রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কত সালে জন্মগ্রহন করেন

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথকে চেনে না এমন ব্যক্তি হতে খুঁজে পাওয়া যাবে না। তবে অনেকে হয়তো তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানেনা। চলুন জেনে নেওয়া যাক বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের জীবনী ও সাহিত্য সম্পর্কে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনী ও সাহিত্য

ভূমিকা

রবীন্দ্রনাথের কবিপ্রতিভা বিস্ময়কর। তাঁর বিচিত্র চিন্তা ও কর্মের প্রবাহ, বিচিত্র প্রকাশের মধ্যে, তাঁর সাহিত্য রচনায়, বিচারে ও ব্যাখ্যানে যে পরিচয়টি আমাদের কাছে প্রকাশিত হয়, তা হল তাঁর কবিপ্রকৃতি। এই কবিপ্রকৃতি সীমার সঙ্গে অসীমের, খণ্ডের সঙ্গে পূর্ণের, ব্যক্তি জীবনের সঙ্গে বিশ্বজীবনের চিরন্তন প্রবাহের মধ্যে তিনি আকণ্ঠ ডুব দিয়েছেন ও সেই অভিজ্ঞতাকে ব্যক্ত করেছেন।

জগৎকে তিনি দেখেছেন ঋষিসুলভ অখণ্ড দৃষ্টিতে যার মাধ্যমে আনন্দরূপকে উপলব্ধি করেছেন। জীবনস্মৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, "সেই জগৎকে আর কেবল ঘটনাপূর্ণ বস্তুপূর্ণ করিয়া দেখা গেল না, তাহাকে আগাগোড়া পরিপূর্ণ দেখিলাম।" তাঁর এই প্রত্যয় দেশ-কাল-পাত্র নিরপেক্ষ বিশ্ব সত্যেরই প্রকাশ এবং তাই তিনি বিশ্বকবি।

রবীন্দ্রনাথ তাঁর 'নবজাতক' কাব্যের ভূমিকায় লিখেছিলেন, "আমার কাব্যের ঋতু পরিবর্তন ঘটেছে বারে বারে। প্রায়ই সেটা ঘটে নিজের অলক্ষ্যে। কালে কালে ফুলের ফসল বদল হয়ে থাকে, তখন মৌমাছির মধু জোগান নতুন পথ নেয়।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কত সালে জন্মগ্রহন করেন

কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে রবীন্দ্রনাথের জন্মহয় ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দের ৭ মে। তার বাবার নাম মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও মায়ের নাম সারদা দেবী মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ সুলেখক ছিলেন। দাদা জ্যোতিরিন্দ্রনাথের কাছে শৈশবে রবীন্দ্রনাথ কবিতা রচনায় উৎসাহ পেয়েছিলেন।
আরো পড়ুনঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কত সালে মৃত্যুবরণ করেনআরো পড়ুনঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কত সালে মৃত্যুবরণ করেন

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছদ্মনাম নাম কি

সাধারণত রবীন্দ্রনাথের ছদ্মনাম ভানুসিংহ ঠাকুর বলেই আমরা জানি।তবে এছাড়াও আরো কয়েকটি তার আরো কয়েকটি ছদ্মনাম রয়েছে যেমন
  • অকপট চন্দ্র ভাস্কর
  • আন্নাকালী পাকড়াশী,
  • দিকশূন্য ভট্টাচার্য,,
  • নবীন কিশোর বর্মন,
  • ষষ্টিচরণ দেব শর্মা,
  • বাণীবিনোদ বিদ্যাবিনোদ,
  • শ্রীমতি কনিষ্ঠা,
  • শ্রীমতি মধ্যমা।
তবে তার ডাক নাম ছিল গুরুদেব।
আরো পড়ুনঃ কাজী নজরুল ইসলামের জীবন ও সাহিত্য সম্পর্কে।আরো পড়ুনঃ কাজী নজরুল ইসলামের জীবন ও সাহিত্য সম্পর্কে।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিক্ষা জীবন

বাল্যকালে রবীন্দ্রনাথ ওরিয়েন্টাল সেমিনারি ওনর্মাল স্কুলে কিছুদিন লেখাপড়া করেছিলেন। স্কুলের পরিবেশ তার ভালো না লাগায় স্কুল ছেড়ে দিয়ে বাড়িতে মন দিয়ে লেখাপড়া করতে থাকেন।
উচ্চশিক্ষার জন্যে তাঁকে বিলেতেও পাঠানো হয়েছিল, কিন্তু সেখানেও তাঁর মন টেকেনি। তিনি দেশে ফিরে এসে কবিতা, গল্প, গান, নাটক লেখা শুরু করেন।
আরো পড়ুনঃ জীবনানন্দ দাসের জীবন ও সাহিত্য সম্পর্কেআরো পড়ুনঃ জীবনানন্দ দাসের জীবন ও সাহিত্য সম্পর্কে

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্যচর্চা ও কর্মজীবন

রবীন্দ্রনাথ অজস্র গান, কবিতা, অনেকগুলি নাটক, উপন্যাস ও গল্প লিখেছেন। ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে ইংরেজিতে গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের জন্যে রবীন্দ্রনাথ নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। পৃথিবীর বহুদেশে তিনি
আমন্ত্রিত হন। আমাদের জাতীয়সংগীত 'জনগনমন অধিনায়ক' রবীন্দ্রনাথের রচনা। তাঁর লেখা 'ও আমার সোনার' বাংলা বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত। রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিদ্যালয় গড়ে তুলেছিলেন। শ্রীনিকেতনে স্থাপন করেছিলেন পল্লি উন্নয়ন কেন্দ্র।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গল্পগ্রন্থ সমূহ

  • পোস্টমাস্টার
  • কাবুলিওয়ালা
  • দেনা-পাওনা
  • কর্মফল
  • হৈমন্তী
  • দিদি
  • পত্র রক্ষা
আরো পড়ুনঃ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জীবনী ও সাহিত্য সম্পর্কেআরো পড়ুনঃ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জীবনী ও সাহিত্য সম্পর্কে

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গল্পগ্রন্থ মনে রাখার টেকনিক

ঠাকুর বাড়ির পোস্টমাস্টার এর ভাই কাবুলিওয়ালা নিজ দেনা-পাওনার নিদারুণ কর্মফল হিসেবে শেষমেষ হৈমন্তীর দিদির পত্র রক্ষা করতে পারলেন না।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকু এর নাটক সমূহ

  • মুক্তধারা
  • রাজা
  • অচলায়তন
  • ডাকঘর
  • চিরকুমার সভা
  • রক্তকরবী
  • মুকুট
  • অরুনাচল
  • অরূপরতন
  • কালের যাত্রা
  • বিসর্জন
  • তাসের দেশ
আরো পড়ুনঃ মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবনী ও সাহিত্য সম্পর্কে।আরো পড়ুনঃ মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবনী ও সাহিত্য সম্পর্কে।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকু এর নাটক মনে রাখার টেকনিক

মুক্তধারার রাজা অচলায়তন, ডাকঘর-এ চিরকুমার সভা ডেকে; রক্তকরবী-যুক্ত মুকুট মাথায় দিয়ে অরুনাচল-এর অরূপরতনকে সঙ্গে নিয়ে; কালের যাত্রায় যৌবন বিসর্জন দিতে তাসের দেশ-এ গেলেন।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর উপন্যাস সমূহ

  • গোরা
  • শেষের কবিতা
  • চার অধ্যায়
  • চতুরঙ্গ
  • চোখের বালি
  • দুইবোন
  • মালঞ্চ
  • রাজর্ষি
  • ঘরে-বাইরে
  • যোগাযোগ
  • বৌঠাকুরানীর হাট
  • নৌকাডুবি

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর উপন্যাস টেকনিক

সেদিন গোরা শেষের চার অধ্যায় লিখতে গিয়ে চতুরঙ্গ-এর চোখের বালিতে পরিণত হলো।
অতঃপর, সে দুইবোন মালফ ও রাজর্ষিকে ঘরে-বাইরে যোগাযোগ করে না পেয়ে, বৌঠাকরানীর হাট-এ খুঁজতে গিয়ে একটি হৃদয়বিদারক নৌকাডুবির ঘটনা অবলোকন করলো।

নাট্যসাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান

বাংলা সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একজন অবিস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব। বাংলা সাহিত্যের আধুনিক নবজাগরণে তাঁর ভূমিকা অপরিসীম। তিনি বাংলা সাহিত্যের উৎকর্ষের পাশাপাশি বিশ্ব সাহিত্যের দরবারে বাংলা সাহিত্যকে একটি নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছেন। বাংলা সাহিত্যে এমন একটি ধারা নেই, যেখানে রবীন্দ্রনাথের ছোঁয়া নেই।

বাংলা নাট্য সাহিত্যেও রবীন্দ্রনাথের অবদান বিশ্বজনীন। আজ আমরা নাট্যসাহিত্যে রবীন্দ্রনাথের অবদান সম্পর্কে জানবো।

রবীন্দ্রনাথের নাটকের মূল বৈশিষ্ট্য

১) রবীন্দ্রনাথ ছিলেন মূলত কবি। সেইজন্যে তাঁর গল্প, উপন্যাস যেমন কাব্যধর্মী হয়েছিল, তাঁর নাটকগুলিও কাব্যাশ্রয়ে গঠিত হয়েছিল।
২) রবীন্দ্রনাথের নাটকে ঘটনার ঘনঘটা নেই। তাঁর নাটকে ঘটনার আবর্ত যুদ্ধবিগ্রহ কিংবা জীবনের দ্বন্দ্ব সংঘাত তেমন নেই। তাঁর নাটক গীতোচ্ছ্বাসময়, গীতি কবিতার আবেগে রঞ্জিত।
৩) যা দৃশ্য তাকে নাটকের বিষয়বস্তু না করে, বাস্তবকে পরিস্ফুট না করে তিনি কোন একটা ভাবকে রূপক রহস্যের সাহায্যে নাট্যরূপ দিতে চেয়েছিলেন। রবীন্দ্র নাট্য সাহিত্যে তাই দৃশ্যমানতা অর্থাৎ দৃশ্যত্ব লক্ষণ অপেক্ষা কাব্য লক্ষণই অধিকতর পরিস্ফুট।
৪) নাটকের থাকে ঘটনার দ্বন্দ্ব। কিন্তু রবীন্দ্রনাথের নাটকে বহির্ঘটনার দ্বন্দ্ব নেই। চরিত্রের সংঘাত নেই, আছে কোন একটি তত্ত্ব বা Idea-র অভিব্যক্তি। এটা তাঁর নাটকের বিশিষ্ট লক্ষণ।
৫) ঘটনার উপর ততটা দৃষ্টি না দিয়ে চরিত্রগত সূক্ষ্ম ভাব রহস্যকে রূপদান করেছেন। নাটকে ভাবের দ্বন্দ্ব-সংঘাত প্রদর্শন রবীন্দ্রনাথের মূল লক্ষ্য ছিল।

রবীন্দ্রনাথের নাটকগুলিকে কয়েকটি ভাগে বিভক্ত করা যায় -
১।গীতিনাট্য - 'বাল্মীকি প্রতিভা' (১৮৮১), 'কালমৃগয়া' (১৮৮২)', 'মায়ার খেলা' (১৮৮৮) ইত্যাদি।
২।কাব্যনাট্য - 'প্রকৃতির প্রতিশোধ' (১৮৮৪), 'রাজা ও রাণী' (১৮৮৯), 'বিসর্জন' (১৮৯০), 'চিত্রাঙ্গদা' (১৮৯২) ইত্যাদি।
৩।নাট্যকাব্য- 'বিদায় অভিশাপ' (১৮৯২), 'গান্ধারীর আবেদন' (১৯০০), 'সতী' (১৯০০), 'নরকবাস' (১৯০০), 'লক্ষ্মীর পরীক্ষা' (১৯০০) 'কর্ণকুন্তী সংবাদ' (১৯০০) ইত্যাদি।
৪।প্রহসন - গোড়ায় গলদ' (১৮৯২), 'বৈকুণ্ঠের খাতা' (১৮৯৭), 'ব্যঙ্গকৌতুক' (১৯০৭), 'চিরকুমার সভা' (১৯৩৬) ইত্যাদি।
৫।রূপক-সাংকেতিক নাটক 'শারদোৎসব' (১৯০৮), 'অচলায়তন' (১৯১২), 'ডাকঘর' (১৯১২) 'ফালগুনী' (১৯১৬), 'মুক্তধারা' (১৯২২), 'রাজা' (১৯১০) 'রক্তকরবী' (রচনা ১৯২৪, প্রকাশ-১৯২৬), 'কালের যাত্রা' (১৯৩২) ইত্যাদি।
৬সামাজিক নাটক - 'শোধবোধ' (১৯২৬), 'বাঁশরী' (১৯৩৩) ইত্যাদি।
৭।নৃত্যনাট্য - 'নটীর পূজা' (১৯২৬), 'চিত্রাঙ্গদা' (১৯৩৬), 'চণ্ডালিকা' (১৯৩৮), 'শ্যামা' (১৯৩৯) ইত্যাদি।

রবীন্দ্রনাথের গুরুত্বপূর্ণ কিছু নাটক ও সেগুলির সংক্ষিপ্ত পরিচয়

রুদ্রচন্ড (১৮৮১)

  • লেখকের প্রথম নাটক।
  • বিষয় - হস্তিনাপুরের রাজা পৃথ্বীরাজের সঙ্গে রুদ্রচন্ডের দ্বন্দ্ব, রুদ্রচন্ডের পিতৃসত্তা, মহম্মদ ঘোরী কর্তৃক হস্তিনাপুর অধিকার ও পৃথ্বীরাজের পরাজয়।
  • সর্গ সংখ্যা - ১৪টি।
  • উল্লেখযোগ্য চরিত্রগুলি ছল পৃথ্বীরাজ, রুদ্রচন্ড, অমিয়া।
  • উৎসর্গ - জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরকে।

বাল্মীকিপ্রতিভা (১৮৮১)

  • গীতিনাট্য।
  • বিষয় - দস্যু রত্নাকরের বাল্মীকি হয়ে ওঠার কাহিনি।
  • দৃশ্য সংখ্যা - ৬টি।
  • নাটকের অভিনয়ে রবীন্দ্রনাথ বাল্মীকি এবং তাঁর ভ্রাতুষ্পুত্রী প্রতিভা দেবী সরস্বতীর ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন। এই নাটক অবলম্বনে পরবর্তীতে রচিত হয় 'আয়ার খেলা'।

রাজা ও রানী (১৮৮৯)

  • কাব্যধর্মী এবং নিয়মানুগ নাটক।
  • মোট অঙ্ক সংখ্যা - ৫টি।
  • প্রধান চরিত্রগুলি হল - বিক্রমদেব, সুমিত্রা, দেবদত্ত, কুমার, রেবতী, ইলা প্রমুখ।
  • উৎসর্গ - দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুরকে।
  • এই নাটকের কাহিনি নিয়েই কবি পরবর্তীকালে লিখেছিলেন 'ভৈরবের বলি'। কিন্তু তা কবির পছন্দ না হওয়ায় প্রকাশিত হয়নি। আরও পরে এই নাটকের মূল বিষয় অবলম্বনে 'তপতী' নাটকটি রচনা করেন।

বিসর্জন (১৮৯০)

  • এটি একটি ট্যাজেডি নাটক।
  • কবির 'রাজর্ষি' উপন্যাসের প্রথমাংশ নিয়ে রচিত।
  • অঙ্ক সংখ্যা - ৫টি।
  • প্রধান চরিত্রগুলি হল - গোবিন্দমাণিক্য, অপর্ণা, রঘুপতি, জয়সিংহ। উৎসর্গ - সুরেন্দ্রনাথ ঠাকুরকে

গোড়ায় গলদ (১৮৯২)

  • এটি একটি কৌতুকনাট্য।
  • অঙ্ক সংখ্যা - ৫টি।
  • উল্লেখযোগ্য চরিত্রগুলি হল - চন্দ্রকান্ত, নলিনাক্ষ, ইন্দুমতী, ক্ষান্তমণি।
  • এই নাটকেই কবি প্রথম বাউল গানের ব্যবহার করেন।
  • উৎসর্গ - প্রিয়নাথ সেনকে গ্রন্থটি পরবর্তীকালে ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে ৪ অঙ্কে 'শেষরক্ষা' নামে প্রকাশিত হয়।

প্রায়শ্চিত্ত (১৯০৭)

  • লেখকের ঘউ ঠাকুরাণীর ঘাট' উপন্যাসের কাহিনি অবলম্বনে রচিত।
  • মোট অঙ্ক সংখ্যা - ৫টি।
  • উল্লেখযোগ্য চরিত্রগুলি হল- প্রতাপাদিত্য, বসন্ত রায়, ধনঞ্জয়, সুরমা, বিভা।
  • নাটকটি পরবর্তীকালে ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে ৪ অঙ্কে 'পরিত্রাণ' নামে মুদ্রিত হয়। তার আগে ১৩৩৪ বঙ্গাব্দে শারদীয়া বসুমতীতে পরিত্রাণ মুদ্রিত হয়েছিল।

শারদোৎসব (১৯০৮)

  • এটি একটি রূপক সাংকেতিক নাটক।
  • নাটকটি বোলপুরে ব্রহ্মচর্যাশ্রমে শারদোৎসব উপলক্ষ্যে ছাত্রদের দ্বারা অভিনয়ের উদ্দেশ্যে রচিত।
  • দৃশ্য সংখ্যা - ২টি।
  • উল্লেখযোগ্য চরিত্রগুলি ছল - ঠাকুরদা, উপনন্দ, লক্ষেশ্বর প্রমুখ।

রাজা (১৯১০)

  • রূপক সাংকেতিক নাটক।
  • দৃশ্য সংখ্যা - ২০টি।
  • উল্লেখযোগ্য চরিত্রগুলি ফুল- সুদর্শনা, সুরঙ্গমা, রাজা, ঠাকুরদা। পরবর্তীকালে ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে 'অরূপরতন' নামে এই নাটকের
  • অভিনয় উপযোগী একটি সংস্করণ প্রকাশিত হয়।

মুক্তধারা (১৯২২)

  • রূপক সাংকেতিক নাটক।
  • প্রকাশ - ১৩২৯ বঙ্গাব্দের বৈশাখ মাসে 'প্রবাসী' পত্রিকায়।
  • নাটকের পূর্বনাম ছিল - 'পথ'।
  • উল্লেখযোগ্য চরিত্রগুলি হল - অভিজিৎ, সঞ্জয়, অম্বা।

ডাকঘর (১৯১২)

  • রূপক সাংকেতিক নাটক।
  • মুখ্য চরিত্র - অমল, সুধা, মাধব।
  • ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দে নাটকটি ইংরেজিতে 'দ্য পোষ্ট অফিস' নামে অনুবাদ করেন দেবব্রত মুখোপাধ্যায় যার ভূমিকা লিখেছিলেন
  • বিশিষ্ট ইংরেজ কবি ইয়েটস।

কালের যাত্রা (১৯৩২)

  • এটি রূপক সাংকেতিক নাটক।
  • ১৩৩০ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ সংখ্যায় 'প্রবাসী'তে কবির 'রথযাত্রা' নামে যে নাটিকা প্রকাশিত হয় তাই-ই পরিবর্তিত রূপে 'রথের রূপি' নামে প্রকাশ পায়।
  • 'কালের যাত্রা কবি সাহিত্যিক শরৎচন্দ্রকে তাঁর ৫৭তম জন্মদিবস উপলক্ষ্যে উৎসর্গ করেছিলেন।
  • প্রধাণ চরিত্র গুলি হলো - সন্ন্যাসী, প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় নাগরিক, সেনা গ্রন্থটিতে দুটি নাটক আছে- 'রথের রশি' ও 'কবির দীক্ষা'।

রক্তকরবী (১৯২৬)

  • আরও পরে 'প্রবাসী'তে প্রকাশের সময়কালে নাম পুনরায় পরিবর্তন করে এই নামটি গৃহীত হয়।
  • উল্লেখযোগ্য চরিত্র - নন্দিনী, বিশু পাগল, রাজা।
তাসের দেশ (১৯৩৩)
  • এটি একটি রূপকের আশ্রয়ে রচিত নাটক।
  • দৃশ্য সংখ্যা - ৪টি।
  • প্রথম অভিনয় হয়েছিল ১৩৪০ বঙ্গাব্দে কলকাতার ম্যাডান থিয়েটারে।
  • প্রধাণ চরিত্র গুলি হলো- রাজা, রানী, রাজপুত্র, সওদাগর, পত্রলেখা।
  • উৎসর্গ - নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুকে।

"চণ্ডালিকা" (১৯৩৮)

  • এটি একটি নৃত্যনাট্য।
  • প্রধাণ চরিত্র গুলি হলো- চণ্ডালিকা, আনন্দ, দইওয়ালা, প্রকৃতি, চুরিওয়ালা, মায়া।
  • রাজেন্দ্রলাল মিত্র সম্পাদিত 'নেপালী বৌদ্ধ সাহিত্যে শার্দুলকর্ণাবদানের
  • সংক্ষিপ্ত বিবরণ' অবলম্বনে লেখা।

শ্যামা (১৯৩৯)

  • নৃত্যনাট্য।
  • নাটকটি কবির কথা' কাব্যের পরিশোধ কবিতা অবলম্বনে রচিত। নাটকের আখ্যানভাগ গ্রহণ করা হয়েছে বৌদ্ধ পুরাণ 'মহাৰম্ভৰদান' থেকে।
  • উল্লেখযোগ্য চরিত্রগুলি হল- শ্যামা, বজ্রসেন।

গদ্য ও প্রবন্ধ সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান

বিশ্ব সাহিত্যে খ্যাতনামা সাহিত্যিক রবীন্দ্রনাথ এমন একজন ব্যক্তি, সাহিত্যের এমন কোনো শাখা নেই যা তাঁর হাতের স্পর্শে উজ্জ্বল হয়ে উঠেনি। রবীন্দ্র-প্রবন্ধ তথ্য ও তত্ত্বে সুসংবদ্ধ ও সুশৃঙ্খল, যুক্তি ও বিচার বিশ্লেষণের তীক্ষ্ণতায় সমৃদ্ধ। এ কারণেই প্রচলিত প্রবন্ধের ধারা থেকে তাঁর প্রবন্ধ স্বতন্ত্র।

তাঁর প্রবন্ধের বিষয় বৈচিত্র্য ও যথেষ্ট, তা আকৃতিতে যেমন বিশাল রচনারীতিতে তেমনই বৈচিত্র্যময়।
শিল্প ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, আর্থ-রাজনৈতিক চিন্তা, সমাজ-সংস্কার সম্পর্কিত সমস্যা, বিজ্ঞান, ইতিহাস, ধর্ম, দর্শন, শিক্ষা প্রভৃতি সমস্ত বিষয়ই রবীন্দ্রনাথের প্রবন্ধ সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছে। তাছাড়া পত্র, স্মৃতিচিত্র, ডায়েরী প্রভৃতি আত্মনিষ্ঠ রচনাও তার প্রবন্ধকে বিশেষ মর্যাদা দিয়েছে।

রবীন্দ্রনাথের বিভিন্ন ধরনের প্রবন্ধ সমূহ

সাহিত্য-সমালোচনা মূলক প্রবন্ধ

'সমালোচনা' (১৮৮৮), 'প্রাচীন সাহিত্য' (১৯০৭), 'সাহিত্য' (১৯০৭), 'আধুনিক সাহিত্য' (১৯০৭), 'লোকসাহিত্য' (১৯০৭), 'সাহিত্যের পথে' (১৯৩৬), 'সাহিত্যের স্বরূপ' (১৯৪৩)।

শিক্ষা-সমাজ-রাজনীতি বিষয়ক

  • 'মন্ত্রী অভিষেক' (১৮৯০),
  •  'সংস্কৃত শিক্ষা'- দ্বিতীয় ভাগ (১৮৯৬), 
  • 'আত্মশক্তি' (১৯০৫), 'ভারতবর্ষ' (১৯০৬),
  •  'শিক্ষা' (১৯০৮), 
  • 'রাজা প্রজা' (১৯০৮), 
  • 'স্বদেশ' (১৯০৮),
  •  'সমাজ' (১৯০৮),
  •  'সমূহ' (১৯০৮), 
  • 'পরিচয়' (১৯১৬),
  •  'কর্তার ইচ্ছায় কর্ম' (১৯১৭), 
  • 'সমবায় নীতি' (১৯২৮),
  •  'কালান্তর' (১৯৩৭),
  •  'সভ্যতার সঙ্কট' (১৯৪১),
  •  'পল্লীপ্রকৃতি' (১৯৬২)।

ধর্ম ও দর্শনমূলক প্রবন্ধ

  • 'ধর্ম' (১৯০৯), 
  • 'শান্তিনিকেতন' (১৯০৯-১৯১৬), 
  • 'সঞ্চয়' (১৯১৬), 
  • 'মানুষের ধর্ম' (১৯৩৩), 
  • 'উপনিষদ ব্রহ্ম' (১৯০১), 
  • 'প্রাক্তনী' (১৯৩৬),
  •  'আশ্রমের রূপ ও বিকাশ' (১৯৪১), 
  • 'বিশ্বভারতী' (১৯৪১)

ব্যক্তিগত প্রবন্ধ

  • 'পঞ্চভূত' (১৮৯৭),
  • 'বিচিত্র প্রবন্ধ' (১৯০৭), 
  • 'লিপিকা' (১৯২২), 
  • 'ভারতপথিক রামমোহন রায়' (১৯৩৩)

জীবনী বিষয়ক রচনা

  • 'রামমোহন রায়' (১৮৮৫) 
  • 'চরিত্র পূজা' (১৯০৭), 
  • 'বিদ্যাসাগর চরিত' (১৯০৯), 
  • 'মহাত্মা গান্ধী' (১৯৪৮) 
  • "জীবনস্মৃতি' (১৯১২), 
  • পত্র সাহিত্য- 'ছিন্নপত্র' (১৯১২), 
  • 'ছিন্নপত্রাবলী' (১৯৬০)
  • 'ভানুসিংহের পত্রাবলী' (১৯৩০),
  •  'পথে ও পথের প্রান্তে' (১৯৩৮)

ঐতিহাসিক প্রবন্ধ

  • 'ভারতবর্ষ' ১৯০৬
  • 'স্বদেশ' ১৯০৮
  • 'ইতিহাস' ১৯৫৫

আত্ম কথামূলক প্রবন্ধ

'জীবনস্মৃতি' ১৯১২
'ছেলেবেলা' ১৯৪০
'আত্মপরিচয়' ১৯৪৩

চিঠিপত্র

  • 'রাশিয়ার চিঠি' (১৯৩১)
  • 'জাভাযাত্রীর পত্র' (১৯২৯)
  • 'চিঠিপত্র' (১৮৮৭) প্রভৃতি।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত উক্তি

  • নিজের অজ্ঞতা সম্পর্কে অজ্ঞানতার মত অজ্ঞান আর কিছু নেই।
  • অধিকার চেয়ে পাওয়া যায় না কর্মের দ্বারা অধিকার সৃষ্টি করতে হয়।
  • তীরে দাঁড়িয়ে বা জলের দিকে তাকিয়ে তুমি কখনোই সমুদ্র অতিক্রম করতে পারবেনা।
  • যার যোগ্যতা যত কম তার অহংকার ঠিক ততটাই বেশি।
  • কাউকে উদ্দেশ্য দেওয়া সহজ কিন্তু উপায় বলা কঠিন।
  • সুখী হওয়া খুব সহজ কিন্তু সহজ হওয়া খুব কঠিন।
  • আমাদের এই প্রার্থনা করা উচিত না যে বিপদ যেন আমাদের ওপরে না আসে বরং আমাদের এই প্রার্থনা করা উচিত যে আমরা সমস্ত বিপদের নির্ভয়ে মোকাবেলা করতে পারি।
  • দূরত্ব বেড়ে গেলে দূরত্ব কমানো যায়, কিন্তু গুরুত্ব কমে গেলে গুরুত্ব ফিরিয়ে আনা যায় না।
  • যদি তুমি সমস্ত ভুলের জন্য দরজা বন্ধ করে দাও তাহলে সত্য বাইরে থেকে যাবে।
  • শিক্ষিত মানুষের অভাব নেই পৃথিবীতে কিন্তু শিক্ষিত বিবেকের অনেক অভাব।
  • বিদ্যা সহজ, শিক্ষা কঠিন, বিদ্যা আবরণে আর শিক্ষা আচরণে।
  • মনুষ্যত্বের শিক্ষাটাই চরম শিক্ষা আর সমস্তই তার অধীন।
  • কোন শিশুর পড়াশোনা তার জ্ঞানের মধ্যে সীমাবদ্ধ করবে না, কারণ সে অন্য কোন সময় জন্মগ্রহণ করেছে।
  • সর্বোচ্চ শিক্ষার উদ্দেশ্য কেবল তথ্য প্রদান করা নয় বরং আমাদের জীবনকে অস্তিত্বের সমগ্র দিক দিয়ে সামঞ্জস্য করে তোলা।
  • ঠিক সময়ে ঠিক কাজ করতে কারো মনে পড়ে না, তারপরে বেঠিক সময়ে ব্যাথিক বাসনা নিয়ে অস্থির হয়ে মরে।
  • নাম মানুষকে বড় করে না বরং মানুষ নামকে জাগিয়ে তোলে।
  • ভালো থাকতে হলে একটু স্বার্থপর হতে হয় কারণ সবাইকে খুশি করার জন্য তুমি পৃথিবীতে আসনি।
  • মানুষের জীবনের সবচেয়ে বেশি যে জিনিসটি প্রয়োজন তা হলো ধৈর্য। খুব ভালো সময় ও ধৈর্যের প্রয়োজন আবার খুব খারাপ সময়েও ধৈর্যের প্রয়োজন। ধৈর্য হারা হলেই সর্বনাশ।
  • স্বপ্ন পালিয়ে যাই ঘুম ভেঙ্গে গেলে আর মানুষ পালিয়ে যায় স্বার্থ ফুরিয়ে গেলে।
  • জীবনে চলার পথে অনেক মানুষের সাথে পরিচয় হয় কেউ বাস্তবে থেকে যায় আবার কেউ রয়ে যায় স্মৃতির পাতায়।
  • যে অন্যের ভালো করতে ব্যস্ত থাকে তার নিজের ভালো হয়ে ওঠার সময় থাকে না।
  • আমরা তখনই স্বাধীন হই যখন আমরা আমাদের সম্পূর্ণ মূল্য শোধ করতে পারি।
  • অতীতকাল যত বড় কালই হোক না কেন নিজের সম্বন্ধে বর্তমান কালের একটা স্পর্ধা থাকা উচিত।
  • একা থাকা কোন দুর্বলতা নয়, বরং একা থাকা খুব সাহসী কাজ যা সবার দ্বারা সম্ভব নয়।
  • যার কাছ থেকে শুধু অবহেলাই পাওয়া যায় তাদের গুরুত্ব দেওয়া বন্ধ কর কারণ তোমার নিজেরও একটা আত্ম সম্মান আছে।
  • নিন্দা করতে গেলে বাইরে থেকে করা যায় কিন্তু বিচার করতে গেলে ভিতরে প্রবেশ করতে হয়।
  • ক্ষমা তাকেই কর যে অজান্তে ভুল করে তাকে নয় যে জেনে বুঝে বেইমানি করে।
  • অপরিচিত হইতে পরিচয় পথ অতি দীর্ঘ।
  • গোলাপ গোলাপ যেমন একটি বিশেষ জাতের ফুল বন্ধুতে এমনি একটি বিশেষ জাতের মানুষ।
  • আমরা সময় সমুদ্রে আছি তবুও আমাদের এক মুহূর্ত সময় নেই।
  • যারা নিজের বিশ্বাস নষ্ট করে না তারাই অন্যকে বিশ্বাস করে।

প্রেমের উক্তি

  • ক্ষমায় যদি করতে না পারো তবে তাকে ভালোবাসো কেন?
  • আমরা সকলেই পৃথিবীতে কাউকে না কাউকে ভালোবাসি কিন্তু ভালোবাসলেও বন্ধু হওয়ার শক্তি আমাদের সকলের মধ্যে নেই।
  • ভালোবাসার জগতে প্রাপ্তি বলে যদি কিছু থেকে থাকে তার নাম বেদনা।
  • স্নেহ ভালোবাসা অতীত হয় না অনন্তকাল ধরে বর্তমান হয়ে বেঁচে থাকে।
  • যার ভালবাসা যত গভীর তার ভালোবাসার প্রকাশ তত কম! ভালোবাসা হচ্ছে উপলব্ধি করার বিষয় প্রকাশ করার বিষয় নয়।
  • প্রেমের মধ্যে ভয় না থাকলে রস নিবিড় হয় না।
  • ভালোবাসা যেখানে গভীর, নত হওয়া সেখানে গৌরবের।
  • নারী প্রেম যে পুরুষকে চায় তাকে প্রত্যক্ষ চায়। তাকে চিরন্তন নানা আকারে বেষ্টন করার জন্য সে ব্যাকুল। মাঝখানে ব্যবধানের শূন্যতাকে শেষ সইতে পারে না।
  • আসল প্রেম কখনো অধিকারের দাবি করে না বরং স্বাধীনতা দেয়।
  • কারো পছন্দ হওয়াটা খুব সহজ, কিন্তু সারা জীবন পছন্দের মানুষ হয়ে থাকাটা খুব কঠিন।
  • আনন্দকে ভাগ করলে দুইটা জিনিস পাওয়া যায়, একটি হচ্ছে জ্ঞান অপরটি হচ্ছে প্রেম।
  • যে মানুষ প্রেম দান করতে পারে ক্ষমতা তারেই, যে মানুষ প্রেম লাভ করে তার কেবল সৌভাগ্য।
  • জ্ঞান পেলে নিজেকে জ্ঞানী বলে গর্ব হয় কিন্তু প্রেম পেলে নিজেকে অধম বলে জেনেও আনন্দ হয়।
  • প্রেমের আনন্দ থাকে স্বল্পকাল। কিন্তু বেদনা থাকে সারা জীবন।
  • ভুল করে ভালোবেসে ফেলা যায় তবে ভুল করে ভোলা যায় না।
  • ভালোবাসা হলো একমাত্র বাস্তবতা এটি শুধুমাত্র আবেগ দিয়ে নিয়ন্ত্রিত নয়। এটি হলো একটি চিরন্তন সত্য যা সেই হৃদয় সৃষ্টি হয়, সেই হৃদয়ে থাকে।
  • আমি তোমাকে তোমাকে অসংখ্য ভাবে ভালোবেসেছি, অসংখ্যবার ভালোবেসেছি, এক জীবনের পর অন্য জীবনে ভালোবেসেছি, বছরের পর বছর , সর্বদা , সব সময়।
  • নারীর প্রেমে মিলনের সুর বাজে আর পুরুষের প্রেমে বিচ্ছেদের বেদনা।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কবে মৃত্যুবরন করেন

১৯৪১ খ্রিস্টাব্দের ৭ আগস্ট তারিখে (১৩৪৮ সাল ২২ -শ্রাবণ) রবীন্দ্রনাথের মৃত্যু হয়।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক উপলক্ষে আর্টিকেলটিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। উক্ত আর্টিকেলটিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য প্রদান করা হয়েছে। যেহেতু তিনি আমাদের জাতীয় কবি তাই দেশের একজন সচেতন নাগর হিসেবে তার সম্পর্কে জানা অত্যন্ত জরুরী।

কারণ বাংলায় তার অবদান অনস্বীকার্য। এর সাথে এই আর্টিকেল কবির জন্ম-মৃত্যু, শৈশবকাল, যৌবন কাল, শিক্ষা জীবন, তার বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ, উপন্যাস , ছোট গল্প এবং তার বিখ্যাত যত বাণী রয়েছে সেই বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। এখানে চেষ্টা করা হয়েছে যথাসম্ভব সর্বোচ্চ সঠিক তথ্য প্রদানের। আশা করি পোস্টটি পড়ে উপকৃত হয়েছেন।

যদি পোস্টটি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে এটি অবশ্যই আপনার বন্ধুবান্ধব কিংবা সহপাঠীদের মাঝে শেয়ার করতে পারেন যাতে করে তারাও আমাদের জাতীয় ও বিদ্রোহী কবির সম্পর্কে আরো পরিষ্কার ধারণা লাভ করতে পারে। সেই সাথে আরো অন্যান্য বিখ্যাত কবিদের সম্পর্কে জানতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটিতে ভিজিট করতে পারেন।

আর এই পোস্ট সম্পর্কে যদি কোন প্রশ্ন মতামত কিংবা পরামর্শ থাকে তাহলে অবশ্যই তা কমেন্টের মাধ্যমে জানিয়ে দেবেন। যাতে করে আপনার মাধ্যমে অন্যরা উপকৃত হতে পারে। পরিশেষে পোস্টটি সম্পন্ন পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ💚।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বিপ্লব আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রত্যেকটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url