বাংলাদেশের ১০ জন বিজ্ঞানীর নাম


সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীদের মতো বিজ্ঞানীদের মত বাংলাদেশেও বিজ্ঞানী রয়েছে। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে তাই প্রত্যেকের তাদের সম্পর্কে জানা উচিত। চলুন জেনে নেয়া যাক বাংলাদেশের কয়েকজন বিজ্ঞানী সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

বাংলাদেশের ১০ জন বিজ্ঞানীর নাম

ভুমিকা

অনেক পরিবর্তনের মাধ্যমে আমরা আজকের এই পৃথিবী পেয়েছি। এই পরিবর্তনের পিছনে অবদান আছে অনেক শাখার। তবে সবচেয়ে বেশি পরিবর্তন এসেছে বিজ্ঞানের হাত ধরে।বর্তমানে আমারা যে পৃথিবীকে দেখতে পারছি, আজ থেকে ১০০ বছর বা তারো আগে আমাদের পৃথিবী এমন ছিল না।

জীবন ও বিজ্ঞান যেন একই সূত্রে গাঁথা। বিজ্ঞানের কল্যাণে আমাদের জীবন হয়েছে সুন্দর, সহজ আর গতিময়। বিজ্ঞানের নতুন নতুন আবিস্কার এই পরিবর্তনশীল পৃথিবীকে দিয়েছে নতুন মাত্রা।এই পরিবর্তনশীল পৃথিবীকে সুন্দর করে সাজাতে বাংলাদেশের বিজ্ঞানিদের অবদানকেও ছোট করে দেখা যাবে না।

আমরা কতজন বাংলাদেশী সেইসব কৃতি বিজ্ঞানিদের জানি বা চিনি, যাদের কারনে বাংলাদেশের নামও বিশ্ব দরবারে মাথা উচুঁ করে দাড়িয়ে আছে । আজকে আমরা আপনাদের কাছে তুলে ধরব বাংলাদেশের জনপ্রিয় ও সেরা ১০ জন বিজ্ঞানীর নাম ও তাদের আবিস্কার সমূহ ।

বাংলাদেশের জনপ্রিয় ও সেরা ১০ জন বিজ্ঞানীর নাম

বিজ্ঞান মানেই নতুন নতুন আবিষ্কার। সেই নতুন আবিষ্কারে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশের নাম। বিজ্ঞানে বাঙালি বিজ্ঞানীরা অসামান্য অবদান রেখে গেছেন। এখনও রেখে যাচ্ছেন। সবার মধ্য থেকে সেরা পাঁচ বিজ্ঞানীর কথা তুলে ধরছি আজ। বাংলাদেশের সেরা ৫জন বিজ্ঞানী সম্পর্কে জানার আগে আপনি যদি আমার চ্যালেনে নতুন হয়ে থাকেন তবে অবশ্য।

আমার চ্যালেনটি স্বাকক্রাইব করে পাশে থাকা বেল আইকনটি টিপে রাখুন। যাতে আমাদের ভিডিওগুলো আপনি সবার আগে পেতে পারেন। তো চলুন জেনে নিই বাংলাদেশের সেরা ৫জন বিজ্ঞাপ্তি সম্পর্কে।

জগদীশ চন্দ্র বসু

উদ্ভিদে প্রাণের অস্তিত্ব সর্বপ্রথম অনুভব করেছিলেন বিজ্ঞানী আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু। বিভিন্ন উদ্ভিদ নিয়ে গবেষণার এক পর্যায়ে তিনি মনে করেন, বিদ্যুৎ প্রবাহে উদ্ভিদও উত্তেজনা অনুভব করে এবং সাড়া দিতে পারে। তার মানে উদ্ভিদেরও প্রাণ আছে। ১৯১০ সালের দিকে তাঁর গবেষণার পূর্ণাঙ্গ ফলাফল প্রকাশ হয়।
আরো পড়ুনঃ জগদীশ চন্দ্র বসুর জিবনী সম্পর্কে

কুদরাত-এ-খুদা

তিনি বনৌষধি, গাছগাছড়ার গুণাগুণ, পাট, লবণ, কাঠকয়লা, মৃত্তিকা ও অনান্য খনিজ পদার্থ নিয়ে কাজ করেন। তিনি ও তাঁর সহকর্মীদের ১৮টি আবিষ্কারের মধ্যে নয়টি পাটসংক্রান্ত। পাট ও পাটকাঠি থেকে রেয়ন ও কাগজ, রস ও গুড় থেকে মল্ট ভিনেগার উল্লেখযোগ্য। তাঁর ১০২টি গবেষণামূলক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
আরো পড়ুনঃ 

সত্যেন্দ্রনাথ বসু

সত্যেন বোসের গবেষণা পার্টিকেল স্ট্যাটিস্টিক্স ১৯২২ সালে আইনস্টাইন জার্মান ভাষায় অনুবাদ করেছিলেন। তাঁর গবেষণা কোয়ান্টাম থিওরির অনেক পথ খুলে দেয়। কোয়ান্টাম ফিজিক্সের অনন্য আবিষ্কার ‘ঈশ্বর কণা’-র নামকরণ করা হয়েছে তাঁর ও পিটার হিগসের নামে– হিগস-বোসন পার্টিকেল।

প্রফুল্ল চন্দ্র রায়

বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে ভারতীয় উপমহাদেশের শিল্পায়নে পি সি রায়ের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তিনি ১৮৯৫ সালে মারকিউরাস নাইট্রাইট আবিষ্কার করেন। এটি তাঁর অন্যতম প্রধান আবিষ্কার। তিনি সমগ্র জীবনে মোট ১২টি যৌগিক লবণ এবং ৫টি থায়োএস্টার আবিষ্কার করেন।

মেঘনাদ সাহা

মেঘনাদ সাহা পরমাণু বিজ্ঞান, আয়ন মণ্ডল, পঞ্জিকা সংস্কার, বন্যা প্রতিরোধ ও নদী পরিকল্পনা নিয়ে গবেষণা করেছেন। তাপীয় আয়নবাদ সংক্রান্ত তত্ত্ব উদ্ভাবন করে জ্যোতির্পদার্থবিজ্ঞানে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন।

আব্দুর সাত্তার খান

জগত বিখ্যাত এই বিজ্ঞানী ১৯৪১ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় খাগাতুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ। তিনি পড়াশোনা করেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে। সেখান থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। এরপর অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে 1968 সালে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি চার দশক ধরে না নাসা ও নানান বিখ্যাত পশ্চিমা কোম্পানিগুলোতে কাজ করেছেন।

তিনি ৪০টিরও বেশি বাণিজ্যিকভাবে সফল ধাতুর মিশ্রণ আবিষ্কার করেন। যেমনঃস্পেস শাটল,জেট ইঞ্জিন, দ্রুতগামী ট্রেন ও শিল্প কারখানায় গ্যাস টারবাইন তৈরিতে কাজে লাগানো হয়। এই মিশ্রণ ইঞ্জিন কে হালকা করে তোলে। যা কোন জানতে দ্রুত চলতে সাহায্য করে। এই মিশ্রণ শক্তিশালী ও অত্যাধুনিক মার্কিন ফাইটার জেট এফ-১৫ ও ১৬ এ ব্যবহার করা হয়।

তিনি সুইজারল্যান্ডে গবেষণার সময়ে যে ধাতুর মিশ্রণ আবিষ্কার করেন তা সেখানে দ্রুতগামী ট্রেন তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।

ফজলুর রহমান খান

স্থপতি ফজলুর রহমান খান যিনি এফআর খান নামে পৃথিবী বিখ্যাত। তিনি ১৯২৯ সালে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার ভান্ডারী কান্দি গ্রামে তার পৈতৃক নিবাস। তিনি 1952 সালে ফুলব্রাইট বৃদ্ধি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গমন করেন।

সেখান থেকে ১৯৫৩ সালে তিনি ইউনিভার্সিটি অব এলিনয় থেকে অবকাঠামো প্রকৌশল এবং ১৯৫৫ সালে তত্ত্বীয় ও ফলিত বলবিজ্ঞানের স্নাতকোত্তর উপাধি লাভ করেন। একসময়ে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু শিকাগোর সিয়ার্স টাওয়ার তার অনন্য কীর্তি।

তিনি .১৯৫৬,৬৮,৭০,৭১,৭৯ সালে 5 বার স্থাপত্য শিল্পে সবচেয়ে বেশি অবদানকারী ব্যক্তিত্ব হিসেবে অভিহিত হবার গৌরব লাভ করেন। এছাড়াও তার অন্যান্য অবদানের মধ্যে রয়েছে শিকাগোর জন হ্যানকক সেন্টার, জেদ্দা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর।

১৯৯৮ সালে শিকাগো শহরের সিয়ার্স টাওয়ারের কাছেই অবস্থিত জ্যাকসন সড়ক পশ্চিম পার্শ্ব এবং ফ্রাঙ্কলিন সড়কের দক্ষিণ পার্শ্বের সংযোগস্থলটিকে তাঁর নামে নামকরণ করা হয়।

ফজলে বারি মানিক

ফজলে বারি মানিক ১৯৩৪ সালে পশ্চিমবঙ্গের বাকুড়া জেলায় Range Kolkata জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বিজ্ঞান গবেষণায় অসান্য খড়াপুর অবদান রেখে গেছেন। তিনি জার্মানির গটিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চডি ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি নোভেল প্রাইজ পাওয়া জার্মান বিজ্ঞানী ভারনার হাইজেনবার্গ এর অধীনে পিএইচডি করেন।

তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে ১৯৬০-৬৩ সাল পর্যন্ত যুক্ত ছিলেন। তিনি পরে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে শিক্ষকতা শুরু করেন। এছাড়াও তিনি। ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয় ও ইলিয়নয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। তিনি দুই বছর (১৯৯২-৯৩) নাসার সামার ফেলো হিসেবেও কাজ করেন।

তিনি ১৯৩৯ সালে ঝিনাইদহ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি প্রথমে ভর্তি হন কলকাতার মডেল স্কুলে। মডেল স্কুলের পর চট্টগ্রামে চলে আসেন। চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলে ভর্তি হন।এরপর পূর্ব পাকিস্তান ছেড়ে পশ্চিম পাকিস্তানের চলে যান। সেখানে গিয়ে ভর্তি হন লরেন্স কলেজে। এরপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে পড়তে যান।

সেখান থেকে অনার্স করেন। বিএসসি শেষে ১৯৫৭ সালে কেমব্রিজে পড়তে যান। কেমব্রিজের প্রায়োগিক গণিত ও তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান থেকে ১৯৫৯ সালে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এখান থেকেই পরের বছর স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৬৪ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই প্রায়োগিক গণিত ও তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮২ সালে এসসিডি ডিগ্রি অর্জন করেন।তিনি পরে ক্যালিফোর্নিয়া ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি ও ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনে গবেষক হিসেবে কাজ করেন।

কুদরাত-এ-খুদা কত সালে জন্ম গ্রহন করেন

কুদরাত-এ-খুদা ১৯০০ সালের পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমের মাড়গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। সেসময় হাতে গোনা যে কয়েকজন মুসলিম ইংরেজি ভাষা জানতেন তিনি তাদের মধ্যে অন্যতম।তিনি ১৯১৮ সালে ম্যাট্রিক পাশ করেন। তারপর তিনি ভর্তি হন প্রেসিডেন্সি কলেজে।

সেখান থেকেই তিনি ১৯২৫ সালে রসায়নে প্রথম শ্রেণিতেতিনি সরকারি বৃত্তি নিয়ে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে যান পিএইচডি করার জন্য। সেখানে তিনি স্যার জেএফ থর্পের অধীনে থিসিস করেন। প্রফেসর থর্প কুদরত এ খুদাকে স্বাধীনভাবে গবেষণা করতে দেন।

ফলে তিনি চার বছরের মধ্যে রেকর্ড পরিমাণ কাজ করেন। প্রথম হয়ে এমএসসি পাশ করেন।তার ও তার সহকর্মীদের ১৮টি আবিষ্কারের পেটেন্ট রয়েছে, যার মধ্যে ৯টি পাটসংক্রান্ত। এর মধ্যে পাট ও পাটকাঠি থেকে রেয়ন, পাটকাঠি থেকে কাগজ এবং রস ও গুড় থেকে মল্ট ভিনেগার আবিষ্কার।

তার ও তার সহকর্মীদের ১৮টি আবিষ্কারের পেটেন্ট রয়েছে, যার মধ্যে ৯টি পাটসংক্রান্ত। এর মধ্যে পাট ও পাটকাঠি থেকে রেয়ন, পাটকাঠি থেকে কাগজ এবং রস ও গুড় থেকে মল্ট ভিনেগার আবিষ্কার।

সমীর কুমার সাহা

তিনি বাংলাদেশের ইনফেকশাস ডিজিজ হিরো। তিনি বাংলাদেশ থেকে নিউমোনিয়া রোগ নির্মূল ও ভ্যাক্সিন প্রদানের বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করেন।তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যায় থেকে বিএসসি ও এমএসসি পাশ করেন। পরবর্তীতে বানারস হিন্দু ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন।তিনি দুটি মরণঘাতী জীবাণু বিস্তার প্রতিরোধে ভ্যক্সিন ব্যবহারের পদ্ধতি বাতলে দেন।

সেঁজুতি সাহা

সেঁজুতি সাহা একজন অণুজীববিজ্ঞানী। তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকায়। তার পিতা বাংলাদেশের আরেক প্রসিদ্ধ অণুজীববিজ্ঞানী ড.সমীর সাহা।তিনি বাংলাদেশ থেকে 'ও লেভেল' শেষ করে ২০০৫ সালে কানাডার টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকে ভর্তি হন।

স্নাতক শেষ করে তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ে আণবিক জিনতত্ত্বে পিএইচডি করেনউচ্চশিক্ষা শেষ করে তিনি গবেষক হিসেবে কিছুদিন কাজ করেন। ২০১৯ সাল থেকে বাংলাদেশের সিএইচআরএফ বিজ্ঞানী হিসেবে কর্মরত। সেঁজুতি সাহা বাংলাদেশ থেকে সংগ্রহকৃত নতুন করোনা ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্স সফলভাবে উন্মোচন করতে নেতৃত্বে দেন।

একই বছরের জুলাইয়ে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থার গ্লোবাল পোলিও ইরেডিকেশন ইনিশিয়েটিভের বোর্ড মেম্বার পদের নিযুক্ত হন।

মকসুদূল আলম

মাকসুদুল আলম ১৯৫৪ সালে ফরিদপুরে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি একজন জিনতত্ত্ববিদ। তাঁর নেতৃত্বে ২০১০ সালে সফলভাবে উন্মোচিত হয় পাটেরজিন নকশা।তিনি গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক এবং ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন।এরপর তিনি রাশিয়ায় পাড়ি জমান।

 সেখানে মস্কো রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অণুপ্রাণবিজ্ঞানে স্নাতক, স্নাতকোত্তর (১৯৭৯) ও পিএইচডি (১৯৮২) ডিগ্রি লাভ করেন। পরে জার্মানির বিখ্যাত মাক্স প্লাংক জৈবরসায়ন ইনস্টিটিউট থেকে ১৯৮৭ সালে প্রাণরসায়নে আরেকটি পিএইচডি উপাধি অর্জন করেন।

জার্মানির পর তিনি যুক্তরাষ্ট্র হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ে সামুদ্রিক জীবপণ্য প্রকৌশল কেন্দ্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে যোগ দেন।১৯৯২ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসাবে যোগ দেন। ২০০০ সালে তিনি ও তাঁর সহকর্মীরা আর্কিয়াতে মায়োগ্লোবিনের মতো এক নতুন ধরনের আমিষ আবিষ্কার করেন।

২০০৩ সালে তিনি হাওয়াই বিশ্বদ্যিালয়ে বংশাণুসমগ্র বিজ্ঞান, প্রোটিনসমগ্র বিজ্ঞান ও জৈব তথ্যবিজ্ঞানে অগ্রসর গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন। যার ফলশ্রতিতে হাওয়াইয়ান পেঁপের জিনোম অনুক্রম বের করা হয়।

শুভ রায়

তিনি 1992 সালে ইউনিভার্সিটি অফ মাউন্ট ইউনিয়ন থেকে বিএসসি শেষ করেন। পরে ১৯৯৫ সালে কেইস ওয়েস্টার্ন রিসার্ভ ইউনিভার্সিটি থেকে এমএসসি ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি ৬ বছর পর ২০০১ সালে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি সিলিকন ন্যানোপোর মেমব্রেন (এস এন এম) তৈরি করেন। তিনি এই আবিষ্কারের জন্য চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবেন।

এই প্রযুক্তি হাই-ইফিকেইসি ব্লাড আলট্রাফিলট্রেশনে এর জন্য ব্যবহার হয়। শুধু তাইই নয় এই এসএনএম প্রতিস্থাপনযোগ্য কৃত্রিম কিডনি তৈরিতে সাহায্য করবে।এছাড়াও তিনি ইউনিভার্সিটি অবন ক্যালিফোর্নিয়াতে 'স্যান ফ্রান্সিস্কো পেট্রিএট্রিক ডিভাইস কনসোর্টিয়াম' এর প্রতিষ্ঠাতা।

অরুন কুমার বসাক

অরুণ কুমার বসাক একজন পদার্থবিজ্ঞানী। তিনি বাংলাদেশে পদার্থ বিজ্ঞানের একমাত্র ইমেরিটাস অধ্যাপক। তিনি ১৭ অক্টোবর ১৯৪১ সালে জন্ম গ্রহন করেন। অরুণ কুমার বসাক ১৯৫৭ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকা- এর অধীনে প্রথম বিভাগে মেট্রিককুলেশন পাস করেন।

পরে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পাবনা এডওয়ার্ড কলেজে ভর্তি হন এবং সেখান থেকে .১৯৫৯সালে ইন্টারমিডিয়ে পাস করেন। রাজশাহী সরকারি কলেজ রাজশাহী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নাটক উত্তর শেষে নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন।

পরবর্তীতে বার্মিংহাম ইউনিভার্সিটি থেকে ১৯৭৫ সালে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। দেশে বিদেশে বিভিন্ন জার্নালে তার ১৩৯টি বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ প্রকাশ পেয়েছে।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক উপরোক্ত আর্টিকেলটিতে বাংলাদেশি বিজ্ঞানীদের সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। বাংলাদেশের যে এতগুলো উজ্জ্বল নক্ষত্র রয়েছে সেগুলো হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা। তবে এই বাঙালি বিজ্ঞানীরা বিজ্ঞানে অভূতপূর্ব অবদান রেখেছেন। আর বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে অবশ্যই আমাদেরকে তাদের সম্পর্কে জানতে হবে।

কারণ তারা হচ্ছেন আমাদের দেশের উজ্জ্বল নক্ষত্র দেশের গর্ব। আশা করি উত্তর আর্টিকেলটি পড়ে তাদের সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারণা লাভ করেছে। যদি আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই এটি আপনার বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়-স্বজন কিংবা সহপাঠীদের মাঝে শেয়ার করতে পারেন। যাতে করে তারাও বাংলাদেশের এই মহান বিজ্ঞানীদের সম্পর্কে জানতে পারেন।

এই ধরনের বিজ্ঞানমনস্ক আর্টিকেল করতে আমাদের ওয়েবসাইটটিতে নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন। এই ওয়েব সাইটটিতে বিজ্ঞানমনস্ক আর্টিকেল ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সাধারণ জ্ঞান মূলক এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে আর্টিকেল নিয়মিত প্রকাশ করা হয়। সুতরাং পরবর্তী আর্টিকেল করার আমন্ত্রণ জানিয়ে এখানেই শেষ করছি।

পরিশেষে আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বিপ্লব আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রত্যেকটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url