বরিশাল বিভাগের জেলা সমূহ
দেশের অন্যতম সুন্দর বিভাগ হচ্ছে রংপুর বিভাগ। এই আর্টিকেলটিতে রংপুর বিভাগের জেলা সমূহ ও এর ইতিহাস সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। চলুন জেনে নেয়া যাক রংপুর বিভাগ সম্পর্কে।
বরগুনা সদর
আমতলী
পাথরঘাটা
বেতাগী
বামনা
তালতলী
নিম্নলিখিত বিশ্ববিদ্যালয়ের লিঙ্ক:
এছাড়া বেশ কিছু দর্শনীয় ও চোখজুড়ানো স্থান রয়েছে বরিশাল বিভাগে। তার মধ্যে উজিরপুরের গুঠিয়া বাইতুল আমান জামে মসজিদ কমপ্লেক্স, বরিশাল সদর রোডের বিবির পুকুর, বরিশাল-পটুয়াখালী সড়কের পায়রা ও দপদপিয়া শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত সেতু, বঙ্গবন্ধু উদ্যান (বেলস পার্ক),
পর্যটন এলাগুলোর মধ্যে রয়েছে- পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত, ভোলার চর কুকরী মুকরী, তাড়ুয়া দ্বীপ, জ্যাকব টাওয়ার ও দ্বীপ উপজেলা মনপুরা, রাঙাবালি সোনারচর, বরগুনার শুভসন্ধ্যা সমুদ্র সৈকত প্রভৃতি।
বর্তমানে বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল হচ্ছে বরিশাল। পায়রা সমূদ্রবন্দর, তাপ বিদ্যূৎ কেন্দ্র, পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় দ্রুত পাল্টে যাচ্ছে এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক দৃশ্যপট।
বরিশাল অঞ্চলের প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখে কবি জীবনানন্দের ভাষায় বলতেই হয়- আবার আসিব ফিরে, ধান সিড়িটির তীরে…. এই বাংলায়।
উল্লেখযোগ্য শহরঃ- সন্ধ্যা নদীতীরে গুরুত্বপূর্ন শহরগুলোর মধ্যে শিকারপুর, উজিরপুর, বানারীপাড়া স্বরুপকাঠী, ইন্দেরহাট, মিয়ারহাট ও কাউখালী উল্লেখযোগ্য।
কীর্তনখোলা নদীর শুরু হয়েছে বরিশাল জেলার শায়েস্তাবাদ হতে। গজালিয়ার কাছে গিয়ে এটি পতিত হয়েছে গাবখান খালে। কীর্তনখোলা মূলত আড়িয়াল খাঁ নদের একটি শাখা। আড়িয়াল খাঁর উৎপত্তি পদ্মা থেকে। বরিশাল ঘেঁষে কীর্তনখোলা নদী পশ্চিমে এগিয়ে নলছিটি থানার পাশ দিয়ে বয়ে গেছে। সেই সঙ্গে পরিচিতি পেয়েছে নাম।
ভুমিকাঃ
রংপুর হলো বাংলাদেশের আটটি বিভাগের মধ্যে অন্যতম একটি বিভাগ। এই বিভাগ রয়েছে নিজস্ব সংস্কৃতি ঐতিহ্য এবং ইতিহাস।প্রাচ্যের ভেনিস নামে পরিচিত বরিশাল। একটি অন্যতম সুন্দর শহর। কীর্তনখোলা নদীর তীরে অবস্থিত এই শহরের পুরাতন নাম চন্দ্রদ্বীপ।
দেশের খাদ্যশস্য উৎপাদনের একটি মূল উৎস এই বৃহত্তর বরিশাল। বরিশালে একটি নদীবন্দর রয়েছে যেটি দেশের অন্যতম প্রাচীন, দ্বিতীয় বৃহত্তম ও গুরুত্বপূর্ণ একটি নদীবন্দর।
বরিশাল বিভাগের জেলা সমূহ
বরিশাল বিভাগে ৬ জেলা এবং ৪২ টি উপজেলা রয়েছে।জেলাগুলোর নাম হলঃ বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা , পিরোজপুর, বরগুনা ও ঝালকাঠি।বরিশাল জেলায় কয়টি উপজেলা রয়েছে
বরিশাল জেলা ৩০ ওয়ার্ডবিশিষ্ট ১টি সিটি কর্পোরেশন, ১০টি উপজেলা, ১৪টি থানা, ৬টি পৌরসভা, ৮৭টি ইউনিয়ন ও ৬টি সংসদীয় আসন নিয়ে গঠিত। উপজেলা সমূহের নাম হলঃ- বরিশাল সদর
- আগৈলঝারা
- বাকেরগঞ্জ
- বাবুগঞ্জ
- বনারীপাড়া
- গৌরনদী
- মেহেন্দিগঞ্জ
- মুলাদী
- উজিরপুর
পটুয়াখালী জেলায় কয়টি উপজেলা রয়েছে
পটুয়াখালী জেলা ৮টি উপজেলা, ৯টি থানা, ৫টি পৌরসভা, ৭৬টি ইউনিয়ন ও ৪টি সংসদীয় আসন নিয়ে গঠিত।উপজেলা গুলোর নাম হলঃ- পটুয়াখালী সদর
- বাউফল
- দশমিনা
- গলাচিপা
- কলাপাড়া
- মির্জাগঞ্জ
- দুমকি
- রাঙ্গাবালী।
ভোলা জেলায় কয়টি উপজেলা রয়েছে
ভোলা জেলায় ৭টি উপজেলা রয়েছে। উপজেলাগুলোর নাম হলঃ- ভোলা সদর
- তজমুদ্দীন
- দৌলতখান
- বোরহান উদ্দিন
- মনপুরা
- লালমোহন
- চরফ্যাশন
পিরোজপুর জেলায় কয়টি উপজেলা রয়েছে
৭টি উপজেলার ৬৪৫টি গ্রাম নিয়ে পিরোজপুর জেলা গঠিত হয়। উপজেলাগুলো হচ্ছে- পিরোজপুর সদর
- ভাণ্ডারিয়া
- কাউখালী
- মঠবাড়িয়া
- নাজিরপুর
- নেছারাবাদ
- ও ইন্দুরকানী।
বরগুনা জেলার কয়টি উপজেলা রয়েছে
বরগুনা জেলায় ছয়টি উপজেলা রয়েছে।উপজেলাগুলোর নাম হলঃবরগুনা সদর
আমতলী
পাথরঘাটা
বেতাগী
বামনা
তালতলী
ঝালকাঠি জেলায় কয়টি উপজেলা রয়েছে।
ঝালকাঠি জেলা ৪টি চারটি উপজেলা রয়েছে। উপজেলা গুলোর নাম হলঃ- ঝালকাঠি সদর
- কাঠালিয়া
- নলছিটি
- রাজাপুর
বরিশাল বিভাগের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কয়টি
বরিশাল বিভাগে দুটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।2020 সালে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ছাত্র তালিকাভুক্তির জন্য ক্লাস্টার পদ্ধতি চালু করেছে। এই ব্যবস্থা অনুযায়ী বাংলাদেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে পাঁচটি ক্লাস্টারে সাজাতে হবে। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি; একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির জন্য, একটি ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়গুলির জন্য, একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়গুলির জন্য এবং শেষটি সাধারণ স্টাডিজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলির জন্য।নিম্নলিখিত বিশ্ববিদ্যালয়ের লিঙ্ক:
- বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়: https://bu.ac.bd/
- পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়: https://www.pstu.ac.bd/
বরিশাল বিভাগের ইতিহাস ও ঐতিহ্য
‘ধান- নদী-খাল এই তিনে বরিশাল' । জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ভাষায় ‘প্রাচ্যের ভ্যানিস’ খ্যাত এই স্থানের পূর্ব নাম চন্দ্রদ্বীপ। তারও আগে এর নাম ছিল বাকলা।১৭৯৭ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা জেলার দক্ষিণাঞ্চল নিয়ে বাকেরগঞ্জ জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮০১ সালে জেলার সদর দপ্তর বাকেরগঞ্জ জেলাকে বরিশালে স্থানান্তরিত করা হয়।এরপর থেকে এই জেলাটি বরিশাল জেলা নামেই প্রতিষ্ঠা লাভ করে। সুজলা-সুফলা-শস্য-শ্যামলা এ অঞ্চলে প্রাচীনকাল থেকেই রয়েছে অফুরন্ত ধন-সম্পদ আর সীমাহীন প্রাচুর্য।বরিশাল অঞ্চল পূর্বে ঢাকা বিভাগ ও খুলনা বিভাগ এর অন্তর্গত ছিল। ১৯৯৩ সালে ছয়টি জেলা নিয়ে গঠিত হয় বরিশাল বিভাগ।
জেলাগুলো হলো- বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, পিরোজপুর, বরগুনা ও ঝালকাঠি।শের-ই-বাংলা এ.কে ফজলুল হক, বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর, মুক্তিযুদ্ধে ৯ নম্বর সেক্টর কমান্ডার মেজর এম এ জলিল, সাংবাদিক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া, রাজনীতিবিদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত, দানবীর খান বাহদুর হেমায়েত উদ্দিন,
মহাত্মা অশ্বিনীকুমার দত্ত, রুপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশ, সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুর রহমান বিশ্বাস, সৈয়দ হাতেম আলী, কবি সুফিয়া কামাল, কবি কামিনী রায়, কবি আসাদ চৌধুরী সহ অসংখ্য উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্বের জন্ম এই বরিশালে।
এছাড়া বেশ কিছু দর্শনীয় ও চোখজুড়ানো স্থান রয়েছে বরিশাল বিভাগে। তার মধ্যে উজিরপুরের গুঠিয়া বাইতুল আমান জামে মসজিদ কমপ্লেক্স, বরিশাল সদর রোডের বিবির পুকুর, বরিশাল-পটুয়াখালী সড়কের পায়রা ও দপদপিয়া শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত সেতু, বঙ্গবন্ধু উদ্যান (বেলস পার্ক),
বিভাগীয় যাদুঘর, ব্রজমোহন কলেজ, শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, গজনীর দীঘি, সেইন্ট পিটার চার্চ, ত্রিশগোডাউন নীদর পাড়, মাধবপাশা দুর্গাসাগর দিঘি, উজিরপুরের সাতলার বিল, বাবুগঞ্জের লাকুটিয়া জমিদার বাড়ি,
স্বরূপকাঠি আটঘর কুরিয়ানার ভাসমান পেয়ারার বাজার, বরিশালের চরমোনাই, পিরোজপুরের শর্ষীনা, ঝালকাঠির নেছারাবাদ, বরগুনা বেতাগির মোকামিয়া, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের ইয়ারউদ্দিন খলিফা দরবার ইত্যাদি।
পর্যটন এলাগুলোর মধ্যে রয়েছে- পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত, ভোলার চর কুকরী মুকরী, তাড়ুয়া দ্বীপ, জ্যাকব টাওয়ার ও দ্বীপ উপজেলা মনপুরা, রাঙাবালি সোনারচর, বরগুনার শুভসন্ধ্যা সমুদ্র সৈকত প্রভৃতি।
বর্তমানে বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল হচ্ছে বরিশাল। পায়রা সমূদ্রবন্দর, তাপ বিদ্যূৎ কেন্দ্র, পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় দ্রুত পাল্টে যাচ্ছে এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক দৃশ্যপট।
বরিশাল অঞ্চলের প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখে কবি জীবনানন্দের ভাষায় বলতেই হয়- আবার আসিব ফিরে, ধান সিড়িটির তীরে…. এই বাংলায়।
বরিশাল বিভাগের দর্শনীয় স্থান
মোট ৬টি জেলা নিয়ে গঠিত বরিশাল বিভাগ বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত একটি প্রশাসনিক বিভাগ। নদ নদীতে ভরপুর এই বিভাগে রয়েছে বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান, ঐতিহাসিক স্থান ও স্থাপনা সহ বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্র।আপনি যদি কৌতূহলী হন, আপনাদের বরিশালের কিছু দর্শনীয় স্থান, যেখান থেকে আপনি ভ্রমণ করে আসতে পারেন,সেইসব স্থানের নাম উল্লেখ করব। চলুন জেনে নেওয়া যাক বরিশালের বিখ্যাত দর্শনের স্থানগুলো কি কি
- শাপলা গ্রাম সাতলা
- দুর্গাসাগর দিঘী
- গুটিয়া মসজিদ
- শেরে বাংলা স্মৃতি জাদুঘর
- শংকর মঠ
- বঙ্গবন্ধু উদ্যান বেলস পার্ক
- বিবির পুকুর
- মিয়াবাড়ি জামে মসজিদ
- অক্সফোর্ড মিশন
- লাকুটিয়া জমিদার বাড়ি
- ভাসমান পেয়ারা বাজার
- বাইতুল আমান জামে মসজিদ
- বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়
- বরিশাল নদী বন্দর
- শ্বেতপদ্ম পুকুর
বরিশাল বিভাগের নামকরন
বরিশাল জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের বরিশাল বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। ১৭৯৭ সালে বাকেরগঞ্জ নামে প্রতিষ্ঠিত হয়। বরিশাল বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি নদীবন্দর। কিংবদন্তি অনুসারে, পূর্বে এখানে খুব বড় বড় শাল গাছ জন্মাতো বলে এলাকার কারণ বরিশাল করা হয়।আবার, পর্তুগীজ বেরি ও শেলির প্রেমকাহিনীর জন্য বরিশাল নামকরণ করা হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। এখানে ঢাকার নবাবদের বড় বড় লবণের গোলা ও চৌকি ছিল। ইংরেজ ও পর্তুগীজ বণিকরা বড় বড় লবণের চৌকিকে 'বরিসল্ট' বলতো। এ শব্দটি পরিবর্তিত হয়ে বরিশাল নামের উৎপত্তি হয়েছে।
নদী মাতৃক দেশ আমাদের বাংলাদেশ। নদী মাতৃক বাংলাদেশে ছোট-বড় অনেক নদী রয়েছে, তার মধ্যে সন্ধ্যা নদী অন্যতম। বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার আড়িয়াল খাঁ থেকে বেরিয়ে পিরোজপুর জেলার কাউখালী উপজেলার কাঁচা নদীতে পড়েছে।
বরিশাল বিভাগের পূর্ব নাম কি
প্রাকৃতিক কারণে বরিশাল অঞ্চল চন্দ্রকলার মত রাজনীতি ঘটতো অথবা চাঁদের মত আকৃতি ছিল বলে নাম হয় চন্দ্রদ্বীপ। গোটা বরিশাল বিভাগের সব জেলার( যেমন পিরোজপুর, ঝালকাঠি , পটুয়াখালী) নাম ছিল চন্দ্রদ্বীপ আর বাঁকলা। ব্রিটিশ আমলে এর নাম ছিল বাকেরগঞ্জ। এটি ১৭৯৭ সালে বাকেরগঞ্জ নামে প্রতিষ্ঠিত হয়।বরিশাল বিভাগের নদী কয়টি
নদী মাতৃক দেশ আমাদের বাংলাদেশ। নদী মাতৃক বাংলাদেশে ছোট-বড় অনেক নদী রয়েছে, তার মধ্যে সন্ধ্যা নদী অন্যতম। বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার আড়িয়াল খাঁ থেকে বেরিয়ে পিরোজপুর জেলার কাউখালী উপজেলার কাঁচা নদীতে পড়েছে।
বরিশাল বিভাগের উল্লেখযোগ্য নদীসমূহ হচ্ছে- কীর্তনখোলা, মেঘনা, তেতুলিয়া, আড়িয়াল খাঁ, ধানসিঁড়ি, সন্ধ্যা-সুগন্ধ্যা, পায়রা, বলেশ্বর, বিষখালী প্রভৃতি। এসব নদ-নদী বরিশাল বিভাগকে জালের মতো বিস্তৃত করে রেখেছে। নিম্নে কতিপয় নদীর বর্ণনা দেওয়া হলঃ
সন্ধ্যা নদী
নামকরণঃ- অতীতে সুগন্ধা বা সুন্দা নদী পোনাবালিয়া, নলছিটিয়ার কাছ দিয়ে প্রবাহিত বলে কথিত হয়। আর এর কারনেই এর কাছে সুন্দারকুল বা সুন্দার তীর নামে একটি গ্রামের নাম থেকে এই নামকরণ করা হয়েছে।
নামকরণঃ- অতীতে সুগন্ধা বা সুন্দা নদী পোনাবালিয়া, নলছিটিয়ার কাছ দিয়ে প্রবাহিত বলে কথিত হয়। আর এর কারনেই এর কাছে সুন্দারকুল বা সুন্দার তীর নামে একটি গ্রামের নাম থেকে এই নামকরণ করা হয়েছে।
উল্লেখযোগ্য শহরঃ- সন্ধ্যা নদীতীরে গুরুত্বপূর্ন শহরগুলোর মধ্যে শিকারপুর, উজিরপুর, বানারীপাড়া স্বরুপকাঠী, ইন্দেরহাট, মিয়ারহাট ও কাউখালী উল্লেখযোগ্য।
খ্যাতিঃ- সন্ধ্যা ইলিশের জন্য খ্যাত। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সব অঞ্চলের সঙ্গে দক্ষিণের মানুষের যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে সন্ধ্যা পালন করে অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা।
দৈর্ঘ্য ও প্রস্থঃ- সন্ধ্যা নদীর দৈর্ঘ্য ৪৫কিমি। প্রস্থ এক কিমি। নদীর গভীরতা ২১ মিটার এবং নদীর অববাহিকার আয়তন ১০৬ বর্গকিমি।
গভীরতাঃ- নদীটি বারমাসি প্রকৃতির। নভেম্বর-ডিসেম্বরে গভীরতা সর্বনিন্ম নেমে যায়। তখন এর গভীরতা দাঁড়ায় ১০ মিটার। জুলাই-আগস্ট মাসে পানির উচ্চতা বেড়ে গেলে পানির গভীরতা দাঁড়ায় ২১ মিটার।
জোয়ার-ভাটাঃ- এই নদীর পানিতে জোয়ার-ভাটার প্রভাব আছে। সাধারণত এই নদীতে বন্যা হয়।
জোয়ার-ভাটাঃ- এই নদীর পানিতে জোয়ার-ভাটার প্রভাব আছে। সাধারণত এই নদীতে বন্যা হয়।
কীর্তনখোলা
কীর্তনখোলা নদী বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বরিশাল এবং ঝালকাঠি জেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ১৬০ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৪৯৭ মিটার এবং প্রকৃতি সর্পিলাকার। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা "পাউবো" কর্তৃক কীর্তনখোলা নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের নদী নং ২১। এই নদীর তীরে বরিশাল শহর অবস্থিত।
কীর্তনখোলা নদী বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বরিশাল এবং ঝালকাঠি জেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ১৬০ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৪৯৭ মিটার এবং প্রকৃতি সর্পিলাকার। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা "পাউবো" কর্তৃক কীর্তনখোলা নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের নদী নং ২১। এই নদীর তীরে বরিশাল শহর অবস্থিত।
কীর্তনখোলা নদীর শুরু হয়েছে বরিশাল জেলার শায়েস্তাবাদ হতে। গজালিয়ার কাছে গিয়ে এটি পতিত হয়েছে গাবখান খালে। কীর্তনখোলা মূলত আড়িয়াল খাঁ নদের একটি শাখা। আড়িয়াল খাঁর উৎপত্তি পদ্মা থেকে। বরিশাল ঘেঁষে কীর্তনখোলা নদী পশ্চিমে এগিয়ে নলছিটি থানার পাশ দিয়ে বয়ে গেছে। সেই সঙ্গে পরিচিতি পেয়েছে নাম।
একটি অংশ ধানসিড়ি নাম নিয়ে কচা নদীতে গিয়ে মিশেছে। অপর অংশ মিলেছে বিষখালী নদীতে।
শায়েস্তাবাদ হতে নলছিটি অবধি নদীর দৈর্ঘ্য প্রায় ২১ কিলোমিটার। এ জায়গায় নদীটির প্রস্থ প্রায় আধা কিলোমিটার। ব্রিটিশ আমলে এটি আরো বেশি প্রমত্তা ছিলো, সেসময়ে এর প্রস্থ ছিলো ১ কিলোমিটারের মতো।
গত ১ শতাব্দী ধরে চর পড়ে কীর্তনখোলার প্রস্থ কমে গেছে। এর পাশাপাশি পলি পড়ে নদীটির নাব্যতাও হ্রাস পেয়েছে।কীর্তনখোলা নদীর তীরে বরিশাল নৌ বন্দর অবস্থিত, যা বাংলাদেশের ২য় বৃহত্তম নদী-বন্দর।স্থানীয়ভাবে নদীর নামকরণ নিয়ে দু/তিনটি বক্তব্য শোনা যায়। নদীর পার ঘেঁষেই শহরের সবচেয়ে পুরনো হাট রয়েছে।
প্রচলিত রয়েছে, সেখানে কীর্তনের উৎসব হতো। সেই থেকে এই নদীর নাম হয়েছে কীর্তনখোলা। কেউ কেউ হাটখোলায় স্থায়ীভাবে কীর্তনের দল বসবাস করার কারণে এর নাম কীর্তনখোলা হয়েছে বলে মনে করেন। তবে নদীর নামকরণের সঙ্গে কীর্তনের কিংবা কীর্তনীয়দের যে একটা সম্পর্ক রয়েছে তা নিশ্চিত।
কৃষ্ণলীলার কাহিনী নিয়ে কীর্তনীয়রা গানে মেতে থাকতেন। কৃষ্ণ রাধাকে নিয়ে যমুনা নদীতে লীলায় মেতে উঠতেন। বরিশালে যমুনা না থাকলেও কীর্তনখোলা নদীই যেন রাধা-কৃষ্ণের অমর প্রেমের গাথা হয়ে আছে।
বরিশালের বিখ্যাত খাবার
বরিশাল বলতে বরিশাল বিভাগকে বোঝানো হয়েছে। বরিশাল বিভাগ এর অধীনে যে সব জেলা রয়েছে সে গুলোর বিখ্যাত খাবার নাম-- বরগুনা জেলার বিখ্যাত- চুইয়া পিঠা, চ্যাবা পিঠা, মুইট্টা পিঠা, আল্লান, বিসকি।
- বরিশাল জেলার বিখ্যাত- আমড়া।
- ঝালকাঠি জেলার বিখ্যাত- লবন, আটা।
- পিরোজপুর জেলার বিখ্যাত- পেয়ারা, নারিকেল, সুপারি, আমড়া।
- পটুয়াখালী জেলার বিখ্যাত- মহিষের দই।
- ভোলা জেলার বিখ্যাত- নারিকেল, মহিষের দুধের দই।
বরিশালের লোকসংস্কৃতি ও ঐতিহ্য
এ জেলায় ভাটিয়ালী, রাখালী, মারফতী, জারি, সারি, মুর্শিদী, পুঁথিগান, ধাঁধাঁ, প্রবাদ, খনার বচন, লোককাহিনী, পালাগান, কবিয়ালী গান ইত্যাদির প্রচলন রয়েছে। এছাড়া এ জেলায় যাত্রাপালা ও নাট্যচর্চা লক্ষ্য করা যায়।বরিশাল জেলা কেন বিখ্যাত
বরিশাল জেলা আমড়া এর জন্য বিখ্যাত। দেশের খাদ্যশস্য উৎপাদনের একটি মূল উৎস এই বরিশাল। তাছাড়া বরিশালকে বাংলার ভেনিস বলা হয়।লেখক এর মন্তব্যঃ
প্রিয় পাঠক উপরোক্ত আর্টিকেলটিতে বরিশাল বিভাগের সম্পর্কে তথ্য উপস্থাপনের চেষ্টা করেছি। এই বিভাগে কতটি জেলা আছে কতটি উপজেলা রয়েছে সেই সাথে জেলার ইতিহাস সংস্কৃতি ঐতিহ্য সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আশাকরি পোস্ট করেও উপকৃত হয়েছেন কারণ একজন দেশের নাগরিক হিসেবে দেশের প্রত্যেকটি বিভাগ সম্পর্কে জানা জরুরি। আবার এ ধরনের বিষয়বলি সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের ভর্তি পরীক্ষা কিংবা চাকরি পরীক্ষা তেও প্রশ্ন এসে থাকে। সুতরাং আশা করি পোস্টটি আপনার কাজে দেবে। যদি পোস্টটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই এটি আপনার বন্ধুবান্ধব আত্মীয়-স্বজন কিংবা প্রতিবেশীদের মাঝে শেয়ার করতে পারেন। যাতে করে তারা বরিশাল বিভাগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারে।
আর এই বিষয়ে সম্পর্কে কোন মতামত, প্রশ্ন কিংবা পরামর্শ থাকে তাহলে তো অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানিয়ে যাবেন। আর এ ধরনের আরো অন্যান্য বিভাগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটিতে নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন। পরিশেষে পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
বিপ্লব আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রত্যেকটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url