পারমাণবিক বোমা কে তৈরি করেন

বর্তমান বিশ্বে যত ধরনের অস্ত্র রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালি ক্ষেপনাস্ত্র হলো পারমানবিক বোমা।এই বোমা সম্পর্কে জানে না এমন ব্যক্তি খুব কমই আছে।তো চলুন জেনে নেওয়া যাক এই ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র সম্পর্কে।
পারমাণবিক বোমা কে তৈরি করেন

ভুমিকা

মানবসভ্যতার শুরু থেকে আজ পর্যন্ত সব থেকে শক্তিশালী যে হাতিয়ার মানুষের দ্বারা তৈরি করা হয়েছে সেটি হল পারমানবিক বোমা। একটি পারমানবিক বোমা দিয়ে নিমেশের মধ্যে একটি বড় শহরকে ধ্বংস করে ফেলা যায়, এমনকি লক্ষ লক্ষ মানুষকে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে হত্যাও করা যায়।

জাপান এই বোমার একমাত্র শিকার, যেখানে আজও এই বোমার রেডিয়েশনের ফলে বিকলঙ্গ শিশুর জন্ম হয়। তবে আপনি জানলে অবাক হবেন এই বিধ্বংসী বোমা আজ সারা পৃথিবী জুড়ে শান্তির একটি বড় কারন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের একদম শেষের দিকে এই বোমা আবিষ্কার হয়েছিল।

আর এই বোমার ভয়াবহতা দেখে আজ পর্যন্ত কোন দেশ এই বোমাকে যুদ্ধে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করেনি, কারন তারা জানে যে এই বোমা ব্যবহার করলে, মানবজাতি ধ্বংস হয়ে যাবে, আর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আর কোন বিশ্বযুদ্ধ হয়নি, এর পেছনে কিন্তু এই বোমার একটা বড় ভুমিকা রয়েছে।

 রাশিয়াকে ক্রমাগত আমেরিকা ধমকি দিলেও তারা কিন্তু সরাসরি যুদ্ধে জড়াচ্ছে না। আর তার কারনও কিন্তু এই পারমানবিক হাতিয়ার। আর আপনি কি জানেন আমেরিকার আগে হিটলার এই বোমা বানানোর চেষ্টা করেছিল, এবার প্রশ্ন হল, হিটলার কেন বোমা বানাতে সফল হল না?

 আর কিভাবে আমেরিকা এই পারমানবিক বোমা আবিষ্কার করেছিল,আজকে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।

পারমাণবিক বোমা কে তৈরি করেন

বিশ্বে প্রথম পারমাণবিক বোমা তৈরি করেন আমেরিকার বিখ্যাত বিজ্ঞানী রবার্ট ওপেন হাইমার।

 পারমাণবিক বোমা আবিষ্কারের ইতিহাস

পারমাণবিক বোমা আবিষ্কারের প্রচেষ্টা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে থেকে শুরু হয়ে গিয়েছিল। আরে পারমাণবিক বোমা আবিষ্কারের চেষ্টা সর্বপ্রথম জার্মানি শুরু করেছিল। সেই সময় এই বিধ্বংসী বোমা আবিষ্কারের কথা আমেরিকা জানতো না। জার্মানির প্রথম বিশ্বযুদ্ধে হেরে যায়। তখন জার্মানির উপর প্রচুর ঋণের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হয়।

আর এর ফলে যে জার্মানি একটা সময় খুব ধনী ছিল সে জার্মানি পথে নেমে আসে। আর আপনারা তো নিশ্চয়ই জানেন জার্মানিদের জাত্যঅভিমান কতটুকু বেশি। জার্মানিদের প্রথম বিশ্বযুদ্ধের হার তারা ঠিক মত মেনে নিতে পারছিল না। এমনই একজন জার্মানি ছিলেন যিনি নোবেল পুরস্কার জয়ী বিজ্ঞানী হাইজেনবার্গ।
১৯৩৩ সালে যখন হিটলার জার্মানির মানুষদের মধ্যে আশার আলো যোগায় এবং জার্মানির হারিয়ে যাওয়া গৌরব ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় তখন জার্মানের জনসাধারণ তাকে সমর্থন জানায়। ১৯৩৩ সালে হিটলার জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে নিযুক্ত হন।

সেই সময় বিজ্ঞানী হাইজেনবার্গ হিটলারের কাছে এমন একটি বোমা বানানোর প্রস্তাব দেয় যাতে মাত্র একটি বোমা দিয়েই কয়েক মিনিটের মধ্যেই কয়েক হাজার টিএনটি ফাটলে যে শক্তি বের হয় ওই একটা বোমাতে সেটি বের হবে। সেই সময় হিটলারবিজ্ঞানী হাইজেনবার্গকে এই বোমা বানানোর কাজে নিযুক্ত করেন।

এরপর বেশ কিছু বছর কেটে যায়। আর এই বোমা বানানোর কথা জার্মানের গোটা কয়েক বিজ্ঞানী এবং হিটলারের কয়েকজন খাস লোক ছাড়া আর কেউ জানতেও পারেনি। এদিকে .১৯৩৯ সালে হিটলার পোল্যান্ডে আক্রমণ করে এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়।

তখন আরেকজন মহান বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন খোঁজ পান যে জার্মান রা গোপনে একটি পারমাণবিক হাতিয়ার বানানোর চেষ্টা করছে। তখন আলবার্ট আইনস্টাইন তৎকালীন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্টকে এই বোমার বিষয়ে জানান।

সাথে তিনি এইটাও জানান যে যদি এই বোমা জার্মানরা আগে বানিয়ে ফেলে তাহলে জার্মানদের যুদ্ধে হারানো অসম্ভব হয়ে যাবে। সেই সময় আলবার্ট আইনস্টাইনের নাম সারা বিশ্ব জুড়ে ছিল। তখন বিজ্ঞানী ফ্রাঙ্কলিন বুঝে যান আলবার্ট আইনস্টাইন যখন বলছেন তখন আসলে এই কথার গুরুত্ব অনেক বেশি।

আর তারপর আমেরিকার সবচেয়ে বড় ত্রিশটি ল্যাবরেটরীতে এই বোমা নিয়ে গবেষণা শুরু হয়ে যায়।এই বোমা কোন সাধারণ বোমা নয়। যে এটা আগুন ধরিয়ে দিলে ব্লাস্ট করবে। এই বোমা বানানোর জন্য
দরকার পদার্থ বিজ্ঞানের উচ্চতর জ্ঞান। সেই সময় আমেরিকার বহু নামিদামি বিজ্ঞানী মজুদ ছিলেন,

এমনকি আইনস্টাইন নিজে সে বিজ্ঞানীদের বিভিন্ন থিউরি দিয়ে সাহায্য করেছিলেন। এদিকে আমেরিকা জার্মান বিজ্ঞানী হাইজেনবার্গের দিকেও নজর রাখছিল যাতে তাদের আগে যেন জার্মানি কোনভাবেই এ বোমা তৈরি করতে না পারে। এই কারণে তারা গোপনে সিআইএ গুপ্তচর নিযুক্ত করেছিল।

আর তাদেরকে বলা হয়েছিল যদি মনে হয় বিজ্ঞানী হাইজেনবার্গ বোমা বানাতে সফল হচ্ছে তাহলে তাকে যেন হত্যা করা হয়। তবে হাইজেনবার্গ এর বোমা আবিষ্কারের সময় যে সাধারণ সমস্যা গুলো আসছিল সেগুলো তিনি সমাধান করতে পারছিলেন না। তাছাড়া তার সহকারী হিসেবে যে বিজ্ঞানীরা ছিলেন তাদের জ্ঞান এ বিষয়ে অনেক কম ছিল।

হিটলার জার্মানির ইহুদিদের ওপর যে অত্যাচার করেছিল তা দেখে অনেক আগেই বহু বিজ্ঞানী দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল আমেরিকায়। ১৯৪২ সালে আমেরিকা পারমাণবিক বোমা আবিষ্কারের জন্য “ম্যানহ্যাডেন” প্রোজেক্ট শুরু করে যাতে প্রায় ১ লক্ষ মানুষ নিযুক্ত ছিল।

তবে আশ্চর্যের বিষয় হল এই প্রজেক্টে কাজ করা ৯৯% মানুষই জানত না যে তারা একটি বোমা বানাতে চলেছে।সেই সমই আমেরিকা প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছিল।।যার বর্তমান মূল্য ২২ বিলিয়ন ডলার।এই প্রজেক্টের প্রধান ছিলেন বিজ্ঞানী ওপেন হাইমার।

তিনি তার একটি ইন্টারভিউতে উল্লেখ করেছিলেন যে তিনি ভগবত গীতা থেকে প্রচুর পরিমানে উৎসাহিত হয়েছিলেন।তিনি ভগবত গীতা পড়ার জন্য সংস্কৃত শিখেছিলেন।দীর্ঘ তিন বছর “ম্যানহ্যাডেন” প্রজেক্টের উপর কাজ করা হয়। অবশেষে ১৯৪৫ সালের ১৬ই জুন আমেরিকার বিজ্ঞানীরা একটি সফল বোমা বানিয়ে ফেলেন।

এই বোমাটি অন্যান্য বোমার থেকে একেবারে আলাদা ছিল। বোমার ভিতরে ছিল হাজার হাজার ইলেকট্রিক তার যার একটি তারও যদি এদিক ওদিক হয়ে যেত তাহলে পুরো প্রজেক্টই ফেল হয়ে যেত এবং এর সাথে সাথে ৩৫০ মিলিয়ন ডলার জলে যেত। ১৯৪৫ সালের ১৬ জুলাই ভোর সাড়ে পাঁচটায় প্রথম বোমাটি ব্লাস্ট করা হয়।

আর এই বোমাটি পরীক্ষামূলকভাবে ব্রাশ করার জন্য আমেরিকার একটি মরুভুমিকে বেছে নেওয়া হয়েছিল। যখন বোমাটি ব্লাস্ট হয় তখন বিজ্ঞানী ওপেন হাইমারের মুখ থেকে একটি সংস্কৃত শ্লোক বের হয় যা ভগবত গীতার মধ্যে লেখা আছে। আর সেই শ্লোকের অর্থ হলো যখন হাজারটি সূর্য একসাথে বিস্ফোরিত হবে

এবং সেই বিস্ফোরণের ফলে যে তেজ এবং আলোর সৃষ্টি হবে তখন তুমি ঈশ্বরের শক্তিকে উপলব্ধি করতে পারবে। আপনাদের জ্ঞাতার্থে জানিয়ে রাখি যে এই বোমারই যখন ব্লাস্ট করা হয়েছিল তখন ওই ব্লাস্টের ফলে যে শক্ত উৎপন্ন হয়েছিল তা হাজারটা টিনটি ব্লাস্টের সমান। আর এভাবেই পৃথিবীর প্রথম বোমা আবিষ্কার হয়েছিল।

আর এর পরে কি ঘটেছিল সেটা হয়তো অনেকে জানেন। হিটলারের সেই শেষ ভরসা পারমাণবিক পারমানবিক বোমা কখনোই সফল হয়নি। আমেরিকা জাপানের উপর পারমানবিক বোমা নিক্ষেপ করেছিল। যাতে কয়েক লক্ষ মানুষ মারা যায়। তবইয়।বোমা নিক্ষেপ নিয়ে বিজ্ঞানীরা আপত্তি জানিয়েছিলেন।

কারণ তারা চাননি এমন বিধ্বংসী হাতিয়ার মানুষের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হোক। কারণ শুরুর দিকে আমেরিকান সরকার বলেছিল এটা শুধুমাত্র এই জার্মানি এবং জাপানকে ভয় দেখানোর জন্য তৈরি করা হবে,যাতে তারা যুদ্ধে হার মেনে নেয়। তবে তাদের আপত্তিতে গুরুত্ব দেয়নি সরকার।

ধীরে ধীরে সোভিয়েত ইউনিয়ন অর্থাৎ রাশিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্স , চায়না , ভারত , পাকিস্তান , নর্থ কোরিয়া এইসব দেশের কাছেও পারমাণবিক বোমা চলে আসে।

পারমাণবিক বোমা কিভাবে কাজ করে

পারমাণবিক বোমা কিভাবে কাজ করে তা বোঝার জন্য আমাদের কিছু সাধারণ জিনিস জানতে হবে। যেগুলো না জানলে আপনারা ঠিকমতো বুঝতে পারবেন না যে আসলেই পারমাণবিক বোমা কিভাবে কাজ করে। চলুন জেনে নেয়া যাক পারমাণবিক বোমার প্রাথমিক ধারণা ও তথ্য।

আপনারা নিশ্চয়ই জানেন যে কোন বস্তুকে যদি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র করে ভাঙ্গা হয় তাহলে সব শেষে পড়ে থাকে একটি পরমাণু। লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি পরমাণু দিয়েই একটি বস্তু গঠিত হয়। যদি এই পরমাণুগুলোকে ভেঙে ফেলা যায় তাহলে প্রচুর পরিমাণে শক্তি উৎপন্ন হয়। ইউরেনিয়াম নামে একটি পদার্থ আছে যা একটি তেজস্ক্রিয় মৌল।

এই মৌলের মধ্যে থাকা পরমাণুকে ভেঙ্গে ফেলা অনেক সহজ। এই কারণে পারমাণবিক বোমা বানানোর জন্য ইউরেনিয়ামের ব্যবহার করা হয়। যখন ইউরেনিয়াম এর একটি পরমাণু ভেঙে যায় তখন প্রচুর পরিমাণে তাপ উৎপন্ন হয়। তখন সেই তাপ বাকি পরমাণুগুলোকেও ভাঙতে শুরু করে। ফলে একটি চেইন রিএকশন শুরু হয়।

যদি চেইন রিএকশনকে কন্ট্রোল করা না যায়, তাহলে তখন সেটি নিউক্লিয়ার বোমার রূপ নেয়।আর যদিএই চেন রিয়েকশনকে কন্ট্রোল করা যায় মানে আপনি যদি এ পরমাণুর ভেঙে যায় ওকে আটকাতে পারেন তাহলে এটির সাহায্যে অনেক শক্তি উৎপন্ন করা যায়। উন্নত দেশগুলোতে কয়লার বদলে এই ইউরেনিয়াম দিয়ে শক্তি উৎপন্ন করা হয়।

যেখানে তিনটন কয়লা পুড়িয়ে এক মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হয় সেখানে মাত্র এক কেজি ইউরেন এক মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। আর ইউরেনিয়াম থেকে উৎপন্ন হওয়া বিদ্যুৎ পরিবেশের জন্য ভালো। কারণ কয়লা বা তেল পড়লে প্রচুর পরিমাণে কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গত হয়।

পারমাণবিক বোমার প্রক্রিয়াকে মানুষের ভালো কাজের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।

পারমাণবিক বোমা কোন দেশে বেশি আছে

বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে বেশি পারমাণবিক বোমা যে দেশে রয়েছে সেটি হল যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়া। এই দুই দেশ হলো বর্তমানে অত্যন্ত প্রভাবশালী দুইটি দেশ যারা পারমাণবিক বোমা তৈরিতে একে অপরকে টক্কর দিচ্ছে।

বাংলাদেশে কয়টি পারমাণবিক বোমা আছে

বর্তমান সময়ে বিশ্বের অনেক দেশেই যখন পারমাণবিক বোমা সঞ্চিত রয়েছে সেখানে বাংলাদেশের কাছে কোন ধরনের পারমাণবিক বোমা সঞ্চিত নেই। হয়তো অধর ভবিষ্যতে পারমাণবিক বোমা সঞ্চিত হতে পারে।

কোন দেশে কতটি পারমাণবিক বোমা রয়েছে

পারমাণবিক বোমা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ একটি বোমা। এর ভয়াবহতা এতটা যে এটাকে যদি একবার ব্লাস্ট করানো হয় তাহলে এটি লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণ নিমিষেই নিতে পারে। আসলে কোনো দেশই তার পারমাণবিক অস্ত্রের যে সঞ্চয় রয়েছে তা সেই দেশের সরকার অনেক সময় প্রকাশ করতে চায় না। কারণ এগুলো একান্তই একটি দেশের ব্যক্তিগত বিষয়।

তবে বিভিন্ন উৎস থেকে যা জানা গেছে তার ভিত্তিতে কোন দেশে কতটি পারমাণবিক বোমা রয়েছে তা উল্লেখ করা হলো

বর্তমানে রাশিয়ার কাছে প্রায় ৭ হাজার পারমাণবিক বোমা রয়েছে, আমেরিকা তথা যুক্তরাষ্ট্রের হাতে রয়েছে ৬৮০০ পারমাণবিক অস্ত্র, ফ্রান্সের হাতে রয়েছে প্রায় ৩০০ টি, যুক্ত রাজ্যের হাতে রয়েছে প্রায় ২১৫ টি, চীনের কাছে রয়েছে২১৫ টি, ভারতের কাছে রয়েছে ১৩০ টি,

পাকিস্তানের কাছে রয়েছে প্রায় ১৪০টি, ইসরাইলের কাছে রয়েছে ৮০ টি, আর উত্তর কোরিয়ার কাছে রয়েছে প্রায় ২০ টি পারমাণবিক বোমা।

বাংলাদেশ কততম পারমাণবিক শক্তিধর দেশ

বাংলাদেশ বিশ্বের ৩৩ তম থানে পারমাণবিক শক্তিধর দেশ হিসেবে রয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে এটি একটি অন্যতম পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে খুব শীঘ্রই বাংলাদেশ পারমাণবিক বোমার সঞ্চয় থাকবে বলে আশা করা যায়।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক উপরোক্ত আর্টিকেলটিতে আমরা পারমাণবিক বোমা সম্পর্কে আলোচনা করেছি।পারমাণবিক বোমার আবিষ্কারের ইতিহাস এটি কিভাবে কাজ করে কতটি দেশে কি পরিমান পারমাণবিক বোমা মজুদ রয়েছে এগুলো সম্পর্কে মূলত আজকের এই আর্টিকেল।

আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে পারমাণবিক বোমার সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারণা পেয়েছেন। যদি এই আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে এটি আপনি আপনার বন্ধু-বান্ধব আত্মীয় স্বজন কিংবা সবাই তাদের মাঝে শেয়ার করতে পারে যাতে করে তারাও পারমাণবিক সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করতে পারে।

আর যদি আপনার অন্যান্য বিষয় যেমন বিজ্ঞানমনস্ক আর্টিকেল , বিশিষ্ট বিজ্ঞানীদের জীবনী , সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির অথবা স্বাস্থ্য বিষয়ক আর্টিকেল করতে আগ্রহী হন তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটটিতে নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন।আরো অন্যান্য আর্টিকেলগুলো পড়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে আজকে এখানে শেষ করছি ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

পরিশেষে আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বিপ্লব আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রত্যেকটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url