পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে

বর্তমানে অনেক মানুষ বিদেশে গমন করছে। আর বিদেশে গমন করার জন্য প্রয়োজন পাসপোর্টের। এখন অনেকের প্রশ্ন থাকতে পারে যে পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে বা কত টাকা লাগে অথবা পাসপোর্ট সংশোধন করতে কি কি লাগে। চলুন জেনে নেয়া যাক প্রশ্নগুলোর উত্তর।
পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে

ভুমিকাঃ

যখনই আমাদের কখনও দেশের বাহিরে ভ্রমনl করার কোথা মাথায় আসে, তো তখন সবার প্রথমে দুইটি শর্তাবলী সবসময় আমাদের মাথায় আসে। পাসপোর্টএবং ভিসা. আপনাদের মধ্যে কারো কাছে পাসপোর্ট তো নিশ্চয়ই রয়েছে অথবা ভিসাও। কিন্তু অনেক মানুস এমনও রয়েছে যাদের, পাসপোর্ট এবং ভিসার মধ্যে পার্থক্য জানা নেই।

হয়তো আপনাদের পাসপোর্ট এবং ভিসার ব্যাপারে তথ্য দিবো।পাসপোর্ট এবং ভিসা কি এবং কিভাবে ব্যবহার করতে হয়। যেটাকে দেখার পর, আপনার বিভ্রান্তি দূর হয়ে যাবে। এর জন্য এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত নিশ্চয়ই পড়বেন। তো চলুন শুরু করা যাক। এবং পাসপোর্ট এবং ভিসার ব্যাপারে সম্পূর্ণ তথ্য জানা যাক।

পাসপোর্ট কি ও কেন ব্যবহার করা হয়

পাসপোর্ট এমন একটি ভ্রমণ নথি, যেটিকে কোন দেশের সরকার তাদের নাগরিকদের অনুমোদন করে থাকে। এই নথি আন্তর্জাতিক ভ্রমণএর উদ্দেশ্য থেকে - সেই নাগরিকের জাতিয়তা এবং পরিচয় কে যাচায় করে। প্রাপ্তবয়স্কদের এবং শিশু-দের জন্য পাসপোর্ট জরুরী।

পাসপোর্ট একটি ছোট পুস্তিকা, যেখানে- ব্যক্তিগত নাম, জন্মতারিখ, জন্মস্থান, লিঙ্গ, ছবি, স্বাক্ষর, পাসপোর্টের তথ্য, মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ এবং পাসপোর্ট নম্বরের মত সকলের বিস্তারিত উল্লেখ থাকে।
আরো পড়ুনঃ ভিসা করতে কি কি লাগে

পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে

  • পাসপোর্ট করার জন্য যে ডকুমেন্ট প্রয়োজন (১৮ বছর উর্দ্ধে), সেগুলো হলোঃ
  • জাতীয় পরিচয় পত্র (নিজ)।
  • পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয় পত্র। (মৃত প্রয়োজন নেই)
  • বিদ্যুৎ বিল/জমির দলিল/নামজারি কপি।
  • চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট।
  • পেশঃ চাকুরী (জব আইডি কার্ড), ব্যবসা (ট্রেড লাইসেন্স)।
  • বিবাহিত হলে (ম্যারেজ সার্টিফিকেট)।

পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে

৪৮ পৃষ্ঠা এবং ৫ বছর মেয়াদ সহ পাসপোর্ট করতে খরচ হয়
নিয়মিত বিতরণঃ ৪০২৫ টাকা
জরুরি বিতরণঃ ৬৩২৫ টাকা
অতীব জরুরি বিতরণঃ ৮৬২৫ টাকা

৪৮ পৃষ্ঠা এবং ১০ বছর মেয়াদ সহ পাসপোর্ট করতে খরচ হয়
নিয়মিত বিতরণঃ ৫৭৫০ টাকা
জরুরি বিতরণঃ ৮০৫০ টাকা
অতীব জরুরি বিতরণঃ ১০,৩৫০ টাকা

ই-পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে

  • আবেদনপত্রের সারংশের প্রিন্ট কপি (অ্যাপয়েন্টমেন্ট সহ প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
  • ২\৩ পাতার আবেদনপত্রের প্রিন্ট কপি
  • পেমেন্ট স্লিপ
  • জাতীয় পরিচয় পত্র (সার্ভার কপি সহ) / অনলাইন জন্ম নিবন্ধন (মেইন কপি ও ফটোকপি
  • সরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে GO/NOC
  • বিবাহিত হলে - নিকাহনামা / কাবিননামা
  • ঠিকানা - বিদ্যুৎ বিলের কপি / টেলিফোন বিলের কপি
  • SSC সার্টিফিকেট এর কপি।
  • পিতা মাতার NID মেইন কপি ও ফটোকপি
  • ১৮ বছরের নিচে হলে নিজের অনলাইন জন্ম সনদ ও পিতা মাতার NID মেইন কপি ও ফটোকপি
  • ৬ বছর বয়সের নিম্নের আবেদনের ক্ষেত্রে৩ আর (3R Size) সাইজের (ল্যাব প্রিন্ট গ্রে ব্যাকগ্রউন্ড) ছবি।
  • ১৫ বছরের নিচে হলে পিতা মাতার পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
  • চেয়ারম্যান প্রত্যয়ন পত্র।

পুলিশ ভেরিফিকেশন কি

সাধারণত চাকুরি, পাসপোর্ট, লাইসেন্স বা অন্য কোনো প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে আবেদনকারীর প্রদত্ত তথ্যাদি সঠিক আছে কি না তা পুলিশ কর্তৃক যাচাই করাকে ভেরিফিকেশন বা সত্যতা প্রতিপাদন বলে।

পুলিশ ভেরিফিকেশনর সময় কি করা হয়

পুলিশ ভেরিফিকেশনকালে একজন প্রার্থীর প্রদত্ত তথ্যাদির সত্যতা যাচাইয়ের পাশাপাশি প্রার্থীর চারিত্রিক ও সামাজিক অবস্থান সম্পর্কেও তথ্য নেওয়া হয়:10 PM

কোন কোন ক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশন করা হয়

নিম্নলিখিত বিষ্যগুলোর জন্য পুলিশ ভেরিফিকেশন করা হয়;
  • সরকারি, আধাসরকারি,
  • স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি (ঐচ্ছিক) প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের ক্ষেত্রে
  •   পাসপোর্ট ও লাইসেন্স প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ইত্যাদি।
  • বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা (কেপিআই) ব্যবহার ইত্যাদি ক্ষেত্রে।

পুলিশ ভেরিফিকেশন এর আবেদনপত্রে প্রার্থীর কোন ঠিকানা দিতে হয়


পুলিশ ভেরিফিকেশন এর ক্ষেত্রে আবেদনপত্রে প্রার্থীর স্থায়ী ও অস্থায়ী উভয় ঠিকানাই দিতে হয়। স্থায়ী ঠিকানা বলতে বুঝায় প্রার্থীর নিজ নামীয়, পিতার নামীয় বা দাদার নামীয় বাড়িসহ যে কোনো ভূ-সম্পত্তি।

যেখানে প্রার্থীর অধিকারসত্ত্ব ও বসতবাড়ি আছে। যে ভূ-সম্পত্তিতে প্রার্থীর অধিকারসত্ত্ব ও বসতবাড়ি নেই, সেক্ষেত্রে যেখানে প্রার্থী বসবাস করেন সেখানকার অস্থায়ী ঠিকানা দিতে হবে।

আবার অনেকে প্রশ্ন করে যে পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য স্থায়ী ও অস্থায়ী ঠিকানা ব্যতীত অন্য কোনো ঠিকানা দিতে হয় কি? আসলে স্থায়ী ও অস্থায়ী ঠিকানা ছাড়াও সাধারণত প্রার্থী বিগত ৫ বছর যেসব ঠিকানায় ৬ মাসের অধিক সময় অবস্থান করেছেন।

ও প্রার্থী ১৫ বছর বয়স হতে যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করেছেন বা যেসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন ও অধ্যয়নকালীন বা কর্মরত থাকাকালীন সময়ে যেসব ঠিকানায় অবস্থান করেছেন, সেগুলোও উল্লেখ করতে হয়।

পুলিশ ভেরিফিকেশনের তদন্তের সময় প্রার্থীকে কি থানায় যেতে হয়

পুলিশ ভেরিফিকেশনের তদন্তের সময় প্রার্থীকে সাধারণত থানায় যেতে হয় না। কারণ তদন্তকারী কর্মকর্তা গোপনে ও প্রকাশ্যে প্রার্থীর উল্লিখিত ঠিকানা সমূহে সরজমিনে তদন্ত করে থাকেন।
পুলিশ ভেরিফিকেশনের তদন্তের সময় প্রার্থীকে কি থানায় যেতে হয়, নাকি তদন্তকারী পুলিশ অফিসার প্রার্থীর ঠিকানায় তদন্ত করতে যাবেন?

তবে তদন্তকালে প্রার্থী যদি তদন্তকারী কর্মকর্তার চাহিদামতে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হন, তাহলে পরবর্তী সময়ে ওই ডকুমেন্ট পৌঁছে দিতে আলোচনা সাপেক্ষে থানায় যেতে হতে পারে।

পুলিশ ভেরিফিকেশনের সময় হয়রানীর শিকার হলে করনীয়

পুলিশ ভেরিফিকেশন চলাকালে প্রার্থী যদি তদন্তকারী কর্মকর্তা কর্তৃক কোনো প্রকার হয়রানির শিকার হন, সেক্ষেত্রে ওই তদন্তকারী কর্মকর্তার সরাসরি নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তার নিকট অথবা বিশেষ পুলিশ সুপার (ভিআর) বা অতিরিক্ত আইজিপি, স্পেশাল ব্রাঞ্চ, বাংলাদেশ পুলিশ, রাজারবাগ, ঢাকা বরাবর লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ জানাতে পারেন।

পুলিশ ভেরিফিকেশনের সময় কোন বিষয়ে তদন্ত করা হয় 

পুলিশ ভেরিফিকেশনের সময় যে বিষয়ের  তদন্ত করা হয় তা হলো;
  • প্রার্থীর পুরো নাম
  • প্রার্থীর জাতীয়তা
  • প্রার্থীর পিতার পুরো নাম ও জাতীয়তা
  • প্রার্থীর স্থায়ী ঠিকানা (বাড়ির দলিলের কপি বা বিদ্যুৎ বিল/গ্যাস বিল/ওয়াসার বিল/টেলিফোন বিল, ইত্যাদির কপি)
  • প্রার্থীর বর্তমান বাসস্থলের ঠিকানা
  • প্রার্থীর বৈবাহিক অবস্থা
  • প্রার্থী বিগত ৫ (পাঁচ) বছর যেসব ঠিকানায় অবস্থান করেছেন সেগুলোর ঠিকানা
  • প্রার্থীর জন্মতারিখ (মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমানের পরীক্ষার সার্টিফিকেট বা জন্ম সনদ)
  • প্রার্থীর জন্মস্থান (গ্রাম, ইউনিয়ন, থানা/উপজেলা, জেলা ইত্যাদি)
  • প্রার্থীর ১৫ বছর বয়স হতে যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয়, ইত্যাদি) অধ্যয়ন করেছেন সেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তথ্য।
  • প্রার্থী যদি কোনো সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত, আধা-স্বায়ত্বশাসিত, স্থানীয় সরকারের কোনো সংস্থা বা । বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পূর্বে চাকুরি করে থাকেন বা বর্তমানে কর্মরত থেকে থাকেন সেগুলোর তথ্য
  • প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধার পুত্র/কন্যা/নাতি/নাতনি কি না?
  • প্রার্থী অন্য কোনো কোটাধারী কি না?
  • প্রার্থীর কোনো ধরনের শারীরিক অক্ষমতা আছে কি ना?
  • প্রার্থী ফৌজদারি, রাজনৈতিক, বা অন্য কোনো মামলায় অভিযুক্ত, গ্রেফতার, দণ্ডিত ও নজরবন্দি বা কোনো বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা হতে বহিষ্কার হয়ে থাকলে তার তথ্য।
  • প্রার্থীর নিকট আত্বিয়-স্বজন (পিতা-মাতা, ভাই- বোন, আপন মামা, চাচা, খালু, ইত্যাতি বা শ্বশুরের > দিকের অনুরূপ কোনো নিকট আত্মীয়) বাংলাদেশ সরকারের কোনো সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানে চাকুরিরত থাকলে সেগুলোর তথ্য।
  • প্রার্থী কোনো মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বা নৈতিক স্খলনের রেকর্ড আছে কি না?
  • সম্প্রতি প্রার্থী কোনো সরকারি চাকুরি থেকে বরখাস্ত হয়েছেন কি না?
  • প্রার্থী কোনো রাষ্ট্রদ্রোহী বা নাশকতামূলক কর্যকলাপে জড়িত আছেন বা ছিলেন কি না?
  • প্রার্থীর চারিত্রিক ও সামাজিক অবস্থান।
এ ছাড়াও আবেদনের ধরন অনুযায়ী প্রাসঙ্গিক ও প্রয়োজনীয় অন্য যে কোনো বিষয়ে তদন্ত হতে পারে

পুলিশ ভেরিফিকেশনের সময়  কি কি ডকুমেন্ট দিতে হয়

পুলিশ ভেরিফিকেশনের তদন্তের সময় কোনো কোনো ক্ষেত্রে তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রার্থীর নিকট হতে কতিপয় ডকুমেন্ট সংগ্রহ করতে পারেন। যেমন- প্রার্থীর স্থায়ী ঠিকানার স্বপক্ষে সে বাড়ির দলিলের কপি বা বিদ্যুৎ বিল/গ্যাস বিল/ওয়াসার বিল/টেলিফোন বিল ইত্যাদির কপি।

 এ ছাড়াও, প্রার্থীর ভি-রোলে (প্রার্থীর তথ্য সম্বলিত ফর্ম) যেসব তথ্য প্রদান করা হয়েছে, সেগুলোর যাচাই বা প্রমাণের জন্য সেগুলোর সমর্থনে প্রামানিক দলিলাদি।

পুলিশ ভেরিফিকেশন শেষ হতে সর্বোচ্চ কতদিন সময় লাগে

 এটি নির্ভর করে সাধারণত কত জায়গায় ভেরিফিকেশন করতে হয় তার উপর। যদি একটি পুলিশ ইউনিটের অধিক্ষেত্রের মধ্যে ভেরিফিকেশন করতে হয়, তাহলে সাধারণত ৩ দিনের মধ্যেই তদন্ত সম্পন্ন করতে হয়।

তবে যদি প্রার্থীর স্থায়ী ও অস্থায়ী ঠিকানা ভিন্ন ভিন্ন জেলায় হয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা চাকুরির প্রতিষ্ঠানও ভিন্ন ভিন্ন জেলায় হয় সেক্ষেত্রে ১৫ দিন বা তার বেশি সময়ও লাগতে পারে।

পাসপোর্ট সংশোধন করতে কি কি লাগে

এখনে পাসপোের্ট সংশোধন করতে কি কি লাগবে, কিভাবে আবেদন করবেন এবং পাসপোর্ট সংশোধন করার নিয়ম বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। সর্বশেষ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ পাসপোের্ট সংশোধন বিষয়ে একটি নোটিশ প্রকাশ করেছে। এই নোটিশের মাধ্যমে দেশে ও বিদেশে পাসপোের্ট সংশোধন করার সম্পূর্ণ নিয়মকানুন স্পষ্ঠ করেছে।

প্রথমে বলে রাখি এই পাসপোর্ট সংশোধনী নিয়ে অনেকের মনে অনেক ধরনের প্রশ্ন থাকে। যে প্রশ্নগুলো উত্তর জানা অতীব জরুরী। চলুন জেনে নেওয়া যাক এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর সম্পর্কে।

পাসপোর্টের সব ভুল কী সংশোধন করা যাবে

পাসপোর্টের সকল প্রকার ভুল সংশোধন করা যাবে কিন্তু সেটা নির্ভর করবে আপনার সকল কাগজপত্র ও ডকুমেন্টের উপর।

পাসপোর্টে কোন কোন ভুল সংশোধন করা যায়

অনেক সময় প্রথমবার পাসপোর্ট করার সময় অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল হয়ে যেতে পারে। এর ফলে অনেকে চিন্তিত হয়ে পড়েন যে আসলে পাসপোর্টে কোন কোন ভুল হলে সংশোধন করা যায়। তো যেসব বিষয় সংশোধন করতে পারবেন সেগুলো হলঃ
  • নিজের নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম, স্বামীর নাম, স্ত্রীর নাম
  • স্থায়ী ঠিকানা (ওয়ার্ড, গ্রাম, ইউনিয়ন, উপজেলা, থানা, জেলা)
  • বর্তমান ঠিকানা (ওয়ার্ড, গ্রাম, ইউনিয়ন, উপজেলা, থানা, জেলা)
  • বয়স সংশোধন ১০ বছরের বেশী হলেও (শর্ত প্রযোজ্য)
  • পেশা অথবা পদবি পরিবর্তন
  • মোবাইল নাম্বার ও ইমারজেন্সি মোবাইল নাম্বার
  • পাসপোর্ট সংশোধন করতে যেসব কাগজপত্র/ডকুমেন্টস লাগবে
  • স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্রের ভেরিফাই অনলাইন কপি (Smart NID Card)/জন্মনিবন্ধনের অনলাইন ভেরিফাই
  • বাবা ও মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্রের ভেরিফাই অনলাইন কপি
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
  • কাবিননামা/তালাকনাম (স্বামী অথবা স্ত্রীর নাম সংশোধনের ক্ষেত্রে)
  • চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট ও প্রত্যয়নপত্র (ঠিকানা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে)
  • পেশা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের প্রত্যয়নপত্র/উপযুক্ত ডকুমেন্টস
  • হলফনামা অথবা এফিডেভিট (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
  • পাসপোর্ট সংশোধনের আবেদন ফর্ম
পাসপোর্ট সংশোধন করতে যেসব কাগজপত্র/ডকুমেন্টস লাগবে

লেখকের মন্তব্যঃ

প্রিয় পাঠক, বিপ্লব আইটিতে আপনাদেরকে স্বাগতম। উপরোক্ত আর্টিকেলটিতে পাসপোর্ট বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এখানে আলোচনা করা হয়েছে পাসপোর্ট কিভাবে তৈরি করবেন? পাসপোর্ট তৈরি করতে কি কি লাগে? পাসপোর্ট সংশোধন করতে কি কি লাগে?

এছাড়াও আরো অনেক তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে যা পাসপোর্ট সম্পর্কে যারা জানতে আগ্রহী তাদের জন্য অনেক উপকার হবে। আশা করি পোস্টটি পড়ে পাসপোর্ট সম্পর্কিত যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন এবং সেই সাথে উপকৃত হয়েছেন। যদি পোস্টটি পড়ে উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে এটি আপনার বন্ধুবান্ধব আত্মীয়-স্বজন কিংবা সহপাঠীদের মাঝে শেয়ার করতে পারে।

যাতে করে তারাও পাসপোর্ট সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা লাভ করতে পারে এবং যদি কখনো তাদের পাসপোর্ট তৈরি করার প্রয়োজন হয় সে ক্ষেত্রে এই তথ্য তাদের সাহায্য করে। আর এই পোস্ট সম্পর্কে যদি কোন মতামত প্রশ্ন কিংবা কোন পরামর্শ থাকে তাহলে অবশ্যই তা কমেন্টের মাধ্যমে জানিয়ে যাবেন।

যাতে করে আপনার কমেন্ট পড়ে অন্যরা উপকৃত হতে পারে। আর এই ধরনের আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জানতে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন। কারণ আমরা এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন জ্ঞান মূলক, বিজ্ঞানমুলক এবং রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন কার্যকলাপ সম্পর্কে প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকি।

উক্ত পোস্টগুলো পড়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরিশেষে পোস্টটি সম্পন্ন পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বিপ্লব আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রত্যেকটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url