বয়ঃসন্ধিকাল কাকে বলে

বয়সন্ধিকাল প্রত্যেকের জীবনে আবশ্যিক একটা বিষয়। এ সময় অনেক সতর্ক ও সচেতন থাকতে হয়। চলুন জেনে নেয়া যাক বয়সন্ধিকাল কাকে বলে এবং এই সময়ে করণীয় গুলো কি কি?
বয়ঃসন্ধিকাল কাকে বলে

ভূমিকা

সকল জীবের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তার শারীরিক বৃদ্ধি এবং পরবর্তী বংশধর তৈরির জন্য নিজেকে প্রস্তুত করা।আমরা যখন মাঠে কোনো ফসলের বীজ বপন করি, তখন বীজগুলো থেকে অঙ্কুর গজায়, তারপর তারা' ধীরে ধীরে বড় হয়। এক পর্যায়ে সেই গাছে আবার ফুল আসে, তাতে আবার নতুন বীজ তৈরি হয়।

এভাবেই প্রকৃতিতে জীবসমূহ তাদের বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নতুন প্রজন্ম তৈরির জন্য নিজেদের প্রস্তুত করে।
মানব প্রজাতির ক্ষেত্রেও কথাটি সত্যি। আমরা চারপাশে তাকালে ছোট ছোট শিশু দেখতে পাই, তারপর তাদের তুলনায় বড় কিশোর বয়সীদের দেখি। আমাদের বাবা-মায়েরা পূর্ণবয়স্ক মানুষ আবার আমাদের দাদা-দাদি কিংবা নানা-নানিরা হয়তো আরেকটু বেশি বয়স্ক।

এই যে নানান বয়সের মানুষ, তাদের শরীরের বৃদ্ধি কিন্তু ধাপে ধাপে হয়। আমাদের পরিবারে বা আত্মীয়স্বজনদের নতুন শিশু জন্ম নেওয়ার পরপরই কেবল আমরা তাদেরকে চোখের সামনে বড় হতে দেখি। কিন্তু মানব শিশু জন্মের এই প্রক্রিয়াটি কিন্তু শুরু হয় আরও অনেক আগে থেকে মায়ের গর্ভে।
আমাদের শরীর ক্রমাগত বড় হচ্ছে।

শরীরের এই বড় হওয়া কিন্ত কেবল আমাদের উচ্চতায় বড় হওয়া নয়, আমাদের শরীরের যত অঙ্গপ্রত্যঙ্গ আছে তার সবাই কিন্তু বড় হচ্ছে। আমাদের বুকের ভেতরের হৃৎপিণ্ড (রক্ত সংবহনতন্ত্রের অঙ্গ), মাথার ভেতরের মস্তিষ্ক (স্নায়ুতন্ত্রের অঙ্গ) কিংবা পেটের ভেতরের বৃক্ক বা কিডনি (রেচনতন্ত্রের অঙ্গ)-এরা সবাই কিন্তুআপনাদের বেড়ে ওঠা শরীরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বড় হচ্ছে।

বয়ঃসন্ধিকাল কাকে বলে

ছেলেদের ক্ষেত্রে ১১-১৩ বছরের মধ্যে। আর মেয়েদের ক্ষেত্রে ৯-১১ বছরের মধ্যে। এই যে বয়স, যখন মানুষ হিসেবে আমরা প্রজনন বিষয়ে পরিপক্কতার দিকে যাত্রা শুরু করি, এই বয়সটাই হচ্ছে বয়ঃসন্ধি।কিন্তু সেই পরিপক্কতার পথে যাত্রা শুরু হয় আরও আগে।

আমাদের শিশুকাল (জন্ম থেকে ৮-৯ বছর) পেরিয়ে যৌবনের (১৮ বছরের পরবর্তী) পর্যায়ে যাত্রার শুরুটা এই ৯-১৩ বছরের মধ্যে হয় বলেই এই সময়টাকে বয়ঃসন্ধি বলা হয়।সুতরাং আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছ যে,আপনাদের শরীরের যে পরিবর্তন তার সঙ্গেআপনাদের মন তথা মস্তিষ্কেরও কিন্তু একটি পরিবর্তন হচ্ছে,
যা আপনাদেরকে প্রজনন বা জৈবিক বৈশিষ্ট্যের পরিপক্কতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এই প্রজনন বা জৈবিক পরিপক্কতা মানুষের ক্ষেত্রে সাধারণত অর্জিত হয় ১৬-১৮ বছরের পর থেকে। বয়ঃসন্ধির সময়টায় শরীর ও মনের পরিবর্তনগুলো জীব হিসেবে মানুষের স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য।

এটাও মনে রাখার বিষয় যে, বয়ঃসন্ধিতে শুরু হওয়া মানুষের শরীরের প্রজনন অঙ্গগুলোর দৃশ্যমান পরিবর্তন কিন্তু আরও কয়েক বছর ধরে চলতেই থাকে। সঙ্গে সঙ্গে অনুভূতিরও পরিবর্তন হয়। আর এসব কিছুরই পেছনে কাজ করে শরীরে তৈরি হওয়া হরমোন।

বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেদের শারীরিক পরিবর্তন

ছেলেদের শরীরের বিকাশ ও দেহ গড়নের পরিবর্তন একটি দীর্ঘ সময় ধরে চলে। এই পরিবর্তন বয়ঃসন্ধি সময় থেকে শুরু করে ৩০ বছরের অধিক সময় পর্যন্ত চলতে থাকে। অনেক পরিবর্তন আছে যা বয়ঃসন্ধি শেষ হওয়ার পর থেকে শুরু হয়। নিচে বয়ঃসন্ধিকালীন কিছু পরিবর্তন তুলে ধরা হলো, যা তোমরা নিজেদের শরীরেই লক্ষ করতে পারো।

  • গলার স্বরে পরিবর্তনঃ শুনতে অবাক লাগলেও এ কথা বললে বাড়িয়ে বলা হবে না যে, ছেলেদের বয়ঃসন্ধির একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাথমিক বৈশিষ্ট্য আসলে আমরা শুনতে পাই। আর তা হচ্ছে তাদের গলার স্বরে পরিবর্তন। বয়ঃসন্ধিতে ছেলেদের গলার স্বর শিশু অবস্থার তুলনায় মোটা হয় যা তাদের শরীরের অন্যান্য পরিবর্তনেরও ইঙ্গিত বহন করে।
  • দেহকাঠামো সুগঠিত হওয়াঃ ছেলেদের ক্ষেত্রে বয়ঃসন্ধির একটা বিশেষ লক্ষণ হলো শরীরের বিভিন্ন
  • অংশ সুঠাম ও সুগঠিত হতে থাকা। এই অংশগুলো হলো বুক, পিঠ, কোমর, নিতম্ব, উরু এবং পা। বয়ঃসন্ধিকাল থেকে শুরু করে ৩০ বছর বয়স পর্যন্ত এই শারীরিক বিকাশ ঘটতে থাকে। মূলত এসময় ছেলেদের শরীরের বিভিন্ন অংশের পেশি সুগঠিত হয়।
  • হাড়ের গঠন পরিবর্তন ও বৃদ্ধিঃ বয়ঃসন্ধি সময় থেকে ছেলেদের দেহের হাড়ের গঠন বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং একই সঙ্গে মজবুত কাঠামো লাভ করতে থাকে। শরীরের অনেক জায়গার হাড় চওড়া হতে থাকে। এই পরিবর্তনও বয়ঃসন্ধিকাল থেকে শুরু করে ৩০ বছরের অধিক বয়স পর্যন্ত ঘটতে পারে।
  • শিশ্ন ও অণ্ডকোষের পরিবর্তনঃ শিশ্নের একটি সাধারণ কাজ হচ্ছে শরীরের ভেতর থেকে প্রবাহিত
  • মূত্রনালির মাধ্যমে শরীরের বাইরে মূত্র নিঃসরণের পথ তৈরি করে দেওয়া। কিন্তু প্রজননে ভূমিকা রাখাও এর আরেকটি কাজ। প্রজননসংক্রান্ত কাজের জন্য শিশ্ন প্রস্তুত হয় বয়ঃসন্ধিকালে। তখন এর আকার বৃদ্ধি পায়। সেক্স হরমোনের প্রভাবে শিশ্নে রক্ত ও অক্সিজেন প্রবাহ বাড়ে ফলে এটি কখনো কখনো দৃঢ়তা অর্জন করে। শিশ্নের এই বৃদ্ধি ও পরিবর্তন ১৮ বছর পর্যন্ত চলতে থাকে। শিশ্নের সাথে সাথে অণ্ডকোষেরও পরিবর্তন হয়। অণ্ডকোষে প্রজননের জন্য অপরিহার্য শুক্রাণু তৈরি হয় এবং জমা থাকে।
  • ছেলেদের মধ্যে ১৩ বছর বয়সেই আংশিকভাবে সক্রিয় শুক্রাণু দেখতে পাওয়া যায়, কিন্তু ১৪-১৬ বছরের আগে পুরোপুরি সক্রিয়তা আসে না। যদিও, কারও কারো ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়াটি অতি দ্রুত সম্পন্ন হয়।
  • শরীরের বিভিন্ন অংশে লোমঃ ছেলেদের বয়ঃসন্ধির অত্যন্ত সাধারণ লক্ষণ হচ্ছে তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে লোম গজানো এবং তা ক্রমাগত ঘন হওয়া। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আসে ছেলেদের শিশ্নের মূলে লোমের উপস্থিতির মাধ্যমে। ইংরেজিতে একে বলা হয় পিউবিক হেয়ার (pubic hair) আর বাংলায় বলা হয় শ্রোণীদেশীয় লোম। আমাদের শরীরের উরুর গোড়া থেকে উপরের দিকে তলপেটের একটি অংশ বরাবর নিতম্বের অংশ নিয়ে গঠিত অঞ্চলকে শ্রোণিদেশ (pelvis) বলা হয়। সাধারণত পুরুষের যৌনাঙ্গ বৃদ্ধি শুরু হওয়ার কিছুদিন পরেই এই পিউবিক হেয়ার বা শ্রোণিদেশীয় লোম দেখা যায়। বয়ঃসন্ধির পরবর্তীকালে আরও উপরের অংশে এই লোম ছড়িয়ে পড়ে।
  • পুরুষ-নির্দিষ্ট অ্যান্ড্রোজেন হরমোনের প্রভাবে মূলত শরীরে এই লোমের বিস্তার বাড়তে থাকে। যেমন-উপরের ঠোঁটের ওপরে ও নাকের নিচে গোঁফের রেশ তৈরি হয় এসময়। এছাড়া ধীরে ধীরে বগলের চুল, মুখে দাড়ির পাশাপাশি বুকসহ বিভিন্ন অঞ্চলেও লোমের উপস্থিতি দেখা যায়।

বয়ঃসন্ধিকালে মেয়েদের শারীরিক পরিবর্তন

বয়সন্ধিকালে মেয়েদের নিম্নোক্ত শারীরিক পরিবর্তনগুলো হয়ে থাকে।
  • দেহের আকার, মেদ বৃদ্ধিঃ বয়ঃসন্ধিকালে মেদকলার বৃদ্ধি ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের শরীরের বেশি
  • অংশ জুড়ে ঘটে। মেয়েদের শরীরের যেসকল স্থানে সাধারণত মেদকলার উপস্থিতি লক্ষ করা যায় তার মধ্যে আছে-স্তনগ্রন্থি, অর্ধনিম্নাংশ, উরু, উপরের বাহু, এবং নিতম্ব অঞ্চল। এদের মধ্যে স্তনগ্রন্থিতেই সাধারণত সবচেয়ে বেশি মেদ জমা হয়।
  • দশ বছর বয়সের একটি মেয়ের শরীরে একই বয়সের একটি ছেলের তুলনায় গড় চর্বির পরিমাণ থাকে মাত্র ৫% বেশি, কিন্তু বয়ঃসন্ধির শেষে এসে এই পার্থক্য হয় ৫০%-এর কাছাকাছি।শরীরের বিভিন্ন অংশে লোমের উপস্থিতিঃ ছেলেদের মতো মেয়েদেরও বয়ঃসন্ধিকালে শরীরের কিছু কিছু অংশে লোমের উপস্থিতি দেখা যায়।
  • এর মধ্যে শ্রোণিদেশীয় লোম বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছানোর সুস্পষ্ট লক্ষণ। প্রথমদিকে কেবল যোনিপথের চারপাশে ও উপরে হালকা ও ছোট লোমের অস্তিত্ব এলেও ধীরে ধীরে এই লোমের ঘনত্ব ও বিস্তার বাড়তে থাকে। বয়ঃসন্ধির পরেও এই বৃদ্ধি অব্যহত থাকে।
  • বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে হাতে, পায়ে, বগলে ও উরুতে চুলের অস্তিত্ব দেখা যায়। এটা সাধারণত ১৪-১৬ বছরের মধ্যে হয়। অনেক মেয়েদের মুখেও হালকা চুল গজাতে দেখা যায়।
  • স্তনবৃদ্ধিঃ মা হিসেবে পরবর্তীকালে সন্তানদের বুকের দুধ খাওয়ানোর প্রস্তুতির জন্য এই সময় মেয়েদের স্তনবৃদ্ধি শুরু হয়। মেয়েদের বয়ঃসন্ধির প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে এক বা উভয় স্তনের বৃন্তের নিচে সাধারণত একটা শক্ত ও কোমল পিণ্ড দেখা যায়। এ ব্যাপারটা গড়ে সাড়ে ১০ বছর। বয়সে ঘটে। পরবর্তী ৬-১২ মাসের মধ্যে স্তন উভয় পাশেই ফুলে নরম হয়ে ওঠে। এটি ঘটে মূলত স্তনের অঞ্চলে মেদ সঞ্চয়ের কারণে। এই বৃদ্ধি বয়ঃসন্ধির পরেও চলতে থাকে।
  • যোনিপথ, জরায়ু, এবং ডিম্বাশয়ের পরিবর্তনঃ মেয়েদের হরমোন ইস্ট্রোজেন ক্ষরণ বৃদ্ধির ফলশ্রুতিতে
  • তাদের যোনিপথ, জরায়ু এবং ডিম্বাশয়ের গঠন ও কাজে পরিবর্তন আসে। শরীরের ভেতরে এই অঙ্গগুলো থাকে বলে এদের এই পরিবর্তন হয়তো খালি চোখে দেখা যায় না। কিন্ত ইস্ট্রোজেনের প্রভাবে প্রথমদিকে যোনিপথ দিয়ে সাদা রংয়ের তরল পদার্থ ক্ষরিত হয়, যা সাদা স্রাব হিসেবে পরিচিত।
  • রজঃচক্রঃ সাধারণত সাদা স্রাব শুরু হওয়ার দুই বছর পরে যোনিপথ দিয়ে মাসের একটি নির্দিষ্ট সময়ে রক্তস্রাব শুরু হয়। একে মাসিক বা পিরিয়ড বলা হয়। বাংলাদেশে মেয়েদের মধ্যে মাসিক হওয়ার গড় বয়স ৯-১৩ বছর বলে ধরা হয়। নিয়মিত বিরতিতে মাসের নির্দিষ্ট সময়ে এই রক্তস্রাব হয় বলে এই ঘটনাটিকে রজঃচক্র বলা হয় (রজঃ শব্দটির অর্থই হচ্ছে রক্তস্রাব)। রজঃচক্র শুরু হওয়া মেয়েদের বয়ঃসন্ধির একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়। এটি প্রজননের জন্য তাদের প্রস্তুতির পথে একটি সুনির্দিষ্ট সংকেত।

বয়ঃসন্ধিকালে শরীরের যত্ন

আমাদের শরীর সুস্থ রাখার জন্য নিয়মিত এর যত্নের প্রয়োজন। কোভিড অতিমারির সময়ে আমরা বুঝতে পেরেছি যে, শরীরের পরিচ্ছন্নতা এবং কিছু সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি আমাদের রোগ ব্যাধির হাত থেকে বাঁচিয়ে রাখতে পারে।

সাধারণ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা যেমন দরকার, তেমনি নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের মাধ্যমে শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও ক্ষয়পূরণ নিশ্চিত করাও জরুরি। আমাদের কিছু সাধারণ অভ্যাস আমাদের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহযোগিতা করে। যেমন,
  • নিয়মিত গোসল করা;
  • হাত ও পায়ের নখ এবং চুল ছোট রাখা;
  • খাওয়ার আগে ও পরে এবং টয়লেট ব্যবহারের পরে সারান নিয়ে হাত ধোয়া;
  • যেখানে সেখানে থুথু বা কফ না ফেলা;
  • হাঁচি ও কাশির সময়ে নাক ও মুখ রুমাল বা টিস্যু বা হাতের কনুই দিয়ে ঢেকে রাখা।
  • এসব আচরণ ও অভ্যাস আমাদের নিজেদের স্বাস্থ্য যেমন ভালো রাখে, তেমনি আমাদের চারপাশের মানুষকেও সুস্থ থাকতে সহযোগিতা করে।
আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের আলাদা আলাদা যত্ন রয়েছে। আমাদের শরীরের যে অংশটুকু খোলা থাকে, তার যেমন যত্ন দরকার, তেমনি যে অংশটুকু পোশাকে ঢাকা থাকে তারও যত্ন দরকার। আমাদের সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পরিষ্কার রাখতে হবে। আমাদের শরীরের ব্যক্তিগত কিছু অঙ্গপ্রত্যঙ্গে ঘাম ও ময়লা জমে জীবাণুর সংক্রমণ হতে পারে।

গোসলের সময় সাবান দিয়ে এসব অংশ পরিষ্কার করতে হবে।খাবার নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমারা যেন সচেতনভাবে সুষম খাবার নির্বাচন করি তা খেয়াল রাখতে হবে। কেবল মুখে ভালো লাগলেই সে খাবার আমাদের শরীরের জন্য ভালো নাও হতে পারে। আমাদের সুস্থ শরীরের জন্য পুষ্টিকর খাবারের দিকে মনোযোগ দিতে হবে।

এছাড়া নিয়মিত ও সময়মতো ঘুমানোর অভ্যাস করতে হবে। সুস্থ শরীরের জন্য এক দিনের মধ্যে আমাদের প্রায় আট ঘণ্টা ঘুম দরকার। রাত ৯-১০টার মধ্যে ঘুমানোর চেষ্টা করতে হবে। আর খুব সকালে ঘুম থেকে জেগে উঠে আমাদের নিত্যদিনের কাজে নিযুক্ত হতে হবে।

আমাদের স্বাস্থ্যবিধির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে নিয়মিত খেলাধূলা বা শরীরচর্চা। সময় করে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে মিলে শরীরচর্চা করতে হবে। এসব অভ্যাস ও জীবনাচরণ আমাদের শরীর ও মন সুস্থ রাখতে সহযোগিতা করবে।মানব শরীর অনেকগুলো জটিল রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে পরিচালিত হয়।

এগুলোর সবকিছু আমরা সচেতনভাবে নিয়ন্ত্রণ করি না। আমাদের অজ্ঞাতেও শরীর তার প্রয়োজনীয় কার্যক্রম চালিয়ে যায়, যা আমাদের জীবনধারণের জন্য অত্যাবশ্যক। তবে সচেতনভাবে আমরা যদি সঠিক যত্ন নিই, সঠিক খাবার খাই, নিয়মিত শরীর চর্চা করি, তবেই আমাদের শরীর থাকবে সুস্থ, সবল ও কর্মক্ষম। তাই এসব বিষয়ে আমাদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক , উপরোক্ত আর্টিকেলটিতে মানব জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে যাকে বয়সন্ধিকাল বলা হয়। আশা করি আর্টিকেলটি পরে এ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা লাভ করেছেন।যদি আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে এটি আপনি আপনার বন্ধুবান্ধব কিংবা সহপাঠীদের মাঝে শেয়ার করতে পারেন।

যাতে করে তারাও এই সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারে। এছাড়াও আরো অন্যান্য আর্টিকেল গুলো যেমন বিজ্ঞান ভিত্তিক, সাধারণ জ্ঞানমূলক , চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য , বিখ্যাত ব্যক্তিদের জীবনী,বিভিন্ন আবিষ্কার ও আবিষ্কারক, বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য

এবং আরো অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয়ে থাকলে আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন। কারণ এ ধরনের আর্টিকেলগুলো আমরা নিয়মিত প্রকাশ করে থাকি।

আর এই পোস্ট সম্পর্কে যদি কোন প্রশ্ন মতামত কিংবা কোন পরামর্শ থাকে তাহলে অবশ্যই তা কমেন্টের মাধ্যমে জানিয়ে যাবেন। যাতে করে অন্যরা উপকৃত হতে পারে। আরো অন্যান্য আর্টিকেলগুলো পড়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে আজকে এখানে শেষ করছি ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

রিশেষে আর্টিকেলটি সম্পন্ন করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ💚।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বিপ্লব আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রত্যেকটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url