ইংরেজি ভাষা কে আবিষ্কার করেছিল

ইংরেজি ভাষা বর্তমানে একটি আন্তর্জাতিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃত। তবে আপনি কি জানেন যে বাসা কবে এবং কারা আবিষ্কার করেছিল? চলুন জেনে নেয়া যাক ইংরেজি ভাষা আবিষ্কারের ইতিহাস সম্পর্কে।
ইংরেজি ভাষা কে আবিষ্কার করেছিল


ভূমিকা

ইংরেজি ভাষা সম্পর্কে কমবেশি আমরা সবাই জানি। আর এই আধুনিক যুগে ইংরেজি জানাটাও খুব জরুরী হয়ে গেছে। তবে আপনারা জানলে অবাক হবেন যে ইংরেজি ভাষা কিন্তু খুব একটা পুরনো নয়। বর্তমানে যে আমরা আধুনিক ইংরেজি ভাষা বলি তা মাত্র ৫০০ বছর পুরনো। আর এই ইংরেজি ভাষাটা বেশ কয়েকটি ভাষা থেকে সৃষ্টি হয়েছে।

এমনকি যে ইংরেজদের জন্য ইংরেজি ভাষার এত প্রসার সেই ইংরেজরাও এই ভাষা আবিষ্কার করেনি। তাহলে এখন অনেকে মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে ইংরেজি ভাষা সর্বপ্রথম কে বা কারা আবিষ্কার করেছিল? এবং সেই সাথে আরো একটি প্রশ্ন মনে ঘুরপাক খাবে যে এ ভাষা কবে আবিষ্কৃত হয়েছিল?

 কিভাবে ইংরেজি ভাষা সারা বিশ্বের এত দ্রুত গতিতে প্রভাব বিস্তার করেছে? কিভাবে ভারত ও বাংলাদেশ ইংরেজি ভাষার প্রচলন শুরু হয়েছিল। আজকের আর্টিকেলে এসব প্রশ্নের উত্তর জানার চেষ্টা করব।

ইংরেজি ভাষা কে আবিষ্কার করেছিল

ইংরেজি ভাষার আবিষ্কার কে ভালোভাবে বোঝার জন্য ইতিহাসবিদরা এ ভাষাকে তিনটি ভাগে বিভক্ত করেছেন। এগুলো হলো
  • প্রাচীন ইংরেজি ভাষা
  • মধ্যযুগের ইংরেজি ভাষা
  • আধুনিক ইংরেজি ভাষা
সময়ের ব্যবধানে প্রাচীন ইংরেজি ভাষা থেকে বিবর্তিত হয়ে আজকের এই আধুনিক ইংরেজি ভাষার সৃষ্টি হয়েছে।

প্রাচীন ইংরেজি ভাষা কিভাবে সৃষ্টি হয়েছে

আজ থেকে প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে ইউরোপীয় দেশগুলোতে ইন্দো-ইউরোপিয়ান ভাষার চলছিল। এই ভাষায় ভারতের সংস্কৃত ভাষা, পারস্যের ফারসি ভাষা, রোমের রোমান ভাষা এই সমস্ত বিভিন্ন ভাষার মিশ্রণ ছিল। সময়ের সাথে সাথে ইউরোপের জনজাতি নতুন নতুন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। আর কয়েক হাজার বছর ধরে বিভিন্ন ভাষার উৎপত্তি হয়।

আর এর মধ্যে একটি প্রাচীন ভাষা ছিল জার্মান ভাষা। তবে সে সময় জার্মান ভাষাতেও দুইটি ভাগ ছিল। যার মধ্যে একটি ছিল উচ্চ জার্মান ভাষা এবং অন্যটি ছিল নিম্ন জার্মান ভাষা। যারা উচ্চ জার্মান ভাষায় কথা বলতো তারা জার্মানিতেই থেকে যায়। কিন্তু যারা নিম্ন জার্মান ভাষায় কথা বলতো তারা দস্যুর মত ছিল।
বিভিন্ন জায়গায় তারা লুটপাট চালাতো, জায়গা দখল করে নিত এবং সেখানে থাকতে শুরু করতো। ৪৫০ খ্রিস্টাব্দের দিকে বৃটেনের কিছু দ্বীপে এই দস্যুরা আক্রমণ করে আর ব্রিটেনের প্রাচীন বাসিন্দাদের সেইসব এলাকা থেকে হাঁটিয়ে দেয়। তারপর এই দ্বীপগুলোতে তারা থাকতে শুরু করে। এই জার্মান জাতি থেকেই মূলত প্রাচীন ইংরেজি ভাষা সৃষ্টি হয়েছে।

আগামী ২০০ থেকে ৩০০ বছর ধরে এই ভাষা সম্পূর্ণ ব্রিটেনে ছড়িয়ে পড়ে। আর যেহেতু এই জার্মান ভাষা থেকে প্রাচীন ইংরেজি ভাষা সৃষ্টি হয়েছে তাই এখনো ইংরেজি ভাষার সাথে জার্মান ভাষার অনেক মিল পাওয়া যায়।

মধ্যযুগের ইংরেজি ভাষা কিভাবে সৃষ্টি হয়েছে

১০৬৬ সালের দিকে ফ্রান্সের নরমোদি অঞ্চলে যারা বসবাস করত তারা ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে ইংল্যান্ডে আক্রমণ করে এবং ইংল্যান্ডের দখল করে নেয়। সেই সময় ইংরেজি ভাষার সাথে সাথে ফরাসি ভাষার মিশ্রন ঘটতে থাকে। আর এর ফলে প্রাচীন ইংরেজি ভাষা আরও পূর্ণতা পায়।

এরপর থেকেই এই ভাষাকে মধ্যযুগীয় ইংরেজি ভাষা বলা হতো। আগামী ৫০০ বছর ধরে ইংল্যান্ডে এই মধ্যযুগীয় ইংরেজি ভাষা চলতে থাকে। আর এই ভাষার সাথে জার্মান ভাষা, ফরাসি ভাষা এবং রোমান ভাষার মিশ্রণ ঘটতে থাকে।

আধুনিক ইংরেজি ভাষা কিভাবে সৃষ্টি হয়েছে

বর্তমানে আমরা যে ইংরেজি ভাষায় কথা বলি তা কিন্তু মাত্র ৫০০ বছর পুরনো। ১৫০০ শতকের দিকে ইংরেজি ভাষায় নতুন কিছু স্বরবর্ণ যোগ করা হয়। আর এরপর থেকে আধুনিক ইংরেজি ভাষার চল শুরু হয় যা এখন পর্যন্ত বর্তমান। বিখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম শেক্সপিয়ার এই আধুনিক ইংরেজি ভাষাতেই তার উপন্যাস গুলো লিখেছেন।

ইংরেজি ভাষা কিভাবে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ল

১৭০০ শতকের দিকে ইংরেজি ভাষা শুধুমাত্র ইংল্যান্ডের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে ব্রিটিশরা বিভিন্ন দেশের উপর প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে। আর যেসব এলাকা তারা দখল করে সেইসব এলাকায় তাদের আধিপত্য ধরে রাখতে ইংরেজি ভাষার চল শুরু করে।

পরবর্তীকালে ব্রিটিশরা সেই দেশগুলোকে স্বাধীন করে দিয়েছিল, কিন্তু ততদিনে সেই সমস্ত দেশের শিরায় শিরায় ইংরেজি ভাষা ঢুকে গিয়েছিল। সেই থেকে আজও বিশ্বের কয়েকটি দেশে ইংরেজি ভাষাকে মাতৃভাষা হিসেবে ধরা হয়। তবে ইংরেজি ভাষার এত প্রসার হওয়ার পিছনে খ্রীষ্টান ধর্মেরও কিছু প্রভাব ছিল।

ভারত এবং বাংলাদেশে কিভাবে ইংরেজি ভাষায় এসেছে

ভারতে ইংরেজি ভাষা এসেছিল ইংরেজদের হাত ধরে। তবে সেটা কিন্তু এতটা সহজেও আসেনি। মুঘল আমলে ইংরেজরা শুধুমাত্র ব্যবসার জন্য আসতো। এই সময় তারা ভারতীয়দের সাথে কথা বলার জন্য কোন দোভাষী অর্থাৎ যারা দুটি ভাষায় বলতে পারতো তাদের সাহায্য নিতো বা কোন স্থানীয় ভাষার সাহায্য নিতো।

কিন্তু ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতের শাসন ক্ষমতা নিজেদের হাতে নিতে শুরু করে। এই সময় তারা চেষ্টা করতে থাকে যে ভারতীয় সংস্কৃতিতে ইংরেজি নিয়ে আসার, এতে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য সুবিধা হবে। আসলে ইংরেজরা মনে করত ভারতীয় সংস্কৃতি খুবই জঘন্য।

তাই তারা ভারতের পড়াশোনাতেও ইউরোপীয় ছাপ নিয়ে আসতে চেয়েছিল। শুরুতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতে ইংরেজি ভাষা যুক্ত করায় অতোটা গুরুত্ব দেয়নি। কিন্ত ১৮১৩ সালে চার্টার অ্যাক্ট আসে। আর এই চার্টার অ্যাক্ট আসার পরে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একচ্ছত্র ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়। এরই সাথে সাথে ভারতে খ্রিস্টান ধর্মের প্রচার শুরু হয়।

মূলত এরাই ভারতের মানুষদের খ্রিস্টান ধর্মের পাশাপাশি ইংরেজি শিক্ষা দিতে শুরু করে। আর এই কাজের জন্য মিশনারিরা প্রায় এক লক্ষ টাকা করে বছরে পারিশ্রমিক পেতেন। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ক্ষমতা ভারতে ধীরে ধীরে কমতে থাকে এবং রাজার ক্ষমতা বাড়তে থাকে। আর রাজা সরাসরি এই মিশনারীদের সাহায্য করতেন।

তবে ভারতে ইংরেজি ভাষা চালু হওয়ার জন্য আরেকজন ব্যক্তির অবদান ছিল সবচেয়ে বেশি। তিনি হলেন থমাস ব্যাবিংটন ম্যাকাওলি। তিনি ভারতে ওয়েস্টার্ন শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করেন। আর ছয় মাসের নীতিতে ভারতে ইংরেজি শিখানোর কাজটা ইংরেজরা করত না বরং ভারতীয়রা করত, যাতে ভারতীয়রা এই ইংরেজি ভাষাটাকে আপন করে নিতে পারে।

থমাস আসার পরে ভারতে যে সমস্ত অফিসিয়াল কাজগুলো হতো, সেগুলো ফারসি ভাষা থেকে বদলে ইংরেজিতে করা হয়। আর ওয়েস্টার্ন শিক্ষা ব্যবস্থা চালু হওয়ায় ভারতে যারা উচ্চশিক্ষা নিতে চাইতেন তাদের বাধ্যতামূলক ইংরেজি শিখতে হতো। তবে ভারতে ইংরেজি ভাষা নিয়ে তেমন কোন বিরোধিতা হয়নি।

কারণ ইংরেজি ভাষার পাশাপাশি মাতৃভাষাকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। স্বাধীনতার সময় পর্যন্ত ভারতের প্রায় প্রতিটি স্কুল, কলেজ এবং অফিস আদালতে এই ইংরেজি ভাষার ছোঁয়া লেগে গিয়েছিল। তাই স্বাধীনতার পর ভারতে ইংরেজিকে একটি অফিসিয়াল ভাষা হিসেবে ধরা হয়।

অন্যদিকে ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্ত হওয়ার পরে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে ইংরেজি ভাষাকে সরিয়ে ফেলা হয়নি বরং এটিকে দ্বিতীয় ভাষায় হিসেবে ধরা হয়। তবে বাংলাদেশের জনগণ নিজেদেরকে উর্দু ভাষা থেকে বাঁচাতে এবং নিজেদের মাতৃভাষা বাংলাকে রক্ষা করতে একটি রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম করেছিল।

ইংরেজি ভাষা কেন সারা বিশ্বে ব্যবহার করা হয়

ইংরেজি ভাষাতে যেমন সময়ের সাথে সাথে অনেক পরিবর্তন করা হয়েছে সেই বদল কিন্তু এখনো চলছে। সময়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এখনো এই ভাষাকে কিছু কিছু ক্ষেত্রে পরিবর্তন করা হচ্ছে। তবে পরিবর্তন করার মানে এই নয় যে বদলে ফেলা হচ্ছে।

এখানে পরিবর্তন করার মানে হচ্ছে অন্য ভাষা থেকে শব্দ নিয়ে ইংরেজি ভাষায় যুক্ত করা হয়েছে বা যেসব শব্দগুলোর ইংরেজিতে কোন মানে নেই সেরকম শব্দগুলোকে অন্য ভাষা থেকে নিয়ে এসে ইংরেজি ভাষাতে যোগ করা হচ্ছে। যেমন হিন্দি ভাষা থেকে জেইল এবং জঙ্গল এই দুটি শব্দ ইংরেজিতে যোগ করা হয়েছে।

এমনকি এই ভাষায় ল্যাটিন, জার্মানি, ফ্রেঞ্চ, গ্রিক, সংস্কৃত ভাষা থেকে অনেক শব্দ যোগ করা হয়েছে। এই কারণে এটিকে একটি ফ্লেক্সিবল ভাষা বলা হয়। আর তাই বর্তমানে ভাষায় এতটা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে যে এই ভাষাকে আন্তর্জাতিক ভাষা হিসেবে ধরা হয়। বিশ্বের সব আন্তর্জাতিক কাজ করার জন্য ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করা হয়।

আর বেশিরভাগ দেশে ইংরেজি ভাষার চল থাকায় এক দেশ থেকে অন্য দেশে গেলে সেই দেশের ভাষা না শিখে ইংরেজি জানলে অনেক সুবিধা হয়। এই কারণেই মূলত ইংরেজি ভাষা সব জায়গায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে এবং সারা বিশ্বের মানুষ এটিকে ব্যবহার করছে।

তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় ইংরেজি ভাষাকে কেন্দ্র করে একদল লোক একটি ভাষার বদলে এটিকে নিজেদের স্ট্যাটাস কে উঁচু করে দেখাতে বা নিজেদের অন্যদের থেকে আলাদা করতে নিজের মাতৃ ভাষাকে ভুলে ইংরেজিকে নিয়ে বেশি গর্ব করে। এবং যারা বাংলায় বা নিজেদের মাতৃ ভাষায় কথা বলে তাদের নিচু নজরে দেখেন।

এমনকি আজকালকার বাবা-মারা নিজেদের বাচ্চাদের নিজেদের মাতৃভাষা শেখানোর আগে ইংরেজি ভাষা শেখানোয় বেশি গুরুত্ব দেন। আপনার কি মনে হয় ইংরেজি ভাষাকে কি আরো পাঁচটি ভাষার মতো দেখা উচিত নাকি এটিকে আলাদা নজরে দেখা উচিত।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক উপরোক্ত আর্টিকেলটিতে ইংরেজি ভাষা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। এখানে ইংরেজি ভাষার উৎপত্তি এর শ্রেণীবিভাগ এবং সারা বিশ্বে এর বিস্তার সম্পর্কে তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। আশা করি উপরোক্ত আর্টিকেলটি পড়ে ইংরেজি ভাষার উৎপত্তি ও বিকাশ সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারণা লাভ করেছেন। যদি আর্টিকেলটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে এটি আপনি আপনার বন্ধুবান্ধব কিংবা সহপাঠীকে শেয়ার করতে পারেন যাতে করে তারাও সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করতে পারে।আর এ পোষ্ট সম্পর্কে যদি কোন মতামত প্রশ্ন কিংবা পরামর্শ থাকে তাহলে অবশ্যই তা কমেন্টের মাধ্যমে জানিয়ে যাবেন যাতে করে আপনার মাধ্যমে অন্যরা উপকৃত হতে পারে।আপনি যদি আর অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে যেমন বিজ্ঞান ভিত্তিক, বিভিন্ন আবিষ্কার ও আবিষ্কারক, সামাজিক বিষয়গুলি, স্বাস্থ্য বিষয়ক এবং বিভিন্ন বিখ্যাত ব্যক্তিদের জীবনের সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটদের নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন। কারণ এ ধরনের আপডেট তথ্যগুলো নিয়ে আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত আর্টিকেল প্রকাশ করা হয়।আরো অন্যান্য আর্টিকেলগুলো পড়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে আজকে এখানে শেষ করছি ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

পরিশেষে আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ💚।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বিপ্লব আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রত্যেকটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url