সিলেট বিভাগের জেলা সমূহ
সিলেট বাংলাদেশের অন্যতম একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা বিভাগ। দেশের সচেতন নাগরিক হিসেবে সিলেট বিভাগ এর সাথে সাথে বাংলাদেশের সকল বিভাগ সম্পর্কেই ধারণা রাখা উচিত। চলুন জেনে নেয়া যাক সিলেট বিভাগের জেলা উপজেলা সহ আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
ভূমিকাঃ
সিলেট বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলের একটি শহর, যা সুরমা নদীর তীরে অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত। হযরত শাহজালাল (রঃ), হযরত শাহ পরাণ (রঃ) এর মত অনেক দরবেশের মাজার রয়েছে। হাসন রাজা, শাহ আব্দুল করিম, এম.এ.জি. ওসমানী সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন।এটি ঢাকা ও চট্টগ্রামের পর বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শহর। দেশের অর্থনীতিতে সিলেটের অবদান অনেক।সিলেট যেহেতু উত্তর-পূর্ব বাংলাদেশের একটি প্রধান শহর, তাই একই সাথে এই শহরটি সিলেট বিভাগের বিভাগীয় শহর এবং সিলেটের অর্থনীতি বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহৎ অর্থনীতি। প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্যের কারণে এই অঞ্চলটি বাংলাদেশের কৃষি রাজধানী হিসেবে পরিচিত।
বিশাল অর্থনৈতিক সম্ভাবনার জন্য সিলেটকে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অর্থনীতির চালিকা শক্তি হিসেবেও দেখা হয়। আয়তন এবং উৎপাদন উভয়ের ভিত্তিতে, এই অঞ্চলটিতে পৃথিবীর সর্ব বৃহৎ চায়ের বাগান অবস্থিত।
সিলেট বিভাগে দুটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। ২০২০ সালে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন শিক্ষার্থীদের তালিকাভুক্তির জন্য ক্লাস্টার ব্যবস্থা চালু করেছে। এই ব্যবস্থা অনুযায়ী বাংলাদেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে পাঁচটি ক্লাস্টারে সাজাতে হবে।
নিম্নলিখিত বিশ্ববিদ্যালয়ের লিঙ্ক:
সিলেট বিভাগের জেলা সমূহ
সিলেট বিভাগে মোট ৪টি জেলা এবং ৪০টি উপজেলা রয়েছে। জেলা সমূহের নাম হলঃ- সিলেট,
- সুনামগঞ্জ,
- হবিগঞ্জ,
- মৌলভীবাজার।
সিলেট জেলার উপজেলা সমূহ
সিলেট জেলায় সর্বমোট ১৩ টি উপজেলা রয়েছে। উপজেলাগুলো হলঃ- সিলেট সদর
- বালাগঞ্জ
- বিয়ানীবাজার
- বিশ্বনাথ
- কোম্পানীগঞ্জ
- ফেঞ্চুগঞ্জ
- গোলাপগঞ্জ
- গোয়াইন হাট
- জৈন্তাপুর
- কানাইঘাট
- জাকিগঞ্জ
- দক্ষিণ সুরমা
- ওসমানী।
সুনামগঞ্জজেলার উপজেলা সমূহ
সুনামগঞ্জ জেলার মোট বারোটি উপজেলা রয়েছে। উপজেলাগুলো হলঃ
- সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা
- শান্তিগঞ্জ উপজেলা
- শাল্লা উপজেলা
- তাহিরপুর উপজেলা
- জামালগঞ্জ উপজেলা
- জগন্নাথপুর উপজেলা
- মধ্যনগর উপজেলা
- ধর্মপাশা উপজেলা
- ছাতক উপজেলা
- দিরাই উপজেলা
- বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা
- দোয়ারাবাজার উপজেলা
হবিগঞ্জ জেলার উপজেলা সমূহ
হবিগঞ্জ জেলায় মোট ৯ উপজেলা রয়েছে। উপজেলাগুলো হলঃ
- হবিগঞ্জ সদর উপজেলা
- নবীগঞ্জ উপজেলা
- বাহুবল উপজেলা
- মাধবপুর উপজেলা
- আজমিরীগঞ্জ উপজেলা
- শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা
- চুনারুঘাট উপজেলা
- লাখাই উপজেলা
- বানিয়াচং উপজেলা
- মৌলভীবাজার জেলার উপজেলা সমূহ
- মৌলভীবাজার জেলার উপজেলা সংখ্যা ৭ টি
- মৌলভীবাজার সদর উপজেলা
- শ্রীমঙ্গল উপজেলা
- রাজনগর উপজেলা
- কুলাউড়া উপজেলা
- বড়লেখা উপজেলা
- কমলগঞ্জ উপজেলা
- জুড়ী উপজেলা।
আরো পড়ুনঃ বরিশাল বিভাগের জেলা সমূহ
সিলেট বিভাগে কয়টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছেমৌলভীবাজার জেলার উপজেলা সমূহ
মৌলভীবাজার জেলার উপজেলা সংখ্যা ৭ টি। উপজেলা গুলো হলঃ- মৌলভীবাজার সদর উপজেলা
- শ্রীমঙ্গল উপজেলা
- রাজনগর উপজেলা
- কুলাউড়া উপজেলা
- বড়লেখা উপজেলা
- কমলগঞ্জ উপজেলা
- জুড়ী উপজে
সিলেট জেলার আয়তন কত
সিলেট জেলাটি বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত। আয়তনে এ জেলাটি প্রায় ৩৪৫২ বর্গ কিমি এবং এ জেলায় জনসংখ্যা প্রায় ৩৮,৫৩,৫৭০ জন (জনশুমারি ২০২২)। সিলেটের পশ্চিমে রয়েছে সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ জেলা, পূবে রয়েছে আসাম(ভারত), দক্ষিনে অবস্থিত মৌলভীবাজার জেলা এবং উত্তরে অবস্থিত মেঘালয়(ভারত) ও খাশিয়া জৈন্তিয়াা পাহাড়।সিলেট জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত
সিলেট জেলা কমলালেবু, চাপাতা, সাতকড়ার আচার এবং সাত রঙের চা এর জন্য বিখ্যাত।সিলেট বিভাগে দুটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। ২০২০ সালে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন শিক্ষার্থীদের তালিকাভুক্তির জন্য ক্লাস্টার ব্যবস্থা চালু করেছে। এই ব্যবস্থা অনুযায়ী বাংলাদেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে পাঁচটি ক্লাস্টারে সাজাতে হবে।
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি; একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির জন্য, একটি ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়গুলির জন্য, একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়গুলির জন্য এবং শেষটি সাধারণ স্টাডিজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলির জন্য।
নিম্নলিখিত বিশ্ববিদ্যালয়ের লিঙ্ক:
- সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়: http://www.sau.ac.bd/
- শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়: https://www.sust.edu/
সিলেট জেলার ইতিহাস
বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল সিলেট । এটি সিলেট বিভাগের অধিক্ষেত্রভুক্তি একটি জেলা । সিলেট বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত একটি প্রাচীন জনপদ । বনজ, খনিজ ও মৎস্য সম্পদে ভরপুর এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মন্ডিত এ জেলা দেশের আধ্যাত্মিক রাজধানী ও বিশ্বের দ্বিতীয় লন্ডন হিসেবে খ্যাত।
জৈন্তিয়া পাহাড়ের অপরূপ দৃশ্য, জাফলং এর মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য, ভোলাগঞ্জের সারি সারি পাথরের স্তূপ, পাথরের বিছানাখ্যাত বিছনাকান্দি, রাতারগুল জলাবন পর্যটকদের টেনে আনে বার বার।দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর সিলেট জেলার বিপুল সংখ্যক লোক পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অভিবাসন গ্রহণ করেছে
তারা প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণ করে দেশের অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রাখে। সিলেটের পাথর, বালির গুণগতমান দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ। জেলার প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদ রয়েছে যা সারা দেশের সিংহভাগ চাহিদা পূরণ করে থাকে। স্বাধীনতা যুদ্ধে এ জেলার ভূমিকা অপরিসীম।
মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক জেনারেল এম,এ,জি ওসমানী এ জেলারই কৃতী সন্তান।১৭৬৭ খ্রিস্টাব্দে এ অঞ্চল ব্রিটিশদের করায়ত্ত হবার পর ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে সিলেট জেলার সৃষ্টি হয় এবং প্রথম কালেক্টর হিসেবে নিয়োগ পান মিঃ উইলিয়াম থ্যাকারে। ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এক পর্যায়ে সিলেট জেলাকে ভেঙ্গে চারটি জেলা সৃষ্টি করা হয় ।
স্বাধীনতাপূর্ব সদর মহুকুমার এলাকা নিয়ে বর্তমানে সিলেট জেলা গঠিত । ১২(বার)টি উপজেলা নিয়ে বর্তমান সিলেট জেলা গঠিত।সিলেট জেলার প্রধান বাণিজ্যিক এলাকা হলো সিলেট শহর । ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলেই সিলেট দ্রুত বিকাশ লাভ করেছে। সিলেট পৌরসভা সৃষ্টি ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে ।
১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দের ১২ জুন এক মারাত্মক ভূমিকম্প গোটা সিলেট শহরটি প্রায় সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে ফেলে। পরবর্তী কালে ধ্বংসস্ত্তপের ওপর গড়ে উঠে ইউরোপীয় ধাঁচের আরও সুন্দর ও আধুনিক শহর। ১৮৯০ এর দশকের শেষ ভাগে বেশ কিছু রাস্তাঘাট তৈরি করা হয়।
১৯১২-১৫ সালে আসাম বেঙ্গল রেলওয়ের একটি শাখা সিলেটের সাথে সংযুক্ত হলে দেশের অন্যান্য অংশের সাথে সিলেটের বিচ্ছিন্নতার প্রকৃত অবসান ঘটে।
সিলেট জেলার নামকরন
প্রাচীন গ্রন্থাদিতে এ অঞ্চলকে বিভিন্ন নামের উল্লেখ্য আছে। হিন্দুশাস্ত্র অনুসারে শিবের স্ত্রী সতি দেবীর কাটাহস্ত (হাত) এই অঞ্চলে পড়েছিল, যার ফলে ‘শ্রী হস্ত’ হতে শ্রীহট্ট নামের উৎপত্তি বলে হিন্দু সম্প্রদায় বিশ্বাসকরেন। খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতকের ঐতিহাসিক এরিয়ান লিখিত বিবরণীতে এই অঞ্চলের নাম “সিরিওট” বলে উল্লেখ আছে।এছাড়া, খ্রিস্টীয় দ্বিতীয় শতকে এলিয়েনের (অরষরবহ) বিবরণে “সিরটে”, এবং পেরিপ্লাস অবদ্যা এরিথ্রিয়ান সী নামক গ্রন্থে এ অঞ্চলের নাম “সিরটে” এবং “সিসটে” এই দুইভাবে লিখিত হয়েছে।অতঃপর ৬৪০ খ্রিস্টাব্দে যখন চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাং এই অঞ্চল ভ্রমণ করেন।
তিনি তাঁর ভ্রমণকাহিনীতে এ অঞ্চলের নাম “শিলিচতল” উল্লেখ করেছেন তুর্কি সেনাপতি ইখতিয়ার উদ্দীন মুহম্মদ বখতিয়ার খলজী দ্বারা বঙ্গ বিজয়ের মধ্য দিয়ে এদেশে মুসলিম সমাজব্যবস্থার সূত্রপাত ঘটলে মুসলিম শাসকগণ তাঁদের দলিলপত্রে “শ্রীহট্ট” নামের পরিবর্তে “সিলাহেট”, “সিলহেট” ইত্যাদি নাম লিখেছেন বলে ইতিহাসে প্রমাণ মিলে।
আর এভাবেই শ্রীহট্ট থেকে রূপান্তর হতে হতে এক সময় সিলেট নামটি প্রসিদ্ধ হয়ে উঠেছে বলে ঐতিহাসিকরা ধারণা করেন। এছাড়াও বলা হয়, এক সময় সিলেট জেলায় এক ধনী ব্যক্তির একটি কন্যা ছিল। তার নাম ছিল শিলা। ব্যক্তিটি তার কন্যার স্মৃতি রক্ষার্থে একটি হাট নির্মাণ করেন এবং এর নামকরণ করেন শিলার হাট।
এই শিলার হাট নামটি নানাভাবে বিকৃত হয়ে সিলেট নামের উৎপত্তি হয়।
সিলেট জেলার দর্শনীয় স্থান
প্রকৃতিও সিলেটকে অনেক সুন্দর জায়গা দিয়ে আশীর্বাদ করেছে। সারা দেশের মানুষ যখন তাদের ব্যস্ত জীবন থেকে বিরতি নিয়ে কিছু শান্তিপূর্ণ দিন কাটাতে চায় তখন সিলেটে আসে। আপনিও যদি সিলেটে যাওয়ার পরিকল্পনা করে থাকেন এবং ভ্রমণের একটি সুন্দর প্যাকেজ নিয়ে থাকেন, তাহলে এখানে আমি আপনাকে সিলেটের সেরা ১০টিএবং সেই সাথে আরো অনেক পর্যটন স্থান সম্পর্কে পরামর্শ দিতে পারি যা আজকাল সবচেয়ে সুন্দর হিসাবে বিবেচিত হয়।হযরত শাহজালাল ও শাহপরানের স্মৃতি বিজড়িত পুণ্যভূমি সিলেটকে সাজাতে প্রকৃতিও কোনরকম কার্পণ্য করেনি। পাহাড়, নদী, ঝর্ণা এবং চা বাগানে অপূর্ব সৌন্দর্য্য সিলেট জেলাকে করেছে অনন্য বৈশিষ্ট্যের অধিকারী।
ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং আদিবাসী জীবনধারায় সমৃদ্ধ জনপদ সিলেট জেলার দর্শনীয় স্থানের সংখ্যাও নেহায়তই কম নয়। চলুন জেনে নেয়া যাক সিলেট জেলার জনপ্রিয় সকল দর্শনীয় স্থানের নাম।
- মাধবকুন্ড জলপ্রপাত
- শ্রীমঙ্গল চা বাগান
- শাহজালাল দরগাহ
- টাঙ্গুয়ার হাওর
- মালনি ছড়া চা বাগান
- জাফলং (Jaflong)
- খাসিয়া পল্লী (Khasiya Polli)
- বিছানাকান্দি (Bichnakandi)
- রাতারগুল জলাবন (Ratargul Swamp Forest)
- লোভাছড়া (lovachora)
- সংগ্রামপুঞ্জি জলপ্রপাত (Songrampunji Waterfall)
- পানথুমাই ঝর্ণা (Pantumai Waterfall)
- লালাখাল (Lala Khal)
- হযরত শাহজালাল (রঃ) মাজার (Hazrat Shahjalal Mazar Sharif)
- খাদিমনগর জাতীয় উদ্যান (Khadimnagar National Park)
- হাকালুকি হাওড় (Hakaluki Haor)
- তামাবিল (Tamabil)
- ভোলাগঞ্জ (Bholaganj)
- লক্ষনছড়া (Lokkhon Chora)
- উৎমাছড়া (Uthma Chora)
- নাজিমগড় রিসোর্ট (Nazimgarh Garden Resort)
- মালনীছড়া চা বাগান (Malinichora Tea Estate)
- জৈন্তা রাজবাড়ি (Palace of Jaintapur)
- জৈন্তা হিল রিসোর্ট (Jainta Hill's Resort)
- ডিবির হাওর-শাপলা বিল (Dibir Haor)
- হযরত শাহপরাণ (রঃ) মাজার (Hazrat Shahporan Mazar)
- শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (Shahjalal University of Science & Technology)
- কালা পাহাড় (Kala Pahar)
- শাহী ঈদগাহ (Shahi Eidgah)
- ক্বীন ব্রীজ (Keane Bridge)
- আলী আমজাদের ঘড়ি (Ali Amjad's Clock)
- মণিপুরী রাজবাড়ি (Manipuri Rajbari)
- মুনিপুরী মিউজিয়াম (Manipuri Museum)
- শুকতারা প্রকৃতি নিবাস (Shuktara Resort)
- মায়াবন ( Mayabon)
- ড্রিমল্যান্ড পার্ক (Dreamland Park)
- এডভেঞ্চার ওয়ার্ল্ড (Adventure World)
- জাকারিয়া সিটি (Zakaria City)
- শ্রী চৈত্যনো দেবের বাড়ী (Sri Chaitanya Dev's House)
- কুলুমছড়া (Kulumchora)
- লাক্কাতুরা চা বাগান (Lakkatura Tea Garden)
- ওসমানী শিশু উদ্যান (Osmani Shishu Uddan)
- জিতু মিয়ার বাড়ী (Jitu Mia's House)
- টিলাগড় ইকো পার্ক (Tilagor Eco Park)
- সুরমা রিভার ক্রুস রেস্টুরেন্ট (Surma River Cruise Restaurant)
সিলেট জেলার বিখ্যাত খাবার
সিলেট বিভাগ এর অধীনে যে সব জেলা রয়েছে সে গুলোর বিখ্যাত খাবার নাম-- সিলেট জেলার বিখ্যাত- চা, কমলালেবু, সাতকড়া।
- হবিগঞ্জ জেলার বিখ্যাত- চা-পাতা, সাতকড়া, লেবু।
- সুনামগঞ্জ জেলার বিখ্যাত- দেশবন্ধুর মিষ্টি, হাওড়ের মাছ।
- মৌলভীবাজার জেলার বিখ্যাত- আখনী পোলাও, সাতকরা, ম্যানেজার স্টোরের চ্যাপ্টা রস গোল্লা, হাওরের মা্ খাসিয়া পান, আনারস ইত্যাদি।
সিলেট জেলার বিখ্যাত ব্যাক্তি
সিলেট বাংলাদেশের একটি প্রাচীন শহর। ইতিহাস-ঐতিহ্য নানাদিক থেকে এ অঞ্চলের সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে। এখানে ধর্মীয় সিদ্ধপুরুষ শ্রীচৈতন্য বা হযরত শাহজালাল(রঃ) মত মানুষের কর্মক্ষেত্র ছিল। একই সাথে রাজনৈতিক,সামাজিক,সাংস্কৃতিক অঙ্গণেও এসেছেন প্রচুর বড় চরিত্র। এখানে এ রকম কয়েক জনের পরিচয় তুলে ধরা হল।- বিপিনচন্দ্র পালঃ বিপিনচন্দ্র পালের জন্ম পৈল, হবিগঞ্জে(তৎকালীন সিলেট) ৭ই নভেম্বর ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে, এবং তিনি মৃত্যুবরণ করেন ২০মে ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে। ভারতের স্বদেশী আন্দোলনের স্রষ্টাদের অন্যতম তিনি। তার ডাকে হাজার হাজার তরুণ আন্দোলনে শামিল হন। তিনি বিপ্লববাদের পক্ষ ছিলেন। সেই সাথে জাতীয় বিদ্যালয় এর সূচনা করেন এবং সিলেটে শিক্ষা ও স্বদেশী আন্দোলন বিস্তারে তার ভূমিকা অনবদ্য। জীবনে তিনি বহুবার কারা ভোগ করেছেন।
- আব্দুল করিমঃ শিক্ষাবিদ আব্দুল করিম পাঠানটুলা সিলেটে বিশে আগস্ট ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। এবং ৩ আগস্ট ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি আধুনিক শিক্ষার পক্ষে ছিলেন। তাকে সিলেটে মহসিন বলা হয়। কবিগুরুকে সিলেটে স্বাগত জানাতে তার উদ্বেগী ভূমিকা ছিল।
- রাজা গিরিশ চন্দ্র রায়ঃ রাজা গিরিশচন্দ্র রায় এমসি কলেজ ও রাজা জি সি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ নির্মাণের সময় লক্ষাধিক টাকা দান করেন। কলকাতায় শ্রীহট্ট মেসে তিনি সহযোগিতা করতেন।
- বিপ্লবী লীলা নাগঃ বিপ্লবী লীলা নাগ ২ অক্টোবর ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দে পাঁচগাও রাজনগর, মৌলভীবাজারে জন্মগ্রহণ করেন। এবং মৃত্যুবরণ করেন ১১ই জুন ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে। তার প্রচেষ্টাই নারীরা বিপ্লবী সংগ্রামে যুক্ত হন। একসময় গ্রেপ্তার হয়ে অশেষ নির্যাতন ও কারা ভোগ করেন।
- সৈয়দ মুজতবা আলীঃ সৈয়দ মুজতবা আলী একজন সাহিত্যিক ও বাস সৈনিক। তৎকালীন করিমগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। সিলেটি উচ্চারণের কারণে রবি ঠাকুর তাকে খেপানোর জন্য বলতেন মুজতবার মুখ থেকে কমলালেবুর গন্ধ বের হয়।
- কমরেড অজয় ভট্টাচার্যঃ কমরেড অজয় ভট্টাচার্য হলেন সিলেটের নানকার বিদ্রোহের নায়ক। তিনি ইংরেজ আমলে ৭ বার এবং পাকিস্তান পিরিয়ডে টানা ২০ বছর কারাগারে ছিলেন।
যুগ যুগ ধরে এ মাটিতে জন্মেছেন তত্ত্বসাহিত্যের দেশবরেণ্য অনেক কবি, সাধক ও বাউল। তাঁদের মধ্য থেকে মরমী কবি-সাধক ও জমিদার দেওয়ান হাসন রাজা, বৈঞ্চব কবি ও ধামালি নৃত্যের প্রবর্তক রাধারমণ দত্ত, জ্ঞানের সাগর দুর্বিন শাহ ও বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিম অন্যতম।
সিলেটের প্রাকৃতিক সম্পদ
সিলেট অঞ্চল বাংলাদেশের একটি সবথেকে সমৃদ্ধ অঞ্চল। এখানে প্রচুর গ্যাসের মজুত রয়েছে এবং বাংলাদেশের একমাত্র তেল ক্ষেত্র সিলেট অঞ্চলে অবস্থিত। বাংলাদেশের মৎস সম্পদের একটা বড় অংশ রয়েছে হাওরাঞ্চলে, হাকালুকি হাওর ( hakaluki haor ) , টাঙ্গুয়ার ( tanguar haor ) হাওড় সহ সিলেটের অসংখ্য হাওর এ অঞ্চলের মাছের চাহিদা পূরণ করে। নদী ছাড়া 'জলা
লেখকের বক্তব্যঃ
আমরা চেষ্টা করেছি সিলেট বিভাগ সম্পর্কে যথাসম্ভব সঠিক সঠিক তথ্য উপস্থাপন করার। এই আর্টিকেলটিতে রয়েছে সিলেট বিভাগের জেলা ও উপজেলা সমূহ, সিলেট বিভাগের ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি, জেলার বিখ্যাত দর্শনীয় স্থানগুলো কি, এখানকার বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।যা আপনার জ্ঞান ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করতে সাহায্য করবে। এছাড়াও এধরনের বিষয়াবলী থেকে বিভিন্ন ধরনের চাকরি পরীক্ষা এবং ভর্তি পরীক্ষা তো প্রশ্ন আস। আশা করি পোস্টটি পড়ে উপকৃত হয়েছে। যদি পোস্টটি পড়ে উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে এটি আপনার বন্ধু-বান্ধব আত্মীয় স্বজদের মাঝে শেয়ার করতে পারেন, যাতে করে তারাও সিলেট বিভাগ সম্পর্কে জানতে পারে।
এ ধরনের আরো অন্যান্য বিভাগ সম্পর্কে জানতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন। এছাড়াও এই ওয়েবসাইটটিতে জ্ঞানমূলক, বিজ্ঞানমূলক ও প্রযুক্তিগত আর্টিকেল প্রতিনিয়ত প্রকাশ করা হয়। এই পোস্ট সম্পর্কে যদি কোন প্রশ্ন, মতামত কিংবা পরামর্শ থাকে তাহলে অবশ্যই তা কমেন্টের মাধ্যমে জানিয়ে যাবেন।
পরিশেষে পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ💚।
বিপ্লব আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রত্যেকটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url