জন্ডিস রোগের লক্ষন গুলো কি কি

বর্তমানে বাংলাদেশের জন্ডিসের আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অনেক এবং দিন দিন এর ভয়াবহতা বেড়ে চলেছে। যদিও এটি নির্দিষ্ট কোন রোগ নয় বরং রোগের লক্ষণ। কিন্তু একে মোটেই অবহেলা করা যাবে না। জন্ডিস রোগের লক্ষণ গুলো সম্পর্কে জানতে হবে
জন্ডিস রোগের লক্ষন গুলো কি কি


ভূমিকাঃ

আজকে আমরা জানব,জন্ডিস রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার এবং জন্ডিস হলে কি খেতে হয়। মানবদেহে রক্তে বিলিরুবিনের ঘনত্ব বেড়ে গেলে জন্ডিস হয়েছে বলে ধরা হয়। জন্ডিসের লক্ষণগুলি হল ত্বক ও চোখের সাদা অংশ হলুদ হয়ে যাওয়া, শারীরিক দুর্বলতা,খিদে কমে যাওয়া,বমি ভাব ও চুলকানি।
 
জন্ডিস হলে কি খেতে হয় তা নিয়ে অনেকের ভেতর অনেক ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। জন্ডিস হলে কি কি খাওয়া যাবে না আর জন্ডিস হলে কি খেলে ভালো হবে সেই সম্পর্কে একটি পরিষ্কার ধারণা পেয়ে যাবেন।

জন্ডিস হলে ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি এমন কিছু খাবার খেতে হবে যা খেলে জন্ডিস দ্রুত কমে যায় যেমন টমেটো,আমলকি,আখের রস,লেবুর রস,গাজর,বেদানা,কাঠবাদাম এছাড়াও গোটা শস্য,সবজি,অ্যান্টিঅক্সিডেন্টযুক্ত খাবার,ফল এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া প্রয়োজন।

জন্ডিস হলে কিছু খাবার খাওয়া নিষেধ যেমন দুধ বা দই ও পনির জাতীয় খাবার,চিনি,কাঁচা লবণ,অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবার অ্যালকোহল ও স্যাচুরেটেড ফ্যাট যুক্ত খাবার।
জন্ডিস হলে সঠিক পরিমাণে খাবার,সঠিক সময়ে ওষুধ এবং বিশ্রামে থাকলে এই রোগ থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যায়।

জন্ডিস রোগের লক্ষন গুলো কি কি

জন্ডিস হলে সাধারণত নিম্নলিখিত উপসর্গগুলো বা লক্ষণ গুলো দেখা যায়। লক্ষণ গুলো হল-
  • ওজন কমে যাওয়া
  • চোখ হলুদ হয়ে যাওয়া
  • ত্বক হলুদ হয়ে যাওয়া
  • ত্বকে চুলকানি
  • ক্ষুধা মন্দা
  • জ্বর
  • সর্দি
  • দুর্বলতা
  • বিভ্রান্তি
  • পেটে ব্যথা
  • মাথা ব্যথা
  • পেট ফোলাভাব ইত্যাদি
  • প্রস্রাব গাঢ় হবে
  • প্রস্রাব ফ্যাকাশে হবে
  • প্রচন্ড দুর্বলতা হবে
  • আপনার বমি বমি ভাব, বমিও হবে
  • আর কয়েক কদম হাঁটলেই আর হাটতে ইচ্ছে না করা।

জন্ডিস কেন হয়

আমাদের লিভার দেহ উৎপন্ন টক্সিন অর্থাৎ বিষ উপন্ন করে। পুরাতন লোহিত রক্তকণিকা ধ্বংসপ্রাপ্ত হলে লিভার সেইধ্বংস প্রাপ্ত লোহিত রক্ত কণিকা থেকে বিলিরুবিন নামক বর্জ্য পদার্থ উৎপাদন করে এবং শরীরের বাহিরে অপসারণ করে।

লিভার অসুস্থ হলে বা পিত্ত নালি পিত্ত থলি ইত্যাদি স্থানে বাধার সৃষ্টি হলে এই বিলিরুবিন দেহের বাইরে নির্গত হতে পারে না ফলে জন্ডিস হতে পারে।

বিলিরুবিনের মাত্রা কত হলে জন্ডিস হয়

প্রথমত জন্ডিসের প্রাথমিক লক্ষণগুলো প্রকাশ পাওয়ার পরে রক্তে বিলিরুবিনের ঘনত্ব মাপার জন্য পরীক্ষা করা হয়। সাধারণত রক্তে বিলিরুবিনের ঘনত্ব ১.২mg/dl এর নিচে থাকে (25 µmol/L এর নিচে)। কিন্তু যদি 3 mg/dL বা 50 µmol/L এর বেশি হলে জন্ডিস এর লক্ষন হিসেবে ধরা হয় ।
jaundice শব্দটি ফরাসি শব্দ jaunisse, থেকে এসেছে যার অর্থ হলুদাভ। রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে গেলে জন্ডিস দেখা দেয়।তবে, জন্ডিসের সঙ্গে বিলিরুবিনের মাত্রা পরীক্ষার মাধ্যমে একাধিক পরামর্শ দেওয়া হতে পারে। প্রতিটি শরীর এবং চিকিৎসা গভীরতা ভিন্ন হতে পারে, এবং বিভিন্ন পর্যায়ে জন্ডিসের মাত্রা একই নয়।

ডাক্তার বা চিকিৎসক সাধারণত প্রতিটি ব্যক্তির জন্ডিসের উপাদান পরীক্ষা করবেন এবং এর উপর ভিত্তি করে চিকিৎসা নির্ধারণ করবেন।

জন্ডিসের চিকিৎসা কি

জন্ডিসের চিকিৎসা কিজন্ডিসের চিকিৎসা এর প্রধান লক্ষ্য হলো বিলিরুবিনের মাত্রা কমিয়ে তোলা এবং শরীরের স্বাভাবিক স্থিতি ফিরে আনা। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিকার হল চেলিডোনিয়াম, কার্ডুউস মারিয়ানাস। এছাড়াও চেলোন, লেপ্টন্দ্রা, ফসফরাস, নক্সভোমিকা, লাইকোপোডিয়ামের মতো ওষুধ রয়েছে যা জন্ডিসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।

তবে কখনোই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এ ধরনের ওষুধ গ্রহণ করবেন না।আর জন্য যেহেতু নির্দিষ্ট কোন রোগ নয় সুতরাং এর নির্দিষ্ট কোন চিকিৎসাও নেই। তবে হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের ফলে আক্রান্ত হলে এই রোগের টিকা নিলে জন্ডিসহ সেই সাথে সেরে যায়।
এই সব চিকিৎসা পদক্ষেপগুলি একাধিক অনুসারে ব্যবহার করা হতে পারে, এবং ডাক্তার প্রত্যাশিত ফলাফলের উপর ভিত্তি করে চিকিৎসার পরিবর্তন করতে পারেন। একজন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নেওয়া সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ।

জন্ডিস কতদিনে ভালো হয়

জন্ডিসে আক্রান্ত হওয়ার পরে অনেকেই চিন্তিত হয়ে পড়েন যে জন্ডিস আসলে কত দিনে ভালো হয়। প্রথমেই বলে রাখি একজন জন্ডিসে আক্রান্ত ব্যক্তির সুস্থতা নির্ভর করে রক্তের বিলিরুবিনের পরিমাণের ওপর।

আর এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে ৭ থেকে ২৮ দিন সময় লাগে। যখন রক্তে বিলিরুবিনের পরিমাণ কমে যায় বা নিয়ন্ত্রণে আসে তখনই একজন জন্ডিস আক্রান্ত ব্যক্তি সুস্থ হয়ে ওঠে।

জন্ডিস হলে কি কি খেতে হবে

জন্ডিসের হাত থেকে রক্ষা পেতে বা জন্ডিসের লক্ষণ দূর করতে ডায়েট বা খাদ্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমাদের গৃহীত খাদ্য হজম করার জন্য লিভার পিত্ত উৎপাদন করে। এই পিক তো খাদ্যকে ভাঙতে সাহায্য করে।
আমাদের গ্রহণ করা সকল প্রকার খাদ্য ও পানীয় পরিপাক ও বিপাক লিভারের সাহায্য ছাড়া প্রায় অসম্ভব। চর্বি এবং চর্বিতে দ্রবীভূত ভিটামিনের প্রক্রিয়াকরণ করে লিভার।তাই জন্ডিস হলে খাদ্য তালিকায় পরিবর্তন করে আমরা আমাদের লিভারকে বিশ্রাম দিতে পারি। এর ফলে লিভার তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠে।

জন্ডিস থেকে রক্ষা পেতে এবং লিভারের স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধার করতে যে সকল খাদ্য ও পানীয় গ্রহণ করতে হয় সেগুলো হল-
  • জল পানঃ জন্ডিস থেকে লিভারের স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধার করতে দেহে জলের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে। সুতরাং পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করতে হবে। জল যেমন খাদ্য হজমের সাহায্য করে তেমনি শরীর থেকে টক্সিন বা বিষ ও দূর করতে সাহায্য করে।
  • চা বা কফিঃ গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে চা পান করলে অর্থাৎ বিশেষ করে গ্রিন টি পান করলে লিভারের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। এছাড়া কফি পান করলেও লিভারের উপকার হয়। তাই অবশ্যই দিনে ২ থেকে ৩ কাপ গ্রীন টি বা কফি পান করতে হবে।
  • তাজা ফল ও শাকসবজিঃ তাজা ফল ও শাকসবজিতে ফাইবার ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে এবং এগুলি খাদ্য হজমে সাহায্য করে সেই সাথে লিভারকেও রক্ষা করে। সকল প্রকার শাকসবজি ও ফল লিভারের জন্য উপকারী। যেমন,লেবু জাতীয় ফল, পেঁপে, তরমুজ, বেরি জাতীয় ফল, কুমড়ো, মিষ্টি আলু, টমেটো, জলপাই, গাজর, ফুলকপি, পালং শাঁক,আদা, রসুন ইত্যাদি লিভার ভালো রাখে। ফল বা শাকসবজির জুস তৈরি না করে সম্পূর্ণ ফল বা শাকসবজি গ্রহণ করা উচিত কারণ শাকসবজি ও ফলে থাকা ফাইভার লিভার ভালো রাখতে খুবই দরকার।
  • দানা শস্যঃ শস্য জাতীয় খাদ্যের মধ্যে স্বাস্থ্যকর চর্বি, ফাইবার, অ্যান্টি-অক্সিডেন্টএবং খনিজ উপাদান থাকে। এগুলো লিভার সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে ওটস নামক খাদ্যশস্যে বিট গ্লুকান(Beta-glucan)থাকে যা নিয়মিত গ্রহণ করলে লিভার ভালো থাকে এবং জন্ডিস থেকে মুক্ত হতে সাহায্য করে।

  • চর্বিহীন প্রোটিনঃ চর্বিযুক্ত প্রোটিনের বিকল্প হিসেবে কম চর্বিযুক্ত বা চর্বিবিহীন প্রোটিন গ্রহণ করলে লিভারের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।জন্ডিস থাকা অবস্থায় যদি মাংস খেতে ইচ্ছে করে তাহলে অবশ্যই চর্বিহীন মাংস খেতে হবে। যেমন চামড়া বিহীন মুরগির মাংস খেতে পারেন, মাছও খাওয়া যেতে পারে, ডিমের কুসুম বাদ দিয়ে খেতে পারেন, মাখন তোলা কম চর্বিযুক্ত দুধ খাওয়া যেতে পারেন।
  • বাদাম ও শুঁটিঃ বেশিরভাগ বাদাম শিম ও সুটি ভিটামিন ই, ফেনোলিক এসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এছাড়াও বাদামে থাকে স্বাস্থ্যকর চর্বি ও ফাইবার। গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে বাদাম খাওয়া লিভারের জন্য উপকারী।

জন্ডিস হলে কি কি খাওয়া উচিত নয়?

বেশ কিছু খাদ্য ও পানিও লিভারের ক্ষতি করে। আর লিভারের যদি ক্ষতি হয় তাহলে জন্ডিস সেরে উঠতে পারে না বা আরো মারাত্মক হয়ে যায়। আর সে জন্যই ওষুধের সাথে সাথে কিছু খাদ্য ভাষা পরিবর্তন করতে হবে জন্ডিসের সময়। যে খাবারগুলো জন্ডিস বৃদ্ধিতে সহায়তা করে সেসব খাবারগুলো পরিহার করতে হবে। চলুন জেনে নেয়া যাক, জন্ডিস হলে কি কি খাওয়া উচিত নয়-
  • মদ্যপানঃ অ্যালকোহল বা মদ সকল সময় আমাদের লিভারের জন্য ক্ষতিকর। অত্যাধিক মধ্যপানের ফলে লিভারের প্রধান সৃষ্টি খতে পারে, লিভারের কার্যকারিতা হ্রাস পেতে পারে। এর ফলে ফাইব্রোসিস(Fibrosis) হতে পারে।জন্ডিস বা লিভারের অন্য কোন রোগে আক্রান্ত হলে অবশ্যই অ্যালকোহল পান বন্ধ করতে হবে।
  • পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেটঃ মিষ্টি, সোডা বা ঠান্ডা পানীয়, কেক, পাস্তা ইত্যাদিতে উচ্চমাত্রায় চিনি থাকে এগুলি লিভারের কার্যকারিতা নষ্ট করে দেয়। তাই চিনি অত্যন্ত কম পরিমাণে খেতে হবে।
  • স্যাচুরেটেড এবং ট্রান্স ফ্যাটঃ তেলে ভাঁজা ও ফাস্ট ফুডে উচ্চমাত্রায় স্যাচুরেটেড এবং ট্রান্স ফ্যাট থাকে যা হজম করা যথেষ্ট কঠিন। দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য বিশেষ করে পনির,দই, তাদের মধ্যেওস্যাচুরেটেড এবং ট্রান্স ফ্যাট থাকে। জন্ডিস হলে লিভার এই সকল ফ্যাট গ্রহণ করতে পারেনা যার কারণে লিভারের উপর চাপ পড়ে। আর তাই জন্ডিস থেকে সুস্থ থাকতে হলে ফ্যাট জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে।

  • প্যাকেটজাত খাদ্যঃ প্যাকেটজাত খাদ্যে বিশেষ করে মাংস এবং শাকসবজিতে উচ্চমাত্রায় প্রিজারভেটিভ থাকে। এছাড়াও প্যাকেটজাত খাদ্যে লবণের পরিমাণও বেশি থাকে যা লিভারের উপর চাপ সৃষ্টি করে এবং হজম ও বিপাককে কঠিন করে তোলে।আর তাই প্যাকেটজাত খাদ্য বর্জন করা ভালো।
  • মাংসঃ এমন কিছু মাংস রয়েছে যা খাবারের পর হজম করতে অসুবিধা হয় বিশেষ করে পাঠা, গরু এবং শুকরের মাংসে উচ্চমাত্রায় এমাইনো এসিড এবং চর্বি থাকে। এই ধরনের মাংস হজম করা কঠিন। আর তাই লেভার সুস্থ ও জন্ডিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে চাইলে অবশ্যই এ ধরনের মাংস ত্যাগ করতে হবে। তবে গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে কম চর্বিযুক্ত মাংস যেমন হাঁস, মুরগি টার্কি ইত্যাদির মাংস লিভারের পক্ষে ভালো।
  • কম তাপে রান্না করা মাংস মাছ বা ডিম খাওয়া যাবেনা।

জন্ডিস নিরাময় ঘরোয়া উপায়

খাদ্যজনিত রোগ থেকে নিজেকে রক্ষা করা। খাদ্যজনিত অসুস্থতা থেকে লিভারে চাপ পড়ে তাই এই ব্যাপারে সাবধান হতে হবে।মূলত লিভার বা যকৃতের গোলযোগের জন্যই জন্ডিসের সৃষ্টি হয়। আমাদের শরীরে যখন বিলিরুবিনের মাত্রা অনেকখানি বেড়ে যায়, তখন আমাদের শরীরের গায়ের রং বা চোখের যে সাদা অংশ কিংবা বলতে পারেন প্রস্রাবও ভীষণ ভাবি হলুদ হয়ে যায়। 

জন্ডিস সাধারণত হয় অবিশুদ্ধতা, কৃমি রোগ অথবা অসংজমি খাবার খাওয়ার ফলেও। এখন অনেকেই চিন্তিত থাকেন যে জন্ডিস হলে আমাদের করণীয় কি। এর কি আদৌ কোন ঘরোয়া উপায় আছে। তো চলুন জেনে নেয়া যাক জন্ডিস নিরাময় ঘরোয়া উপায়-

প্রথমেই বলে রাখি জন্ডিস দেখা গেলে সর্বপ্রথম আপনারা ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ পত্র খাবেন। আর এই ওষুধের পাশাপাশি নিমের ঘরোয়া উপায়টি অবলম্বন করতে পারেন এতে করে জন্ডিস দ্রুত সুস্থ হবে এবং আপনি ভালো ফল পাবেন।

কুলের রস, নিমগুলঞ্চের রস, কলমি শাকের রস দুই চামুচ করে এবং এক চামচ কাঁচা হলুদের রস আরেক চামচ হেলেঞ্চার রস এই সবগুলো মিশিয়ে আপনারা জোরে খালি পেটে তিন সপ্তাহ খেতে পারেন তাহলে কিন্তু বেশ ভালো উপকার ও ফলাফল পাবেন।
 
এরপরে যখন আপনাদের জন্ডিস ভালো হয়ে যাবে বা সেরে যাবে তখন একটু কাঁচা হলুদের রস এবং তার সাথে একটু মধু মিশিয়ে মাসখানেক খেতে পারলে নতুন করে জন্ডিস হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যাবে এবং আপনি সুস্থ থাকবেন।

জন্ডিস প্রতিরোধ করনীয়

  • হেপাটাইটিস বি টিকা গ্রহনঃ আসলে জন্ডিস কোন রোগ নয় এটি একটি রোগের লক্ষণ। মূলত এটি হেপাটাইটিস বি রোগেরই একটি লক্ষণ। হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের কারণে এবং শরীরে বিলেরুবিনের মাত্রা বেড়ে গেলে জন্ডিস দেখা যায়। আর সে জন্যই হেপাটাইটিস বি এর টিকা নিলে জন্ডিস এর ঝুঁকি থেকে মুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
  • পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাঃ জন্ডিস হলে লিভারের সাথে সাথে শরীরের ক্ষমতা কমে যায় যার ফলে জন্ডিস ছাড়াও নানা ধরনের রোগ ছড়াতে পারে। আর সে জন্যই যথাসম্ভব পরিচয় পরিছন্ন থাকতে হবে। যেমন,পানি পরিষ্কার করা, নিয়মিত হাত ধোয়া, স্বচ্ছ ও নিরাপদ খাবার প্রবেশ করা জন্য শুচিতে মন্ত্রণা মেনে চলা উচিত।
  • অতিরিক্ত সাবধানতাঃ যখন হোমিওপ্যাথিক পরীক্ষার পরে অন্য মাধ্যমে পরীক্ষা করা হয়, তখন পরীক্ষার প্রতিটি সরঞ্জাম এবং সরঞ্জামের ব্যবহারে অতিরিক্ত সাবধানতা অবশ্যই অবলম্বন করতে হবে। সরঞ্জামগুলো যেন অবশ্যই জীবাণুমুক্ত থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
  • বিশ্রামঃঅসুস্থ ব্যক্তিদের পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রামে থাকতে হবে।
  • জন্ডিসের চিকিৎসাঃ অসুস্থ ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য লক্ষণ প্রকাশের পরপরই ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে যখন।কোনও ব্যক্তি জন্ডিসে আক্রান্ত হয়, তখন তাকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের চিকিৎসা দেওয়া উচিত। সেই সাথে যত দ্রুত সম্ভব জন্ডিস রোগটি মারাত্মক হওয়ার পূর্বে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়ার অনুরোধ থাকলো।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বিপ্লব আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রত্যেকটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url