোয়ালিটির রেজুলেশন গেম খেলে যারা তারা এই কার্ডের সম্পর্কে আরো বেশি ভালো জানে।

ডিভিডি রাইটার (DVD Writter)
কম্পিউটারে বিভিন্ন অংশের মধ্যেই ডিভিডি রাইটার ও একটি অন্যতম অংশ যার মাধ্যমে আমরা কোন ডাটাকে কপি করে হার্ডডিক্সের সংরক্ষণ করে রাখতে পারি। এছাড়াও কোন সফটওয়্যার ইন্সটল করে রাখতে পারি যেমন windows সফটওয়্যার আমরা ডিভিডি রাইটারে রাখতে পারি তবে বর্তমানে পেনড্রাইভের অনেক বেশি ব্যবহারের কারণে সিটি ডিভিডি লাইটের ব্যবহার অনেকটা কমে গিয়েছে।

কিবোর্ড (Key Board)
কীবোর্ডকম্পিউটারের বিভিন্ন অংশের মধ্যে আরেকটি উল্লেখযোগ্য অংশ হলো কম্পিউটার কিবোের্ড এটি একটি ইনপুট ডিভাইস।যার মাধ্যমে আমরা কোন কিছুকে লিখতে পারি এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইস কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশের মধ্যে সবথেকে ভালো মানের একটি ডিভাইস। কিবোের্ড দুই রকমের হয়ে থাকে একটি নরমাল কিবোের্ড এবং মাল্টিমিডিয়া কিবোর্ড।

মাউস (Mouse)
কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশের মধ্যে উল্লেখযোেগ্য একটি অংশ হল মাউস এটি একটি সিলেকশন ডিভাইস বা ইনপুট ডিভাইস হিসেবে ধরা যায়। কারণ প্রত্যেকটা জিনিস আমরা যেটিকে সিলেক্ট করি বা সিলেকশন করি এটা মানুষের মাধ্যমেই আমাদেরকে করতে হয়। এবং এই মাউস আবিষ্কার করেন ডগলাস অ্যাঙ্গেলওয়ার্ক নামে একজন ব্যক্তি।

সফটওয়্যার কি

কম্পিউটারের ল্যাংগুয়েজ দিয়ে তৈরি নির্দেশাবলি বা প্রোগ্রামিং কোডসমূকে সফটওয়্যার বলা হয়।
হার্ডওয়্যার কি
কম্পিউটারের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি যার উপস্থিতি আছে তাকে হার্ডওয়্যার বলা হয়।

হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার এর মধ্যে পার্থক্য

  • কম্পিউটারের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি যার উপস্থিতি আছে তাকে হার্ডওয়্যার বলা হয়। উদাহরণ: মনিটর, হার্ডডিস্ক, প্রসেসর, র‍্যাম, রম ইত্যাদি। অন্যদিকে কম্পিউটারের ল্যাংগুয়েজ দিয়ে তৈরি নির্দেশাবলি বা প্রোগ্রামিং কোডসমূকে সফটওয়্যার বলা হয়। উদাহরনণঃ বিভিন্ন কোডিং প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ।
  • হার্ডওয়্যার দেখা যায় এবং স্পর্শ করা যায় কিন্তু সফটওয়্যার স্পর্শ করা যায় না
  • হার্ডওয়্যার কপি করা যায়না কিন্তু একই সফটওয়্যার কপি করে লক্ষ লক্ষ লোক ব্যবহার করতে পারে।
  • হার্ডওয়্যার তৈরি করতে বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়তে হয় কিন্তু সফটওয়্যার তৈরি করতে বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রয়জন নেই।
  • হার্ডওয়্যার দীর্ঘদিন ব্যবহারে হার্ডওয়্যার নষ্ট হয়ে যেতে পারে কিন্তু দীর্ঘদিন সফটওয়্যার ব্যবহারে হার্ডওয়্যার নষ্ট হয়ে যায় না।
  • ভাইরাস হার্ডওয়‍্যারের ক্ষতি করতে পারে না কিন্তু কম্পিউটার ভাইরাস সফটওয়্যারের ক্ষতি করতে পারে।
  • সফটওয়্যার ছাড়া হার্ডওয়্যার অর্থহীন।
  • সফটওয়্যার হার্ডওয়‍্যারকে নিয়ন্ত্রণ করে।
  • কম্পিউটার ভাইরাস সফটওয়্যারের ক্ষতি করতে পারে।

কম্পিউটার প্রজন্ম কি

কম্পিউটারের আবিষ্কারের পর থেকেই এটিকে আরো নিত্য নতুন ভাবে সহজ তোরা এবং জটিল সমস্যা সমাধানের জন্য প্রতিনিয়তই আপডেট করা হচ্ছে। আর কম্পিউটারের প্রজন্ম সম্পর্কে জানতে হলে প্রথমত কয়েকটি বিষয় জানতে হবে। আমরা জানি যে কম্পিউটারের আবিষ্কারক হচ্ছেন চার্লস ব্যাবেজ।

চার্লস ব্যাবেজের এই ধারণাকে পুঁজি করে পরবর্তীতে অনেক বিজ্ঞানী এটিকে আরো উন্নততর রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তার মধ্যে অন্যতম হলেন বিজ্ঞানী হাওয়ার্ড আইকেন এবং হার্ম্যান হলেরিথ।এই দুজন বিজ্ঞানের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ১৯২০ সালে আইবিএম ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস মেশিন সংস্থা স্থাপিত হয়।

আর এই সংস্থা কম্পিউটার নিয়ে কাজ করতে শুরু করে এবং একে কিভাবে আরও উন্নত তর করা যায় সে বিষয়ে বিস্তার গবেষণা করে। সেই গবেষণারই ফল হলো ১৯৪৪ সালের তৈরি Mark-1। কম্পিউটার প্রজন্ম মূলত এখান থেকেই শুরু। এরপর থেকে বর্তমান পর্যন্ত ধাপে ধাপে কম্পিউটারের উন্নত করনকেই মূলত প্রজন্ম বলা হয়।

কম্পিউটারের প্রজন্ম কয়টি

১৯৪৪ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত কম্পিউটার প্রজন্ম মোট ৫ টি।
কম্পিউটার প্রজন্ম গুলো কি কি

কম্পিউটারের প্রজন্ম

প্রজন্মের স্থায়িত্বকাল

প্রথম প্রজন্ম

১৯৪৪ থেকে ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত

দ্বিতীয় প্রজন্ম

১৯৫৬ থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত

তৃতীয় প্রজন্ম

১৯৬৫ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত

চতুর্থ প্রজন্ম

১৯৭৫ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত

পঞ্চম প্রজন্ম

১৯৮৫ থেকে বর্তমান পর্যন্ত

প্রথম প্রজন্মের কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য

  • গঠন সরল
  • আকার বিশাল
  • স্থানাতরে আসুবিধা
  • প্রচুর তাপ উৎপন্ন হতো, তাই শীতাতপ নিয়ন্ত্রন ব্যবস্থা প্রয়োজন ছিল
  • কাজ করার গতি ধীর
  • ফলাফল তুলনামুলক ভাবে কম বিশ্বস্ত
  • প্রচন্ড ব্যয়বহুল
  • কিছু পরিমান তথ্য সঞ্চয়ের ব্যবস্থা ছিল
  • গানিতিক কাজ করতে পারত
  • তৎকালীন অন্যান্য যন্ত্রের থেকে দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্য
  • প্রধান কারিগরি উপাদান ভ্যাকুম টিউব।

প্রথম প্রজন্মের কম্পিউটারের উদাহরণ

Mark-1,এনিয়াক (ENIAC) ইলেকট্রনিক নিউমেরিক্যাল ইন্টিগ্রেটর এবং ক্যালকুলেটর,এডস্যাক (EDSAC) ইলেক্ট্রনিক ডিলে স্টোরেজ অটোম্যাটিক কম্পিউটার, UNIVAC- ইউনিভার্সাল অটোম্যাটিক কম্পিউটার,ইলেক্ট্রনিক ডিসক্রিট ভ্যারিয়েবল অটোম্যাটিক কম্পিউটার ইত্যাদি এইসব যন্ত্রগুলোই হচ্ছে প্রথম প্রজন্মের কম্পিউটার।

দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য

  • প্রথম প্রজন্মের কম্পিউটারের তুলনায় দ্রুত
  • তথ্য সঞ্চয়ের ক্ষমতা প্রথম প্রজন্মের কম্পিউটারের তুলনায় বেশী
  • প্রথম প্রজন্মের কম্পিউটারের থেকে দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্য
  • প্রথম প্রজন্মের কম্পিউটারের থেকে কম তাপ উৎপন্ন হতো
  • প্রথম প্রজন্মের কম্পিউটারের থেকে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী
  • প্রধান কার্যকরী অংশ ট্রানজিস্টর
  • তথ্য সঞ্চয়ের জন্য ম্যাগনেটিক টেপ ও ম্যাগনেটিক ডিস্ক ব্যবহার করা হত
  • অ্যাসেম্বলি ল্যাঙ্গুয়েজ, FORTRAN, COBOL ব্যবহার করা হত।

দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারের উদাহরন

IBM 1401, IBM 1620

তৃতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য

  • দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারের তুলনায় দ্রুত
  • তথ্য সঞ্চয়ের ক্ষমতা প্রথম প্রজন্মের কম্পিউটারের তুলনায় বেশী
  • দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারের থেকে দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্য
  • দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারের থেকে কম তাপ উৎপন্ন হতো
  • দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারের থেকে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী
  • প্রধান কার্য্যকরী অংশ IC বা ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট
  • তথ্য সঞ্চয়ের জন্য ম্যাগনেটিক টেপ ও ম্যাগনেটিক ডিস্ক ব্যবহার করা হত
  • প্রোগ্রামিং এর জন্য অ্যাসেম্বলি ল্যাঙ্গুয়েজ, FORTRAN, COBOL, BASIC ব্যবহার করা হত।

তৃতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারের উদাহরণ

IBM-360, PDP (Programmed Data Processor), Honeywell-6000 ইত্যাদি।

চতুর্থ প্রজন্মের কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য

  • দ্রুত তথ্য গ্রহন ও ফলাফল নির্নয়
  • তথ্য সঞ্চয়ের ক্ষমতা বিপুল এবং সম্পূর্ন নির্ভরযোগ্য
  • কম তাপ উৎপন্ন হয়, শীতাতপ নিয়ন্ত্রন নিষ্প্রয়োজন
  • বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী, সহজ লভ্য তাই সার্বজনীন
  • বহনযোগ্য
  • প্রধান কার্যকরী অংশ VLSIC বা ভেরি লার্জ স্কেল I.C.
  • তথ্য সঞ্চয়ের জন্য ম্যাগনেটিক ডিস্ক, অপ্টিক্যাল ডিস্ক, ফ্ল্যাশ মেমরীর ব্যবহার
  • এই সময়ে প্রোগ্রামিং এর জন্য C, C++, JAVA, HTML, PYTHON,SQL যুক্ত করা হয়।

চতুর্থ প্রজন্মের কম্পিউটারের উদাহরণ

এই চতুর্থ প্রজন্মের কম্পিউটারের উদাহরণ হিসেবে কোন নির্দিষ্ট কম্পিউটারের নাম উল্লেখ করা যাবে না কারণ এ সময়ে অনেক কম্পিউটার তৈরি করা হয়েছে যেগুলো আমরা দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করে থাকি। তবে এই সময়ে যে প্রসেসর গুলো তৈরি করা হয়েছে সেগুলোর কয়েকটির নাম উল্লেখ করা যেতে পারে যেমনঃ Intel Pentium IV, Intel i3,i5, AMD Ryzen5 ইত্যাদি।

পঞ্চম প্রজন্মের কম্পিউটার কি

বিজ্ঞান তার গবেষণাকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে পরবর্তী প্রজন্মের দিকে। পরবর্তী প্রজন্ম এমনও আসবে যখন হয়তো কম্পিউটারের নিজস্ব চিন্তাশক্তি এবং বুদ্ধিমত্তা থাকবে অর্থাৎ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স থাকবে। আর এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি তৈরি করার জন্য যে প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে সেটি হচ্ছে কে আইপিএস(KIPS) অর্থাৎ নলেজ ইনফরমেশন প্রসেস সিস্টেম।

কম্পিউটারের ব্যবহার

ঘর থেকে শুরু করে অফিস- আদালত এমন কোন জায়গায় খুজে পাওয়া যাবে না। যেখানে Computer ব্যবহার হয় না, অফিসের কাজে, ব্যবসার-বাণিজ্যের কাজে, স্কুলে-কলেজে-বিশ্ববিদ্যালয়ে, বিভিন্ন ধরনের প্রোজেক্ট।

শিল্প-কারখানায়, খেলাধুলা, চিত্তবিনোদনে, দোকান পাট, ব্যাং-ইন্সুরেন্স কোম্পানী, আবহাওয়া অফিস, মহাশুন্য স্টেশন-ইত্যাদি সকল ক্ষত্রে কম্পিউটার ব্যবহার হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক বিভিন্ন ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার সম্পর্কে।

শিক্ষা ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার

শিক্ষা (Education): কম্পিউটারগুলি পুরো বিশ্বের শিক্ষাব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভিন্ন স্তরে নিয়ে গেছে। প্রচলিত শ্রেণিকক্ষগুলি কম্পিউটারের আবির্ভাবের সাথে আধুনিক হয়ে উঠেছে। মাল্টিমিডিয়া এবং কম্পিউটার ভিত্তিক শিক্ষার সহায়তায় শিক্ষার্থীদের সিলেবাসটি বোঝা এখন আরও সহজ।

ডিজিটাল লাইব্রেরি শিক্ষার্থীদের একক ক্লিকে সমস্ত বই উপলব্ধ করতে সহায়তা করেছে। তারা একঘেয়ে ব্ল্যাকবোর্ড শিক্ষার চেয়ে ডিজিটাল শেখার অভিজ্ঞতা পছন্দ করে। এভাবে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান আকর্ষণীয় হয়ে উঠায় শিক্ষার্থীদের স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি পায়।

কম্পিউটারগুলি কেবল ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাব্যবস্থা জোরদার করে না, পাশাপাশি শিক্ষামূলক কোর্স এবং ডিগ্রি দেওয়ার একটি নতুন উপায় সরবরাহ করে। আজ অনলাইন শিক্ষার মাধ্যমে যেখানে স্কুল-কলেজের সুবিধাগুলি পাওয়া যায় না।

শিক্ষার্থীরা তাদের সুবিধাগুলি অনুযায়ী ঘরে বসে পড়াশোনা করছে পাশাপাশি কম্পিউটার স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের তাদের গবেষণামূলক কাজের জন্যও সহায়তা করে। কম্পিউটারের সহায়তায় শিক্ষার্থীরা এখন সহজেই তাদের গবেষণা কাজটি এগিয়ে নিয়ে যায় এবং সহজেই কিছু ক্লিক করেই পর্যাপ্ত তথ্য পেয়ে যাচ্ছে।

বৈজ্ঞানিক গবেষণার ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার

বৈজ্ঞানিক গবেষণা (Scientific Research): বিজ্ঞানের অনেক জটিল রহস্য সমাধানে কম্পিউটারের সহায়তা নেওয়া হচ্ছে। এটি অত্যন্ত তীব্রতার সাথে গণনা করার জন্যও খুব দরকারী। কম্পিউটারে পরিস্থিতিগুলির যথাযথ মূল্যায়ন করাও সম্ভব, তাই বৈজ্ঞানিক গবেষণায় কম্পিউটারের বিশেষ ব্যবহারও করা।

চিকিৎসা ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার

হাসপাতালগুলি (Hospital): হাসপাতালে কম্পিউটারগুলির একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে, আমরা বিভিন্ন ওষুধের রেকর্ড রাখতে পারি, তাদের বিতরণ এবং স্টক ইত্যাদি। ডিজিটাল এক্স-রে, আল্ট্রাসাউন্ড, সিটি স্ক্যান, ইসিজি (ইসিজি) মেশিন ইত্যাদির মতো কম্পিউটারগুলি দেহের অভ্যন্তরে রোগগুলি সনাক্ত ও বিশ্লেষণ 

এবং বিশ্লেষণের জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে রোগীদের মেডিকেল রেকর্ড কম্পিউটার ব্যবহার করে সংরক্ষণ করা হয়। আমরা কম্পিউটারে রোগীদের সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলি সংরক্ষণ করতে পারি যাতে আমরা তাদের অতীতের চিকিৎসা, নির্ধারিত ওষুধগুলি এবং তার ফলাফলগুলির একটি রেকর্ড রাখতে পারি।

এই জাতীয় সিস্টেমগুলি চিকিৎসকদের জন্য খুব কার্যকর এবং সহায়ক হতে পারে। কিছু সমালোচক রোগীদের অবিচ্ছিন্ন পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন, রোগীদের রক্তচাপ, হার্টবিট এবং মস্তিষ্ক নিরীক্ষণের জন্য কম্পিউটারাইজড ডিভাইসগুলিও ব্যবহৃত হয়।

আজ, কম্পিউটারের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরণের রোগ সম্পর্কে তথ্য পাওয়া খুব সহজ যেখানে রোগীর লক্ষণগুলি লিপিবদ্ধ করে রোগ নির্ণয় করা যেতে পারে। পরীক্ষাগারগুলিতে রক্ত, প্রস্রাব, শ্লেষ্মা, মল ইত্যাদির বিভিন্ন পরীক্ষার জন্য বিভিন্ন কম্পিউটারাইজড যন্ত্র ব্যবহার করা হয়।

ব্যাংকিংয়ে কম্পিউটারের ব্যবহার

ব্যাংকিংয়ে কম্পিউটারের ব্যবহার বিপ্লব হয়েছে। এটি গ্রাহক লেনদেন, এটিএম (অটোমেটেড টেলার মেশিন), অনলাইন ব্যাংকিং, অ্যাপ ব্যবহার করে চেক ভাঙ্গানো, ইত্যদি। বৈদ্যুতিন ক্লিয়ারিং পরিষেবা, অর্থ গণনা, পাসবুক আপডেট করা ইত্যাদি।

প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার

রক্ষা (Defence): প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে কম্পিউটার যেমন অনেকগুলি ব্যবহার করে যেমন ডিফেন্স রিসার্চ, এয়ারক্রাফ্ট কন্ট্রোল সিস্টেম, ডিফেন্স কমিউনিকেশন সিস্টেম, মিসাইল ট্র্যাকিং সিস্টেম, রাডার কম্পিউটার ইত্যাদি সিস্টেমে ব্যবহৃত হচ্ছে।

কম্পিউটারগুলি আগত ক্ষেপণাস্ত্রগুলি ট্র্যাক করতে এবং তাদের ধ্বংস করতে অস্ত্র সিস্টেম সক্রিয় করতে ব্যবহৃত হয়। কম্পিউটারগুলি শত্রু বাহিনীকে টার্গেট করার জন্য ট্যাঙ্ক, বিমান এবং জাহাজে ব্যবহৃত হয়, কম্পিউটারগুলি সরকারী কর্মকর্তাদের কাছে গোপন তথ্য প্রেরণে ব্যবহৃত হয়।

যোগাযোগের ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার

যোগাযোগ (Communication): কম্পিউটার ব্যবহার না করে আধুনিক যোগাযোগ সম্ভব নয়। টেলিফোন এবং ইন্টারনেট যোগাযোগ বিপ্লবের জন্ম দিয়েছে। কম্পিউটার যোগাযোগের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ, কিছু 

যোগাযোগের কেবল এবং তারের সাথে জড়িত; অন্যদের এয়ার দিয়ে ওয়্যারলেস পাঠানো হয়।
যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিভিন্ন ধরণের কম্পিউটার এবং কম্পিউটারাইজড সরঞ্জাম ব্যবহৃত হয়।

শিল্প ও ব্যবসার ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার

শিল্প ও ব্যবসা (Industry & Business): শিল্পগুলিতে কম্পিউটার ব্যবহার করে উন্নতমানের পণ্য উৎপাদন সম্ভব হয়েছে। কম্পিউটারগুলি ব্যবসায়ের কার্যাদি রেকর্ড বজায় রাখতে এবং ব্যয়, লাভ এবং ক্ষতির গণনা করতে ব্যবহৃত হয়। কম্পিউটার শিল্প ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।

বিনোদনের ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার

বিনোদন (Entertainment): আজকের ডিজিটাল যুগে কম্পিউটার প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হচ্ছে। আজকাল এটি বিনোদন ক্ষেত্রে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং জনপ্রিয় সরঞ্জাম। সিনেমা, টেলিভিশন, সংগীত, ভিডিও গেমস ইত্যাদিতে কম্পিউটার ব্যবহার করে কার্যকর বিনোদন উপস্থাপন করা হচ্ছে মাল্টিমিডিয়া ব্যবহার কম্পিউটারকে বিনোদনের সেরা মাধ্যম করে তুলেছে।

বর্তমানে কম্পিউটারগুলি ভিডিও দেখতে এবং সংগীত ডাউনলোড করতে, ভিডিও গেম খেলতে, ইত্যাদির জন্য ব্যবহৃত হয়।

প্রকাশনার ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার

প্রকাশনা (Publication): কম্পিউটার প্রকাশনা এবং মুদ্রণ শিল্পে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। কম্পিউটারের ব্যবহার এটিকে সুবিধাজনক এবং আকর্ষণীয় করে তুলেছে। কম্পিউটারগুলি পৃষ্ঠা বিন্যাস তৈরি করার পাশাপাশি মুদ্রণের জন্য ব্যবহৃত হয়, ডায়াগ্রাম এবং গ্রাফ তৈরি করা এখন সুবিধাজনক। 

কম্পিউটারগুলি বই এবং ম্যাগাজিনগুলি তৈরি ও পড়ার পদ্ধতি পরিবর্তন করেছে। পাঠকদের আগ্রহের কথা মাথায় রেখে আজ হার্ড-কপির বইয়ের পাশাপাশি ই-বই প্রকাশিত হয়েছে।

প্রশাসনিক ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার

প্রশাসন (Administration): কম্পিউটার সরকারী অফিসে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। সরকারী কর্মীদের অনেক ধরণের প্রতিবেদন প্রস্তুত করতে হয়। সরকারের বিভিন্ন বিভাগের সমস্ত প্রশাসনিক কাজ কম্পিউটারের মাধ্যমে হয়। আজ, ডিজিটাল বাংলাদেশের মাধ্যমে, প্রশাসন সমস্ত সরকারী বিভাগকে ডিজিটাইজড করে এটি ত্বরান্বিত করেছে।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক আজ আমি আপনাদেরকে কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশ ও কাজ বা কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশের নাম কি বা কম্পিউটারের কয়টি অংশ কি কি প্রত্যেকটি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করলাম। সেই সাথে আরো আলোচনা করার চেষ্টা করেছি কম্পিউটারের বিষয়ে খুঁটিনাটি তথ্যগুলো তুলে ধরার।

আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন তবুও যদি বুঝতে আপনাদের কোন সমস্যা হয় তাহলে কমেন্ট করে জানাবেন আর ভালো লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। পোস্টটি পড়ে যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই পোস্টটি আপনার বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়দের মাঝে শেয়ার করতে পারেন যাতে করে তারাও কম্পিউটার সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারেন।

এরকম আরো অজানা বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটিতে নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন। পরিশেষে পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ💚।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বিপ্লব আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রত্যেকটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url