শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম কত সালে
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বাংলা ভাষার জনপ্রিয় লেখক, ঔপন্যাসিক ও গল্পকার। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে সহজ-সাবলীল রচনার জন্য অপ্রতিদ্বন্ধী জনপ্রিয়তার কারণে তিনি 'অপরাজেয় কথাশিল্পী ' নামে পরিচিত। বাংলার নবজাগরণে অনেক সাহিত্যিক তাদের সাহিত্য রচনাবলীর মাধ্যমে সমাজ-সংস্কার চেতনায় ব্যাপক প্রভাব ফেলেছিলেন। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তাদের মধ্যে অন্যতম একজন।
কথাশিল্পী' শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মাত্র ৬১বছর বয়সে পরলোক গমন করেন।
কারণ বাংলায় তার অবদান অনস্বীকার্য। এর সাথে এই আর্টিকেল কবির জন্ম-মৃত্যু, শৈশবকাল, যৌবন কাল, শিক্ষা জীবন, তার বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ, উপন্যাস , ছোট গল্প এবং তার বিখ্যাত যত বাণী রয়েছে সেই বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। এখানে চেষ্টা করা হয়েছে যথাসম্ভব সর্বোচ্চ সঠিক তথ্য প্রদানের। আশা করি পোস্টটি পড়ে উপকৃত হয়েছেন।
যদি পোস্টটি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে এটি অবশ্যই আপনার বন্ধুবান্ধব কিংবা সহপাঠীদের মাঝে শেয়ার করতে পারেন যাতে করে তারাও আমাদের এই বিখ্যাত কবির সম্পর্কে আরো পরিষ্কার ধারণা লাভ করতে পারে। সেই সাথে আরো অন্যান্য বিখ্যাত কবিদের সম্পর্কে জানতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটিতে ভিজিট করতে পারেন।
আর এই পোস্ট সম্পর্কে যদি কোন প্রশ্ন মতামত কিংবা পরামর্শ থাকে তাহলে অবশ্যই তা কমেন্টের মাধ্যমে জানিয়ে দেবেন। যাতে করে আপনার মাধ্যমে অন্যরা উপকৃত হতে পারে। পরিশেষে পোস্টটি সম্পন্ন পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ💚।
ভুমিকা
বাংলার সাহিত্য-গগনে যখন বঙ্কিম প্রতিভা অস্তমিত, রবীন্দ্রসূর্য যখন মধ্যগগনে, ঠিক তখনই শরৎকালের পূর্ণচন্দ্রের স্লিদ্ধ জ্যোতি নিয়ে এক আশ্চর্য আবির্ভাব ঘটল শরৎচন্দ্রের। সাহিত্যের দরবারে তিনি শোনালেন সমাজের চির-বঞ্চিত, চির-পতিত, চির- অবহেলিতদের জীবন কাহিনী, মর্মস্পর্শী ভাষায় রচনা করলেন তাদের বেদনাময় কাহিনী।
সাধারণ মানুষের জন্য তাঁর এই গভীর মমত্ব, সহানুভূতি এবং সমাজের অচলায়তন ভাঙার জন্য দ্রোহিতা বাংলা সাহিত্যে এক নতুন মাত্রা যোগ করল।তাদের উদ্দেশ্যে তিনি লিখলেন, "সংসারে যারা শুধু দিলে, পেলে না কিছুই যারা বঞ্চিত, যারা দুর্বল, উৎপীড়িত - মানুষ যাদের চোখের জলের কোনো হিসাব নিলে না,
নিরুপায় দুঃখময় জীবনে যারা কোনদিন ভেবেই পেল না সমস্ত থেকেও কেন তাদের কিছুতেই অধিকার নেই এদের বেদনাই দিলে আমার মুখ খুলে, এরাই পাঠাল আমাকে জানাতে"। মানুষের কাছে মানুষের নালিশ জানাতে।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কত সালে জন্মগ্রহন করেন
হুগলি জেলার দেবানন্দপুর গ্রামে ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দের ১৫ সেপ্টেম্বর, বাংলা ১২ ৮৩ বঙ্গাব্দের ৩১ ভাদ্র, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম হয়। তাঁর পিতার নাম মতিলাল চট্টোপাধ্যায় এবং মাতা ভুবনমোহিনী দেবী।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বৈবাহিক জীবন
এই রেঙ্গুন শহরে থাকাকালীন শরৎচন্দ্র শান্তিদেবীকে বিবাহ করেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, তিনি তাঁর স্ত্রী শান্তিদেবী ও তাঁদের একমাত্র শিশু কন্যাকে হারান দুরন্ত প্লেগ রোগে। তারপর তিনি সেখানেই এক দরিদ্র ঘরের বিধবা কন্যা মোক্ষদাদেবীকে বিবাহ করেন। পরে তাঁর নাম রাখেন হিরন্ময়ী দেবী।শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের শৈশবকাল
শৈশবে তাঁর মাথায় চুল না থাকায় তাঁকে ন্যাড়া’ নামে ডাকা হত। শরৎচন্দ্রের শৈশব ও কৈশােরের মাত্র কয়েকটি বছর দেবানন্দপুরে অতিবাহিত হয়। ছেলেবেলায় তিনি খুব দুরন্ত ছিলেন। পিতার আয় তেমন না থাকায় কিছু সময় আর্থিক সমস্যায় ও কষ্টে তাঁর জীবন কাটে। জীবনের অন্তিমে শরৎচন্দ্র দুরারােগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হন।চিকিৎসকদের সকল চেষ্টা ব্যর্থ করে ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দের ১৬ জানুয়ারি, বাংলা ১৩৪৪ বঙ্গাব্দের ২ মাঘ, বেলা দশটার সময় ৬১ বছর বয়সে তিনি পার্থিব জীবন থেকে মহাকালের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কর্মজীবন
পিতার মৃত্যুর পর শরৎচন্দ্র কোলকাতায় আসেন। সেখানে উকিল লালমোহন গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়িতে ওঠেন। তাঁর কাছেই মাসিক ৩০টাকা বেতনের একটি চাকরি জুটিয়ে নেন। তারপর ১৯০৩ সালে তিনি বিদেশে পাড়ি দেন। উপস্থিত হন সুদূর ব্রহ্মদেশের রেঙ্গুন শহরে। রেলওয়ে অডিট অফিসে তিনি একটা অস্থায়ী চাকরিতে যোগ দেন।শরৎ-সাহিত্যের বিশিষ্টতা
শরৎচন্দ্রের বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা ছিল বিচিত্র। এই অভিজ্ঞতাই হল তাঁর সৃষ্টির মূল কথা এবং জনপ্রিয়তার কারণ। চন্দ্রের স্নিগ্ধ কিরণের মতই শরৎ সাহিত্য সমস্ত মানুষকে আপন করেছে। তিনি ছিলেন সমাজের উৎপীড়িত, নিপীড়িত, বঞ্চিত মানুষের লেখক। তাই তাঁর উপন্যাস, গল্পে আমরা শুনতে পাই বঞ্চিত মানবাত্মার ক্রন্দন খুনি।শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রচনাসম্ভার ও সাহিত্যকীর্তি
দীর্ঘ ১৩ বছর রেঙ্গুনে কাটিয়ে ১৯১৫ সালে স্বদেশে ফিরে এসে তিনি আত্মনিয়োগ করেন নিবিড় সাহিত্য সাধনায়। বেশ পরিণত বয়সে শরৎচন্দ্র পরিপক্ক রচনা নিয়ে বাঙালি পাঠক সাধারণের কাছে উপস্থিত হয়েছিলেন।তবে, রেঙ্গুনে যাওয়ার আগেই ১৯০৩ সালে মামা গিরীনের অনুরোধে তিনি 'মন্দির' নামে যে গল্প লেখেন, তা কুন্তলীন প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ বলে বিবেচিত হয়। শরৎচন্দ্রের সাহিত্য সাধনা শুরু হয়েছিল নিতান্ত কৈশোরেই।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন
শরৎচন্দ্র রাজনীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ছিলেন। ১৯২১ সালে অসহযোগ আন্দোলনে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। ১৯২১ থেকে ১৯৩৬ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন হাওড়া জেলা কংগ্রেসের সভাপতি। সশস্ত্র বিপ্লবীদের তিনি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন।শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপাধী
শরৎচন্দ্রের প্রতিভা ও অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ১৯২৩ সালে কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাঁকে 'জগত্তারিণী সুবর্ণ পদক' এবং ১৯৩৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে 'সাহিত্যাচার্য' উপাধি প্রদান করা হয়। এছাড়া কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় শরৎচন্দ্রকে বি.এ. পরীক্ষায় বাংলা প্রশ্নপত্রের প্রশ্নকর্তা হিসেবেও একবার দায়িত্ব অর্পণ করেছিলেন।শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কত সালে মৃত্যুবরণ করেন
অবশেষে ১৯৩৮ সালের ১৬ই জানুয়ারী 'অপরাজেয়কথাশিল্পী' শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মাত্র ৬১বছর বয়সে পরলোক গমন করেন।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস সমূহ
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তার জীবনে অসাধারণ উপন্যাসসমূহ রচনা করে গেছেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক তার উপন্যাস গুলো কি কি- বড়দিদি ১৯১৩।
- বিরাজবৌ, ১৯১৪
- পরিণীতা, ১৯১৪
- পন্ডিতমশাই, ১৯১৪
- মেজ দিদি, ১৯১৬
- পল্লী-সমাজ, ১৯১৬
- চন্দ্রনাথ, ১৯১৬
- বৈকুন্ঠের উইল, ১৯১৬
- অরক্ষণীয়া, ১৯১৬
- শ্রীকান্ত-প্রথম পর্ব, ১৯১৭
- নিষ্কৃতি, ১৯১৭
- দেবদাস, ১৯১৭
- চরিত্রহীন, ১৯১৭
- দত্তা, ১৯১৮
- শ্রীকান্ত-দ্বিতীয় পর্ব, ১৯১৮
- গৃহদাহ, ১৯২০
- বামুনের মেয়ে, ১৯২০
- দেনা পাওনা, ১৯২৩
- শুভদা, ১৯৩৮
- নব-বিধান, ১৯২৪
- পথের দাবী, ১৯২৬
- শ্রীকান্ত-তৃতীয় পর্ব, ১৯২৭
- শেষ প্রশ্ন, ১৯৩১
- শ্রীকান্ত-চতুর্থ পর্ব, ১৯৩৩
- বিপ্রদাস, ১৯৩৫
- শেষের পরিচয়, ১৯৩৯
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের নাটক
- ষোড়শী, ১৯২৮ (দেনা পাওনা উপন্যাসের নাট্য রুপ)
- রমা, ১৯২৮ (পল্লীসমাজ উপন্যাসের নাট্যরূপ)
- বিরাজ বউ, ১৯৩৪ (বিরাজ বউ উপন্যাসের নাট্যরূপ)
- বিজয়া, ১৯৩৫ (দত্তা উপন্যাসের নাট্যরূপ)।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ছোটগল্প
- রামের সুমতি ১৯১৪
- একাদশী বৈরাগী ছবি, ১৯২০
- পথনির্দেশ, ১৯১৪
- আঁধারে আলো ১৯১৫
- বিলাসী, ১৯২০
- দর্পচূর্ণ ১৯১৫
- মামলার ফল, ১৯২০
- কাশীনাথ, ১৯১৭
- হরিলক্ষ্মী, ১৯২৬
- স্বামী, ১৯১৭
- মহেশ, ১৯২৬
- লালু
- অভাগীর স্বর্গ, ১৯২৬
- দেওঘরের স্মৃতি
- অনুরাধা, ১৯৩৪
- বিষাক্ত প্রেম
- সতী, ১৯৩৪
- সত্যাশ্রয়ী
- পরেশ, ১৯৩৪
- শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধ
- নারীর মূল্য (১৯৩০)
- তরুণের বিদ্রোহ, (১৯১৯)
- স্বদেশ ও সাহিত্য (১৯৩২) স্বরাজ সাধনায় নারী,দ
- শিক্ষার বিরোধ স্মৃতিকথা,
- অভিনন্দন ভবিষ্যৎ বঙ্গ-সাহিত্য,
- গুরু-শিষ্য সংবাদ সাহিত্য ও নীতি,
- সাহিত্যে আর্ট ও দুর্নীতি ভারতীয় উচ্চ সঙ্গীত।
চলচ্চিত্রায়ন
- দেবদাস উপন্যাসটি বাংলা হিন্দি ও তেলেগু ভাষায় মোট আট বার চলচ্চিত্রে রূপান্তরিত হয়েছে।
- সন্ধ্যারানি ও উত্তমকুমার অভিনীত বিখ্যাত 'বড়দিদি',
- সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ও মৌসুমি চট্টোপাধ্যায় অভিনীত 'পরিণীতা'
- উত্তমকুমার ও সুচিত্রা সেন অভিনীত 'চন্দ্রনার্থ
- উত্তমকুমার ও মাধবী মুখার্জি অভিনীত 'বিরাজ বউ'
- স্বামী' (১৯৭৭) চলচ্চিত্রের জন্য শরৎচন্দ্র ফিল্মফেয়ার সেরা লেখকের পুরস্কার পান।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বিখ্যাত উক্তি
- অতীত মুছে ফেলার শ্রেষ্ঠ উপায় হচ্ছে স্থান পাল্টানো।
- যাকে তাকে গুছিয়ে দেওয়ার নামে বিবাহ নয়, মনের মিল না হলে বিবাহ করাই ভুল।
- ভালোবাসাটার মতো এত বড় শক্তি এত বড় শিক্ষক সংসারে বুঝি আর নাই। ইহা পারেনা এত বড় কাজও বুঝি কিছু নাই।
- মনে করি চাঁদ ধরি হাতে দেই পেড়ে বাবলা গাছে লেগে আঙ্গুল গেল ছিড়ে।
- সত্যের স্থান বুকের মধ্যে মুখের মধ্যে নয়। কেবল মুখ দিয়ে বার হয়েছে বলেই কোন জিনিস কখনো সত্য হয়ে ওঠেনা।
- হৃদয়ের কোমলতা ও দুর্বলতা এক বস্তু নয়।
- বাধা গরু অনাহারে দাঁড়িয়ে মরতে দেখেছো? সে দাঁড়িয়ে মরে তবু সে জীর্ণদৌড়িটা ছিড়ে ফেলে মনিবের শান্তি নষ্ট করে না।
- বড় প্রেম সব সময় কাছে জানেনা। দূরেও ঠেলে দেয়।
- যাহা জটিল ও দুর্বুদ্ধ তাহা বিসদ ভাবে পরিষ্কার করিয়া বুঝাইয়া বলিবার সময় ও সুবিধা না হওয়া পর্যন্ত একেবারে না বলাই ভালো।
- জীবনের অনেক বড় বস্তুকে চেনা যায় শুধু তাকে হারিয়ে।
- আমি যে মেয়ে মানুষ! মেয়ে মানুষের কি কখনো অসুখ হয় না সে মরে? কোথাও শুনেছো অযত্নে অত্যাচারে মেয়ে মানুষ মরে গেছে?
- মহত্ব জিনিসটা কোথাও যাকে ঝাকে থাকে না। তাকে সন্ধান করে খুঁজে নিতে হয়।
- রাজার আইন , আদালত , জজ , ম্যাজিস্ট্রেট সমস্ত মাথার ওপরে থাকলেও দরিদ্র প্রতিযোগীকে নিঃশব্দে মৃত হইবে।
- মানুষকে ব্যথা দেবার একটা সীমা আছে, সেটা ডিঙিয়ে যেও না।
- কত হারাইয়া গিয়াছে টের পাই নাই, কিন্তু তবুও তো শিকল ছিড়িয়া যায় না।
- মেয়েরা পুরুষের হৃদয় এক মিনিটেই চিনে নিতে পারে, এটি বিধাতার দেয়া শক্তি। অথচ আশ্চর্যের ব্যাপার ওরা নিজেদের হৃদয় নিজেরা চিনতে পারে না।
- কোন বড় ফলই বড় রকমের দুঃখ ভোগ ছাড়া পাওয়া যায় না।
- রাগ করে সোয়া যেতে পারে কিন্তু রাগ করে ঘুমানো যায় না। বিছানায় পড়ে ছটফট করার মত শাস্তি আর নেই।
- যখন তুমি কাউকে ভালবাসবে তখন বুঝবে ব্যাথা কি!
- যদির উত্তর যদি দিয়েই হয়। অনিশ্চিত প্রস্তাবের নিশ্চিত মীমাংসা আশা করতে নেই।
- অনুকরণে মুক্তি আসে না, মুক্তি আসে জ্ঞানে।
- মানুষের শুভ ইচ্ছা যখন বুক থেকে সত্য হয়ে বার হয়, তখন সে চেষ্টা ব্যর্থ হয় না।
- যা ভালো কাজ তার অধিকার মানুষ সঙ্গে সঙ্গেই ভগবানের কাছে পাই- মানুষের কাছে হাত পেতে নিতে হয় না।
- মানুষের মরণ আমাকে বড় আঘাত করে না, করে মনুষ্যত্বের মরন দেখিলে।
- এ জীবনে ভালোবাসার ব্যবসা অনেক করেছি। কিন্তু একটি বার মাত্র ভালোবেসেছি। সে ভালোবাসা অনেক মূল্য, অনেক শিখেছি।
- স্বেচ্ছায় নেয়া দুঃখ ঐশ্বর্যের মতোই ভোগ করা যায়।
- ভালবাসার ক্ষেত্রে সেই বুদ্ধিমান যে ভালোবাসে বেশি কিন্তু প্রকাশ করে কম।
- মন্দ তো ভালোর শত্রু নয়, ভালো শত্রু তার চেয়েও যে আরো ভালো সে।
- তিক্ততার মধ্য দিয়ে সংসার ছেড়ে শুধু হতভাগ্য লক্ষ্মীছাড়া জীবন যাপন করা চলে, কিন্তু বৈরাগ্য সাধন হয় না।
- সৃষ্টির কালই হলো যৌবনকাল।
- শ্রদ্ধা ও স্নেহের অভিনন্দন মন দিয়ে গ্রহণ করতে হয়, তার জবাব দিতে নেই।
- যেদিন বুঝবে রূপটাও মানুষের ছায়া, মানুষ নয়- সেদিনই শুধু ভালবাসার সন্ধান পাবে।
- ক্ষমার ফল কি শুধু অপরাধীই পায়, যে ক্ষমা করে, সে কি কিছুই পায় না?
- পুরুষ মানুষ যত মন্দই হয়ে যাক, ভালো হতে চাইলে তাকে কেউ তো মানা করে না কিন্তু মেয়েদের বেলায় সব পথ বন্ধ কেন?
- পক্ষপাতহীন বিচারকই ন্যায় বিচার করতে পারে।
- আমি তো চললুম। পথের কষ্ট আমাকেই নিতে হবে, ছেনি বারণ সে নিবারণ করার সাধ্য কারো নেই।
- যেখানে ফেলে যাওয়াই মঙ্গল, সেখানে আকারে থাকাতেই অকল্যাণ।
- তারাই মহৎ প্রান, যারা অন্যদেরকে বিপদ থেকে উদ্ধার করতে গিয়ে নিজেদের বিপদের কথা মনে রাখেনা।
- বনের পাখির চেয়ে পিঞ্জরের পাখি টাই বেশি ছটফট করে।
- প্রবল জ্বর উগ্র নেশার মত অনেক আশ্চর্য কথা মানুষের ভেতর হতে টানিয়া আনে।
- শিক্ষা ,বিদ্যা, বুদ্ধি , জ্ঞান উন্নতি করতে যা কিছু সব সুখের জন্য। যেমন করেই দেখো না কেন, নিজের মুখ বাড়ানো ছাড়া এ সকল আর কিছুই না।
- হৃদয় যখন ঘৃণাতে পূর্ণ হয় তখন একজন মানুষ যা খুশি তাই করার অধিকার।।
- দুঃখ যত বড়ই হোক না কেন, তা সহ্য করার মধ্যে মানবতা আছে। ঈশ্বর কখনোই চান না একজন মানুষ অপরেজেও হয়ে পৃথিবী ছেড়ে চলে যায়।
- অর্থ উপার্জন এবং উন্নতি করা এক নয়।
- বিশেষত এই কিশোর বয়স তার মতো এমন মহাবিস্ময়কর বস্তু সংসারে আর নেই।
- মানুষ দুঃসময়ের মাঝে আশা নিরাশার কূলকিনারা যখন দেখতে পায় না তখন দুর্বল মন বড় ভয়ে ভয়ে আসার দিকটাই চাপিয়া ধরে রাখে।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক উপলক্ষে আর্টিকেলটিতে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। উক্ত আর্টিকেলটিতে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য প্রদান করা হয়েছে। যেহেতু তিনি আমাদের জাতীয় কবি তাই দেশের একজন সচেতন নাগর হিসেবে তার সম্পর্কে জানা অত্যন্ত জরুরী।কারণ বাংলায় তার অবদান অনস্বীকার্য। এর সাথে এই আর্টিকেল কবির জন্ম-মৃত্যু, শৈশবকাল, যৌবন কাল, শিক্ষা জীবন, তার বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ, উপন্যাস , ছোট গল্প এবং তার বিখ্যাত যত বাণী রয়েছে সেই বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। এখানে চেষ্টা করা হয়েছে যথাসম্ভব সর্বোচ্চ সঠিক তথ্য প্রদানের। আশা করি পোস্টটি পড়ে উপকৃত হয়েছেন।
যদি পোস্টটি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে এটি অবশ্যই আপনার বন্ধুবান্ধব কিংবা সহপাঠীদের মাঝে শেয়ার করতে পারেন যাতে করে তারাও আমাদের এই বিখ্যাত কবির সম্পর্কে আরো পরিষ্কার ধারণা লাভ করতে পারে। সেই সাথে আরো অন্যান্য বিখ্যাত কবিদের সম্পর্কে জানতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটিতে ভিজিট করতে পারেন।
আর এই পোস্ট সম্পর্কে যদি কোন প্রশ্ন মতামত কিংবা পরামর্শ থাকে তাহলে অবশ্যই তা কমেন্টের মাধ্যমে জানিয়ে দেবেন। যাতে করে আপনার মাধ্যমে অন্যরা উপকৃত হতে পারে। পরিশেষে পোস্টটি সম্পন্ন পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ💚।
বিপ্লব আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রত্যেকটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url