খুলনা বিভাগের জেলাসমুহ
বাংলাদেশের অন্যতম একটি বিভাগ হচ্ছে খুলনা বিভাগ। দেশের সচেতন নাগরিক হিসেবে আমাদের খুলনা বিভাগ সম্পর্কে জানতে হবে। চলুন জেনে নেয়া যাক খুলনা বিভাগের জেলা সমূহ কি কি ও এর ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে।
২০২০ সালে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন শিক্ষার্থীদের তালিকাভুক্তির জন্য ক্লাস্টার ব্যবস্থা চালু করেছে। এই ব্যবস্থা অনুযায়ী বাংলাদেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে পাঁচটি ক্লাস্টারে সাজাতে হবে।
নিম্নলিখিত বিশ্ববিদ্যালয়ের লিঙ্ক:
মূলত কৃষির পাশাপাশি শিল্প নির্ভর অর্থনীতি গড়ে উঠেছে এখানে। এখানে রয়েছে সাদা সোনা খ্যাত চিংড়ি মাছ উৎপাদন কেন্দ্র, জুট মিল, লবণ ফ্যাক্টরি, বাংলাদেশের বাসমতী 'বাংলামতি' ধান উৎপাদন প্রভৃতি।
জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৩৪.৯০%, অকৃষি শ্রমিক ৬.২২%, শিল্প ৩.৫১%, ব্যবসা ১৯.৬০%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ৫.১৭%, চাকরি ১৮.২৭%, নির্মাণ ১.৯৯%, ধর্মীয় সেবা ০.২১%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.৭৮% এবং অন্যান্য ৯.৩৫%।
এছাড়াও আরো উল্লেখযোগ্য ব্যক্তির মধ্যে রয়েছেন খান জাহান আলী, কবি কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার, চিত্রনায়িকা মৌসুমী, চিত্রনায়িকা পপি, ক্রিকেটার আব্দুর রাজ্জাক, মেহেদী হাসান মিরাজ ক্রিকেটার।
তবে বহুল প্রচলিত মতানুসারে জানা যায়- ধনপতি সওদাগরের দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম ছিল খুলনা। শহর থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে ভৈরব নদীর তীরে,ধনপতি সওদাগর তার স্ত্রী খুলনার নামে, ‘খুলনেশ্বরী দেবী মন্দির' নির্মান করেন। সেই নির্মিত খুলনেশ্বরী মন্দিরের দেবীর নামানুসারে,খুলনা অঞ্চলের নামকরণ করা হয়েছে।
আবার অনেকে মনে করেন- ১৭৬৬ সালে ‘ফলমাউথ' জাহাজের নাবিকদের, উদ্ধারকৃত রেকর্ডে লিখিত, Culnea শব্দ থেকে খুলনার নাম রাখা হয়।
অনেকে আবার এমনও ধারণা করেণ: বৃটিশ আমলের মানচিত্রে লিখিত,Jessore-Culna শব্দ থেকে অঞ্চলটির নাম,খুলনা হয়েছে।
আবার অনেক বিজ্ঞজনেরা মনে করেন ‘কিসমত খুলনা' মৌজা থেকে, খুলনা নামের উৎপত্তি হয়েছে।
আবার কেউ কেউ ধারণা করেন, খুলনা শহর যেখানে, সেখানে তৎসময়ে, সুন্দরবনের গভীর জঙ্গলের অংশ ছিল। এই অঞ্চলের পাশ দিয়ে বয়ে যেত, বিশাল ভৈরব নদ। যেখানে ঝড় উঠলে ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করত। তখন মাঝিদের জীবন বাঁচাতে, ‘খুলোনা, খুলোনা’ বলে সতর্ক করে দেয়া হত। এ ‘খুলোনা’ শব্দ থেকে খুলনা নামের উৎপত্তি।
আরেকটি তত্ত্ব পাওয়া যায় যে- খুলনা নামটি এসেছে বাংলা শব্দ "খুলনা" থেকে, যার অর্থ "খোলা"। এই তত্ত্বটি, রূপসা নদীর মোহনায় জেলাটি অবস্থিত, এই সত্যের উপর ভিত্তি করে। আর রুপসা নদীটি এই সময়ে বঙ্গোপসাগরে মিশেছে, তাই এই কারণেই জেলাটির নাম খুলনা দেওয়া হতে পারে।
আবার অনেকে মনে করেন-“খুলনা” নামটি বাংলা শব্দ “কুল” থেকে এসেছে, যার অর্থ “একটি পরিবার” বা “একটি দল”। কারণ এই অঞ্চলটিতে প্রচুর সংখ্যক পরিবার এবং সম্প্রদায়ের, বসবাস ছিল। ফলে এলাকাটিকে “খুলনা” হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছিল।
উপরে উল্লেখিত মতামত গুলো হতে অনুমান করা গেল যে, আসলে খুলনা জেলার নামকরণের সঠিক মত কোনটি? তা নিশ্তভাবে বলার কোন উপায় নেই।
ইতিহাস পর্যালোচনা করে জানা যায়- খুলনার প্রাচীন জনপদের নাম ছিল সপ্তগাঁও। আর “খুলনা” নামটি প্রথম 19 শতকের গোড়ার দিকে, ব্যবহৃত হয়েছিল। যখন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এই অঞ্চলে একটি, ট্রেডিং পোস্ট স্থাপন করেছিল।
১৯৯৭ সালে সুন্দরবন ইউনেসকোর, ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্তর্ভুক্ত হয়।
১৮৪২ সালে এটি যশোর জেলার মহাকুমা হিসবে, প্রতিষ্ঠা পায়। পরবর্তীতে প্রশাসনিক সুবিধার জন্য, ১৮৮১ সালে খুলনাকে আলাদা জেলার, মর্যাদা দেওয়া হয়। এবং পরে অবকাঠামো নির্মাণ শেষে, ১৮৮২ সালে খুলনা, জেলা হিসাবে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে।
১২ ডিসেম্বর ১৮৮৪ সালে, খুলনা পৌরসভা ঘোষণা করা হয়। এবং একই সালের ১২ ডিসেম্বর, মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনে উন্নীত করা হয়। পরবর্ীতে ৬ই আগস্ট ১৯৯০ সালে, খুলনাকে সিটি কর্পোরেশন হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
আবার এ ধরনের বিষয়বলি সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের ভর্তি পরীক্ষা কিংবা চাকরি পরীক্ষা তেও প্রশ্ন এসে থাকে। সুতরাং আশা করি পোস্টটি আপনার কাজে দেবে। যদি পোস্টটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই এটি আপনার বন্ধুবান্ধব আত্মীয়-স্বজন কিংবা প্রতিবেশীদের মাঝে শেয়ার করতে পারেন। যাতে করে তারা খুলনা বিভাগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারে।
আর এই বিষয়ে সম্পর্কে কোন মতামত, প্রশ্ন কিংবা পরামর্শ থাকে তাহলে তো অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানিয়ে যাবেন। আর এ ধরনের আরো অন্যান্য বিভাগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটিতে নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন। পরিশেষে পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভূমিকা
খুলনা, বাংলাদেশের দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলে খুলনা বিভাগের দশটি জেলার বিভাগীয় সদর দপ্তর। এটি খুলনা বিভাগের কেন্দ্রীয় শহর। ঢাকা ও চট্টগ্রাম নগরের পরে এটি বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম নগর। এটি বাংলাদেশের বিভাগীয় শহরগুলার মধ্যে অন্যতম। খুলনা বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে রূপসা, ভৈরব এবং ময়ুর নদী বেষ্টিত নগর।বাংলাদেশের প্রাচীনতম এবং ব্যস্ততম নদী বন্দরগুলোর মধ্যে খুলনা অন্যতম। খুলনা বাংলাদেশের অন্যতম শিল্প ও বাণিজ্যিক এলাকা হওয়ায় খুলনাকে শিল্প নগরী হিসেবে ডাকা হয়। খুলনা শহর থেকে ৪৮ কি.মি. দূরে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সমুদ্র বন্দর মংলা সমুদ্র বন্দর অবস্থিত বিধায় খুলনাকে চট্টগ্রামের পর ২য় বৃহত্তম বন্দর নগরীও বলা হয়ে থাকে।
ইউনেস্কো স্বীকৃতি প্রাপ্ত পৃথিবীর সর্ব বৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন - Sundarban খুলনা জেলার দক্ষিণাংশে অবস্থিত।ঐতিহাসিক ঘটনা প্রায় ৬০০ বছর আগে পীর খানজাহান এই জেলায় এসেছিলেন ধর্ম প্রচারের জন্য। তিনি প্রথমে সুন্দরবন এলাকা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তার বসতি স্থাপন করেন এবং বাগেরহাটের আশেপাশের এলাকায় তার শাসন প্রতিষ্ঠা করেন।
স্বদেশী আন্দোলনের প্রচারের জন্য মহাত্মা গান্ধী ১৯২৬ সালে খালিশপুরে আসেন।
খুলনা,বাগেরহাট,সাতক্ষীরা,যশোর,মেহেরপুর,নড়াইল,চুয়াডাঙ্গা,কুষ্টিয়া,ঝিনাইদহ ও মাগুরা।
খুলনা বিভাগের জেলাসমুহ
খুলনা বিভাগে ১০ টি জেলা এবং ৫৯ উপজেলা রয়েছে। দশটি জেলার নাম গুলো হলঃখুলনা,বাগেরহাট,সাতক্ষীরা,যশোর,মেহেরপুর,নড়াইল,চুয়াডাঙ্গা,কুষ্টিয়া,ঝিনাইদহ ও মাগুরা।
খুলনা জেলার উপজেলা সমূহ
খুলনা জেলায় ৯টি উপজেলা রয়েছে। উপজেলাগুলো হলঃ- কয়রা
- ডুমুরিয়া
- তেরখাদা
- দাকোপ
- দিঘলিয়া
- পাইকগাছা
- ফুলতলা
- বাটিয়াঘাটা
- রুপসা ।
বাগেরহাট জেলার উপজেলা সমূহ
বাগেরহাট জেলার নয়টি উপজেলা রয়েছে। উপজেলা হলঃ- কচুয়া
- চিতলমারী
- ফকিরহাট
- বাগেরহাট সদর
- মোংলা
- মোড়েলগঞ্জ
- মোল্লাহাট
- রামপাল
- শরণখোলা।
সাতক্ষীরা জেলার উপজেলা সমূহ
সাতক্ষীরা জেলায় ৭টি উপজেলা রয়েছে। উপজেলা গুলো হলঃ- সাতক্ষীরা
- কলারোয়া
- কালিগঞ্জ
- আশাশুনি
- শ্যামনগর
- দেবহাটা
- তালা।
যশোর জেলায় কয়টি উপজেলা রয়েছে
যশোর জেলায় সর্বমোট ৮টি উপজেলা রয়েছে। উপজেলা গুলো হল- যশোর
- শার্শা
- মনিরামপুর
- কেশবপুর
- ঝিকরাগাছা
- চৌগাছা
- বাঘারপাড়া
- অভয়নগর
মেহেরপুর জেলায় কয়টি উপজেলা রয়েছে
মেহেরপুর জেলায় ৩টি উপজেলা রয়েছে। উপজেলাগুলো হলোঃ- মেহেরপুর সদর
- মুজিবনগর
- গাংনী
নড়াইল জেলার উপজেলা সমূহ
নড়াইল উপজেলায় তিনটি উপজেলা রয়েছে। সেগুলো হল-- নড়াইল সদর
- লোহাগড়া
- কালিয়া
চুয়াডাঙ্গা জেলার উপজেলা সমূহ
চুয়াডাঙ্গা জেলায় ৪ টি উপজেলা রয়েছে।এগুলো হলোঃ- চুয়াডাঙ্গা সদর
- আলমডাঙ্গা
- দামুড়হুদা
- জীবননগর
কুষ্টিয়া জেলার উপজেলা সমূহ
কুষ্টিয়া জেলায় ৬টি উপজেলা রয়েছেঃ এগুলো হলো- দৌলতপুর
- ভোড়ামারা
- মিরপুর
- কুষ্টিয়া সদর
- কুমারখালী
- খোকসা
ঝিনাইদহ জেলার উপজেলা কয়টি
ঝিনাইদহ জেলার উপজেলা ৬টি । উপজেলা গুলো হলঃ- ঝিনাইদহ সদর
- কালিগঞ্জ
- কোটচাঁদপুর
- মহেশপুর
- শৈল কুপা
- হরিণা কুন্ডূ
মাগুরা জেলায় কয়টি উপজেলা রয়েছে
মাগুরা জেলায় ৪ টি উপজেলা রয়েছে। উপজেলা গুলো হলঃ- মাগুরা সদর
- শ্রীপুর
- মোহাম্মদপুর
- শালীখা
খুলনা বিভাগে কয়টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে
খুলনা বিভাগে পাঁচটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।২০২০ সালে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন শিক্ষার্থীদের তালিকাভুক্তির জন্য ক্লাস্টার ব্যবস্থা চালু করেছে। এই ব্যবস্থা অনুযায়ী বাংলাদেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে পাঁচটি ক্লাস্টারে সাজাতে হবে।
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি; একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির জন্য, একটি ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়গুলির জন্য, একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়গুলির জন্য এবং শেষটি সাধারণ স্টাডিজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলির জন্য।
নিম্নলিখিত বিশ্ববিদ্যালয়ের লিঙ্ক:
- খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়: https://ku.ac.bd/
- খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়: https://www.kuet.ac.bd/
- ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ: https://www.iu.ac.bd/
- খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়: http://www.kau.edu.bd/
- যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়: https://just.edu.bd/
খুলনা জেলার অবস্থান
খুলনা জেলার অবস্থান বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলে। এই জেলার জলবায়ু নাতিষীতোষ্ণ। খুলনা জেলায় জনসংখ্যা ২৩৭৮৯৭১; পুরুষ ১২৪৪২২৬, মহিলা ১১৩৪৭৪৫। মুসলিম ১৮২১১১৯, হিন্দু ৫৪০৬৯৩, বৌদ্ধ ১৫৮১৮, খ্রিস্টান ২৮৯ এবং অন্যান্য ১০৫২।মূলত কৃষির পাশাপাশি শিল্প নির্ভর অর্থনীতি গড়ে উঠেছে এখানে। এখানে রয়েছে সাদা সোনা খ্যাত চিংড়ি মাছ উৎপাদন কেন্দ্র, জুট মিল, লবণ ফ্যাক্টরি, বাংলাদেশের বাসমতী 'বাংলামতি' ধান উৎপাদন প্রভৃতি।
জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৩৪.৯০%, অকৃষি শ্রমিক ৬.২২%, শিল্প ৩.৫১%, ব্যবসা ১৯.৬০%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ৫.১৭%, চাকরি ১৮.২৭%, নির্মাণ ১.৯৯%, ধর্মীয় সেবা ০.২১%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.৭৮% এবং অন্যান্য ৯.৩৫%।
খুলনা জেলার শিল্প ও অর্থনীতি
খুলনা দেশের অন্যতম শিল্প নগরী। খুলনাকে বলা হয় রুপালি শহর। খুলনা নগরীর হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানি শিল্পের কারণে খুলনা এই নামটি দ্বারা পরিচিত হয়েছে। যা ২০১৯-২০ অর্থ বছরের প্রথম ছয়মাসে হিমায়িত চিংড়ি বিদেশে রপ্তানি করে বাংলাদেশের আয় হয়েছিল ১ হাজার ৫১০ কোটি টাকা।
রূপসা নদী, ভৈরব নদ, ময়ুর নদী, শিবসা নদী, পশুর নদী, কপোতাক্ষ নদ ইত্যাদি।
সুন্দরবনের কোলঘেষে দক্ষিনবঙ্গের খুলনা-যশোর অঞ্চলে প্রথম নাগরিক সভ্যতার বিনির্মানকারী হযরত খান জাহান আলী ছিলেন বাংলার সুলতান জালাল উদ্দীন মাহমুদ শাহের একজন সেনাপতি। মূলত একজন সেনানায়ক এবং প্রশ্সাক হওয়া স্বত্ত্বেও তার ইসলাম প্রচারের কারনে তিনি একজন সুফি হিসেবে বর্তমানে অধিক পরিচিত।
খুলনার নদ নদী
খুলনায় রয়েছে ২৮ নদ নদী। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য নদীগুলো হচ্ছেরূপসা নদী, ভৈরব নদ, ময়ুর নদী, শিবসা নদী, পশুর নদী, কপোতাক্ষ নদ ইত্যাদি।
খুলনা জেলার বিখ্যাত ব্যাক্তি
খান জাহান আলীসুন্দরবনের কোলঘেষে দক্ষিনবঙ্গের খুলনা-যশোর অঞ্চলে প্রথম নাগরিক সভ্যতার বিনির্মানকারী হযরত খান জাহান আলী ছিলেন বাংলার সুলতান জালাল উদ্দীন মাহমুদ শাহের একজন সেনাপতি। মূলত একজন সেনানায়ক এবং প্রশ্সাক হওয়া স্বত্ত্বেও তার ইসলাম প্রচারের কারনে তিনি একজন সুফি হিসেবে বর্তমানে অধিক পরিচিত।
১৪১৮ সালে বাংলার সুলতানের আদেশে তিনি এই অঞ্চলে আসেন। বর্তমান বাগেরহাট থেকে তিনি অত্র অঞ্চল শাসন করতেন। ১৪৫৯ সালে তিনি এখানেই ইন্তেকাল করেন এবং তাকে তার নির্মিত ষাট গম্বুজ মসজিদের নিকটে দাফন করা হয়।
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ছিলেন বিখ্যাত ভারততত্ত্ববিদ ও সংস্কৃত পন্ডিত। তিনিই প্রথম নেপালের রাজদরবার থেকে বাংলা ভাষার প্রাচীনতম নিদর্শন চর্যাপদ আবিষ্কার করেন। ১৮৫৩ সালে তিনি খুলনা জেলার কুমিরায় জন্মগ্রহন করেন। ১৯২১ থেকে ১৯২৪ পর্যন্ত তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ও সংস্কৃত বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। ১৯৩১ সালে তিনি মৃত্যুবরন করেন।
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ছিলেন বিখ্যাত ভারততত্ত্ববিদ ও সংস্কৃত পন্ডিত। তিনিই প্রথম নেপালের রাজদরবার থেকে বাংলা ভাষার প্রাচীনতম নিদর্শন চর্যাপদ আবিষ্কার করেন। ১৮৫৩ সালে তিনি খুলনা জেলার কুমিরায় জন্মগ্রহন করেন। ১৯২১ থেকে ১৯২৪ পর্যন্ত তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ও সংস্কৃত বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। ১৯৩১ সালে তিনি মৃত্যুবরন করেন।
প্রফুল্ল চন্দ্র রায়
বিখ্যাত বাঙ্গালী রসায়নবিদ প্রফুল্ল চন্দ্র রায় ১৮৬১ সালে খুলনার পাইকগাছার রাড়–লি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৮৯৫ সালে তিনি মারকিউরাস নাইট্রাইট আবিষ্কার করেন। তার উদ্যোগেই বেঙ্গল কেমিক্যালস অ্যান্ড ফার্মাসেটিক্যালস প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৪৪ সালে তিনি কলকাতায় মৃত্যুবরন করেন।
কাজী ইমদাদুল হক
বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ কাজী ইমদাদুল হক ১৮৮২ সালে খুলনার গোদাইপুরে জন্মগ্রহণ করেন। কবিতা, প্রবন্ধ, উপন্যাস মিলিয়ে তার আরও অধিক রচনা থাকলেও তিনি তার বিখ্যাত উপন্যাস ‘আবদুল্লাহ’র জন্য পরিচিত। ১৯২৬ সালে তিনি কলকাতায় ইন্তেকাল করেন।
বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ কাজী ইমদাদুল হক ১৮৮২ সালে খুলনার গোদাইপুরে জন্মগ্রহণ করেন। কবিতা, প্রবন্ধ, উপন্যাস মিলিয়ে তার আরও অধিক রচনা থাকলেও তিনি তার বিখ্যাত উপন্যাস ‘আবদুল্লাহ’র জন্য পরিচিত। ১৯২৬ সালে তিনি কলকাতায় ইন্তেকাল করেন।
খান-এ-সবুর
বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ খান-ই-সবুর ১৯০৮ সালে বর্তমান বাগেরহাটের ফকিরহাটে জন্ম গ্রহন করেন। ১৯৪৭ সালে তার একক প্রচেষ্টায় বৃহত্তর খুলনা পূর্ব পাকিস্তান তথা বাংলাদেশ ভূখন্ডের সাথে যুক্ত হয়। ১৯৮২ সালে তিনি ঢাকায় ইন্তেকাল করেন।
বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ খান-ই-সবুর ১৯০৮ সালে বর্তমান বাগেরহাটের ফকিরহাটে জন্ম গ্রহন করেন। ১৯৪৭ সালে তার একক প্রচেষ্টায় বৃহত্তর খুলনা পূর্ব পাকিস্তান তথা বাংলাদেশ ভূখন্ডের সাথে যুক্ত হয়। ১৯৮২ সালে তিনি ঢাকায় ইন্তেকাল করেন।
এছাড়াও আরো উল্লেখযোগ্য ব্যক্তির মধ্যে রয়েছেন খান জাহান আলী, কবি কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার, চিত্রনায়িকা মৌসুমী, চিত্রনায়িকা পপি, ক্রিকেটার আব্দুর রাজ্জাক, মেহেদী হাসান মিরাজ ক্রিকেটার।
খুলনা জেলারশিক্ষা প্রতিষ্ঠান
উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: সরকারী বি. এল কলেজ, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় - Khulna University, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় - Kuet, খুলনা মেডিকেল কলেজ, মাদ্রাসার মধ্যে দারুল কুরআন সিদ্দিকীয়া কামিল মাদ্রাসা ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে অন্যতম।খুলনা জেলার নামকরন
খুলনা জেলার নামকরণের ইতিহাস নিয়ে অনেক মত ও জনশ্রুতি পাওয়া যায়:তবে বহুল প্রচলিত মতানুসারে জানা যায়- ধনপতি সওদাগরের দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম ছিল খুলনা। শহর থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে ভৈরব নদীর তীরে,ধনপতি সওদাগর তার স্ত্রী খুলনার নামে, ‘খুলনেশ্বরী দেবী মন্দির' নির্মান করেন। সেই নির্মিত খুলনেশ্বরী মন্দিরের দেবীর নামানুসারে,খুলনা অঞ্চলের নামকরণ করা হয়েছে।
আবার অনেকে মনে করেন- ১৭৬৬ সালে ‘ফলমাউথ' জাহাজের নাবিকদের, উদ্ধারকৃত রেকর্ডে লিখিত, Culnea শব্দ থেকে খুলনার নাম রাখা হয়।
অনেকে আবার এমনও ধারণা করেণ: বৃটিশ আমলের মানচিত্রে লিখিত,Jessore-Culna শব্দ থেকে অঞ্চলটির নাম,খুলনা হয়েছে।
আবার অনেক বিজ্ঞজনেরা মনে করেন ‘কিসমত খুলনা' মৌজা থেকে, খুলনা নামের উৎপত্তি হয়েছে।
আবার কেউ কেউ ধারণা করেন, খুলনা শহর যেখানে, সেখানে তৎসময়ে, সুন্দরবনের গভীর জঙ্গলের অংশ ছিল। এই অঞ্চলের পাশ দিয়ে বয়ে যেত, বিশাল ভৈরব নদ। যেখানে ঝড় উঠলে ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করত। তখন মাঝিদের জীবন বাঁচাতে, ‘খুলোনা, খুলোনা’ বলে সতর্ক করে দেয়া হত। এ ‘খুলোনা’ শব্দ থেকে খুলনা নামের উৎপত্তি।
আরেকটি তত্ত্ব পাওয়া যায় যে- খুলনা নামটি এসেছে বাংলা শব্দ "খুলনা" থেকে, যার অর্থ "খোলা"। এই তত্ত্বটি, রূপসা নদীর মোহনায় জেলাটি অবস্থিত, এই সত্যের উপর ভিত্তি করে। আর রুপসা নদীটি এই সময়ে বঙ্গোপসাগরে মিশেছে, তাই এই কারণেই জেলাটির নাম খুলনা দেওয়া হতে পারে।
আবার অনেকে মনে করেন-“খুলনা” নামটি বাংলা শব্দ “কুল” থেকে এসেছে, যার অর্থ “একটি পরিবার” বা “একটি দল”। কারণ এই অঞ্চলটিতে প্রচুর সংখ্যক পরিবার এবং সম্প্রদায়ের, বসবাস ছিল। ফলে এলাকাটিকে “খুলনা” হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছিল।
উপরে উল্লেখিত মতামত গুলো হতে অনুমান করা গেল যে, আসলে খুলনা জেলার নামকরণের সঠিক মত কোনটি? তা নিশ্তভাবে বলার কোন উপায় নেই।
ইতিহাস পর্যালোচনা করে জানা যায়- খুলনার প্রাচীন জনপদের নাম ছিল সপ্তগাঁও। আর “খুলনা” নামটি প্রথম 19 শতকের গোড়ার দিকে, ব্যবহৃত হয়েছিল। যখন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এই অঞ্চলে একটি, ট্রেডিং পোস্ট স্থাপন করেছিল।
১৯৯৭ সালে সুন্দরবন ইউনেসকোর, ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্তর্ভুক্ত হয়।
১৮৪২ সালে এটি যশোর জেলার মহাকুমা হিসবে, প্রতিষ্ঠা পায়। পরবর্তীতে প্রশাসনিক সুবিধার জন্য, ১৮৮১ সালে খুলনাকে আলাদা জেলার, মর্যাদা দেওয়া হয়। এবং পরে অবকাঠামো নির্মাণ শেষে, ১৮৮২ সালে খুলনা, জেলা হিসাবে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে।
১২ ডিসেম্বর ১৮৮৪ সালে, খুলনা পৌরসভা ঘোষণা করা হয়। এবং একই সালের ১২ ডিসেম্বর, মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনে উন্নীত করা হয়। পরবর্ীতে ৬ই আগস্ট ১৯৯০ সালে, খুলনাকে সিটি কর্পোরেশন হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
খুলনা জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত
খুলনা জেলাটি বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চল এর একটি জেলা, আয়তনে এ শহরটি বাংলাদেশের ৩য় বৃহত্তম শহর।এ জেলাটি প্রায় ৪৩৯৪.৪৬ বর্গ কিমি। খুলনা জেলাটির পশ্চিমে রয়েছে সাতক্ষীরা জেলা, পূর্বে অবস্থিত বাগেরহাট জেলা, দক্ষিণে অবস্থিত বঙ্গোপসাগর,এবং উত্তরে অবস্থিত যশোর ও নড়াইল জেলা।খুলনা জেলা সুন্দরবন, সন্দেশ, নারিকেল ও গলদা চিংড়ির জন্য বিখ্যাত। সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার বলা হয় খুলনাকে।
সুন্দরবন
পিঠাভোগ
দক্ষিণডিহি
খুলনার বিভাগীয় জাদুঘর
জাতিসংঘ পার্ক
লিনিয়ার পার্ক
বধ্যভূমি ও স্মৃতিসৌধ, গল্লামারী
সেনহাটি
চুকনগর
শিরোমণি
ভূতিয়ার পদ্মবিল
পুটনী দ্বীপ
হিরণ পয়েন্ট
বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের সমাধি
খান জাহান আলী সেতু
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শ্বশুরালয়
বঙ্গবন্ধু আইল্যান্ড
শহীদ হাদিস পার্ক
করমজল পর্যটন কেন্দ্র
কটকা সমুদ্র সৈকত
খুলনা জেলার ২০ টি দর্শনীয় স্থান
সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা জেলা বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম জেলা। শিল্প বাণিজ্য, প্রকৃতি ও লোকজ সংস্কৃতির এই অভূতপূর্ব মিলন ঘটেছে এই জেলায়। রূপসা, ভৈরব, চিত্রা, পশুর, কপোতাক্ষ সহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নদী বৈচিত্রে ভরপূর খুলনা জেলায় রয়েছে চিংড়ি শিল্প ও জাহাজ নির্মান শিল্প।সুন্দরবন
পিঠাভোগ
দক্ষিণডিহি
খুলনার বিভাগীয় জাদুঘর
জাতিসংঘ পার্ক
লিনিয়ার পার্ক
বধ্যভূমি ও স্মৃতিসৌধ, গল্লামারী
সেনহাটি
চুকনগর
শিরোমণি
ভূতিয়ার পদ্মবিল
পুটনী দ্বীপ
হিরণ পয়েন্ট
বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের সমাধি
খান জাহান আলী সেতু
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শ্বশুরালয়
বঙ্গবন্ধু আইল্যান্ড
শহীদ হাদিস পার্ক
করমজল পর্যটন কেন্দ্র
কটকা সমুদ্র সৈকত
লেখকের মন্তব্যঃ
প্রিয় পাঠক উপরোক্ত আর্টিকেলটিতে খুলনা বিভাগের সম্পর্কে তথ্য উপস্থাপনের চেষ্টা করেছি। এই বিভাগে কতটি জেলা আছে কতটি উপজেলা রয়েছে সেই সাথে জেলার ইতিহাস সংস্কৃতি ঐতিহ্য সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আশাকরি পোস্ট করেও উপকৃত হয়েছেন কারণ একজন দেশের নাগরিক হিসেবে দেশের প্রত্যেকটি বিভাগ সম্পর্কে জানা জরুরি।আবার এ ধরনের বিষয়বলি সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের ভর্তি পরীক্ষা কিংবা চাকরি পরীক্ষা তেও প্রশ্ন এসে থাকে। সুতরাং আশা করি পোস্টটি আপনার কাজে দেবে। যদি পোস্টটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই এটি আপনার বন্ধুবান্ধব আত্মীয়-স্বজন কিংবা প্রতিবেশীদের মাঝে শেয়ার করতে পারেন। যাতে করে তারা খুলনা বিভাগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারে।
আর এই বিষয়ে সম্পর্কে কোন মতামত, প্রশ্ন কিংবা পরামর্শ থাকে তাহলে তো অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানিয়ে যাবেন। আর এ ধরনের আরো অন্যান্য বিভাগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটিতে নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন। পরিশেষে পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
বিপ্লব আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রত্যেকটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url