পৃথিবীর প্রধান বায়োমগুলো কি কি
পৃথিবীর প্রধান বায়োমগুলো কি কি
১. ক্রান্তীয় বৃষ্টিবহুল অরণ্য বায়োম;
২. ক্রান্তীয় মৌসুমি বনভূমি বায়োম;
৩. সাভানা বায়োম;
৪. মরু বায়োম;
৫. ভূমধ্যসাগরীয় বায়োম;
৬. নাতিশীতোষ্ণ তৃণভূমি বায়োম;
৭. সরলবর্গীয় বনভূমি বায়োম এবং
৮. তুন্দ্রা বায়োম।
জলবায়ু (Climate): সারা বছর নিম্ন তাপমাত্রা তুন্দ্রা জলবায়ুর প্রধান বৈশিষ্ট্য। স্বল্পস্থায়ী গ্রীষ্মের মাসগুলোর গড় তাপমাত্রা ১০০ সে এবং দীর্ঘস্থায়ী শীতের মাসগুলোর তাপমাত্রা হিমাঙ্কের অনেক নিচে থাকে। বার্ষিক তুষারপাতের পরিমাণ ৫০-৬০ সেমি। তুন্দ্রা অঞ্চল সম্পূর্ণরূপে বৃক্ষশূন্য। এ সময় প্রতিদিনর প্রতি বর্গমিটারে উদ্ভিজ্জের বৃদ্ধির হার মাত্র ১-৪ শুষ্ক গ্রাম।
উদ্ভিদ (Plant): তুন্দ্রা অঞ্চলে সূর্যালোকের অভাব এবং চরম শীতল জলবায়ু উদ্ভিদের জন্ম ও বৃদ্ধির প্রতিবন্ধক। এ কারণে স্বল্প কয়েক প্রজাতির শৈবাল, ছত্রাক, মস ইত্যাদি এ অঞ্চলের প্রধান উদ্ভিজ্জ।
গরান বনভূমি সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলে গড়ে উঠা উদ্ভিদ। গড়ে ওঠার প্রধান শর্ত লবণাক্ততা। এখানে একস্তর বিশিষ্ট গাছ দেখা যায় চাঁদোয়া সর্বোচ্চ ৩০ মিটার পর্যন্ত হয়। কিছু কিছু উদ্ভিদে বিশেষ ধরনের মূল দেখা যায়। এসব উদ্ভিদের আবাসস্থলে দ্রবীভূত লবণের পরিমাণ NaCl, MgCl2, MgSO, বেশি থাকায় সাধারণ উদ্ভিদ সেখান থেকে পানি শোষণ করতে পারে না।
অবস্থান (Location): সাধারণভাবে চিরহরিৎ বৃষ্টিবহুল অরণ্য বায়োম ১০০ উত্তর থেকে ১০° দক্ষিণ অক্ষরেখা পর্যন্ত বিস্তৃত। এ বায়োমের সর্বাধিক বিস্তৃতি দেখা যায় আমাজান অববাহিকা, কঙ্গো অববাহিকা এবং ইন্দো-মালয়েশিয়ান অঞ্চলে।
জলবায়ু (Climate): ক্রান্তীয় চিরহরিৎ বৃষ্টিবহুল অরণ্যের অধিকাংশ স্থানের বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত ২০০ সেমি. এর বেশি। বছরে ২ থেকে ৩ মাস ব্যতীত প্রতিমাসে কমপক্ষে ২০ সেমি, বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে। বার্ষিক গড় তাপমাত্রা ২০° সে. কিন্তু বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০° সে.-এর কাছাকাছি থাকে। সূর্য সারাবছর প্রায় মাথায় উপর থাকে এবং দিবা-রাত্রির হ্রাস-বৃদ্ধি খুবই কম।
বার্ষিক তাপমাত্রার পার্থক্য প্রায় ১০ সে.কিন্তু দিবারাত্রির তাপমাত্রার পার্থক্য ৫০ থেকে ১০০ সে. প্রতিদিন বিকাল ২-৪ ঘটিকায় মধ্যে বৃষ্টিপাত হয় এবং অধিকাংশ বৃষ্টিপাত পরিচলন প্রক্রিয়ায় অনুষ্ঠিত হয়।
উদ্ভিদ প্রজাতি (Plant Species) : এ বায়োমে সর্বাধিক সংখ্যক উদ্ভিদ প্রজাতি বসবাস করে। পশ্চিম আফ্রিকার কঙ্গো অববাহিকায় ৬,০০০ থেকে ৭,০০০ প্রজাতির, মালয়েশিয়ার সম্পূর্ণ ভিন্ন গঠনের ২০,০০০ প্রজাতির ব্রাজিলে ৪০,০০০ প্রজাতির এবং পানামা অঞ্চলে ২,০০০ প্রজাতির সপুষ্পক উদ্ভিদ শনাক্ত করা হয়েছে।
(খ) দ্বিতীয় স্তর (Second layer): সর্বোচ্চ স্তরের নিচে ২৫ থেকে ৩০ মিটার উচ্চতাবিশিষ্ট বৃক্ষগুলো দ্বিতীয় স্তরের চাঁদোয়া সৃষ্টি হয়।
(গ) তৃতীয় স্তর (Third layer) : ১৫ থেকে ২০ মিটার দীর্ঘ মাঝারি উচ্চতার বৃক্ষগুলো এ স্তর গঠন করে। এ স্তরের বৃক্ষগুলোর পাতা বিশেষ বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন এবং প্রথম ও দ্বিতীয় স্তরের বৃক্ষের পাতা অপেক্ষা বেশ বড়।
(ঘ) চতুর্থ স্তর (Fourth layer): ৫ মিটার পর্যন্ত উচ্চতাবিশিষ্ট -গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ দ্বারা এ স্তর গঠিত। এ স্তরটি বনভূমিতে নিরবিচ্ছিন্ন দেখা যায় না; বরং বিক্ষিপ্ত অবস্থায় দেখা যায়।
(ঙ) পঞ্চম স্তর (Fifth layer) : ১ থেকে ২ মিটার উচ্চতাবিশিষ্ট উদ্ভিদ দ্বারা এ স্তর গঠিত। এ স্তরে প্রধানত গুল্ম ও ফার্নজাতীয় উদ্ভিদ দেখা যায়।
প্রাণী (Animal) : ক্রান্তীয় চিরহরিৎ বৃক্ষের বনভূমিতে কতিপয় বিশেষ বৈশিষ্ট্যের প্রাণী দেখা যায়, যা অন্য কোনো বায়োমে পাওয়া যায় না। এ বনভূমিকে সারাবছর উদ্ভিদ বৃদ্ধি পায় বলে প্রাণী পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার সারাবছর নিয়মিতভাবে পেয়ে থাকে।এ বনভূমিতে বৃক্ষচর প্রাণীর সংখ্যা বেশি।
উদ্ভিদ (Plant community): ক্রান্তীয় মৌসুমি বনভূমি বায়োমে উদ্ভিদ প্রজাতির সংখ্যা অনেক কম। এ বনভূমি বায়োমের বৃক্ষগুলোর উচ্চতা ১২ থেকে ৩০ মিটারের মধ্যে হয়ে থাকে। অঞ্চলভেদে বনভূমিতে তিন থেকে চারটি উল্লম্ব স্তর দেখ যায়।
প্রাণী (Animal) : মৌসুমি বনভূমি বায়োমে প্রধান প্রজাতিসমূহের মধ্যে রয়েছে হাতি, ঘোড়া, জলহস্তি, গন্ডার, বাঘ সিংহ, বণ্য মহিষ, হরিণ, বিভিন্ন প্রকারের পাখি ইত্যাদি।
এবং যদি ভালো লাগে তাহলে আপনি আপনার বন্ধু পরিজন কিংবা সহকারীদের মাঝে শেয়ার করতে পারেন। পরিশেষে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভূমিকা:
ভূগোলবিদগণ বিশ্বের জলবায়ু মানচিত্রের গুণাবলির মধ্যে বিশ্বের বায়োম সম্পর্কিত আলোচনা অব্যাহত রাখলে ও জীববিজ্ঞানীগণ সম্পূর্ণভাবে এর সাথে একমত নন। কিন্তু জীবভূগোলে আমরা স্থলজ বায়োমকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকি। সর্বজনগ্রাহ্য কোনো স্থলজ বায়োেম চিহ্নিত করা নেই। বিভিন্ন জন বিভিন্নভাবে পৃথিবীর বায়োমসমূহকে চিহ্নিত ও চিহ্নিত করেছেন।
এছাড়া বায়োমগুলো ও আঞ্চলিকভাবে চিহ্নিত করা নেই, ফলে তাদের সীমানা ভূপৃষ্ঠে পরিষ্কারভাবে চিহ্নিত করা যায় না।
পৃথিবীর প্রধান বায়োমগুলো কি কি
বায়োমের সীমারেখা হিসেবে যে রেখাগুলো অঙ্কন করা হয়েছে, এগুলো মূলত দুটি বায়োমের বৃহৎ মধ্যবর্তী অঞ্চল বুঝানো হয়েছে। ভৌগোলিক বণ্টন অনুসারে বায়োমকে দুটি প্রধান ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন- (ক) স্থলভাগের বায়োম এবং (খ) জলভাগের বায়োম।প্রধান প্রধান স্থলজ বায়োমগুলো কি কি
প্রধান স্থলজ বায়োম (Principal Terrestrial Biomes) - আঞ্চলিক প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যগুলো বিবেচনায় রেখে পৃথিবীর প্রধান স্থলজ বায়োমগুলোর নিম্নলিখিত ৮টি শ্রেণিতে বিভক্ত করা যায়। যথা-১. ক্রান্তীয় বৃষ্টিবহুল অরণ্য বায়োম;
২. ক্রান্তীয় মৌসুমি বনভূমি বায়োম;
৩. সাভানা বায়োম;
৪. মরু বায়োম;
৫. ভূমধ্যসাগরীয় বায়োম;
৬. নাতিশীতোষ্ণ তৃণভূমি বায়োম;
৭. সরলবর্গীয় বনভূমি বায়োম এবং
৮. তুন্দ্রা বায়োম।
তুন্দ্রা বায়োমের বিবরণ দাও
তুন্দ্রা শব্দটি ফিনিস tunturia থেকে উদ্ভূত, যার অর্থ নিস্ফলা বা অনুর্বরclass="alert info"ভূমি (barren land)। এটি উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধের মেরু অঞ্চলের বাস্তুতন্ত্র। উত্তর আমেরিকা মহাদেশের কানাডা, আলাস্কা, গ্রিনল্যান্ডের উপকূলীয় অঞ্চল, ইউরোপের আইসল্যান্ডের, নরওয়ে, ফিনল্যান্ড, রাশিয়া এবং সাইবেরিয়া ব্যাপকঅঞ্চল নিয়ে এ বায়োমটি গঠিত অত্যধিক শীত ও ঠান্ডা আবহাওয়াই এই অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য। বাৎসারিক অধঃক্ষেপণের হার অনেক কম। যদি ও তা তুষারপাত আকারেই হয়ে থাকে। এই পরিমাণ বছরে ৪০০ মি.মি. এর কম। শতিকাল দীর্ঘ। এখানকার মাটি অধিকাংশ সময়ই বরফাকৃত থাকে। গ্রীষ্মকাল মাত্র ৬০ দিন স্থায়ী।
৬০ দিন মাত্র গ্রীষ্মকাল হওয়াকে এখানকার উদ্ভিদের জীবনকাল অতি সংক্ষিপ্ত। বায়োমকে দুভাগে ভাগ করা যায়। যথা- (ক) সুমেরু তুন্দ্রা ও (খ) উচ্চভূমির তুন্দ্রা।
(ক) সুমেরু তুন্দ্রা (Low Arctis Tundra):
উদ্ভিজ্জের সাধারণ বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তনের উপর ভিত্তি করে সুমেরু তুন্দ্রা বায়োমকে দক্ষিণ থেকে উত্তর দিকে তিনটি উপঅঞ্চলে ভাগ করা যায়; যথা- (ক) নিম্ন সুমেরু তুন্দ্রা, (খ) মধ্য সুমেরু তুন্দ্রা ও (গ) উচ্চ সুমেরু তুন্দ্রা। উল্লেখ যে, নিম্ন বা উচ্চ বলতে অক্ষাংশকে বুঝানো হয়েছে, উচ্চতা নয়।
১. নিম্ন সুমেরু তুন্দ্রা (Low Arctis Tundra): আলাস্কা, কানাডা, গ্রিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড, নরওয়ে, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, রাশিয়া ও সাইবেরিয়ার বৃক্ষরেখার নিকটবর্তী সর্ব দক্ষিণের অঞ্চল। এ অঞ্চলের প্রায় সর্বত্র উদ্ভিজ্জ পরিলক্ষিত হয়।
২. মধ্য সুমেরু তুন্দ্রা (Middle arctis tundra): নিম্ন সুমেরু অঞ্চলের সংলগ্ন উত্তরের এলাকা। এ অঞ্চলের মাঝে মাঝে উদ্ভিদহীন নিবাস লক্ষ্য করা যায়।
৩. উচ্চ সুমেরু তুন্দ্রা (High arctis tundra): মধ্য সুমেরু তুন্দ্রা অঞ্চলের উত্তরে অবস্থিত, অর্থাৎ প্রায় ৮৪০ অক্ষাংশের উত্তর অবস্থিত সর্ব উত্তরের এলাকা। এখানে উদ্ভিজ্জ নেই বললেই চলে এবং দূর থেকে উদ্ভিজ্জের উপস্থিত লক্ষ্য করা যায় না।
১. নিম্ন সুমেরু তুন্দ্রা (Low Arctis Tundra): আলাস্কা, কানাডা, গ্রিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড, নরওয়ে, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, রাশিয়া ও সাইবেরিয়ার বৃক্ষরেখার নিকটবর্তী সর্ব দক্ষিণের অঞ্চল। এ অঞ্চলের প্রায় সর্বত্র উদ্ভিজ্জ পরিলক্ষিত হয়।
২. মধ্য সুমেরু তুন্দ্রা (Middle arctis tundra): নিম্ন সুমেরু অঞ্চলের সংলগ্ন উত্তরের এলাকা। এ অঞ্চলের মাঝে মাঝে উদ্ভিদহীন নিবাস লক্ষ্য করা যায়।
৩. উচ্চ সুমেরু তুন্দ্রা (High arctis tundra): মধ্য সুমেরু তুন্দ্রা অঞ্চলের উত্তরে অবস্থিত, অর্থাৎ প্রায় ৮৪০ অক্ষাংশের উত্তর অবস্থিত সর্ব উত্তরের এলাকা। এখানে উদ্ভিজ্জ নেই বললেই চলে এবং দূর থেকে উদ্ভিজ্জের উপস্থিত লক্ষ্য করা যায় না।
(খ) উচ্চভূমির তুন্দ্রা (Alpine tundra) :
ভূপৃষ্ঠে উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে সাথে তাপমাত্রা হ্রাস পায়। ক্রান্তীয় ও নাতিশীতোষ্ণমণ্ডলের উচ্চ পর্বত গাত্রে উদ্ভিজ্জের অনুরূপ বৃক্ষহীন অঞ্চল উচ্চভূমির তুন্দ্রা নামে পরিচিত। ক্রান্তীয় অঞ্চলে গড়ে ১২,০০০ ফুট, উপক্রান্তীয় ও উষ্ণ নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে ৬,০০০ ফুট এবং শীতল নাতিশীতোষ্ণ। অঞ্চলে ৩,০০০ ফুট উপরে তুন্দ্রা উদ্ভিদ জন্মে।
জলবায়ু (Climate): সারা বছর নিম্ন তাপমাত্রা তুন্দ্রা জলবায়ুর প্রধান বৈশিষ্ট্য। স্বল্পস্থায়ী গ্রীষ্মের মাসগুলোর গড় তাপমাত্রা ১০০ সে এবং দীর্ঘস্থায়ী শীতের মাসগুলোর তাপমাত্রা হিমাঙ্কের অনেক নিচে থাকে। বার্ষিক তুষারপাতের পরিমাণ ৫০-৬০ সেমি। তুন্দ্রা অঞ্চল সম্পূর্ণরূপে বৃক্ষশূন্য। এ সময় প্রতিদিনর প্রতি বর্গমিটারে উদ্ভিজ্জের বৃদ্ধির হার মাত্র ১-৪ শুষ্ক গ্রাম।
উদ্ভিদ (Plant): তুন্দ্রা অঞ্চলে সূর্যালোকের অভাব এবং চরম শীতল জলবায়ু উদ্ভিদের জন্ম ও বৃদ্ধির প্রতিবন্ধক। এ কারণে স্বল্প কয়েক প্রজাতির শৈবাল, ছত্রাক, মস ইত্যাদি এ অঞ্চলের প্রধান উদ্ভিজ্জ।
গ্রীষ্মকালে কয়েক সপ্তাহের সূর্যকিরণে বরফ গলা শুরু হলে বিভিন্ন প্রকার শৈবাল, ছত্রাক, মস এবং ছোট ছোট স্বল্পায়ু বর্ষজীবী সপুষ্পক উদ্ভিদ প্রজাতি, যেমন- পপি, শিলা, গোলাপ, পালিক উদ্ভিদ জন্মায়।
প্রাণী (Animal): প্রচণ্ড শীত সহ্য করতে পারে এরূপবিশেষ ধরনের শারীরিক ক্ষমতাসম্পন্ন প্রাণীই কেবলমাত্র সারা বছর তুন্দ্রা বায়োমে বসবাস করতে পারে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে বলগা, হরিণ, লেমিং, মেরু, ভালুক, নেওড়ে, বাঘ ও বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক প্রাণী।
তুন্দ্রা অঞ্চলে বসবাসকারী কতিপয় প্রাণী বিভিন্ন ঋতুতে তাদের রঙ পরিবর্তন করে থাকে। বাংলাদেশের জলজ বাস্তুতন্ত্র জলাশয়ের আকৃতি, জলের প্রকৃতি প্রভৃতির উপর নির্ভর করে।এই অঞ্চলের প্রধান উদ্ভিদ হলো লাইকেন, মস বিভিন্ন -প্রজাতির গুল্ম ইত্যাদি।
অধিকাংশ উদ্বিদের উচ্চতা ৫ সে.মি. থৈকে ৮ সে.মি এবং এসব উদ্ভিদের মধ্যে মাটিতে নুয়ে থাকার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। এর কারণ হিসেবে বিজ্ঞানীরা উল্লেখ করেন, মাটির তাপমাত্রা তুলনামূলকভাবে উপরের বায়ুর তাপমাত্রার চেয়ে বেশি থাকে।
গ্রীষ্মকালে বরফ গলে এন্টার্কটিকায় প্রচুর খাদ্য সমাগম থাকে। এ সময় এই প্রাণীগুলো প্রচুর খাদ্য খেয়ে চর্বি সঞ্চিত করে রাখে যা পরে খাদ্য সংকটের সময় ব্যবহার করতে পারে বিজ্ঞানীদের মতে, সাদা রং তাপ সংরক্ষণে সহায়ক বলে তুন্দ্রা অঞ্চলের সব প্রাণীর রঙই প্রায় সাদা।
ম্যানগ্রোভ ফরেষ্ট বায়োেম বর্ণনা কর
(Mangrove forest biome): Mangrove শব্দটি অর্থ লবণাক্ত পানিতে গড়ে উঠা গাছপালা। এটি একটি আঞ্চলিক শব্দ যা পশ্চিম ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জের অধিবাসীরা ব্যবহার করে। বাংলায় এর প্রতিশব্দ গরান। যেসব সমুদ্র উপকূলবর্তী জোয়ারভাটা দ্বারা প্রভাবিত, সবসময় ভেজা এবং অত্যধিক লবণাক্ত মাটিতে উৎপত্তি ও বিকাশ লাভ করে, সেগুলোকে ম্যানগ্রোভ বা গরান উদ্ভিদ বলে।গরান বনভূমি সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলে গড়ে উঠা উদ্ভিদ। গড়ে ওঠার প্রধান শর্ত লবণাক্ততা। এখানে একস্তর বিশিষ্ট গাছ দেখা যায় চাঁদোয়া সর্বোচ্চ ৩০ মিটার পর্যন্ত হয়। কিছু কিছু উদ্ভিদে বিশেষ ধরনের মূল দেখা যায়। এসব উদ্ভিদের আবাসস্থলে দ্রবীভূত লবণের পরিমাণ NaCl, MgCl2, MgSO, বেশি থাকায় সাধারণ উদ্ভিদ সেখান থেকে পানি শোষণ করতে পারে না।
তাই এসব জায়গায় বিশেষ ধরনের উদ্ভিদ জন্মায়। মাটিতে প্রচুর পানি থাকা সত্ত্বেও লবণের আধিক্যের জন্য সাধারণ উদ্ভিদের পক্ষে ঐ পানি শোষণ করা সম্ভব হয় না। অগ্রহণযোগা পানিযুক্ত এরূপ মাটিকে শারীরবৃত্তীয় শুষ্ক বা উষার মাটি phystologically dry soil বলা হয়।
এ কারণে লবণাক্ত মাটির উদ্ভিদের ও মরু উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্যের সাদৃশ্য পরিলক্ষিত হয়। অনেক পরিবেশবিজ্ঞনী লোনামাটির উদ্ভিদকে মরুপ্রেমী Xeroplilous উদ্ভিদ নামে আখ্যায়িত করে থাকেন।
বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের সুন্দরবনের এ জাতীয় উদ্ভিদ জন্মায়। ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ খুব উঁচু হয় না। এদের পাতাগুলো মসৃণ ও চকচকে দেখায়।
এদের কাণ্ডের নিম্নভাগ থেকে ঠেসমূল উৎপন্ন হয় এবং এর সাহায্যে কর্দমাক্ত নরম মাটিতে দৃঢ়ভাবে সোজা থাকে। উদ্ভিদের গোড়ার অংশ অধিক সময় পানিতে ডুবে থাকার জন্য মূল ঠিকমতো অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারে না। তাই অক্সিজেনের জন্য নিউম্যাটেফোর নামে বিশেষ একপ্রকার মূল মাটি ভেদ করে উপরের দিকে প্রসারিত হয়ে পানির উপর উঠে আসে।
এর মূলগুলো ক্রমশ চোখা এবং দেহে অসংখ্য সূক্ষ্ম ছিদ্র বিদ্যমান। এই ছিদ্রের সাহায্যে অক্সিজেন গ্রহণ করে তার শ্বাসকার্য চালায়।ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে জরায়ুজ অঙ্কুরোদগম। জরায়ুজ অঙ্কুরোদগমে গাছে ফুল ঝুলে থাকা অবস্থায়ই বীজ অঙ্কুরিত হতে শুরু করে।
গাছ হতে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পূর্বেই বীজের ভেতরের ভ্রুণ মূল ফলের প্রাচীর ভেদ করে বাইরে বেরিয়ে আসে এবং বর্ধিত হতে থাকে। ভ্রূণমূল ক্রমান্বয়ে স্ফীত হয়ে দায় ন্যায় হয় ও ওজন বাড়ে। ফলে ভ্রুণমূলের ভারে অঙ্কুরিত বীজ ফল থেকে খাড়াভাবে নিচে পড়ে যায় এবং নরম মাটিতে প্রোথিত হয়। অতঃপর মূল নির্গত ও বর্ধিত হয়ে চারদিকে মাটির সঙ্গে আটকে ফেলে।
এভাবে প্রাকৃতিক উপায়ে ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল সৃষ্টি হয়। ভারত, মাদাগাস্কার, মালয়েশিয়া, আফ্রিকার পশ্চিম উপকূল, আমেরিকা পূর্ব ও পশ্চিম উপকূল ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপগুলোর ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ দেখা যায়। সুন্দরবনে এই জাতীয় উদ্ভিদের প্রায় ১৮টি প্রজাতি পাওয়া যায়। এসব প্রজাতির মধ্যে সুন্দরী, গরান, গেওয়া, পশুর, কেওড়া, গোলপাতা ইত্যাদি অন্যতম।
পৃথিবীর যেকোনো দুটি গুরুত্বপূর্ণ বায়োমের বর্ণনা দাও
ক্রান্তীয় বৃষ্টিবহুল অরণ্য বায়োম (Tropical Rainforest Biome): পৃথিবীর সকল বায়োমের তুলনায় ক্রান্তীয় বৃষ্টিবহুল অরণ্য বায়োমের উৎপাদনশীলতা সর্বাপেক্ষা বেশি। এ বায়োমের গড় উৎপাদনশীলতা বছরে বছরে প্রতি বর্গ মিটারে ৫০০০ শুল্ক গ্রাম।অবস্থান (Location): সাধারণভাবে চিরহরিৎ বৃষ্টিবহুল অরণ্য বায়োম ১০০ উত্তর থেকে ১০° দক্ষিণ অক্ষরেখা পর্যন্ত বিস্তৃত। এ বায়োমের সর্বাধিক বিস্তৃতি দেখা যায় আমাজান অববাহিকা, কঙ্গো অববাহিকা এবং ইন্দো-মালয়েশিয়ান অঞ্চলে।
এ বায়োমটি কোথা ও কোথাও পারিসরিকভাবে নিরক্ষরেখা থেকে অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে হয়েছে।
জলবায়ু (Climate): ক্রান্তীয় চিরহরিৎ বৃষ্টিবহুল অরণ্যের অধিকাংশ স্থানের বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত ২০০ সেমি. এর বেশি। বছরে ২ থেকে ৩ মাস ব্যতীত প্রতিমাসে কমপক্ষে ২০ সেমি, বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে। বার্ষিক গড় তাপমাত্রা ২০° সে. কিন্তু বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০° সে.-এর কাছাকাছি থাকে। সূর্য সারাবছর প্রায় মাথায় উপর থাকে এবং দিবা-রাত্রির হ্রাস-বৃদ্ধি খুবই কম।
বার্ষিক তাপমাত্রার পার্থক্য প্রায় ১০ সে.কিন্তু দিবারাত্রির তাপমাত্রার পার্থক্য ৫০ থেকে ১০০ সে. প্রতিদিন বিকাল ২-৪ ঘটিকায় মধ্যে বৃষ্টিপাত হয় এবং অধিকাংশ বৃষ্টিপাত পরিচলন প্রক্রিয়ায় অনুষ্ঠিত হয়।
উদ্ভিদ প্রজাতি (Plant Species) : এ বায়োমে সর্বাধিক সংখ্যক উদ্ভিদ প্রজাতি বসবাস করে। পশ্চিম আফ্রিকার কঙ্গো অববাহিকায় ৬,০০০ থেকে ৭,০০০ প্রজাতির, মালয়েশিয়ার সম্পূর্ণ ভিন্ন গঠনের ২০,০০০ প্রজাতির ব্রাজিলে ৪০,০০০ প্রজাতির এবং পানামা অঞ্চলে ২,০০০ প্রজাতির সপুষ্পক উদ্ভিদ শনাক্ত করা হয়েছে।
চিরসবুজ উদ্ভিদের মধ্যে রয়েছে বট, অশ্বথ, ডমুর, লোহাকাঠ, ম্যামি, ক্যাকো, জাম, পেয়ারা, মেহগনি, বাগানবিলাস, কাঞ্চন, পাম, কোয়াসিয়া, রাবার, সিনডোরা, আট্রালিয়া, কওমা ইত্যাদি।
উল্লম্ব স্তরবিন্যাস (Virtical stratification): নিরক্ষীয় বৃষ্টিবহুল অরণ্যকে দূর থেকে অনুভূমিকভাবে দেখলে মনে হয়, বনভূমিটি স্তরে সজ্জিত। একই নিবাসে বসবাস করলেও সকল প্রজাতির উদ্ভিদের বৃদ্ধি ও উচ্চতা সমান হয় না। ফলে এ বনভূমিতে ভূমি থেকে চূড়া পর্যন্ত পাঁচটি স্তর দেখা যায়। যথা-
(ক) সর্বোচ্চ স্তর (Top layer): লম্বা বৃক্ষগুলো বনভূমির সর্বোচ্চ স্তরে চাঁদোয়ার সৃষ্টি হয়। সর্বোচ্চ স্তরের বৃক্ষগুলোর উচ্চতা ৩০ থেকে ৬০ মিটারের মধ্যে।
(ক) সর্বোচ্চ স্তর (Top layer): লম্বা বৃক্ষগুলো বনভূমির সর্বোচ্চ স্তরে চাঁদোয়ার সৃষ্টি হয়। সর্বোচ্চ স্তরের বৃক্ষগুলোর উচ্চতা ৩০ থেকে ৬০ মিটারের মধ্যে।
(খ) দ্বিতীয় স্তর (Second layer): সর্বোচ্চ স্তরের নিচে ২৫ থেকে ৩০ মিটার উচ্চতাবিশিষ্ট বৃক্ষগুলো দ্বিতীয় স্তরের চাঁদোয়া সৃষ্টি হয়।
(গ) তৃতীয় স্তর (Third layer) : ১৫ থেকে ২০ মিটার দীর্ঘ মাঝারি উচ্চতার বৃক্ষগুলো এ স্তর গঠন করে। এ স্তরের বৃক্ষগুলোর পাতা বিশেষ বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন এবং প্রথম ও দ্বিতীয় স্তরের বৃক্ষের পাতা অপেক্ষা বেশ বড়।
(ঘ) চতুর্থ স্তর (Fourth layer): ৫ মিটার পর্যন্ত উচ্চতাবিশিষ্ট -গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ দ্বারা এ স্তর গঠিত। এ স্তরটি বনভূমিতে নিরবিচ্ছিন্ন দেখা যায় না; বরং বিক্ষিপ্ত অবস্থায় দেখা যায়।
(ঙ) পঞ্চম স্তর (Fifth layer) : ১ থেকে ২ মিটার উচ্চতাবিশিষ্ট উদ্ভিদ দ্বারা এ স্তর গঠিত। এ স্তরে প্রধানত গুল্ম ও ফার্নজাতীয় উদ্ভিদ দেখা যায়।
প্রাণী (Animal) : ক্রান্তীয় চিরহরিৎ বৃক্ষের বনভূমিতে কতিপয় বিশেষ বৈশিষ্ট্যের প্রাণী দেখা যায়, যা অন্য কোনো বায়োমে পাওয়া যায় না। এ বনভূমিকে সারাবছর উদ্ভিদ বৃদ্ধি পায় বলে প্রাণী পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার সারাবছর নিয়মিতভাবে পেয়ে থাকে।এ বনভূমিতে বৃক্ষচর প্রাণীর সংখ্যা বেশি।
কোনো কোনো বৃক্ষচর প্রাণী (যেমন- ব্যাঙ, টিকটিকি, সাপ ইত্যাদি) বিশেষ ধরনের অঙ্গের সাহায্যে বাতাসে ভেসে এক গাছ থেকে অপর গাছে উড়ে যেতে পারে। তবে সরীসৃপের সংখ্যা বেশি। এ বনভূমিতে বহু ধরনের বানর দেখা যায়।
আফ্রিকার কঙ্গো - অববাহিকায় যে বানর দেখা যায়, আমাজন অববাহিকায় তা দেখা যায় না। বানর প্রজাতিগুলোর মধ্যে শিম্পাজি, গরিলা, ওরাংওটাং, বেবুন, গিবন ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এ বনভূমিতে বিভিন্ন ধরনের প্রজাপতি, মশা, মাছি ও পোকামাকড় রয়েছে।
ক্রান্তীয় মৌসুমি বনভূমি বায়োম
ক্রান্তীয় অঞ্চলের যে সকল স্থানে শুল্ক রয়েছে, সে সকল অঞ্চলে মৌসুমি পর্ণমোচি বৃক্ষের বায়োম গড়ে উঠেছে। পৃথিবীর তিনটি অঞ্চলে এ বায়োমের প্রাধান্য রয়েছে।যথা-
(ক) পশ্চিম ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ,
(খ) ইন্দোমালয়েশিয়া অঞ্চল (নিরক্ষীয় চিরহরিৎ - অঞ্চল ব্যতীত দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও
(গ) আফ্রিকার পূর্বাংশ ও অস্ট্রেলিয়ার উত্তরাংশ।
এসব প্রধান অঞ্চল ছাড়াও কতিপয় বিচ্ছিন্ন অঞ্চলে, যেমন, দক্ষিণ আফ্রিকা, দক্ষিণ ব্রাজিল, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ পূর্বাংশ, দক্ষিণ চীন ও জাপানে মৌসুমি পর্ণমোচি বায়োম রয়েছে।
জলবায়ু (Climate): মৌসুমি পর্ণমোচি বনভূমি বায়োম বছরের একটি নির্দিষ্ট সময় বৃষ্টিপাত লাভ করে এবং একটি নির্দিষ্ট সময় বৃষ্টিহীন শুল্ক থাকে। উষ্ণ ও শুল্ক গ্রীষ্মের তাপমাত্রা গড়ে ২৭° সে. থেকে ৩২° সে. এর মধ্যে থাকলেও মে ও জুন মাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮° সে. ৪৮° সে. পর্যন্ত হতে পারে।
উষ্ণ আর্দ্র গ্রীষ্মের তাপমাত্রা ২০° সে. থেকে ৩০° সে. এর মধ্যে থাকে। শুল্ক শীতকালীন তাপমাত্রা ১০° সে. থেকে ২৭° সে. পর্যন্ত হয়ে থাকে। এ বায়োমে গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাত প্রায় ১৫০ সেমি হলে ও পারিসরিক ও সময়গত বণ্টনে যথেষ্ট পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়।
উদ্ভিদ (Plant community): ক্রান্তীয় মৌসুমি বনভূমি বায়োমে উদ্ভিদ প্রজাতির সংখ্যা অনেক কম। এ বনভূমি বায়োমের বৃক্ষগুলোর উচ্চতা ১২ থেকে ৩০ মিটারের মধ্যে হয়ে থাকে। অঞ্চলভেদে বনভূমিতে তিন থেকে চারটি উল্লম্ব স্তর দেখ যায়।
ক্রান্তীয় মৌসুমি বনভূমির গুরুত্বপূর্ণ বৃক্ষ প্রজাতিগুলোর A মধ্যে রয়েছে- কড়ই, শিল, রক্ত কাঞ্চন, চাপলিশ, লাকুচ, গাব বট, কদবেল, জারুল, শিমুল, চন্দন, গজারি, শ্যাওড়া, সেগুনা অর্জুন, বহেরা, হরতকিত, কুম্ভি, কুরচি, বাঁশ, বেত ইত্যাদি।
প্রাণী (Animal) : মৌসুমি বনভূমি বায়োমে প্রধান প্রজাতিসমূহের মধ্যে রয়েছে হাতি, ঘোড়া, জলহস্তি, গন্ডার, বাঘ সিংহ, বণ্য মহিষ, হরিণ, বিভিন্ন প্রকারের পাখি ইত্যাদি।
উপসংহার
প্রিয় পাঠক অপূর্ব আর্টিকেলটিতে আমরা পৃথিবীর সম্পর্কে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করি উপরের তথ্যগুলো আপনাদের কাজে আসবে আপনাদের জ্ঞান ভান্ডারী বৃদ্ধি করার জন্য। এরকম আরো ভৌগোলিক বিষয়ের সম্পর্কে জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটিকে নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন।এবং যদি ভালো লাগে তাহলে আপনি আপনার বন্ধু পরিজন কিংবা সহকারীদের মাঝে শেয়ার করতে পারেন। পরিশেষে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
বিপ্লব আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রত্যেকটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url