রংপুর বিভাগের জেলা সমূহ
রংপুর বিভাগ বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত। রংপুর বিভাগ বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের ৮টি জেলা নিয়ে গঠিত। ২০১০ সালের ২০ জানুয়ারিতে বাংলাদেশের সপ্তম বিভাগ হিসেবে ঘোষিত হয়। রংপুর বিভাগের জনসংখ্যা প্রায় দেড় কোটি এবং আয়তন ১৬,৩২০ বঙ্গ কিলোমিটার।
জেলায় ৮টি উপজেলা, সংসদীয় আসন ৬টি সিটি করপররেসন ৩টি উনিয়ন,৮৬ টি, মৌজা ১২১৫টি, গ্রাম ১৪৩৫ টি রয়েছ।উপজেলা সমুহ হলোঃ কাউনিয়া, গংগাচড়া,তারাগঞ্জ, পীরগঞ্জ পীরগাছা, বদরগঞ্জ, মিঠাপুকুর এবং রংপুর সদর। জনসংখ্যা জনসংখ্যা ২৫৪২৪৪১; পুরুষ ১৩০৭৩৯৬, মহিলা ১২৩৫০৪৫।
আইন-ই-আকবরীর বিবরণ অনুযায়ী মোঘল রংপুর ৩ ধরনের প্রশাসনিক এলাকা নিয়ে গঠিত ছিল। ১৬৮৭ খ্রিস্টাব্দে ঘোড়াঘাটে মোগলদের একটি ফৌজদারী হেড কোয়ার্টার স্থাপন করা হয়। একই স্থানে কাকিনা, কাজিরহাট, ফতেহপুর মোগলদের অধীনে আসে এবং ২৪ বছর পর ১৭১১ খ্রি. সমগ্র রংপুরে মোগল সম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
দেশের প্রত্যেকটি জেলায় রয়েছে নিজস্ব কিছু খাবার; যেগুলোর সুনাম ও খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে দেশ-বিদেশে। যেমনঃ ইক্ষু, আদা, চা পাতা, ক্ষীরমোহন মিষ্টান্ন, রসমঞ্জরি মিষ্টি, সূর্যপুরি আম,ডোমারের সন্দেশ ইত্যাদি রংপুরের বিখ্যাত খাবার।আপনার জানা থাকলে নিশ্চয়ই রংপুর গেলে এই খাবারের আসল স্বাদ না নিয়ে ফিরতে চাইবেন না।
এই বিভাগের রয়েছে নিজস্ব সংস্কৃতি ইতিহাস ঐতিহ্য। চলন জেনে নেয়া যাক রংপুর বিভাগের সম্পর্কে বিস্তারিত …।
ভুমিকাঃ
রংপুর জেলা রংপুর জেলা বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রংপুর বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল ও বিভাগীয় শহর। । মোট আয়তন ২৩০৮ বর্গ কিমি । আটটি উপজেলা, ইউনিয়ন ৩৮টি, ১৪৫৫টি মৌজা এবং ১ টি সিটি কর্পোরেশন৩টি পৌরসভা নিয়ে রংপুর জেলা গঠিত।রংপুর জেলার উত্তরে লালমনিরহাট ও তিস্তা নদী, দক্ষিণে গাইবান্ধা ও দিনাজপুর জেলা, পূর্বে গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট জেলা এবং পশ্চিমে দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলা অবস্থিত।তিস্তা নদী উত্তর ও উত্তর পূর্ব সীমান্তকে লালমনিরহাট এবং কুড়িগ্রাম জেলা থেকে আলাদা করেছে।রংপুর জেলাকে বৃহত্তর বঙ্গপ্লাবন ভূমির অংশ মনে করা হয়।
কিন্তু ভূতাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে এর গঠন দেশের অন্যান্য জেলা থেকে আলাদা। এ জেলার ভূগঠন অতীতে উত্তরাঞ্চল প্রবাহমান কযয়েকটি নদীর গতিপথ পরিবর্তন এবং ভূকম্পনজনিত ভুমি উত্তোলনের সাথে জড়িত। তিস্তা নদীর আদি গতিপথ পরিবর্তন ছিল রংপুর জেলার ভূমি গঠনের ক্ষেত্রে অতি গুরুত্বপূর্ণ।
জেলায় ৮টি উপজেলা, সংসদীয় আসন ৬টি সিটি করপররেসন ৩টি উনিয়ন,৮৬ টি, মৌজা ১২১৫টি, গ্রাম ১৪৩৫ টি রয়েছ।উপজেলা সমুহ হলোঃ কাউনিয়া, গংগাচড়া,তারাগঞ্জ, পীরগঞ্জ পীরগাছা, বদরগঞ্জ, মিঠাপুকুর এবং রংপুর সদর। জনসংখ্যা জনসংখ্যা ২৫৪২৪৪১; পুরুষ ১৩০৭৩৯৬, মহিলা ১২৩৫০৪৫।
এ জেলায় মুসলিম , হিন্দু, বৌদ্ধ,খ্রিস্টান, সাঁওতাল, ওরাওঁ, মুন্ডা প্রভৃতি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে। নামকরণ নামকরণের ক্ষেত্রে লোকমুখে প্রচলিত আছে যে পূর্বের ‘রঙ্গপুর’ থেকেই কালক্রমে এই নামটি এসেছে। অর্থনীতি রংপুর অঞ্চলকে তামাকের জন্য বিখ্যাত বলা হয়।
এখানে উৎপাদিত তামাক দিয়ে সারা দেশের চাহিদা মেটানো হয়। রংপুরে প্রচুর পরিমাণ ধান-পাট-আলু ও আম উৎপাদিত হয়। যা স্থানীয় বাজার তথা সারাদেশের বাজারে সমান হারে সমাদৃত।
রংপুর বিভাগের জেলা সমূহ
রংপুর বিভাগে ৮টি জেলা এবং ৫৮ উপজেলা রয়েছে। জেলা গুলোর নাম হলঃরংপুর ,পঞ্চগড়, দিনাজপুর, লালমনিরহাট , নীলফামারী,গাইবান্ধা ,ঠাকুরগাঁও ও কুড়িগ্রাম।
রংপুর জেলার উপজেলাসমূহ
রংপুর জেলায় আটটি উপজেলা রয়েছে। উপজেলাগুলো হলঃ- রংপুর সদর
- গঙ্গাচড়া
- তারাগঞ্জ
- বদরগঞ্জ
- মিঠাপুকুর
- পীরগঞ্জ
- কাউনিয়া
- পীরগাছা।
পঞ্চগড় জেলায় কয়টি উপজেলা রয়েছে
পঞ্চগড় জেলায় ৫টি উপজেলা রয়েছে। উপজেলা গুলোর নাম হলঃ- পঞ্চগড়
- দেবিগঞ্জ
- বোদা
- অটোয়ার
- তেতুলিয়া।
দিনাজপুর জেলার উপজেলা সমূহ
দিনাজপুর জেলায় ১৩ টি উপজেলা রয়েছে। উপজেলা গুলোর নাম হলঃ- দিনাজপুর সদর
- নবাবগঞ্জ
- বীরগঞ্জ
- ঘোড়াঘাট
- বিরামপুর
- পার্বতীপুর
- বোচাগঞ্জ
- কাহারোল
- ফুলবাড়ী
- হাকিমপুর
- খানসামা
- বিরল
- চিরিরবন্দর।
লালমনিরহাট জেলায় কয়টি উপজেলা রয়েছে
লালমনিরহাট জেলায় ৫টি উপজেলা রয়েছে। উপজেলা গুলোর নাম হলঃ- লালমনিরহাট সদর
- কালিগঞ্জ
- হাতীবান্ধা
- পাটগ্রাম
- আদিত মারি
নীলফামারী জেলায় কয়টি উপজেলা রয়েছে
নীলফামারী জেলায় ছয়টি উপজেলা রয়েছে। উপজেলা গুলোর নাম হলোঃ- নীলফামারী সদর
- সৈয়দপুর
- ডোমার
- ডিমলা
- জলঢাকা
- কিশোরগঞ্জ
গাইবান্ধা জেলার উপজেলা সমূহ
গাইবান্ধা জেলার উপজেলা সংখ্যা হল ৭ টি। উপজেলা গুলো হলঃ- গাইবান্ধা সদর
- সাদুলুল্লাপুর
- পলাশবাড়ী
- সাঘাটা
- গোবিন্দগঞ্জ
- সুন্দরগঞ্জ
- ফুলছড়ি।
ঠাকুরগাঁও জেলায় কয়টি উপজেলা রয়েছে
ঠাকুরগাঁও জেলায় পাঁচটি উপজেলা রয়েছে। উপজেলা হল-- ঠাকুরগাঁও সদর
- পীরগঞ্জ
- রাণীশংকৈল
- হরিপুর
- বালিয়াডাঙ্গি
কুড়িগ্রাম জেলায় কয়টি উপজেলা রয়েছে
কুড়িগ্রাম জেলায় উপজেলার সংখ্যা ৯ টি । উপজেলাগুলো হলঃ- কুড়িগ্রাম সদর
- নাগেশ্বরী
- ভুরুঙ্গামারী
- ফুলবাড়ি
- বাজার হাট
- উলিপুর
- চিলমার
- বউমারি
- চর রাজিবপুর
রংপুর জেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য
রংপুর জেলা বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের রংপুর বিভাগের একটি প্রশাসনিক ও গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। বাংলাদেশের দ্বিতীয় জেলা রংপুর প্রতিষ্ঠিত হয় ১৬ ডিসেম্বর, ১৭৬৯ সালে। উপজেলার সংখ্যানুসারে রংপুর বাংলাদেশের একটি “এ” শ্রেণীভুক্ত জেলা।১৭০০ বছরের ঐতিহ্যের ধারক বাহক বর্তমানে জিআই পণ্য শতরঞ্জি রংপুরের বিখ্যাত বস্তু।এছাড়া, হাড়িভাঙ্গা আম এবং তামাকের জন্যও রংপুর বিখ্যাত। রংপুরকে বাহের দেশও বলা হয়।
রংপুর জেলা বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের এক ঐতিহ্যবাহী জনপদ। সুপ্রাচীনকাল থেকে এই জেলা গৌরবময় ও বৈচিত্র্যপূর্ণ ইতিহাসের অধিকারী। এর প্রায় ৮০ শতাংশ তিস্তার প্লাবন ভূমি এবং ২০ শতাংশ বরেন্দ্র ভূমির অন্তর্গত।
রংপুর জেলা বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের এক ঐতিহ্যবাহী জনপদ। সুপ্রাচীনকাল থেকে এই জেলা গৌরবময় ও বৈচিত্র্যপূর্ণ ইতিহাসের অধিকারী। এর প্রায় ৮০ শতাংশ তিস্তার প্লাবন ভূমি এবং ২০ শতাংশ বরেন্দ্র ভূমির অন্তর্গত।
এই অঞ্চল দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট, যমুনা, ধরলা প্রভৃতি নদ-নদী। হিন্দু ধর্মশাস্ত্র অনুযায়ী ভারতের পূর্বাংশ কামরূপ বা প্রাগজ্যোতিষ রাজ্যের অস্তিত্ব পাওয়া যায়, যার অন্তর্গত ছিল বর্তমান রংপুর তথা রঙ্গপুর অঞ্চল। রাজা ভগদত্তের সময় (খ্রিস্টপূর্ব ১৫শ' অব্দ) রংপুর প্রাগজ্যোতিষের অন্তর্গত ছিল।
আবার রাজা সমুদ্র গুপ্তের সময় (৩৪০ খ্রি.) কামরূপের করদ রাজ্যে পরিগণিত হয়। পরবর্তীতে আবার এই অঞ্চল কোচবিহারের কিছু অংশ হিসেবে পরিচালিত হতো। ৪র্থ শতাব্দীর মধ্য থেকে এ অঞ্চল সর্বপ্রথম বর্মা রাজবংশের অন্তর্ভুক্ত হয়। কালক্রমে পালবংশ, সেনবংশ আরও অনেক রাজবংশ এখানে রাজত্ব করে।
আইন-ই-আকবরীর বিবরণ অনুযায়ী মোঘল রংপুর ৩ ধরনের প্রশাসনিক এলাকা নিয়ে গঠিত ছিল। ১৬৮৭ খ্রিস্টাব্দে ঘোড়াঘাটে মোগলদের একটি ফৌজদারী হেড কোয়ার্টার স্থাপন করা হয়। একই স্থানে কাকিনা, কাজিরহাট, ফতেহপুর মোগলদের অধীনে আসে এবং ২৪ বছর পর ১৭১১ খ্রি. সমগ্র রংপুরে মোগল সম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
অষ্টাদশ শতাব্দীর তিন দশকের শুরুতে মাহিগঞ্জে পর্যন্ত মোগল ইতিহাসের আর তেমন কোন পরিবর্তন ঘটেনি।
রংপুর জেলার নামকরন
রংপুর নামকরণের ক্ষেত্রে লোকমুখে প্রচলিত আছে যে পূর্বের ‘রঙ্গপুর’ থেকেই কালক্রমে এই নামটি এসেছে। ইতিহাস থেকে জানা যায় যে উপমহাদেশে ইংরেজরা নীলের চাষ শুরু করে। এই অঞ্চলে মাটি উর্বর হবার কারণে এখানে প্রচুর নীলের চাষ হত। সেই নীলকে স্থানীয় লোকজন রঙ্গ নামেই জানত। কালের বিবর্তনে সেই রঙ্গ থেকে রঙ্গপুর এবং তা থেকেই আজকের রংপুর। অপর একটি প্রচলিত ধারনা থেকে জানা যায় যে রংপুর জেলার পূর্বনাম রঙ্গপুর। প্রাগ জ্যোতিস্বর নরের পুত্র ভগদত্তের রঙ্গমহল এর নামকরন থেকে এইরঙ্গপুর নামটি আসে। রংপুর জেলার অপর নাম জঙ্গপুর । ম্যালেরিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব থাকায় কেউ কেউ এই জেলাকে যমপুর বলেও ডাকত।
তবে রংপুর জেলা সুদুর অতীত থেকে আন্দোলন প্রতিরোধের মূল ঘাঁটি ছিল। তাই জঙ্গপুর নামকেই রংপুরের আদি নাম হিসেবে ধরা হয়। জঙ্গ অর্থ যুদ্ধ, পুর অর্থ নগর বা শহর। গ্রাম থেকে আগত মানুষ প্রায়ই ইংরেজদের অত্যাচারে নিহত হত বা ম্যালেরিয়ায় মারা যেত।
তাই সাধারণ মানুষ শহরে আসতে ভয় পেত। সুদুর অতীতে রংপুর জেলা যে রণভূমি ছিল তা সন্দেহাতীত ভাবেই বলা যায়। ত্রিশের দশকের শেষ ভাগে এ জেলায় কৃষক আন্দোলন যে ভাবে বিকাশ লাভ করে ছিল তার কারণে রংপুরকে লাল রংপুর হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছিল।
রংপুর বিভাগে কয়টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে
রংপুর বিভাগে দুটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। 2020 সালে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন শিক্ষার্থীদের তালিকাভুক্তির জন্য ক্লাস্টার পদ্ধতি চালু করেছে। এই ব্যবস্থা অনুযায়ী বাংলাদেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে পাঁচটি ক্লাস্টারে সাজাতে হবে।কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি; একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির জন্য, একটি ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়গুলির জন্য, একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়গুলির জন্য এবং শেষটি সাধারণ স্টাডিজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলির জন্য। নিম্নলিখিত বিশ্ববিদ্যালয়ের লিঙ্কঃ
- বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়(BRUR), রংপুর। প্রতিষ্ঠিত ২০০৮ সালে https://brur.ac.bd/
- হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(HSTU), দিনাজপুর। প্রতিষ্ঠিত ১৯৯৯ সালে। : https://www.hstu.ac.bd/
রংপুর জেলার বিখ্যাত খাবার
বাঙালি জাতি হিসাবে আমরা ভোজন বিলাসী,তাই আমাদের রয়েছে এক এক জায়গার বিখ্যাত সব খাবার। সেটাই তুলে ধরার প্রয়াস মাত্র।দেশের প্রত্যেকটি জেলায় রয়েছে নিজস্ব কিছু খাবার; যেগুলোর সুনাম ও খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে দেশ-বিদেশে। যেমনঃ ইক্ষু, আদা, চা পাতা, ক্ষীরমোহন মিষ্টান্ন, রসমঞ্জরি মিষ্টি, সূর্যপুরি আম,ডোমারের সন্দেশ ইত্যাদি রংপুরের বিখ্যাত খাবার।আপনার জানা থাকলে নিশ্চয়ই রংপুর গেলে এই খাবারের আসল স্বাদ না নিয়ে ফিরতে চাইবেন না।
এই আয়োজনে থাকছে দেশের ৬৪ জেলার বিখ্যাত খাবারগুলোর নাম। যাতে কখনো কোনো জেলায় গেলে সেখানকার বিখ্যাত খাবারের স্বাদ নিয়ে ফিরতে পারেন।
রংপুর কিসের জন্য বিখ্যাত
রংপুর অঞ্চলকে তামাকের জন্য বিখ্যাত বলা হয়। এখানে উৎপাদিত তামাক দিয়ে সারা দেশের চাহিদা মেটানো হয়। রংপুরে প্রচুর পরিমাণ ধান-পাট-আলু ও হাড়িভাঙ্গা আম উৎপাদিত হয়। যা স্থানীয় বাজার তথা সারাদেশের বাজারে সমান হারে সমাদৃত। তাছাড়াও সম্মিলিত খামার গড়ে উঠছে যা অর্থনীতিতে ব্যাপক হারে প্রভাব ফেলছে। এছাড়া ৭০০ বছরের ঐতিহ্যের ধারক বাহক বর্তমানে জিআই পণ্য শতরঞ্চি এর রংপুর মুঘল আমল থেকে বিখ্যাত। এছাড়াও লোক সংগীত ভাওয়াইয়া রংপুর বিভাগে বিখ্যাত।রংপুরের দর্শনীয় স্থান
- তাজহাট জমিদার বাড়িঃ রংপুর শহরের পায়রা চত্বর থেকে স্টেশন রোড হয়ে তাজহাট মোর আসবেন, অটো ভাড়া ১৫/- টাকা। অটো থেকে নেমে সোজা (দক্ষিণে) পাঁচ মিনিট হাটলে জমিদার বাড়ি পেয়ে যাবেন। প্রবেশ মুল্য ২০ টাকা। যাতায়াত সহ মোট খরচ ৫০/- টাকা।বিঃদ্রঃ রবিবার বন্ধ
- ঘাগট সেনা প্রয়াস সহায়ক পার্কঃরংপুর শহরের পায়রা চত্বর থেকে চেকপোস্ট আসবেন ১০/- টাকা অটো ভাড়া, চেকপোস্ট এ নেমে রাস্তা সাবধানে পার হয়ে সেনাবাহিনীর অটো তে করে ক্যান্টনমেন্ট এর ভিতর দিয়ে ৩ং চেক পোস্ট গেট যাবেন, অটো ভাড়া ১০/- টাকা।
সেখানে নেমে সচারচ অটো পাওয়া যায়না সেক্ষেত্রে রিক্সা করে ঘাগট পার্ক যাবেন ভাড়া ১০/- টাকা। প্রবেশ মুল্য ৩৫/- টাকা।বিঃদ্রঃ প্রতিদিন খোলা থাকে, বন্ধ হয় মাগরিবের আজানের পূর্বে।
- ভিন্ন জগতঃ রংপুর শহরের পায়রা চত্বর থেকে মেডিকেল মোর আসবেন ১০/- টাকা, সেখানে নেমে রাস্তা সাবধানে পার হয়ে মেডিকেল এর গেটের অপজিটে (জেল খানার গেটের) সামনে দাড়াবেন। অটো পাবেন পাগলাপীর যাওয়ার ২৫/- টাকা ভাড়া।
- সেখানে নেমে হাতের ডান দিকে রাস্তা পার হয়ে একটা অটো চরে ভিন্ন জগতে যাবেন ভাড়া ৫/- টাকা। ভিন্ন জগতে প্রবেশ মূল্য ১০০/- টাকা।বিঃদ্রঃ প্রতিদিন খোলা থাকে। যাতায়াত সহ মোট খরচ ১৮০/- টাকা।
- রংপুর চিড়িয়াখানাঃ রংপুর শহরের পায়রা চত্বর থেকে পুলিশ লাইন্স মোর যাবেন, অটো ভাড়া ৫ টাকা। (দুইজন হলে একটা রিক্সা নিয়ে যাবেন ১৫/- টাকায় চিড়িয়াখানার গেটে নামবেন)। অটো থেকে নেমে হাতের ডানে সাবধানে রাস্তা পার হয়ে তিন মিনিট হাটলেই চিড়িয়াখানা। প্রবেশ মূল্য ১০/- টাকা।বিঃদ্রঃ প্রতিদিন খোলা থাকে, যাতায়াত সহ মোট খরচ ২০/- টাকা।
- তিস্তা ব্রিজঃ রংপুর শহরের পায়রা চত্বর থেকে দুই মিনিট দক্ষিনে হেটে গিয়ে জাহাজ কোম্পানির মোড় যাবেন। সেখানে সাতমাথার অটো তে উঠবেন ভাড়া ১৫/- টাকা। সাতমাথা নেমে একটু হাটলেই তিস্তা/লালমনি/কাউনিয়া যাওয়ার বাস/সি এন জি পাবেন।
- সেখানে উঠবেন তিস্তা যাওয়ার ভাড়া নিব্র ৩০/- টাকা। অবশ্যই ব্রিজে নামবেন কারণ ব্রিজ পার হয়ে তিস্তা বাজার। বিঃদ্রঃ বাইক নিয়ে গেলে সাবধানে চালাবেন, যাতায়াত সহ মোট খরচ ৯০/- টাকা।
- লেক সিটি পার্ক/চিকলী বিলঃ রংপুর শহরের পায়রা চত্বর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক মোড় আসবেন ভাড়া ৫/- টাকা। সাবধানে রাস্তা পার হয়ে একটা রিক্সা নিয়ে চিকলী পার্ক যাবেন ভাড়া ১৫/- টাকা। (হেটে যেতে প্রায় ১৫ মিনিট লাগবে, ভিতরে হওয়ায় অটো যায় না। প্রবেশ মূল্য ২০/- টাকা।বিঃদ্রঃ প্রতিদিন খোলা থাকে, যাতায়াত সহ মোট খরচ ৫০/- টাকা।
- কালেক্টরেট সুরভি উদ্যানঃ রংপুর শহরের পায়রা চত্বর থেকে পুলিশ লাইন্স পার হলেই হাতের ডান দিকে দেখতে পারবেন, (গুগল ম্যাপ ব্যবহার করতে পারেন) অটো ভাড়া ৫/- টাকা। প্রবেশ মূল্য ফ্রি কারণ এটা জেলা প্রশাসক এর দায়িত্বে।
- টাউনহল রংপুরঃ রংপুর শহরের পায়রা চত্বর থেকে রংপুর সিটি বাজার পার হয়ে এর অবস্থান। যেকোনো মেডিকেল মোর যাওয়ার অটো তে উঠে বলবেন টাউন হল যাবেন, ভাড়া ৫/- টাকা। আপনি চাইলে হেটে যেতেও পারবেন।
- বিঃদ্রঃ ভিতরে পাবলিক লাইব্রেরি রয়েছে, বিভিন্ন অনুষ্ঠান সেখানে হয় (স্বাধীনতা, বিজয় এবং মাতৃভাষা দিবস) এ নানা রকম অনুষ্ঠান দেখা যায়। বন্ধুরা মিলে সন্ধ্যায় গিটার বাজিয়ে আড্ডা দেয়ার জন্য উপযুক্ত।
- RAMC Shopping Complex ঃরংপুর শহরের পায়রা চত্বর থেকে চেকপোস্ট যাবেন ভাড়া ১০/- টাকা। (চেকপোস্ট যাওয়ার অটো না পেলে মেডিকেল মোর এর অটোতে চড়বেন তারপর ডিসি মোড় এ নামবেন ভাড়া ৫/- টাকা) চেকপোস্টে নেমে সাবধানে রাস্তা পার হয়ে হাতের ডান দিকে দুই মিনিট হাটলেই ৬ তলা ভবন।
বিঃদ্রঃ ৬ তলায় রয়েছে অসম্ভব সুন্দর পরিবেশ, বিভিন্ন উন্নত মানের খাবার রেস্টুরেন্টে। রংপুরের চার দিকে ঘুরে এসে এইখানে বন্ধুরা সহ বিশ্রাম ও আড্ডা দিতে পারবেন। নিচ তলায় ওয়াশরুম আছে। সোমবার বন্ধ, রাত ১০ঃ৩০ এর পর ভিতরে প্রবেশ নিষিদ্ধ। এক্সিট সময় তখন।
রংপুর বিভাগের বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব
হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ( সাবেক রাষ্ট্রপতি), জি এম কাদের (রাজনীতিবিদ), ড. ওয়াজেদ মিয়া (পরমাণুবিদ), শাহ আবদুল হামিদ (রাজনীতিবিদ) বেগম রোকেয়া (সাহিত্যিক), শেখ ফজলুল করিম (কবি ও সাহিত্যিক), আনিসুল হক (লেখক) সহ অনেক বিখ্যাত ব্যক্তি এবং রাজনীতিবিদের জন্ম রংপুর বিভাগে।রংপুর বিভাগের নদ-নদীর সমূহ
রংপুর বিভাগের উল্লেখযোগ্য নদ-নদীর মধ্যে ব্রহ্মপুত্র, আত্রাই, করতোয়া, কাটাখালী, কুলিক, তিস্তা, দুধকুমার, নাগর, বাঙ্গালী, মহানন্দা, গঙ্গাধর উল্লেখযোগ্য।লেখকের মন্তব্যঃ
প্রিয় পাঠক, আর্টিকেলটিতে রংপুর বিভাগ সম্পর্কে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। এখানে রয়েছে রংপুর বিভাগের জেলা উপজেলা, এই বিভাগের সংস্কৃতি ঐতিহ্য ও ইতিহাস। একজন দেশের নাগরিক হিসেবে দেশের প্রত্যেকটি বিভাগ সম্পর্কে আমাদের ধারণা থাকা উচিত। সে উদ্দেশে সামনে রেখে এই আর্টিকেলটি লেখা।আবার এই ধরনের আর্টিকেল থেকে বা বিষয়গুলো থেকে বিভিন্ন ধরনের চাকরি পরীক্ষা এবং ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন আসে।সুতরাং আশা করি পোস্টটি করে উপকৃত হয়েছেন। যদি পোস্টটি পড়ে উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে এটি আপনার বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়স্বজন কিংবা সহপাঠীর সাথে শেয়ার করতে পারেন।
যাতে করে তারাও রংপুর বিভাগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারে। আর এই পোস্ট সম্পর্কে যদি কোন মতামত প্রশ্ন কিংবা পরামর্শ থাকে তাহলে অবশ্যই তা কমেন্টের মাধ্যমে জানিয়ে যাবেন। সেই সাথে আরো অন্যান্য বিভাগ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানবে এবং বিভিন্ন ধরনের জ্ঞানমূলক ও বিজ্ঞান চিন্তা ধারার পোস্ট পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন।
পরিশেষে পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ💚।
বিপ্লব আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রত্যেকটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url