মোবাইল ফোন কে আবিষ্কার করেন

বর্তমান বিশ্বে এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না যে মোবাইল ফোন এবং এর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে অজ্ঞ। তবে অনেকেই জানেন না যে এই মোবাইল ফোন কে আবিষ্কার করেছে এবং এর আবিষ্কারের পেছনের রহস্য কি? চলুন জেনে নেয়া যাক…।
মোবাইল ফোন কে আবিষ্কার করেন

ভূমিকা

ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় যোগাযোগ ব্যবস্থা যত উন্নত হয়েছে ততই দ্রুত গতিতে আমাদের সভ্যতার বিকাশ ঘটেছে, প্রাচিন কালে যোগাযোগের জন্য পাখির ব্যবহার করা হত। সেকালে রাজারা দূর কোন রাজ্যে তথ্য পাঠাতে দুতদের সাহায্য নিত, সময়ের সাথে সাথে আসে ডাক ব্যবস্থা।

কিন্তু বর্তমানে দাঁড়িয়ে আমাদের কাছে এমন একটি যন্ত্র আছে যার সাহাজ্যে পৃথিবীর যে কোন প্রান্তে ফোন করতে পারি। এমনকি এই মোবাইল ডিভাইস দিয়ে ইন্টারনেটও অ্যাক্সেস করতে পারি। তবে পৃথিবীতে আবিষ্কৃত প্রথম মোবাইল ফোনটি কিন্তু আজকের মত এত স্মার্ট ছিল না। সে সময়ে একটি মোবাইল ফোনের দাম ছিল বর্তমান টাকায় প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ টাকা।

আর ২ কিলগ্রাম ওজনের এই মোবাইল দিয়ে শুধুমাত্র কল করা যেত। এবার আপনি হয়ত ভাববেন একটি মোবাইল ফোনের এত দাম কিভাবে ? আসলে সে সময়ে মোবাইল ফোনের যে টেকনলজি ছিল সেটা খুবই কঠিন ছিল। কারন কোন তারের সাহায্য ছাড়া, এরকম স্ট্রং সিগন্যাল পাওয়া এক প্রকার অসম্ভব ছিল।

তাই এই মোবাইল আবিষ্কারের ইতিহাস খুবই রোমাঞ্চকর। আজকের আর্টিকেলটিতে, মোবাইল ফোন আবিষ্কারের আশ্চর্য ইতিহাস সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

মোবাইল ফোন কে আবিষ্কার করেন

১৯৭৩ সালের ৩ এপ্রিল মোটোরোলা কোম্পানির একজন গবেষক মার্টিন কুপার প্রথম সেল ফোন আবিষ্কার করেন।

টেলিফোন কে আবিষ্কার করেন

১৮৭৬ সালে স্যার আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল প্রথম টেলিফোন আবিষ্কার করেন।

মোবাইল ফোন আবিষ্কারের ইতিহাস

মোবাইল শব্দের অর্থ হলো চলনশীল, আর মোবাইল ফোন শব্দের অর্থ হলো চলনশীল ফোন। পৃথিবীর যেকোনো আবিষ্কার একদিনে সম্ভব হয়নি। তেমনি মোবাইল ফোনের আবিষ্কারও প্রায় ১০০ বছর ধরে হয়েছে।স্যার আলেকজান্ডার যখন মোবাইল ফোন আবিষ্কার করেন তখন এক মহাদেশ থেকে আরেক মহাদেশে খুবই অল্প সময়ে তথ্য আদান প্রদান করা যেত।

তবে এই টেলিফোন ব্যবস্থা দিয়েছিল তারের মাধ্যমে। এর ফলে যেসব জায়গায় টেলিফোনের সংযোগ ছিল না সেইসব জায়গাগুলোতে যোগাযোগ করা ছিল অত্যন্ত কঠিন। তখন দরকার ছিল এমন একটি যন্ত্র যা মানুষ তার সাথে নিয়ে ঘুরতে পারবে।
সময়ের সাথে সাথে তার ছাড়া যোগাযোগ করার যন্ত্র যেমন, রেডিওর আবিষ্কার হয় যা ছিল মোবাইল ফোন আবিষ্কারের দিকে প্রথম পদক্ষেপ। উন্নত মানের রেডিও দিয়ে দুর্গম এলাকায় তার ছাড়াই তথ্য প্রেরণ সম্ভব হতো। তবে এই রেডিওতে একবারে কথা বলা ও শোনা যেত না। এর মানে হলো এটি ছিল একমুখী যন্ত্র।

আর এই যোগাযোগ মাধ্যমটি শুধুমাত্র সামরিক ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হত। এর ফলে বিজ্ঞানীরা এমন একটি যন্ত্র আবিষ্কারের চেষ্টা করতে থাকেন যাতে করে একজন ব্যক্তি অন্য একজন ব্যক্তির সাথে কোন প্রকার তারের সংযোগ ছাড়াই যোগাযোগ করতে পারে। ১৯৪৬ সালে একজন বিজ্ঞানী তার নাম ছিল সেন্ট লুইস, তিনি টেলিফোন ব্যবস্থার উন্নতি করেন।
তিনি এমন একটি যন্ত্র তৈরি করেন যা নিয়ে একজন ব্যক্তি সহজে চলাফেরা করতে পারে। তিনি টেলিফোন ব্যবস্থাকে কিছু ওয়ারলেস সিস্টেমের সাথে আপডেট করেন। তবে তার এই যন্ত্রের ওজন ছিল প্রায় ৩৬ কিলোগ্রাম এবং এর জন্য খুবই শক্তিশালী একটি ব্যাটারির প্রয়োজন হতো। ফলে সেই সময়ে সেন্ট লুইস এর এই আবিষ্কার গাড়ির মধ্যে সেট করা হত।

তবে এই টেলিফোনে অনেকগুলো সমস্যা ছিল। প্রথমত এই টেলিফোন সবাইকে দেওয়া যেত না কারণ এর সিগন্যাল ছিল খুবই দুর্বল। একবারে মাত্র ১২ জন এই সিগন্যাল ব্যবহার করতে পারতো। দ্বিতীয়ত এটি ফোন দিয়ে কথা বলার জন্য সিগন্যালের এরিয়ার মধ্যে থাকতে হতো। যার জন্য অল্প অল্প দূরতে টেলিফোনের সিগন্যাল ব্যবস্থা লাগানো হতো।
তৃতীয় সমস্যাটি হলো একটি কল করার জন্য প্রায় ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হত। এই সিগন্যাল সিস্টেম অনেকটা বর্তমান সময়ের ওয়াইফাই এর মত কাজ করতো। যেখানে একটি জায়গা থেকে সিগন্যাল পেলে তার সাথে তখন সেই টেলিফোনটি যুক্ত হয়ে যেত। আবার সেই সিগনাল থেকে কিছু দূরে এগিয়ে গেলে আবার অন্য একটি সিগন্যালের সাথে যুক্ত হয়ে যেত।

ফলে অনেক বিজ্ঞানী এই টেলিফোনের সমস্যার সমাধানের জন্য গবেষণা করতে থাকেন।১৯৬০ এর দশকে মটোরোলা কোম্পানি মোবাইল ফোন বানানোর সিদ্ধান্ত নেয়। আর এই কাজের জন্য তারা মার্টিন কুপারকে নিযুক্ত করে। মার্টিন কুপার এ নিয়ে দিনরাত গবেষণা চালিয়ে যেতে থাকেন। বলা হয় তিনি একদিন আমেরিকান মজার জোকস পড়ছিলেন।

সেই জোকসের সুপার হিরো তার হাতের ঘড়ির মাধ্যমে তার বন্ধুদের সাথে কথা বলছিল। মার্টিন কুপার তখন এমন একটি যন্ত্র আবিষ্কার করতে লেগে পড়েন যাতে কোন ব্যক্তি রাস্তাঘাটে চলতে ফিরতেও অন্যদের সাথে যোগাযোগ করতে পারে। যেহেতু সেসময় বাড়িতে অফিসে কিংবা গাড়িতে ছাড়া টেলিফোন ব্যবহার করা সম্ভব যেত না।

তাই এমন চলনশীল টেলিফোনের আইডিয়া খুবই যুগান্তকারী ছিল। তিনি একটি প্রদর্শনীতে নিউইয়র্ক থেকে নিউজার্সিতে একটি কল করেন। মার্টিন কুপারের এই আবিষ্কার রাতারাত সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করে। এবং লিখিতভাবে তাকে মোবাইল ফোনের আবিষ্কারক ঘোষণা করা হয়।

মার্টিন কুপার এর আবিষ্কৃত এ যন্ত্রের রাখার ছোট হওয়ার কারণে এটি নিয়ে চলাফেরা করা অনেক সহজ ছিল। এই মোবাইল ফোনটির ওজন ছিল প্রায় দুই কিলোগ্রাম আর এটি প্রায় ১ ফুট লম্বা ছিল। এই ফোনটি চার্জ হতে সময় লাগতো প্রায় ১০ ঘণ্টা। তবে ১০ ঘণ্টা চার্জ করে মাত্র৩০ মিনিট কথা বলা যেত।

মার্টিন কুপার তার এই মোবাইল ফোন আবিষ্কারের জন্য ২০১৩ সালে মার্কনী পুরস্কার পেয়েছিলেন। বিশ্বের প্রথম এই ফোনটির দাম ছিল বর্তমান টাকায় প্রায় ৭ লক্ষ টাকা। সে সময় এ মোবাইল ফোন যারা ব্যবহার করত তাদের খুব ধনী মনে করা হতো। এরপর ১৯৭৯ সালে জাপানে প্রথমবার ১জি(1G) মোবাইল টাওয়ার স্থাপন করা হয়।

১৯৮৩ সাল থেকে সাধারণ জনগণের জন্য মোবাইল ফোন নির্মাণ করা হয়। এবং এটিও মটোরোলা কোম্পানি তৈরি করেছিল। সেই মোবাইল ফোনের মডেল ছিল মটোরোলা ডায়নাটেক ৮০০০এক্স। এরপর ১৯৯১ সালে ফিনল্যান্ডে ২জি(2G) মোবাইল টাওয়ার স্থাপন করা হয়। আর তখন কথা বলার পাশাপাশি মোবাইল ফোন দিয়ে মেসেজ পাঠানো সম্ভব হতো।

এমনকি এতে ইন্টারনেটের সুবিধাও যুক্ত হয়ে যায়।এরপর ২০০১ সালে জাপানে প্রথম ৩জি(3G)মোবাইল সার্ভিস চালু হয়। আর এটির সাহায্যে খুব দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা পাওয়া সম্ভব হয়েছিল। ফোনে কথা বলার পাশাপাশি ভিডিও কলে কথা বলার সুবিধাও এতে জুড়ে যায়। এরপরে ৪জি(4G)সুবিধা খুব দ্রুত গতিতে চলে এসেছিল।

এবং বর্তমানে আমরা ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক এর মধ্যে চলে এসেছি। পৃথিবীতে সবচেয়ে দ্রুত গতিতে বিপ্লব সংঘটিত হয়েছে মোবাইল ফোন আবিষ্কার। আজ থেকে পঞ্চাশ বছর আগে যেখানে একটি দুই কিলোগ্রাম ওজনের এক ফুট লম্বা মোবাইল ফোন ছিল সেখানে বর্তমানে মোবাইল ফোনের বিপ্লব সম্পর্কে যাই বলি না কেন তা যেন কম হয়ে যায়।
ঘড়ি আবিষ্কারের বিস্ময়কর ইতিহাস

আধুনিক ঘড়ি কে আবিষ্কার করেন

আধুনিক ঘড়ি আবিষ্কারের ওপর অনেক সংশয়, তর্ক ও বিতর্ক রয়েছে। তবে আপনাদের জানিয়ে রাখি যে আধুনিক ঘড়ির আবিষ্কারও একবারে সম্ভব হয়নি। প্রথম আধুনিক ঘড়িতে শুধুমাত্র ঘন্টার কাটা থাকতো। এরপর ক্রমান্বয়ে মিনিটের কাটা এবং সেকেন্ডের কাঁটা যুক্ত করা হয়।

এই কারণে আধুনিক ঘড়ির আবিষ্কার নিয়ে অনেক তর্ক বিতর্ক রয়েছে।ইতিহাস আর মিডিয়া রিপোর্টের অনুসারে আধুনিক ঘড়ি আবিষ্কার করেন পোপ সিলভেস্টার।তিনি ৯৯৬ সালে প্রথম ঘড়ির আবিষ্কার করেন। এই যন্ত্র ঘটে অনেকগুলো চাকা লাগানো থাকতো।

এই ঘড়িতে ঘন্টার কাঁটা ব্যবহার করা হতো যা নির্দিষ্ট সময় পরপর বেজে উঠত।১৩ শতাব্দীর মাঝখানে ইউরোপে এই ঘড়ির ব্যবহার ব্যবহার শুরু হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এই ঘড়ি ও তখন পরিপূর্ণ ছিল না, কারণ এই ঘড়িতে মিনিট আর সেকেন্ডের কাটা ছিল না।

যন্ত্র ঘড়ির আবিষ্কার

১৩০০ সালে হেনরি নামক একজন ব্যক্তি কোল ডায়ালের ঘড়ি আবিষ্কার করেছিলেন। কিন্তু এই ঘড়িতে মিনিট আর সেকেন্ডের কাটা ছিল না।এরপরে এই ঘড়িকে সংশোধন করেই আজকের আধুনিক ঘড়ি আবিষ্কার করা হয়েছে।.১৬০০ শতাব্দি পর্যন্ত ঘড়ির আকার অনেক বড় বড় হতো তখন ঘড়ি শুধুমাত্র বাজার বা কোন বড় বড় বিল্ডিং এ লাগানো থাকতো।

এই কারণে ঘড়িকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া যেত না। ঐতিহাসিকদের মতে,১৫৭৭ সালে সুইজারল্যান্ডের জর্জ বার্গি প্রথম মিনিটের কাটা আবিষ্কার করেন। তিনি তার একজন বন্ধুর বাড়িতে ঘড়িতে মিনিটের কাটা লাগিয়েছিলেন। আর এরপর থেকেই ঘড়িতে মিনিটের কাটার ব্যবহার শুরু হয়। সেই সময় ঘড়ি অনেক ভারী হতো।

আর তাই সময়ের সাথে সাথে ঘড়িকে হালকা ও ছোট বানানোর প্রচেষ্টা শুরু হয়। অনেকে ইতিহাসবিদ বলেন জার্মানির নিউরমবার্গ শহরে্র পিটার হেনলিন এমন একঘড়ি বানিয়ে ফেলেছিলেন যেটাকে এক জায়গায় থেকে অন্য জায়গাতে নিয়ে যাওয়া যেত যা এর আগে কখনোই সম্ভব ছিল না।

জার্মান ঐতিহাসিকদের পিটার হেনলিনকে ছোট পিতলের ঘড়ির আবিষ্কারক হিসেবে মানা হয়। তিনি খুবই দামি ঘড়ি বানাতেন যা ছিল খুবই ফ্যাশনেবল। এই ঘড়ি ধনী ব্যক্তিদের জন্য ছিল। বর্তমানে বিশ্বের বেশ কিছু দেশে পিটার হেনলিনকে ঘড়ির আবিষ্কারক হিসেবে মানা হয়। এই সময় স্পাইরাল ফিডম্যানের ব্যবহার শুরু হয়।

এটি ছিল ঘড়ি আবিষ্কারের একটি মহত্ত্বপূর্ণ সময়। কিন্তু ১৬৭৫ সালে স্পাইরাল স্প্রিং এর সাহায্যে সময় মাপার ক্ষমতার বেশ পরিবর্তন আসে। ঘড়ি তখন ঘন্টার সাথে সাথে মিনিটেরও হিসাব দিতে শুরু করে। ঘড়ি ছোট হওয়ার সাথে সাথে তার ব্যবহারে অনেক পরিবর্তন আসে। তাই তখন একটি ফ্যাশনের দ্রব্য হিসেবে ব্যবহৃত হতে শুরু করে।

আর এর ব্যবহার তখন শুরু হয়েছিল যখন ইংল্যান্ডের রাজা চার্লস তার সোনার চেনের সাথে ঘড়ির ডায়াল আটকে এটিকে নিজের পকেটে রাখতে শুরু করেছিলেন। বর্তমানে যে ঘড়ি আমরা হাতে ব্যবহার করি তা প্রথমবার ফ্রান্সের দার্শনিক ব্লেসি প্যাসকেল আবিষ্কার করেছিলেন। এনাকে ক্যালকুলেটরের আবিষ্কারকও মানা হয়।

প্রায় ১৬৫০ সালের আশেপাশে মানুষ ঘড়িকে পকেটে নিয়ে ঘুরতো। কিন্তু ব্লেসি প্যাসকেল প্রথমবার একটি ঘড়ির ডায়ালকে হাতে বেঁধে হাতে ঝুলিয়ে দেন, যাতে তিনি কাজ করতে করতে সময় দেখতে পারতেন। এভাবে সময়ের সাথে সাথে বিভিন্ন রকমের ঘড়ি আবিষ্কার শুরু হয়। আর তাই বিক্রেতারা ঘরের আলাদা আলাদা সুন্দর ডিজাইন তৈরি করতে শুরু করে।

হাইড্রোলিক ঘড়ির আবিষ্কারক কে

ইউনানে বসবাসকারী আর্কিমিডিস বয়ান ফোর্সের আবিষ্কার করে ফেলেছিলেন। তিনি হাইড্রোলিক ঘড়ি আবিষ্কার করেন। আর্কিমিডিস জলের মধ্যে একটি ভাসমান ইন্ডিকেটর লাগিয়ে দিয়েছিলেন আর পাত্রের সাথে একটি মিটার লাগিয়ে দিয়েছিলেন। তারপর যখন জল গুলো ফোটা আকারে পাত্রের উপর পড়তো তখন মিটারের কাটা নির্দিষ্ট সময়ের উপরে চলে যেত।

এভাবে মিটারের সাহায্যে সময় জানা যেত। সেই সময় ইউনান অর্থাৎ প্রাচীন গ্রিসে প্রথম আলার্ম ঘড়ি তৈরি করা হয়েছিল। এটি সেই সময়ের অনেক বড় একটি আবিষ্কার ছিল। এরপর ৯ শতাব্দীতে ইংল্যান্ডে আলফ্রেড দ্য গ্রেট “ দ্য ক্যান্ডেল ক্লক” অর্থাৎ মোমবাতির ঘড়ি আবিষ্কার করেছিলেন।

তিনি একটি লম্বা মোমবাতি নিয়ে তাতে সমান মাপে একটি দাগ কেটে দেন। এরপর মোমবতিটিকে জ্বালিয়ে দেওয়া হতো। আর মোমবাতির জ্বলতে জ্বলতে কমতে থাকতো, তখন মোমবাতির উপর দেওয়ার চিহ্ন গুলোও আস্তে আস্তে ছোট হতে থাকতো এভাবে তিনি সময়ের অনুমান করতেন।

ঘড়ি আবিষ্কারের বিস্ময়কর ইতিহাস

আজকের দিনে যদি আমাদের কাছে সাধারন ঘড়ি না থাকতো, তাহলে এই আধুনিক যুগে ও আমাদের জীবন অনেক মুশকিল কাটতো। শুধু এই নয় এই জেনারেশনের যেসব সিস্টেম এক এক সেকেন্ডের হিসেবে চলছে, যেমন রেলগাড়ি ,এরো প্লেন, ইত্যাদি। ভেরি আমাদের কাছে ঘড়ি না থাকতো তাহলে এইসব সিস্টেমের কী হতো? ।

সবমিলিয়ে ঘড়ি ছাড়া আজকের আধুনিক জীবন অসম্পূর্ণ থাকত।আদিমকালে সময় দেখার জন্য মানুষের কাছে ঘড়ি ছিল না। থাকলেও আমাদের ঘড়ির মতো নয়। তাদের ছিল সকাল-বিকাল, সূর্য বা রাতের চন্দ্র তারা সময় নির্ণয়ের পন্থা। ঘড়ি আবিষ্কার হয়েছে আজ থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার পূর্বে।

 প্রথম ঘড়ি আবিষ্কার করেছে তখনকার মিশরীরা। মিশরীরা যে ঘড়ি আবিষ্কার করেছিল তা ছিল সূর্যঘড়ি সূর্যঘড়ি বানাতে মানুষ একটা লাঠি পুতে রাখতো খোলা জায়গায়। তারপর সেই লাঠিকে ঘিরে ছোট বড় নানা চক্র দিয়ে দেয়। চক্রর ওপর লিখে রাখে বিভিন্ন সংকেত যা দিয়ে নানান সময় বুঝানো হতো।

লাঠির ওপর সূর্যের আলো পড়লে সেই আলো পড়তো মাটিতে আর সেখান থেকে সময় নির্ধারণ করা হত

আধুনিক ঘড়ির প্রকারভেদ

তবে যদি বর্তমানের সময়ের কথা বলি, তাহলে এখন আমরা ঘড়ি হিসেবে ব্যবহার করছি স্মার্ট ওয়াচ (smartwatch) গুলো।এই স্মার্ট ওয়াচ গুলোর মাধ্যমে আমরা সময় দেখার সাথে সাথে, ফিটনেস মনিটর, হাঁটাচলা মনিটর, হার্ট রেট ইত্যাদি তথ্য গুলো দেখতে পারি।

এছাড়া, এখনের আধুনিক স্মার্ট ওয়াচ গুলোর মাধ্যমে তো মোবাইলের কল রিসিভ করা এবং এসএমএস দেখা ইত্যাদিও সম্ভব।এমনিতে smartwatch গুলোর প্রচলন কিছু বছর আগেই শুরু হয়েছে, তবে সময়ে সময়ে এদেরকে উন্নত অবশই করা হচ্ছে।

কিন্তু, বর্তমান সময়েও সেই সাধারণ ঘড়ি যখন আমরা হাতে পরে থাকি তখন সেটার কিন্তু স্মার্ট ওয়াচ এর তুলনায় অধিক দারুন দেখায়।আজকাল প্রায় প্রত্যেকের ঘরেই আধুনিক ঘড়ি রয়েছে, তবে আপনারা কি জানেন এই আধুনিক ঘড়ি গুলোর শুরু কে করেছিলেন ? যদি না জেনে থাকেন, তাহলে চিন্তা করতে হবেনা। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে সবটা জেনেনিতে পারবেন।

ঘড়ি হলো এমন এক ধরণের যন্ত্র যেটা আমাদের সঠিক সময় দেখিয়ে থাকে।
এমনিতে ঘড়ি অনেক ধরণের হতে পারে, যেমন –
  • Analog Watch.
  • Digital Watch.
  • Automatic Watch.
  • Chronograph Watch.
  • Diving Watch.
  • Dress Watch.
  • Quartz Watch.
  • Mechanical Watch

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক আর্টিকেলটিতে মোবাইল ফোন এবং ঘড়ির আবিষ্কারের বিস্ময়কর আবিষ্কারের ইতিহাস উল্লেখ করা হয়েছে। এর একেবারে গোড়া হতে বর্তমান পর্যন্ত সবকিছুই বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। বর্তমানে এই দুইটি এমন প্রয়োজনীয় যন্ত্র যা ছাড়া আমাদের জীবন যাপন করা অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে।

প্রথমত মোবাইল ফোন যার সাহায্যে আমরা আমাদের দৈনন্দিন অনেক কাজ করতে পারি এবং এর মাধ্যমে আমাদের অনেক সময় সাশ্রয় হয় আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে ঘড়ি বর্তমানে এমন লোক পাওয়া যাবে না যে সময় দেখে কাজ করে না। সকালে ঘুম থেকে ওঠা শুরু করে রাতে আবার ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত প্রায় প্রত্যেকটা কাজই আমরা সময় দেখে করি।

যার জন্য ঘড়ি এতটা গুরুত্বপূর্ণ আমাদের জন্য। আশা করি এই আর্টিকেলটি পড়ে মোবাইল এবং ঘড়ির আবিষ্কার ও ইতিহাস সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা লাভ করেছেন এবং সেই সাথে উপকৃত হয়েছেন। যদি এই পোস্টটি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে এটি আপনার বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়-স্বজন কিংবা সহপাঠীদের মাঝে শেয়ার করতে পারেন।

যাতে করে তারাও এই দুই গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারে। আর যদি আপনি বিজ্ঞান সম্পর্ক,, বিভিন্ন বিজ্ঞানী সম্পর্কে, সামাজিক বিষয়ে সম্পর্কে এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটটি তে নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন। কারণ এ ধরনের আর্টিকেল আমরা নিয়মিত প্রকাশ করে থাকি।

এই আর্টিকেল সম্পর্কে যদি কোন প্রশ্ন মতামত কিংবা পরামর্শ থাকে তাহলে অবশ্যই তা কমেন্টের মাধ্যমে জানিয়ে যাবেন যাতে করে আপনার মাধ্যমে অন্যরা উপকৃত হতে পারে। অবশেষে আরো অন্যান্য আর্টিকেলগুলো পড়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে আজকে এখানেই শেষ করছি ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন,।

পরিশেষে আর্টিকেলটি সম্পন্ন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ💚।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বিপ্লব আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রত্যেকটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url